জবা ফুলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন
জবা ফুলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আপনার যদি না জানা থাকে। তাহলে আজকের এই
আর্টিকেল থেকে জেনে নিন। আমরা সবাই জবা ফুল দেখে থাকি কিন্তু জবা ফুলের ব্যবহার
কিভাবে করে এইটা জানা নেই। যা আজকে আলোচনা করব। তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে
পড়ুন।
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন। তাহলে জবা ফুলে রোগ
নিরাময়-সৌন্দর্যচর্চা বিষয়ে সঠিক ধারণা পেয়ে যাবেন। এইগুলো সম্পর্কে আমাদের
ধারণা রাখা প্রয়োজন। তাই দেরি না করে চলুন জেনে নেয়া যাক বিষয়গুলো।
ভূমিকা
জবা ফুলের গুনাগুন অনেক বেশি। এটি আয়ুর্বেদ ওষুধ হিসেবে কাজ করে। জবা ফুলে
বিভিন্ন উপাদান রয়েছে যা মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। জবা ফুলে এমনও
কিছু গুণ রয়েছে যার ফলে শরীরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা যায়। এগুলো সকল বিষয়ে
জানতে চাইলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। এই আর্টিকেলে আলোচনা করেছি যে জবা ফুলের
উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে এবং আরো আলোচনা করেছি যে জবা ফুলের রোগ নিরাময়
সুন্দর্যচর্চা বিষয়ে। আসুন তাহলে জেনে নেয়া যাক জবা ফুলের উপকারিতা ও অপকারিতা
সম্পর্কে।
জবা ফুলের রসেই পাকা চুল হবে কালো
প্রকৃতির নিয়মে এক সময়ে আমাদের চুল পাকা হয়ে যায়। সময়ের আগেও অনেকের মাথার
চুল সাদা হয়ে যায় এইটা জেনেটিক এর কারণে বা শারীরিক সমস্যা জন্য হয়ে থাকে।
জবা ফুলে রয়েছে প্রাকৃতিক পিগমেন্ট আন্টি অক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন যা মেলানিন
উৎপাদনে সাহায্য করে থাকে। তাই এইগুলো চুলকে কালো করতে অনেক বেশি কার্যকারী হয়।
জবাফুলের তেল চুলে ব্যবহার করলে সেই চুল খুব সুন্দর ঝকঝকে থাকে এবং চুল অনেক বেশি
কালো করতেও সাহায্য করে। এছাড়াও আপনার চুলে প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবেও ব্যবহার
করা হয়।
চুলের জন্য জবা ফুলের উপকারিতা
চুলে জবা ফুলের উপকারিতা সম্পর্কে এখন আমরা বিস্তারিত জানবো। আসুন তাহলে জেনে
নিন। জবা ফুলের তেল চুলের বৃদ্ধিতে অনেক বেশি সাহায্য করে। জবা ফুলে
রয়েছে ভিটামিন সি। আর এই ভিটামিন সি ঘাটতি হলে চুল পড়া শুরু হয়ে যায়। এই
ভিটামিন সি এর ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে জবা ফুল। চুলের বৃদ্ধি বাড়াতে জবা
ফুলের অনেক বেশি কার্যকারিতা রয়েছে।
একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে জবা ফুল এবং পাতার নির্যাস হেয়ার গ্রোতে খুব
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। সেজন্য চুলে জবা ফুলের উপকারিতা অনেক বেশি। জবা
ফুল আমরা বিভিন্ন কারণে ব্যবহার করে থাকি যেমন যৌনশক্তিতে। এই জবা ফুল চুলেরও
অনেক বেশি কার্যকারিতা দিয়ে থাকে। সেজন্য মাথায় যদি তেল দিতে হয় তাহলে এই জবা
ফুলের তেল দেওয়া উচিত। এতে করে আপনার চুল খুব সুন্দর ও মসৃণ থাকবে।
চুল পড়া নিয়ন্ত্রণে জবা ফুলের ৪ ব্যবহার
নারী-পুরুষ উভয়ের একটি সাধারণ সমস্যা সেটি হচ্ছে চুল পড়া। চুল পড়া নিয়ে অনেক
মানুষ অনেক চিন্তিত হয়ে থাকেন। কিভাবে কি করবে কিছুই বুঝতে পারে না। তাই আপনাদের
সামনে আজকে আমি নিয়ে এসেছি চুল পড়া নিয়ন্ত্রণে জবা ফুলের ৪ ব্যবহার। আসুন
তাহলে জেনে নিন। চুল পড়ার কয়েকটি কারণ রয়েছে যেমন পুষ্টির ঘাটতি, হরমোনের
ভারসাম্যহীনতা, পরিবেশ দূষণ, এগুলোর কারণে চুল পড়ে যেতে পারে।
চুল পড়া কমাতে আপনি খুব সস্তায় একটি জিনিস ব্যবহার করলে অনেক উপকার পাবেন। এতে
করে আপনার চুল পড়া অনেক কমে যাবে। আর এই চুল পড়া কমাতে ব্যবহার করা হয় জবা ফুল।
আপনার বাড়ির আশেপাশেই লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন এই জবা ফুলের গাছ। প্রাচীনকাল
থেকেই চুল পড়ার রোধে এই জবা ফুল ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
এই জবা ফুলে রয়েছে ভিটামিন এবং খনিজ যা চুলের বৃদ্ধিতে অনেক বেশি কার্যকর।
মাথার ত্বকের পিএইচ পুনরায় ফিরিয়ে নিয়ে আসতে সহায়তা করে এই জবা ফুল। এটি একটি
প্রাকৃতিক উপাদান। চুল পড়া নিয়ন্ত্রণে চারটি উপায়ে এই জবা ফুলের ব্যবহার করা
যায় চলুন তাহলে জেনে নিন।
জ্বর হলে তেল ব্যবহার করুন জবা ফুলের পাউডার এবং নারকেল তেল সমানভাবে
মিশে নিন। এরপর তেলটি মাথার ত্বকে ১০ থেকে ১৫ মিনিটের জন্য মেসেজ করুন। তারপর
সারারাত রেখে দিন। পরের দিন শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন এতে করে আপনি অনেক উপকার
পাবেন।
জবা ফুলের পেস্ট তৈরি করুন জব ফুলের পেস্ট তৈরি করতে হলে আপনাকে যা
করতে হবে। কয়েক চামচ পানির সাথে এক চামচ জবা ফুলের পাউডার মিশিয়ে নিতে হবে।
তারপর এই পেস্ট আপনার মাথার ত্বকে এবং চুলে ভালোভাবে ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মত
লাগিয়ে রাখুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন এইভাবে সপ্তাহে এক থেকে দুইবার ব্যবহার করলে
অবশ্যই চুল পড়া কমাতে সাহায্য করবে।
কন্ডিশনারে জবা ফুলের ব্যবহার চুলকে শক্ত ও মজবুত করতে এবং চুল পড়া
কমাতে নিয়মিত কন্ডিশনারে এক চামচ জবা ফুলের পাউডার দিয়ে সুন্দর করে চুলে
ব্যবহার করুন। এতে করে আপনি অনেক উপকার পাবেন।
জবাফুলে শ্যাম্পু তৈরি করুন জবা ফুলের পাউডার এবং পানি দুইটাই সমান
পরিমাণে নিয়ে শ্যাম্পু তৈরি করে ফেলুন। তারপর সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন এই
শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। তাহলে চুল পড়া কমাতে সাহায্য করবে।
প্রিয় বন্ধুরা চুল পড়া নিয়ন্ত্রণের জবা ফুলের ৪ ব্যবহার আমরা উপরে আলোচনা
করেছি আপনি যদি এই নিয়ম মেনে ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনার চুল পড়া অনেক
কমে যাবে।
জবা ফুলের উপকারিতা
পূর্বে আমরা জেনেছি যে চুল পড়া নিয়ন্ত্রণে জবা ফুলের ৪ ব্যবহার আজকে
আমরা জেনে নিবো জবা ফুলের উপকারিতাগুলো সম্পর্কে। জবা ফুলে যে গুনাগুন রয়েছে
সে বিষয়গুলো নিয়ে আজকে আমাদের আলোচনা। জবা ফুলের উপকারিতা ও অপকারিতা
সম্পর্কে অনেকের জানা নেই। জবা ফুলে যে গুনাগুন রয়েছে যেমন চুল পড়া কমাতে
সাহায্য করে ও যৌন শক্তিতে এর ব্যবহার হয়ে থাকে। এগুলো সম্পর্কে একটি সঠিক
ধারণা দেয়ার চেষ্টা করব তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক জবা ফুলের উপকারিতা ও
অপকারিতা সম্পর্কে।
ত্বকের জন্য উপকারী জবা ফুল আমাদের ত্বকের জন্য বেশ উপকারী।
চুলের পাশাপাশি ত্বকের জন্য ব্যবহার করা হয় এই জবা ফুল। জবা ফুল ব্রণের
সমস্যা থাকলে দূর করে দেয়। জবা ফুল সান-ট্যান এবং ডার্ক সার্কেল থেকে মুক্তি
পেতে বিশেষ কার্যকরী হয়ে থাকে। এই জবা ফুল ত্বকের কালচে ভাব গুলো দূর করে
ফর্সা করতেও ব্যবহৃত করা হয়। ত্বকের যে বলিরেখা হয় সেগুলোও দূর করতে কাজ
করে এই জবা। জবা ফুল বোটক্স উদ্ভিদ নামে পরিচিত। কারণ এই জবা ফুল প্রাকৃতিক
বটক্স প্রভাব রয়েছে।
ত্বকের ও চুলের যত্নের পাশাপাশি এই জবা ফুলের পাতার চা স্বাস্থ্যের জন্য খুব
উপকারী। এ জবা পাতায় রয়েছে এন্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে
কাজ করে। আর ডায়াবেটিসের জন্য এটি উপকারী। জবা ফুলে রয়েছে আরও নানা
গুনাগুন। এটি ওজন কমাতে, ত্বকের বার্ধক্য দূর করতে, আয়রনের ঘাটতি দূর করতে,
কিডনির সমস্যা ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও সমাধানে এই জবার যাদুকর
গুনাগুন।
কিডনির সমস্যায় উপকারী যাদের কিডনির সমস্যা রয়েছে। তাদের জন্য
এই জবা ফুল খুব কার্যকারী। এই জবা ফুলের পাতা সেবনের ফলে কিডনি বা পিত্তথলির
পাথর গোলে বের করে নিয়ে আসতে সাহায্য করে।
ওজন কমাতে জবা ফুলের ব্যবহার জবা সেবনের ফলে অনেক ক্ষুধা
কমে যায়। ওজন কমাতে যা করবেন জবা পাতা ফুটিয়ে চা বানিয়ে খেতে পারেন এটি
আপনার শক্তি দিবে এবং ক্ষুধা লাগবে না। এটি চর্বি কমাতেও সাহায্য করে।
এটি ওজনও কমায়। হজম বৃদ্ধিতে ব্যবহার করা যেতে পারে এই জবা পাতা।
চুলের জন্য উপকারী জবা আমাদের দেশে এই চুলের সমস্যা নিয়ে অনেক
মানুষ ভুগছেন। চুল পড়ে যাওয়া নিয়ে খুব চিন্তিত হয়ে পড়েন। এই চুলের
জন্য উপকারী হচ্ছে জবা ফুল। জবা ফুল চুল কালো করতে খুবই কার্যকরী এটি
বাদামের মত খুব দ্রুত চুল লম্বা করতে সহায়ক হয়ে থাকে। এই ফুলের সাহায্যে
প্রাণহীন চুল পুষ্টি পায় এবং ক্ষতিগ্রস্ত যেগুলো চুল থেকে থাকে সেগুলো ঠিক
করতে এই জবা ফুল কাজে দেয়। চুল পড়া রোধে এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন
করে।
জবা ফুলের অপকারিতা
পূর্বে আমরা জেনেছি যে জবা ফুলের উপকারিতা সম্পর্কে। এখন আমরা জানব যে জবা
ফুলের অপকারিতা সম্পর্কে আজকে এই পোস্টে আমরা ধারণা দেয়ার চেষ্টা করব আসলে জবা
ফুলের যেসব অপকারিতা রয়েছে। জবা ফুলের অপকারিতা সম্পর্কে একটি সঠিক নির্দেশনা
দিব। এই জবা ফুলের পাতা আসলেই কি আমাদের অপকারিতার কোন বিষয় কি না সম্পূর্ণ
একটা ধারণা দিবো। । চলুন তাহলে দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক জবা ফুলের অপকারিতা
সম্পর্কে।
জবা ফুলের অপকারিতা সম্পর্কে জানতে গেলে সর্ব প্রথমে আমাদের চোখে পড়বে
সেটি হচ্ছে যাদের নিম্ন রক্তচাপ রয়েছে তাদের সেবনের মাধ্যমে অনেক বড় ধরনের
ক্ষতি হতে পারে। বিশেষ করে যাদের নিম্ন রক্তচাপ রয়েছে তাদের অতিরিক্ত পরিমাণে
জবা পাতা ব্যবহার করার কারণে মাথা ঘুরতে পারে বমি বমি ভাব হতে পারে এবং বুক
ধরফর করতে পারে।
এছাড়া আপনার ফুসফুসের অনেক বড় ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এইজন্য এই জবা
পাতা যাদের নিম্ন রক্তচাপ রয়েছে তাদের এইটা খাওয়া উচিত নয়। যাদের এলার্জির
সমস্যা রয়েছে তাদের জবা পাতা ব্যবহার করা যাবে না। এই জবা ব্যবহার করার কারণে
চামড়ার ওপরের স্থানে ক্ষতি হতে পারে। সেজন্য এটি ব্যবহার করা থেকে বিরত
থাকবেন।
প্রিয় বন্ধুরা আমরা জবা পাতার অপকারিতা সম্পর্কে যতটুক পেরেছি সঠিক ধারণা
দেয়ার চেষ্টা করেছি আশা করি বুঝতে পেরেছেন। জবা ফুলের উপকারিতা ও অপকারিতা
সম্পর্কে আমরা সম্পূর্ণ আলোচনা করেছি এগুলো পড়ে আপনি অনেক ধারণা পেয়ে যাবেন।
এইরকম আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন।
জবা ফুলে রোগ নিরাময়-সৌন্দর্যচর্চা
কিছু কিছু ফুল রয়েছে সেগুলো ফুল রোগ নিরাময় ও স্বাস্থ্যর জন্য অনেক উপকারী।
এমন একটি ফুল হচ্ছে জবা ফুল। এই ফুলের গুনাগুন অপরিসীম। বিভিন্ন রোগের
প্রতিকারক হিসেবে এই জবা ফুল ব্যবহৃত হয়। জবা ফুল চুলের যত্নে খুব বেশি কাজে
লাগে। জবা ফুল বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে যেমন গোলাপী, সাদা, লাল, হলুদ, ইত্যাদি
বর্ণের এই ফুলটি পাওয়া যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে লাল যে রয়েছে সেই ফুলটি ওষুধ
হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
আমরা পূর্বে জেনেছি যে জবা ফুলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে এখন আমরা জেনে
নিব যে জবা ফুলে রোগ নিরাময় সৌন্দর্য চর্চা এইগুলো সম্পর্কে স্বাস্থ্য ও
সৌন্দর্যের ক্ষেত্রে এই জবা ফুলের কিছু ব্যবহার জেনে নিন।
মূত্রনালী সংক্রমণ মূত্রনালী প্রতিরধে অনেক বেশি কাজ করে এই জবা
ফুল। জবা ফুল জীবাণুনাশক ও ছত্রাকনাশক উপাদানগুলোর কেন্ডিডা
অ্যাল্বিকান্সের বিরুদ্ধে কাজ করে। জবা ফুলে যে পুষ্টিগুণ রয়েছে এটি
মূত্রনালীর যে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া রয়েছে সেটা দূরতাকরতে সাহায্য করে। এই জবা
ফুলের কার্যকারিতা সম্পর্কে জানলে আপনি চমকে যাবেন। আসুন নিচে আরো জেনে নিন।
ফেসপ্যাক হিসেবে লাল জবা যেটা রয়েছে সেটা আয়ুর্বেদ ওষুধ হিসেবে
কাজ করা হয়। সেই জবার পাপড়ি শুকিয়ে গুড়ো করে প্রতিদিন পানি অথবা দুধ
অন্যান্য ফলের রসের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করে মুখ পরিষ্কার করুন। তাহলে এতে করে
মুখের উজ্জ্বলতা অনেক বৃদ্ধি পায় এবং বলিরেখার আবির্ভাব থেকেও মুক্তি পাওয়া
যায়।
ব্যথা কমায় এই জবা ফুল শরীরের বিভিন্ন অংশের যে ব্যাথা গুলো হয়
সেগুলো খুব নিমিষেই ধুর করে দিতে পারে। এই জবা ফুলের পাপড়ি নিয়ে পানিতে দিয়ে
পাঁচ মিনিট ফুটানোর পর ঠান্ডা হতে দিন। তারপর এটি পান করুন ২১ দিন পর্যন্ত এই
পানিটি পান করলে আপনার শরীরে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ব্যথা কমিয়ে দিতে সাহায্য করবে।
জ্বর নিয়ন্ত্রণে জবাফুল জ্বর নিয়ন্ত্রণে খুব ভালো উপকারী একটি
ঔষধ। জবা ফুলের পাতা গরম পানিতে সিদ্ধ করে সেই পানি আপনি যদি চা করে খেতে
পারেন। তাহলে আপনার শরীরের জ্বর খুব তাড়াতাড়ি চলে যাবে। জবার প্রদাহ রোধী
উপাদান মিউকাস পর্দা প্রদাহ কমাতে খুব বেশি সাহায্য করে।
চুল পড়ে যাওয়া কমায় আমাদের দেশে অনেক মানুষ রয়েছে যাদের চুল
পড়ে যাওয়া নিয়ে অনেক চিন্তিত হয়ে থাকে। প্রাচীনকাল থেকে এই জবা ফুলের
পাপড়ি ব্যবহার করে আসছে। চুলের জন্য জবা ফুলের তেল চুলের গোড়া শক্ত করে। কারণ
এই ফুলটিতে রয়েছে ভিটামিন সি ও ক্যালসিয়াম। এই তেল আস্তে আস্তে মাথার তালুতে
মালিশ করার ফলে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায় এবং মাথার ত্বকের যে পুষ্টি উপাদান
রয়েছে সেটা এই জবা ফুলের মাধ্যমে পাওয়া যায়।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে আশা করি জবা ফুলের উপকারিতা ও অপকারিতা
এবং জবা ফুলে রোগ নিরাময়-সৌন্দর্যচর্চা সে ব্যাপারে একটি সুস্পষ্ট ধারণা
দিতে সক্ষম হয়েছি। আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে
অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এই আর্টিকেলটি বন্ধুদের সাথে
শেয়ার করলে আপনার বন্ধুরাও জানতে পারবে। তাই দেরি না করে আপনার বন্ধুদের
সাথে আর্টিকেলটি শেয়ার করুন।
এই রকম আরো আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। এই
আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার কোনো মতামত জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট
করে সেটা জানিয়ে যাবেন। (ধন্যবাদ) আসসালামু আলাইকুম।
এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url