মাথা যন্ত্রণা কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
মাথা যন্ত্রণা কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আপনার যদি না জানা থাকে। তাহলে আজকের
এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিন। আমাদের সবার প্রায় মাথা যন্ত্রণা হয়ে থাকে। কিন্তু এই
সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় সম্পর্কে আমাদের তেমন একটা ধারণা নেই। সেজন্য আমি
আজকে একটি সঠিক ধারণা দেয়ার চেষ্টা করবো। তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন। তাহলে মাথা ব্যাথা হলে কি
করা উচিত সে বিষয়েও সঠিক ধারণা পেয়ে যাবেন। এইগুলো সম্পর্কে আমাদের ধারণা রাখা
প্রয়োজন। তাই দেরি না করে চলুন জেনে নেয়া যাক বিষয়গুলো।
ভূমিকা
মাথা যন্ত্রণা এটা একটি স্বাভাবিক বিষয়। একটু ওষুধ খেলে বা একটু বিশ্রাম করলে এই
মাথা যন্ত্রণা অনেক কমে যায়। কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণে যদি মাথা যন্ত্রণা করে
তাহলে অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। আজকে আমরা এই আর্টিকেলে কিছু ওষুধের নাম বলেছি
যা আপনার মাথা ব্যথা দূর করতে সাহায্য করেব। আবার মাথা যন্ত্রণা কমানোর ঘরোয়া
উপায় সম্পর্কেও আজকে আমরা আমরা আলোচনা করেছি।
যদি আপনার এই সমস্যা থেকে থাকে তাহলে সঠিক জায়গায় এসেছেন। এই সমস্যার সমাধান
আজকে আমি এই আর্টিকেলের মধ্যে তুলে ধরেছি। আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি
সমস্ত কিছু খুব ভালো ভাবে বুঝতে পারবেন। চলুন তাহলে আর দেরি না করে সে সমস্ত
বিষয়গুলো জেনে নেওয়া যাক।
মাথা ব্যাথা কোন রোগের লক্ষণ
মাথা ব্যাথা কোন রোগের লক্ষণ এই প্রশ্ন অনেক মানুষ করে থাকেন। আজকে আমি আপনাদের
কাছে এই সমস্যার সঠিক ধারণা দেয়ার চেষ্টা করবো। তাই আপনি যদি এই সমস্যা নিয়ে ভুগে
থাকেন। তাহলে সঠিক জায়গায় এসেছেন। চলুন তাহলে আর দেরি না করে সেই সমস্যার সমাধান
আজকে আমরা দেয়ার চেষ্টা করি।
মাথা ব্যাথা অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক। মাথা ব্যাথার কারণে অনেক সময় অনেক সমস্যার
মধ্যে থাকতে হয়। এই সমস্যা কারো কারো স্থায়ী হতে পারে। যদিও সামান্য ব্যথা হলে
একটু বিশ্রাম নিলে বা তরল খাবার খেলে আরাম পাওয়া যায়। অথবা ওষুধের মাধ্যমে অনেক
আরাম পাওয়া যায়। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে মাথা ব্যথা হলে অনেক সমস্যা দেখা দেয়।
তাই এই অতিরিক্ত মাথা ব্যথার কিছু পদক্ষেপ প্রয়োজন পড়ে। যা নিচে দেয়া
হলোঃ
- বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে, যদি মাথা ব্যাথা অল্প বা বেশি পরিমাণ হয়। তাহলে খুব সহজভাবে নেওয়া উচিত হবে না। যত দ্রুত পারবেন ঠিক করে নেবেন। কারণ এই সমস্যাগুলি অনেক সময় জটিল রোগ আমন্ত্রণ করে। তাই অবশ্যই এগুলো সমস্যা হলে খুব দ্রুত চিকিৎসা করবেন।
- চিকিৎসকরা বলেন যে, দৈনন্দিন কাজকর্মের ফলে এই সমস্যা হতে পারে। প্রচন্ড মাথা ব্যথা হলে অবশ্যই বিশ্রাম নেওয়া উচিত। এতে করে একটু আরাম পাওয়া যায়।
- মাথা ব্যথার কয়েকটি ধরন রয়েছে। যদি মৃদু মাথাব্যথা হয় তাহলে ঘরোয়া উপায়ে সারানো সম্ভব হয়ে থাকে। কিন্তু যদি অতিরিক্ত পরিমাণে মাথা ব্যাথা হয় তাহলে এইটা সারানো সম্ভব হয় না।
- অতিরিক্ত পরিমাণে মাথা ব্যাথা সতর্কতা লক্ষণের মধ্যে রয়েছে হঠাৎ করেই মাথা ব্যাথা শুরু হয়ে যাওয়া। বিশেষ করে ৫০ বছর বয়সের পর থেকে এই মাথাব্যথা বেশি শুরু হয়। মাথা ব্যাথার ঘনত্ব বা তীব্রতা অনেক বেশি বৃদ্ধি হঠাৎ করেই এগুলো পরিবর্তন হয়ে থাকে।
- গবেষকরা জানিয়েছেন যে, এইচআইভির (HIV) সাথে এই মাথা ব্যাথা সংযোগসূত্র রয়েছে। এছাড়াও ক্যান্সার, হাঁচি-কাশি, ভ্রমণগত কারণেও মাথাব্যথা মাথায় আঘাত পাওয়া। গর্ভাবস্থায় বা প্রসবের পরে প্রচন্ড পরিমাণে মাথাব্যথা হতে পারে। এছাড়াও আরো রয়েছে শরীর দুর্বলতা, দৃষ্টি ব্যাঘাত, এগুলো লক্ষণের সঙ্গে মাথা ব্যথার সম্পর্ক রয়েছে।
- বিশেষ করে যেসব উপসর্গ দেখা দিলে খুব গুরুত্ব দিবেন সেগুলো হচ্ছে বমি হওয়া, অতিরিক্ত ঘাম বা জ্বর, চোখ দিয়ে পানি পড়া, ক্লান্তি বোধ হওয়া, ব্যথার ওষুধ খাওয়ার পরে ব্যথা না কমে আরো বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি।
এইসব অবস্থায় মধ্যে দিয়ে যদি আপনার দিন যায় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ
নিয়ে এর সঠিক কারণ খুঁজে বের করবেন। প্রয়োজনে এম আর আই (MRI) টেস্ট করে নিতে
পারেন। কেননা এগুলো সমস্যা হলে আপনার ব্রেনের টিউমার হতে পারে, আপনার ক্যান্সার
হতে পারে, তাই যত সম্ভব এই গুরুতর সমস্যা সমাধান খুঁজে বের করে সঠিক চিকিৎসা
নিবেন।
মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি ঔষধের নাম
মাথা ব্যথা কমানোর ১০ টি ওষুধের নাম সম্পর্কে আজকে আমি এই আর্টিকেলে আলোচনা
করব। যদি আপনার মাথা ব্যাথা নিয়ে অনেক সমস্যা হয়ে থাকে এবং যদি আপনি মাথা
ব্যাথার কোন ওষুধ খুঁজে না পান। তাহলে আজকে আমাদের আর্টিকেলটি আপনার জন্য অনেক
সাহায্য করবে। আপনাদের জন্য আমি ১০টি ওষুধের নাম নিয়ে এসেছি। এইগুলো ওষুধ
সেবনের ফলে আপনার মাথা ব্যাথা খুব দ্রুত কমে যাবে। দেশে অনেক মানুষ রয়েছে যারা
এই মাথাব্যথা নিয়ে ভুগছেন।
তাই এটার সমাধান অবশ্যই আপনার জানা প্রয়োজন। মাথাব্যথা হওয়ার বিভিন্ন কারণ
রয়েছে সেই কারণ অনুযায়ী ব্যথা সারানো হয়ে থাকে। কিন্তু এর বিভিন্ন ওষুধ খেতে
হয়। অনেক রকমের সমস্যার কারণে মাথাব্যথা হয়ে থাকে। মাথা ব্যাথা রোগীদের যদি
জিজ্ঞেস করা হয় তাহলে তারা বলে থাকেন যে ওষুধ খেলে ভালো হয়ে যায়। চলুন তাহলে
সেই ওষুধের নাম গুলো জেনে নিই। এগুলো জানা অত্যন্ত জরুরী।
মাথা ব্যাথা কমানোর ১০ টি ওষুধের নাম নিচে দেওয়া হলোঃ
১ নাম্বারঃ
- ওষুধের নামঃ ANILIC ( এনিলিক) 200mg।
- কম্পানির নামঃ Drug International Ltd.।
- দামঃ ৯ টাকা থেকে ১০ টাকার মধ্যে।
২ নাম্বারঃ
- ওষুধের নামঃ ARAIN (আরিন) 200mg।
- কম্পানির নামঃ Opsonin Pharma Ltd.।
- দামঃ ১০ টাকা--থেকে--১২ টাকার মধ্যে।
৩ নাম্বারঃ
- ওষুধের নামঃ LOGRAIN (লগ্রেন) Tablet 200mg।
- কম্পানির নামঃ Opsonin Pharma Ltd.।
- দামঃ ১১ টাকা থেকে ১৩ টাকার মধ্যে।
৪ নাম্বারঃ
- ওষুধের নামঃ MINOPA (মিনোপা) Tablet 200mg।
- কম্পানির নামঃ Medicon Pharmaceuticals Ltd.।
- দামঃ ৮ টাকা থেকে ১০ টাকার মধ্যে।
৫ নাম্বারঃ
- ওষুধের নামঃ MIGREX (মিগরেক্স) Tablet 200mg।
- কম্পানির নামঃ Incepta Pharmaceuticals Ltd.।
- দামঃ ১২ টাকা থেকে ১৩ টাকার মধ্যে।
৬ নাম্বারঃ
- ওষুধের নামঃ MIGRATOL (মাইগ্রেটল) Tablet 200mg।
- কম্পানির নামঃ Beacon Pharmaceuticals Ltd.।
- দামঃ ১০ টাকা থেকে ১২ টাকার মধ্যে।
৭ নাম্বারঃ
- ওষুধের নামঃ TOLFI(টলফি) Tablet 200mg।
- কম্পানির নামঃ Benham Pharmaceuticals Ltd.।
- দামঃ ১০ টাকা থেকে ১৩ টাকার মধ্যে।
৮ নাম্বারঃ
- ওষুধের নামঃ TUFNIL (টাফনিল) Tablet 200mg।
- কম্পানির নামঃ Eskayef Bangladesh Ltd.।
- দামঃ ১০ টাকা থেকে ১২ টাকার মধ্যে।
৯ নাম্বারঃ
- ওষুধের নামঃ NAMITOL (নামিটোল) Tablet 200 mg।
- কম্পানির নামঃ ACI Limited
- দামঃ ১০ টাকা থেকে ১২ টাকার মধ্যে।
১০ নাম্বারঃ
- ওষুধের নামঃ TOLMIC (টলমিক) 200mg।
- কম্পানির নামঃ Beximco Pharmaceuticals Ltd.।
- দামঃ ৯ টাকা থেকে ১১ টাকার মধ্যে।
প্রিয় বন্ধুরা উপরে যে ওষুধগুলো দেখছেন। সেগুলো খাওয়ার আগে অবশ্যই
ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তারপর সেবন করবেন। মাথা ব্যাথা খুব খারাপ একটি
সমস্যা। এই মাথা ব্যথার কারণে অনেক মানুষ অনেক কষ্টের মধ্যে রয়েছে। এই
মাথা ব্যাথা দূর করতে কয়েকটি ওষুধের নাম আমি উপরে আলোচনা করেছি। আশা
করি এই ওষুধগুলো আপনি সেবন করলে আপনার মাথা ব্যাথা দূর হয়ে যাবে।
মাথা যন্ত্রণা কমানোর ব্যায়াম
অনেক মানুষ রয়েছে মাথাব্যথা করলে সে মাথা ব্যাথা সারিয়ে তুলতে অনেক
হিমশিম খেয়ে যায়। একবার মলম লাগান আরেকবার ওষুধ খান। আবার মাথা
টিপে ব্যাথা সারানোর চেষ্টা করেন। এই মাথা ব্যাথা হলে আরেকটি করণী
রয়েছে সেটি হচ্ছে ব্যায়াম। ব্যায়াম করলে আপনার মাথা ব্যাথা (মাথা
যন্ত্রণা) দূর হতে পারে। চলুন তাহলে আর দেরি না করে মাথা যন্ত্রণা
কমানোর ব্যায়াম সম্পর্কে জেনে নিন।
১। ভ্রামরী প্রাণায়াম ব্যায়ামঃ
মাথা যন্ত্রণা কমানোর ব্যায়াম করা অনেক প্রয়োজন। যাদের মাথা ঘুরে
এবং মাথার যন্ত্রণা করে তারা সকালে ঘুম থেকে উঠার পর অথবা রাতে
ঘুমাতে যাওয়ার আগে আপনি ব্যায়াম করলে খুব ভালো ফল পাবেন।
প্রথমে সোজা হয়ে বসে মেরুদন্ড সোজা করতে হবে। এরপর হাতের
বৃদ্ধাঙ্গুল দিয়ে দুই কান বন্ধ করে নিবেন। যাতে করে বাইরে কোন শব্দ
আপনার কানে না ঢোকে। চোখ বন্ধ করে দুই হাতের যে আটটি আঙ্গুল রয়েছে
সেটি চোখের পাতার উপর রাখবেন।
এমন ভাবে রাখবেন যেন বাহিরের কোন আলো চোখের পাতায় না পড়ে। তারপর
হাতের আঙ্গুল চোখের পাতায় স্পর্শ করাবেন না। তাহলে চোখ খোলার পরে
ঝাপসা লাগতে পারে। সেজন্য একটু লক্ষ্য করবেন। এরপর জোরে করে শ্বাস
নিন এবং নিঃশ্বাস ছাড়ার সময় আস্তে আস্তে ছাড়ুন। এতে করে আপনার
মাথা ব্যাথা বা অন্যান্য সমস্যা থাকলে ঠিক হয়ে যাবে।
রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ১৫ থেকে ২০ বার করবেন। সকালে ঘুম থেকে ওঠার
পর ১০ থেকে ১৫ বার করতে পারেন। এইভাবে যদি আপনি টানা ১৫ থেকে ৩০ দিন
করতে পারেন। তাহলে উপকার পেতে শুরু করবেন। এই ব্যায়ামকে বলা ভ্রামরী
প্রাণায়াম।
২। অনুলোম--বিলোম প্রাণায়াম ব্যায়ামঃ
প্রথমে আপনাকে মেরুদন্ড সোজা করে রেখে বসতে হবে। এরপর হাত এবং পা
কোলের উপর আলতোভাবে বিশ্রাম অবস্থায় রাখবেন। এই ব্যায়াম করার সময়
সব সময় ডান হাত ব্যবহার করলে আরো অনেক ভালো হয়। বৃদ্ধাঙ্গুল দিয়ে
নাকের যে ছিদ্র রয়েছে সেটি বন্ধ করে নিবেন এবং ছিদ্র দিয়ে ফুসফুস
ভোরে শ্বাস নিবেন। এরপর সেই ছিদ্র দিয়ে আস্তে আস্তে নিঃশ্বাস
ছাড়বেন।
এইভাবে কিছুক্ষণ নিঃশ্বাস নিবেন এবং আস্তে আস্তে ছাড়বেন। এতে করে
আপনার অনেক উপকার হবে। যখন আপনার মাথা ব্যাথা প্রচণ্ড পরিমানে হবে
তখন শ্বাস-প্রশ্বাস ধীরগতিতে চলাচল করবে। আর যখন মাথা যন্ত্রণা থাকবে
না তখন জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিতে থাকবেন। নিঃশ্বাস ওপরে নিবেন ৮
সেকেন্ড এবং ছাড়বেন ৮ সেকেন্ড ধরে।
এইভাবে যদি আপনি মনোযোগ সহকারে ব্যায়াম করতে পারেন তাহলে আপনার মাথা
ব্যাথা অনেক কমে যাবে এই অনুলোম বিলোমের অনেক উপকারিতা রয়েছে শরীরের
রক্ত সঞ্চালন থেকে শুরু করে আরও বিভিন্ন অঙ্গের সুস্থতার জন্য এই
চমৎকার ব্যায়ামটি অনেক কার্যকরী।
৩। নাশাকাসন (চাইল্ড পোজ) ব্যায়ামঃ
এই নাশাকাসন করবেন খালি পেটে। প্রথমে বজ্রাসনে বসে নিন। এরপর
মাথা ব্যাথার জন্য এই বজ্রাসন দুই পায়ের মধ্যে সামান্য একটু ফাঁক
রেখে বসুন। এরপর দুই হাত সোজা করে সামনের দিকে রাখুন। মাথায় রাখবেন
দুই হাতের মাঝ বরাবর। ফাঁক এমনভাবে রাখবেন যে আপনার পেট ঝুলে পড়লে
যেন দুই উরুর মাঝখানে বিশ্রাম নিতে পারে। এরপর শ্বাস টানতে থাকুন।
টানতে টানতে দুই হাত সোজা করে মাথার ওপরে তুলুন।
সামনের দিকে সেই নিঃশ্বাস ঝুকতে ঝুঁকতে বাহিরে বের করে দিন। তারপর
হাত দুটিকে সামনের দিকে নিয়ে হাতের পাতা নিজ দিকে রেখে কনুই পর্যন্ত
সে হাত মাটির সাথে ঠেকিয়ে রাখুন। খেয়াল করবেন কপাল যেন মাটির সাথে
লেগে থাকে। এইভাবে ৩০ সেকেন্ড থেকে ৬০ সেকেন্ড পর্যন্ত এইরকম করবেন।
এরপর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবেন। এভাবে চার থেকে পাঁচ বার
করুন।
এই ব্যায়াম করলে আপনার মাথা যন্ত্রণা সারিয়ে উঠবে খুব নিমিষেই। এর
পাশাপাশি আরও উপকার পাবেন হৃদ্রোগীদের জন্য এই ব্যায়ামটি অনেক
উপকারী। কারণ হৃদপিন্ডের জন্য এইটা করতে হয়। নারীরা গর্ভাবস্থায়
শক্তি বাড়াতে চাইলে এই ব্যায়ামটি করতে পারেন। খিটখিটে মেজাজ, রাগ,
টেনশন, এগুলো সব দূর করে এই ব্যায়ামের মাধ্যমে।
মাথা যন্ত্রণা কমানোর ঘরোয়া উপায়
অনেক সময় দেখে থাকি নানা কারণে মাথার যন্ত্রণা দেখা দেয়। অতিরিক্ত
পরিমাণে যদি রোদে থাকা পড়ে তাহলে এই মাথা যন্ত্রণা করে। আবার
গ্যাসের কারণেও এই সমস্যা হয়ে থাকে। মাথা যন্ত্রণা সমস্যাটা খুব
স্বাভাবিক একটি বিষয়। কিন্তু এইটা বেশিরভাগ মানুষ কমিয়ে ফেলে ওষুধ
খেয়ে। আজকে আমরা মাথা যন্ত্রণা কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে
বিস্তারিত আলোচনা করব।
যদি আপনি এই সমস্যায় ভুগেন। তাহলে সঠিক জায়গায় এসেছেন। এই সমস্যা
সমাধান করতে আজকে আমি এই বিষয়ে আলোচনা করতে চলেছি। চলুন তাহলে আর
দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক মাথা যন্ত্রণা কমানোর ঘরোয়া উপায়
সম্পর্কে।
- বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে মাথার যন্ত্রণা যদি দেখা দেয় তাহলে বরফের প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। কয়েক টুকরো বরফ নিয়ে একটি রুমালে পেঁচিয়ে নিবেন। অথবা ফ্রিজে সবজি রাখার যে ব্যাগ থাকে সেটাই নিতে পারেন। তাতে বরফ ভরে নিবেন। এবার সেই বরফের ব্যাগ অথবা যে রুমাল ছিল সেটা কপালে কিছুক্ষণ দিয়ে রাখতে পারেন।
- এই বরফের রুমাল কপালে সেঁক দিতে থাকুন। এভাবে ১৫ মিনিট ধরে দিবেন। যদি আপনার বাড়িতে বরফ না থাকে তাহলে যখন আপনার মাথা অতিরিক্ত যন্ত্রণা করবে তখন আপনি ঠান্ডা পানিতে গোসল করে নিবেন। তাহলে মাথা যন্ত্রণা অনেকটা কমে যাবে।
- যদি আপনার সাইনাসের সমস্যা থাকে তাহলে গরম পানি সেঁক দিতে পারেন। মাথার পিছনে অথবা ঘাড়ে সেঁক দিন। এতে করে অনেক আরাম পাবেন। একটি কাপড় গরম করে নিয়ে শরীরের যে অংশে ব্যথা অথবা যন্ত্রণা সেখানে সেঁক দিতে পারেন। তাহলে মাথা যন্ত্রণা ও অন্যান্য ব্যথা থেকে অনেকটা আরামবোধ পাবেন।
- বিশেষজ্ঞের মতে, মাথার চুল শক্ত করে বেঁধে রাখলে মাথার যন্ত্রণা দেখা দেয়। এমন পরিস্থিতি যদি আপনার হয় তাহলে চুলগুলো খুলে দিন এবং চুলগুলো আলতো ভাবে রাখুন। তাহলে ধীরে ধীরে আপনার মাথার যন্ত্রণা কমে যাবে।
- অত্যাধুনিক আলোর মধ্যে বেশিক্ষণ থাকবেন না। দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটার ব্যবহার করবেন না। স্মার্টফোনের স্ক্রিনের আলোর সামনে বেশিক্ষণ তাকে থাকবেন না। এতে করে আপনার মাথা যন্ত্রণা হতে পারে। মাথার যন্ত্রণা কমাতে ঘরের আলো কমিয়ে রাখুন। হালকা আলো চোখের কোন সমস্যা হয় না। এমন আলো ঘরে জ্বালিয়ে রাখবেন। কিছুক্ষণ পর পর চোখ বন্ধ করবেন এবং খুলবেন। তাহলে মাথা আর যন্ত্রণা করবে না।
- টানা অনেকক্ষণ ধরে যদি আপনি চুইংগাম চিবান। তাহলে মাথা যন্ত্রণা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও রাস্তার বিভিন্ন ধরনের কোনো খাবার কম খাওয়ার চেষ্টা করবেন। খাবারের কারণে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করবেন। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না খাওয়ার কারণে মাথা যন্ত্রণা সমস্যা দেখা দিতে পারে। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ সারাদিনের.৩ লিটার পানি পান করা প্রয়োজন। যদি আপনার শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দেয়। তাহলে মাথা যন্ত্রণার সমস্যা অনেক বেড়ে যেতে পারে। তাই প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করবেন।
- যদি আপনার মাথার যন্ত্রণা অতিরিক্ত না হয়ে কম হয়। তাহলে কফি খেতে পারেন।
- মাথা যন্ত্রণা করলে শরীর, ঘাড়, হাত, কপাল এগুলো ম্যাসেজ করে দিলে অনেক আরাম পাওয়া যায়। এতে করে মাথা যন্ত্রণা কিছুটা কমে।
- আপনার যদি অতিরিক্ত মাথা যন্ত্রণা করে তাহলে চায়ের সাথে আদা মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে করে অনেক যন্ত্রণা থাকলে কমে যাবে।
- মাথা যন্ত্রণা বেশি বেড়ে গেলে আপনি ঘুমাতে পারেন। ঘুমিয়ে থাকলে মাথা যন্ত্রণা অনেকটা কমে যায়। মাথা যন্ত্রণা কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আশা করি বুঝাতে পেরেছি।
মাথা ব্যাথা হলে কি করা উচিত
মাথা যন্ত্রণা করলে এত পরিমাণ সমস্যা হয় যেটা বলার মত না। সারাদিন রোদে মধ্যে কাজ করলে এই মাথা যন্ত্রণা করতে পারে। আবার কিছু কিছু সমস্যার কারণে মাথাব্যথা হয়ে থাকে। যেমন, বেশি গেম খেললে, মোবাইলের স্কিনের দিকে বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকলে, আরও ইত্যাদি। মাথাব্যথা হলে কি করা উচিত এ সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা নেই।
যা আজকে আলোচনা করব। বেশিরভাগ খেয়াল করলেই দেখা যায় যে মাথা
যন্ত্রণা নিয়ে অনেকেই থাকেন। তাই আজকে এর সমাধান নিয়ে আমি চলে
এসেছি এই আর্টিকেলে। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক মাথা ব্যথা হলে কি
করা উচিত।
পানি পান করুনঃ আপনার যদি অত্যাধিক মাথা
ব্যথা হয়। তাহলে অবশ্যই পানি পান করবেন। যখন আপনি পানি পান করবেন।
তখন আপনার মাথা অনেক ঠান্ডা হয়ে যাবে। এতে করে আপনার মাথার যন্ত্রণা
ব্যথা কমতে থাকবে।
লবণ যুক্ত আপেলঃ মাথার যন্ত্রণা যদি বেশি পরিমাণে হয়ে থাকে তাহলে এই ঘরোয়া পদ্ধতিটি চেষ্টা করে দেখতে পারেন। এক টুকরো আপেলের সাথে একটু লবণ মিশিয়ে নিয়ে খেতে পারেন। এটা খুব দ্রুত ব্যথামুক্ত করতে সাহায্য করে।
আকুপ্রেশারঃ অনেক আগে থেকেই মাথাব্যথা দূর করার জন্য এই আকুপ্রেশার পদ্ধতিটি ব্যবহার করে আসছে। এই ঘরোয়া পদ্ধতি আপনি ব্যবহার করলে আপনার মাথা ব্যাথা খুব দ্রুত সেরে যাবে। বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি নিয়ে আলতো ভাবে চাপ দিবেন এবং ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করবেন। বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন যে এই পদ্ধতি অবলম্বন করলে খুব দ্রুত মাথাব্যথা দূর হয়ে যাবে।
লবঙ্গঃ কিছু লবঙ্গ একটু হালকা গরম করে নিবেন। সেই গরম লবঙ্গ একটি রুমালের মধ্যে নিবেন। এরপর সেই লবঙ্গ ঘ্রাণ নিবেন। এতে করে মাথা ব্যাথা চলে যাবে।
বিশ্রাম ও ঘুমঃ আপনার যতই মাথাব্যথা হোক না কেন আপনাকে অবশ্যই খুব দ্রুত সেরে তুলতে বিশ্রাম খুবই প্রয়োজনীয় একটি ঘরোয়া উপায়। আপনার যদি প্রচুর পরিমাণে মাথা ব্যথা ও মাথার যন্ত্রণা করে থাকে। তাহলে আপনি এক থেকে দুই ঘন্টা ঘুমিয়ে থাকতে পারেন। তাহলে আপনার মাথা ব্যাথা একদম দূর হয়ে যাবে।
চা ও আদাঃ আপনি যদি চায়ের সাথে এক টুকরো আদা মিশ্রণ করে খেতে পারেন। এতে করে আপনার মাথার যন্ত্রণা খুব দ্রুত দূর হয়ে যাবে। আদা একটু বাজে গন্ধ হলেও এই পদ্ধতি অনেক কাজের। তাই এই পদ্ধতিটি অবশ্যই অবলম্বন করে দেখতে পারেন। আশা করি মাথা যন্ত্রণা কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে ও মাথা ব্যাথা হলে কি করা উচিত সে বিষয়ে একটি সঠিক ধারণা পেয়েছেন।
মাথা ব্যথা কমানোর দোয়া
অনেকেই রয়েছে ওষুধ না খেয়ে মাথা ব্যাথা ও মাথা যন্ত্রণা সহ্য করে
থাকতে পারে। ওষুধ খেলেও এর সাইড ইফেক্ট থেকেই যায়। তাই আজকে আমি
আপনাদের সামনে মাথা ব্যাথা কমানোর দোয়া নিয়ে এসেছি। আল্লাহ
তায়ালাকে ভরসা রেখে এই দোয়াটি পড়লে আশা করি আপনার মাথা ব্যাথা
সম্পূর্ণ দূর হয়ে যাবে। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক মাথা ব্যাথা
কমানোর দোয়া।
দোয়াঃ (লা--ইউসাদ্দাউনা--আনহা--ওয়া--লা--ইউনযাফুন)
অর্থঃ যা--পান--করলে--তাদের--শিরঃপীড়া--হবে--না--এবং--বিকারগ্রস্ত--ও--হবে--না।
সূরা ওয়াক্বিয়াঃ (আয়াত--১৯)
এই সূরার আয়াতটুকু পাঠ করলে আপনার মাথাব্যাথা খুব দ্রুত দূর হয়ে
যাবে। এইটা মাথাব্যথার দোয়া। এই আয়াতটি অনেকবার পাঠ করতে পারেন।
যদি আপনি পারেন তাহলে এই আয়াতটি ৩৩ বার পাঠ করবেন। পাশাপাশি সূরা
ফাতেহা, আয়াতুল কুরসি, সহ এই আয়াত পাঠ করলে মাথা ব্যাথা খুব দ্রুত
কমে যাবে।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে আশা করি মাথা যন্ত্রণা কমানোর
ঘরোয়া উপায় এবং মাথা ব্যাথা হলে কি করা উচিত সে ব্যাপারে একটি
সুস্পষ্ট ধারণা দিতে সক্ষম হয়েছি। আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত
হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এই
আর্টিকেলটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করলে আপনার বন্ধুরাও জানতে পারবে। তাই
দেরি না করে আপনার বন্ধুদের সাথে আর্টিকেলটি শেয়ার করুন।
এই রকম আরো আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার কোনো মতামত জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে সেটা জানিয়ে যাবেন। (ধন্যবাদ) আসসালামু আলাইকুম।
এই রকম আরো আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার কোনো মতামত জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে সেটা জানিয়ে যাবেন। (ধন্যবাদ) আসসালামু আলাইকুম।
এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url