সকালে খালি পেটে কিসমিস খাওয়ার নিয়ম জেনে নিন

সকালে খালি পেটে কিসমিস খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আপনার যদি না জানা থাকে। তাহলে আজকের এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিন। আমরা সবাই কিসমিস খেয়ে থাকি এবং দেখে থাকি। কিন্তু এই কিসমিস খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আমাদের তেমন একটা ধারণা নেই। সেজন্য আমি আজকে একটি সঠিক ধারণা দেয়ার চেষ্টা করবো। তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
সকালে খালি পেটে কিসমিস খাওয়ার নিয়ম জেনে নিন
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন। তাহলে রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে কি হয় সে বিষয়েও সঠিক ধারণা পেয়ে যাবেন। এইগুলো সম্পর্কে আমাদের ধারণা রাখা প্রয়োজন। তাই দেরি না করে চলুন জেনে নেয়া যাক বিষয়গুলো।

ভূমিকা

কিসমিস একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণ খাবার। এই কিসমিস প্রায় সকল মানুষ খেয়ে থাকেন। কিসমিসে যে উপকারিতা রয়েছে তা শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তবে কিসমিস খাওয়ার কিছু নিয়ম রয়েছে এইটা অনেকেই জানেন না। তাই আজকের আর্টিকেলে সকালে খালি পেটে কিসমিস খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। যদি আপনার এই সম্পর্কে জানার আগ্রহ থাকে তাহলে অবশ্যই মনোযোগ সহকারে দেখবেন এবং পড়বেন। আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে সমস্ত কিছু খুব ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। চলুন তাহলে বিষয়গুলো জেনে নিন। 

কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা

কিসমিস ভিজে খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। আপনি যদি প্রতিদিন সকালে কিসমিস ভিজিয়ে খান তাহলে শরীরের ব্যাপক উন্নতি লক্ষ্য করবেন। কিন্তু আপনার কি কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে ধারণা রয়েছে। আজকে সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। আসুন তাহলে সেই বিষয়গুলো জেনে নিন।   

কিসমিস আঙ্গুর ফল শুকিয়ে বানানো হয়। এই কিসমিস শরীরের জন্য বেশ উপকারী। এই কিসমিস একবারও কি ভিজিয়ে খেয়েছেন? শুকনো কিসমিস খাওয়ার থেকে ভিজিয়ে সেই কিসমিস খাওয়া অনেক উপকার। কিসমিস ভিজে যদি আপনি খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো।

কিসমিস ভিজে খাওয়ার কিছু উপকারিতাঃ

হার্ট ভালো রাখেঃ আপনি যদি নিয়মিত কিসমিস ভিজে খান তাহলে আপনার হার্ট খুব ভালো থাকবে। কারণ কিসমিসে রয়েছে পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম যা হার্ট ভালো রাখতে খুব ভালো সাহায্য করে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে পটাশিয়াম খুব ভালো সাহায্য করে এবং রক্তনালীকে শীতল করতে ম্যাগনেসিয়াম খুব ভালো সাহায্য করে। 

কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার কারণে এই দুটি খনিজ শরীরের আরো সহজে খুব দ্রুত শোষিত হয়। সেজন্য আমাদের প্রতিদিন কিসমিস ভিজে খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। এতে করে অনেক উপকার পাওয়া যাবে।
   
রক্তস্বল্পতা দূর করেঃ কিসমিসে রয়েছে আয়রন। এই আয়রন শরীরের রক্তস্বল্পতা দূর করতে বেশ সাহায্য করে। রক্তের লোহিত কণিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে এই আয়রন। এই লোহিত রক্তকণিকা অক্সিজেনের পরিবহন করে। কিশমিশ ভিজে খাওয়ার কারণে শরীরে আয়রন শোষিত হয় খুব ভালোভাবে। 

তাই যদি আপনার রক্তস্বল্পতা থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই ভিজিয়ে রাখা কিসমিস খেতে পারেন। এক গ্লাস পানিতে কিসমিস সুন্দর করে ভিজিয়ে নিবেন। এরপর সেই কিসমিস কিছুক্ষণ পানিতে রেখে দেওয়ার পর পানি সহ কিসমিস খাবেন। এতে করে আপনার শরীরের রক্তস্বল্পতা খুব দ্রুত দূর হয়ে যাবে।
 
হজম শক্তি বাড়ায়ঃ কিসমিসে রয়েছে ফাইবার। যা হজম শক্তি বাড়াতে বেশ সাহায্য করে। এই ফাইবার একটি জটিল শর্করা। যা আমাদের শরীরের হজমের সময় যে উপকারী ব্যাকটেরিয়া রয়েছে সেটা তৈরি করে। যার ফলে হজম শক্তির প্রক্রিয়া বেড়ে যায়। তাই কারো যদি হজমের সমস্যা থাকে তাহলে প্রতিদিন কিসমিস ভিজিয়ে খেতে পারেন। এতে করে হজমশক্তি বৃদ্ধি পাবে।  

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ কিসমিসে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে খুব বেশি সাহায্য করে। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরে থাকা ক্ষতিকর ফ্রি রেডিকেল থেকে রক্ষা করে। কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার ফলে এই অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট খুব দ্রুত কার্যক্রম হয়। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে অনেক সহায়তা করে এই কিসমিস। তাই প্রতিদিন অন্যান্য খাবারের পাশাপাশি কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়া উত্তম।  

কোলেস্টেরল কমায়ঃ কিসমিসে রয়েছে ফাইবার। যা কোলেস্টেরল কমাতে বেশ সাহায্য করে। কিসমিস ভিজে খাওয়ার ফলে এই ফাইবার আরো বেশি কার্যকর হয়। প্রতিদিন রাতে ১০ থেকে ১২ টি কিসমিস এক কাপে নিয়ে পানিতে ভিজে রাখতে হবে। এরপর সকালে ঘুম থেকে উঠে সেই গ্লাসের পানি সহ কিসমিস গুলো খেয়ে নিতে হবে। যদি আপনি এভাবে প্রতিদিন কিসমিস খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন তাহলে শরীরে কোলেস্টেরল অনেক কমে যাবে।

রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে কি হয়   

রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে কি হয় এই সম্পর্কে অনেকেরই অজানা। তাই যদি না জেনে থাকেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিন। কিসমিসে রয়েছে অনেক পরিমাণে পুষ্টিগুণ। কিসমিস শরীরের জন্য অনেক উপকারী। কিসমিসে রয়েছে পটাশিয়াম, প্রোটিন, ফাইবার, কপার, আয়রন, ভিটামিন-সি-৬ আরও ইত্যাদিসমূহ। যদি প্রতিদিন আপনি কিসমিস খেতে পারেন তাহলে এসিডিটি এবং অনিদ্রার মতো সমস্যা থাকলে খুব সহজেই মুক্তি পেয়ে যাবেন। 

কিছু উদাহরণ নিচে দেওয়া হলোঃ   

চোখ ভালো রাখেঃ চোখ ভালো রাখতে এই কিসমিস অনেক উপকারী। রাতে ঘুমানোর আগে যদি আপনি কিসমিস খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। তাহলে আপনার চোখের দৃষ্টি ভালো হবে। প্রতিদিন রাতে নিয়ম করে কিসমিস খেতে পারেন।

ঘুম ভালো হয়ঃ কিসমিসে রয়েছে ট্রিপটোফ্যান নামক একটি এমাইনো এসিড। যা আমাদের শরীরের মেটাটোটিন হরমোন তৈরি করতে সহায়তা করে। এই হরমোন ঘুমের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাই রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেয়ে ঘুমাতে পারেন। এতে করে ঘুম অনেক ভালো হবে।

হাড় মজবুত করেঃ প্রতিদিন নিয়ম করে কিসমিস খেলে হাড় অনেক মজবুত হয়। প্রতিদিন রাতে যদি আপনি কিসমিস খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরের অন্যান্য রোগ থেকেও মুক্তি পাবেন। ১০ থেকে ১৫টি কিসমিস প্রতিদিন রাতে খেলে আপনার হাড় অনেক মজবুত হবে। কারণ কিসমিসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। যদি আপনি কিসমিস দুধের সাথে মিশ্রণ করে খেতে পারে তাহলে আরো দ্বিগুণ উপকার পাবেন।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করাঃ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এই কিসমিস অনেক সাহায্য করে। রাতে ঘুমানোর আগে ১০ থেকে ১৫ টি কিসমিস খেয়ে ঘুমাতে পারেন। এতে করে অনেক কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে বেশ সাহায্য করবে কিসমিস।   

অনিদ্রা দূর করেঃ যাদের রাতের বেলায় ঘুমাতে সমস্যা হয়। তারা প্রতিদিন কিসমিস খেতে পারেন। কিসমিস খেলে রাতের ঘুম অনেক ভালো হয়। প্রতিদিন রাতে ১০ থেকে ১২টি কিসমিস খেয়ে শুয়ে পড়লে খুব দ্রুত চোখে ঘুম চলে আসে। এইভাবে আপনি সাত দিন খেলে অনেক ভালো ফলাফল পাবেন।

হজম শক্তিঃ হজম শক্তি বাড়াতে বেশ সাহায্য করে কিসমিস। প্রতিদিন রাতে যদি কিসমিস খেতে পারেন তাহলে আপনার হজম শক্তি অনেক বৃদ্ধি পাবে।   

ব্লাড প্রেসারঃ যদি আপনার ব্লাড প্রেসার থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই খাবারের তালিকায় কিসমিস রাখুন। প্রতিদিন রাতে ১০ থেকে ১৫ টি কিসমিস খেতে পারেন। তাহলে ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ প্রতিদিন নিয়ম করে যদি আপনি রাতে কিসমিস খেতে পারেন। তাহলে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে বেশ সাহায্য করবে। এছাড়াও রাতে কিসমিস খেলে আরো অন্যান্য রোগ থেকেও মুক্তি পাওয়া যাবে।  

এছাড়াও হার্ট সুস্থ রাখতে বেশ সাহায্য করে এই কিসমিস। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও খুব সাহায্য করে এবং আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতে এই কিসমিস অনেক কার্যকরী। রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে কি হয় আশা করি সঠিক ধারণা দিতে সক্ষম হয়েছি।

প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত

কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান রয়েছে। একজন মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য এই কিসমিস অত্যন্ত উপকারী। প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত এই সম্পর্কে আমাদের অবশ্যই জানা প্রয়োজন। কারণ যদি আপনি কিসমিস বেশি পরিমাণে খেয়ে ফেলেন তাহলে আপনার স্বাস্থ্যের পক্ষে অনেক ক্ষতিকর হয়ে ও উঠবে। উপকারের বদলে অপকার হবে বেশি। সেজন্য জানতে হবে যে প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।

কিসমিসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, আয়রন, ফাইবার, প্রোটিন, কপার, ভিটামিন-বি-৬ আরো ইত্যাদি। এই পুষ্টিগুলো শরীরের জন্য অনেক উপকারী। সকল মানুষের এই পুষ্টির ঘাটতি দেখা দেয়। আর সেই ঘাটতি পূরণ করতে এই কিসমিস অত্যান্ত প্রয়োজনীয়। আপনারা হয়তো অনেকেই জেনে থাকবেন যে রাতে কিসমিস পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খেলে অনেক বেশি উপকার পাওয়া যায়। তবে এটি পরিমাণ মতো খেতে হবে।        
 
আপনি যদি প্রতিদিন ৪৫ থেকে ৫০ গ্রাম কিসমিস খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার শরীরে কোন রকম সমস্যা হবে না। এভাবে নিয়মিত প্রতিদিন কিসমিস খেলে আপনি অনেক বেশি উপকার পাবেন। যদি আপনি এর থেকে অতিরিক্ত পরিমাণে খেয়ে ফেলেন তাহলে ক্ষতি হতে পারে। তাই অবশ্যই সতর্ক থাকা ভালো। যে কোন খাবার অতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয়। এটা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কিসমিস খেলে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে, উচ্চ রক্তচাপ থাকলে কমে যাবে, হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। তাই আপনারা নিয়ম কিসমিস খেয়ে সুস্থ থাকুন।

সকালে খালি পেটে কিসমিস খাওয়ার নিয়ম

সকালে খালি পেটে কিসমিস খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে অনেকেরই জানা নাও থাকতে পারে। তাই আজকে আমি সেই বিষয়েই আলোচনা করব। কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়াটা সবচেয়ে ভালো। কিসমিস খাওয়ার সময় হচ্ছে সকালে খালি পেটে খাওয়া। এতে করে শরীরের অনেক পুষ্টি যোগাবে। প্রতিদিন নিয়ম করে যদি আপনি রাতে কিসমিস ভিজিয়ে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর খেতে পারেন তাহলে অনেক উপকার পাবেন। 

তবে আপনি চাইলে দুপুরে খাবারের আগে খেতে পারেন। তবে সকালে খাওয়ার মত উপকার পাবেন না। প্রতিদিন রাতে ২০ থেকে ৩০ টি কিসমিস পরিষ্কার পানি নিয়ে গ্লাসের মধ্যে রেখে ঢেকে দিবেন। এরপর সকালে উঠে সেই পানিসহ কিসমিস খেয়ে নেবেন। এতে করে আপনার শরীরের দ্বিগুণ পরিমাণে পুষ্টি শোষণ হবে। তাই নিয়ম করে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কিসমিস খাবেন। আশা করি অনেক ভালো ফলাফল পাবেন। সকালে খালি পেটে কিসমিস খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

দুধ কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা

দুধ হচ্ছে অনেক পুষ্টিকর খাদ্য। শরীরে বিভিন্ন পুষ্টি জোগাতে এই দুধ উপকারী। দুধে থাকে ক্যালসিয়াম ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন কে, ফসফরাস, প্রোটিন, ম্যাগনেসিয়াম, আয়োডিন, আরো ইত্যাদিসমূহ। একইভাবে কিসমিসে পাওয়া যায় আয়রন, ফাইবার, প্রোটিন, পটাশিয়াম, কপার ইত্যাদি। দুধ ও কিসমিসে অনেক ভিটামিন রয়েছে। 

বিভিন্ন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়। শরীরে যদি উচ্চ রক্তচাপ হয় তাহলে খুব সহজেই দূর করতে দুধ ও কিসমিস সাহায্য করে। সেজন্য অবশ্যই দুধ ও কিসমিস খেতে পারেন। শরীরের বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি দেয়। আপনারা হইত জানেন দুধ ও কিসমিস সেক্সের জন্য অনেক উপকার। সেক্স বৃদ্ধি করতে এই দুধ ও কিসমিস সাহায্য করে। 

শরীরের পুষ্টির ঘাটতি থাকলে খুব দ্রুত ঘাটতি পূরণ হয়ে যাই। তাই খাবারের তালিকায় দুধ ও কিসমিস রাখতে পারে। এতে করে আপনি অনেক ভালো ফলাফল পাবেন। সকালে খালি পেটে কিসমিস খাওয়ার নিয়ম ও দুধ কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

অতিরিক্ত কিসমিস খেলে কি হয়

পূর্বে আমরা জেনেছি যে সকালে খালি পেটে কিসমিস খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। আজকে আমরা জেনে নিবো যে অতিরিক্ত কিসমিস খেলে কি হয় এইটা সম্পর্কে। যদি আপনার এই গুলো সকল বিষয় জানার আগ্রহ থাকে। তাহলে এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিতে পারেন। কিসমিস অনেক সুস্বাদু একটি খাবার। এই কিসমিস আমাদের দেশের অনেক মানুষ অনেক রকম ভাবে খেয়ে থাকেন। কিছু কিছু মানুষ পায়েসের সাথে কিসমিস দিয়ে খেয়ে থাকেন। 

পোলাও বিরানি এগুলোর সাথেও দিয়ে খেয়ে থাকেন। এই কিসমিস যেকোনো ভাবেই খাওয়া যায়। ভিজিয়ে খাওয়া যায়, শুকনো খাওয়া যায়। তবে ভিজিয়ে খেলে অনেক উপকার পাবেন। কিসমিস শরীরের শক্তি যোগায় এবং হাড় মজবুত করতেও সাহায্য করে। কিসমিসে রয়েছে আয়রন, পটাশিয়াম, ফাইবার, কপার যা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। আপনার হয়তো জেনে থাকবেন যে রাতে পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে খেলে  অনেক বেশি উপকার পাওয়া যাবে। 

তবে অনেক মানুষই রয়েছে যারা খিদে পেলে কিসমিস খেতে থাকেন। কিন্তু এইটা খাওয়া ঠিক নয়। পুষ্টিবিদরা বলেছেন যে দিনে পরিমাণ মতো কিসমিস না খেলে স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতিকর হতে পারে। বিশেষ করে যারা ওজন কমাতে চাচ্ছেন তাটা ৪০ থেকে ৫০ গ্রাম কিসমিস খেতে পারেন। এতে করে কোন সমস্যা হবে না। যদি আপনি অতিরিক্ত পরিমাণে খেয়ে ফেলেন তাহলে অনেক বেশি সমস্যা দেখা দিবে। যেমনঃ

  • অতিরিক্ত পরিমাণে কিসমিস খেলে আপনার রক্তের শর্করা মাত্রা অনেক বেড়ে যেতে পারে। তাই খাওয়ার আগে অবশ্যই সতর্ক থাকবেন।    
  • অতিরিক্ত পরিমাণে কিসমিস খেলে আপনার ওজন বেড়ে যেতে পারে। কিসমিসের প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি থাকার কারণে এই সমস্যা হতে পারে। 
  • কিসমিসে রয়েছে বিভিন্ন ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট যা শরীরের ত্বকের জন্য অত্যন্ত ভালো। কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট যদি শরীরে যায় তাহলে অ্যালার্জির আশঙ্কা থাকে। 
  • এছাড়াও কাশি, গলাব্যথা এগুলো সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই পরিমাণের চেয়ে বেশি কিসমিস খাবেন না। এতে করে হিতে বিপরীত হতে পারে।
কিসমিস খেতে অনেক ডাক্তার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কিসমিস অত্যন্ত ভালো ও সুস্বাদু খাবার। কিন্তু কিসমিসে থাকা ফাইবার অতিরিক্ত শরীরে গেলে অনেক ক্ষতি হতে পারে। যা শরীরে থাকা তরল চুষে নিতে পারে। এতে করে পেটের নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। হজমের সমস্যা, ডিহাইডেশন সহ আরো ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। অতিরিক্ত কোনো খাবারে ভালো না। সেজন্য অবশ্যই পরিমাণমতো কিসমিস খেয়ে সুস্থ থাকুন।

লেখকের মন্তব্য 

প্রিয় পাঠক সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে আশা করি সকালে খালি পেটে কিসমিস খাওয়ার নিয়ম এবং রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে কি হয় সে ব্যাপারে একটি সুস্পষ্ট ধারণা দিতে সক্ষম হয়েছি। আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এই আর্টিকেলটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করলে আপনার বন্ধুরাও জানতে পারবে। তাই দেরি না করে আপনার বন্ধুদের সাথে আর্টিকেলটি শেয়ার করুন। 

এই রকম আরো আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার কোনো মতামত জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে সেটা জানিয়ে যাবেন। (ধন্যবাদ) আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪