ইলিশ মাছের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

ইলিশ মাছের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আপনার যদি না জানা থাকে। তাহলে আজকের এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিন। আমরা ইলিশ মাছ খেয়ে থাকি এবং দেখে থাকি। কিন্তু এই মাছের উপকারিতা কি কি সেটা সম্পর্কে আমাদের ধারণা নেই। সেজন্য আমি আজকে একটি সঠিক ধারণা দেয়ার চেষ্টা করবো। তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
ইলিশ মাছের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন। তাহলে প্রতিদিন ইলিশ মাছে কি ভিটামিন আছে, ইলিশ মাছের উপকারিতা ও অপকারিতা, ইলিশ মাছে কি কোলেস্টেরল আছে, ইলিশ মাছের অপকারিতা, ইলিশ মাছের বৈশিষ্ট্য, ইলিশ মাছ চেনার উপায়, এই সকল বিষয়ে সঠিক ধারণা পেয়ে যাবেন।

ভূমিকা

আমাদের দেশে এই ইলিশ মাছ অনেক মানুষ খেয়ে থাকেন। বিশেষ করে এই মাছ আমাদের বাংলাদেশের জাতীয় মাছ হিসেবে পরিচিত। এই ইলিশ মাছ যেমন সুস্বাদু ঠিক তেমনি পুষ্টিগুণে ভরপুর কিন্তু অনেক মানুষ রয়েছে যারা ইলিশ মাছের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানেন না। তাই আজকের এই আর্টিকেলে এই সম্পর্কে সঠিক ভাবে জানানোর চেষ্টা করব। আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে পড়ুন। তাহলে সমস্ত বিষয়গুলো খুব ভালোভাবে জানতে ও বুঝতে পারবেন।

ইলিশ মাছ চেনার উপায়

অনেক মানুষ ইলিশ মাছ খেয়ে থাকেন এবং দেখে থাকেন কিন্তু এই ইলিশ মাছ কয়জনেই চেনেন। তাই আজকে আমি এই আর্টিকেলে ইলিশ মাছ চেনার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। যদি আপনার জানার আগ্রহ থাকে। তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে পড়ুন। তাহলে সমস্ত বিষয়গুলো খুব ভালোভাবে জানতে ও বুঝতে পারবেন। চলুন তাহলে আর দেরি না করে ইলিশ মাছ চেনার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।

বাজারে ইলিশ মাছের মত আরও অন্যান্য মাছ রয়েছে। বিশেষ করে সামুদ্রিক সার্ডিন বা চন্দনা এই মাছ দেখতে একদম ইলিশ মাছের মত। তবে এর স্বাদ ইলিশ মাছের মত নয়। যদি আপনি ইলিশ মাছ খেয়ে থাকেন তাহলে বুঝতে পারবেন ইলিশ মাছের স্বাদ। তবে ইলিশের গন্ধ টাই প্রধান বৈশিষ্ট্য বলে মনে করা হয়। যা অন্য কোন মাছের মধ্যে নেই। আপনি লক্ষ্য করলে দেখবেন যে সার্ডিন বা চন্দনা ইলিশের চেয়ে আসল ইলিশ মাছ আকারে অনেকটা বড় হয়ে থাকে। 

চন্দনা মাছ ইলিশের থেকে কম লম্বা হয়ে থাকে। কিন্তু অন্যদিকে এই ইলিশ মাছ চন্দনা মাছের থেকে অনেক লম্বা হয়ে থাকে। তাহলে অবশ্যই আপনি বুঝতেই পারছেন যে ইলিশ মাছ আর চন্দনা মাছের মধ্যে তফাৎ কোথায়। আপনি আরো লক্ষ্য করলে দেখবেন যে ইলিশ মাছের মাথার আকৃতি অন্যান্য মাছের চেয়ে লম্বাটে হয়ে থাকে। এছাড়াও এই ইলিশ মাছের পিঠ এবং পেট উভয় অংশ সমানভাবে বাঁকানো হয়ে থাকে।   

আপনি যদি ইলিশ মাছ নাকের কাছে নেন তাহলে বুঝতে পারবেন এর গন্ধটা কেমন। অন্যান্য মাছের চেয়ে এর গন্ধ আঁশঠে হয়ে থাকে তাই এটি খুব সহজেই চেনা যায়। আসল ইলিশ মাছের যে পাখনা রয়েছে সেটা অনেকটা সাদাটে ঝলমলে রঙের হয়ে থাকে। তাই খুব সহজেই আপনি ইলিশ মাছ চিনতে পারবেন কোন রকম সমস্যা হবে না। আসল ইলিশ মাছ যত বড় হবে তত এর স্বাদ অনেক বেশি পাওয়া যাবে। যদি আপনি ইলিশ মাছ ডিম ছাড়া কিনতে পারেন তাহলে এর স্বাদ আরও বেশি পাবেন।

ইলিশ মাছের রং অন্যান্য মাছের চেয়ে আলাদা হয়ে থাকে অর্থাৎ ইলিশ মাছের রং ফ্যাকাসে হয়ে থাকে। টাটকা ইলিশ সবসময় শক্ত হয়ে থাকে। আর টাটকা ইলিশ যদি আপনি হাত দিয়ে উঁচু করে ধরেন তাহলে এর আকারের কোন পরিবর্তন হবে না। আর যদি আপনি বাসি ইলিশ পেটের কাছে ধরেন। তাহলে সেই ইলিশের মাথা ও লেজ নিচের দিকে হেলে পড়ে যাবে। এতে করে আপনি বুঝতে পারবেন কোনটা ভালো ইলিশ কোনটা খারাপ ইলিশ। 

টাটকা ইলিশের কান টকটকে লাল রঙের হয়ে থাকে। আর যদি হিমায়িত বাসি ইলিশ হয়ে থাকে তাহলে এর কান হবে বাদামে বা কালচে রঙের। এছাড়াও টাটকা ইলিশের চোখ অনেক সুন্দর ও স্বচ্ছ থাকে। এছাড়াও নদীর ইলিশের রং সাগরের ইলিশের থেকে অনেক বেশি চকচকে দেখায়। আর মাঝ বরাবর ইলিশের গায়ে একটি হালকা লাল রঙের দাগ থাকে। তাই অবশ্যই আপনি কেনার সময় দেখে শুনে কিনবেন।

নদীর ইলিশ মাছ অনেক ঘাড় মোটা, গোলাকার, বেটে, এরকম হয়ে থাকে। আর সাগরের ইলিশ অনেক লম্বা হয়ে থাকে এবং পিঠের দিকে কালচে রঙের মতো দেখা যায়। তাহলে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন যে ইলিশ মাছ চিনবেন কিভাবে। আশা করি ইলিশ মাছ চেনার উপায় সম্পর্কে আপনি একটি সঠিক ধারণা পেয়েছেন।

ইলিশ মাছের বৈশিষ্ট্য

আজ দেশে অনেক মানুষ এই ইলিশ মাছ পছন্দ করেন এছাড়াও আমাদের বাংলাদেশী এ মাছটি জাতীয় মাছ তবে অনেকেই রয়েছে এই মাছ খেয়ে থাকেন কিন্তু এর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে তেমন একটা ধারণা রাখেনা ইলিশ মাছের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আসুন তাহলে ইলিশ মাছের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আপনি জেনে নিন।

ইলিশ মাছের যে দেহ রয়েছে সেটা বেশ চ্যাপ্টার মতো দেখা যায় এবং পুরু হয়ে থাকে। যদি একটু লক্ষ্য করেন তাহলে ইলিশ মাছের মাথার উপরিতল দেখবেন যে অনেকটা পুরু এবং আজ দেশে অনেক মানুষ এই ইলিশ মাছ পছন্দ করেন এছাড়াও আমাদের বাংলাদেশী এ মাছটি জাতীয় মাছ তবে অনেকেই রয়েছে এই মাছ খেয়ে থাকেন কিন্তু এর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে তেমন একটা ধারণা রাখেনা ইলিশ মাছের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আসুন তাহলে ইলিশ মাছের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আপনি জেনে নিন।

  • ইলিশ মাছের যে দেহ রয়েছে সেটা বেশ চ্যাপ্টা ও পড়ুক হয়ে থাকে।
  • যদি একটু লক্ষ্য করেন তাহলে ইলিশ মাছের মাথার ওপরে তল দেখবেন যে পুরু এবং  ত্বকে ঢাকা।
  • এছাড়াও ইলিশ মাছের শরীর মাঝারি আকারের আঁশে আবৃত হয়ে থাকে এবং এর রং ফ্যাকাশে হয়ে থাকে। 
  • ইলিশ মাছ মাঝারি আকারের হয়ে থাকে। আর যদি আপনি বড় আকারের ইলিশ দেখেন তাহলে এর ওজন দুই থেকে তিন কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। 
  • ইলিশ মাছের মধ্যে যেটা স্ত্রী মাছ রয়েছে সেটা খুব দ্রুত বড় হয় উঠে। এটা পুরুষ মাছের থেকে অনেক বড় হয়ে থাকে। আশা করি ইলিশ মাছের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। 

ইলিশ মাছের উপকারিতা ও অপকারিতা

আমাদের বাংলাদেশে এই ইলিশ মাছ একটি জাতীয় মাছ। এছাড়াও এই ইলিশ মাছ অনেকেই খেতে পছন্দ করেন। কেননা এই মাছটি হচ্ছে সামুদ্রিক মাছ। অন্যদিকে এটি অনেক সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণে ভরপুর। অনেকেই রয়েছে যারা মাছ খেতে অপছন্দ করেন। কিন্তু তারাও কোন না কোন সময় ইলিশ মাছ খেয়ে থাকেন। আজকের এই আর্টিকেলে ইলিশ মাছের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। অনেকে রয়েছে এই মাছ শুধু খেয়ে থাকে কিন্তু এর যে উপকারিতা রয়েছে সেটা সম্পর্কে তেমন একটা ধারণা রাখে না। তাই আজকের এই আর্টিকেলে সঠিক একটি ধারণার চেষ্টা করব। চলুন তাহলে আর দেরি না করে ইলিশ মাছের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।  

আমাদের দেশে বেশিরভাগ মানুষ মাছ অনেক বেশি পছন্দ করেন। তবে কেউ কেউ ইলিশ মাছের দাম বেশি হওয়ার কারণে খেতে পারেন না। তবে আমাদের বাঙালির একটি কথা রয়েছে সেটি হচ্ছে আমরা মাছের ভাতে বাঙালি। মাছের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে রয়েছে এই ইলিশ মাছ। ১০০ গ্রাম ইলিশ মাছের মধ্যে রয়েছে ২২ গ্রাম প্রোটিন। এছাড়াও এর সাথে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড রয়েছে যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। 

এই ইলিশ মাছের মধ্যে রয়েছে খনিজ লবণ এছাড়াও এই ইলিশ মাছের মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ও ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড। এই ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি আমাদের রক্ত সঞ্চালন অনেকটা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ঠিক সেই জন্যেই রক্তচাপ খুব স্বাভাবিক ভাবে থাকে। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিডের কারণে আমাদের চুল ও ত্বক বেশ ভালো থাকে। 

এই মাছের মধ্যে রয়েছে আয়োডিন যা আমাদের গলগন্ড রোগ থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। এছাড়াও এই ইলিশ মাছের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ডি। যা অন্যান্য খাবারের মধ্যে অনেকটা কম পাওয়া যায়। তবে এই ইলিশের মধ্যে ভিটামিন ডি আমরা খুব সহজেই পেয়ে যায়।  এই ইলিশ মাছের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ যা আমাদের চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে বেশ ভালো সহায়তা করে। অনেক মানুষ রয়েছে যাদের রাতকানা রোগ রয়েছে। 

কিন্তু যদি আপনি ইলিশ মাছ খেতে পারেন তাহলে রাতকানা রোগ থেকে খুব সহজেই মুক্তি পেয়ে যাবেন। এই ইলিশ মাছের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন উপকারিতা যা আমাদের শরীরে বিভিন্ন ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে। তাই নিঃসন্দেহে বলা যায় যে এই ইলিশ মাছ আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এই ইলিশ মাছের উপকারিতা ও অপকারিতা অনেকেই জানেন না। তাই আজকে সঠিক ভাবে বয়লার চেষ্টা করেছি। 

ইলিশ মাছের অপকারিতা 

ইলিশ মাছের উপকারিতার পাশাপাশি অপকারিতা ও রয়েছে। কিছু কিছু মানুষের এলার্জির সমস্যা থাকতে পারে। যাদের এলার্জির সমস্যা রয়েছে তারা এই মাছ খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। তবে যাদের অ্যালার্জি সমস্যা নেই, গ্যাস হয় না তারা এই মাছ খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন। এই মাছ স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। তাই প্রতিদিন চেষ্টা করবেন যে খাদ্য তালিকায় এই ইলিশ মাছটি রাখার। আশা করি ইলিশ মাছের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আপনি একটি সঠিক ধারণা পেয়েছেন।   

ইলিশ মাছে কি কোলেস্টেরল আছে 

পূর্বে আমরা জেনেছি যে ইলিশ মাছের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। এখন আমরা জেনে নিবো ইলিশ মাছে কি কোলেস্টরেল আছে এটা সম্পর্কে। অনেকেই ইলিশ মাছ খেয়ে থাকেন। কিন্তু এর মধ্যে কোলেস্টেরল রয়েছে কিনা সেটা সম্পর্কে জানেন না। তাই আজকে এই আর্টিকেলে ইলিশ মাছে কি কোলেস্টেরল আছে এটা নিয়ে আলোচনা করব। যদি আপনার এই বিষয়ে জানার প্রয়োজন হয়। তাহলে এই আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে বুঝতে পারবেন। চলুন তাহলে আর দেরি না করে জেনে নিন।    

এই ইলিশ মাছ খেতে অনেক সুস্বাদু এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর। এই ইলিশ মাছের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কোলেস্টেরল। তাই যাদের কোলেস্টেরলের মতো সমস্যা রয়েছে তারা এই মাছটি একটু কম করে খাওয়ার চেষ্টা করবেন। যদি আপনি বেশি পরিমাণে ইলিশ মাছ খান তাহলে আপনার কোলেস্টেরল মত সমস্যা বেড়ে যাবে। তাই বেশি লোভ না করে কম খাওয়ার চেষ্টা করবেন। যারা কোলেস্টেরলের মত সমস্যায় ভুগছেন তারা মাসে ১০০ গ্রাম ইলিশ খেলেই যথেষ্ট। এতে করে আপনি সুস্থ থাকতে পারবেন। তেমন কোনো সমস্যা হবে না। 

অন্যদিকে যাদের ব্লাড প্রেসার অনেক বেশি রয়েছে তারা এই মাছ বেশি খাবেন না। যদি খান তাহলে মাসের মধ্যে ১ কেজি নিচে  ইলিশ মাছ খাওয়ার চেষ্টা করবেন। যদি বেশি খান তাহলে ব্লাড প্রেসার বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই অবশ্যই আগে থেকেই সাবধান হওয়া ভালো। আশা করি ইলিশ মাছে কি কোলেস্টেরল আছে অবশ্যই আপনি জানতে পেরেছেন।   

ইলিশ মাছ কোন রোগ প্রতিরোধ করে

অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন যে ইলিশ মাছ কোন রোগ প্রতিরোধ করে। এক কথাই বলা যায় যে এই ইলিশ মাছ বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এই ইলিশ মাছে রয়েছে বিভিন্ন পুষ্টিগুণ যা বিভিন্ন রোগের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে। ইলিশ মাছে পাওয়া যায় ভিটামিন এ যা রাতকানা রোগ থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। এছাড়াও এই ইলিশ মাছের রয়েছে ভিটামিন ডি যা শিশুদের রিকেট রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। 

এই ইলিশ মাছের মধ্যে পাওয়া যায় ওমেগা থ্রি যা রক্ত সঞ্চালন করতে বিশেষভাবে ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও এই ইলিশ মাছ মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। বিশেষ করে যাদের ক্যালসিয়ামের ঘাটতি রয়েছে এই মাছটি খাওয়ার ফলে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ হয়ে যায়। এই ইলিশ মাছ রক্তচাপ কমিয়ে নিয়ে আসতে সাহায্য করে। এই ইলিশ মাছের মধ্যে থাকা আয়োডিন থাইরয়েড গ্ল্যান্ডকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে। 

এর পাশাপাশি বিভিন্ন এনজাইম নির্গত হতে বেশ ভালো সাহায্য করে। এছাড়াও এটি ক্যান্সার প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করে। তাই নিঃসন্দেহে বলা যায় এই ইলিশ মাছ খাওয়ার ফলে আপনার বিভিন্ন রোগের সমস্যা খুব দ্রুত দূর হয়ে যাবে। তাই খাবারের তালিকায় ইলিশ মাছটি রাখতে পারেন। এতে করে শরীরের বেড় ভালো উপকার পাবেন। আশা করি ইলিশ মাছ কোন রোগ প্রতিরোধ করে সেটা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। 

ইলিশ মাছে কি ভিটামিন আছে 

অনেকেই ইলিশ মাছ খেয়ে থাকেন এবং দেখে থাকেন। কিন্তু এই ইলিশ মাছে কি ভিটামিন আছে এটা কি জানেন? অনেকেই হয়তো জানেন না। তাই আজকের এই আর্টিকেলে ইলিশ মাছে কি ভিটামিন আছে এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। যদি আপনার জানা না থাকে তাহলে আর্টিকেল থেকে জেনে নিতে পারেন। চলুন তাহলে আর দেরি না করে ইলিশ মাছের কি ভিটামিন আছে জেনে নিন।

এই ইলিশ মাছে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি-১২ এবং ভিটামিন ডি। এই সমস্ত ভিটামিন মুখের ঘা সরানো থেকে শুরু করে শরীরের বিভিন্ন স্বাস্থ্য খেয়াল রাখতে বেশ ভালো সাহায্য করে। এছাড়াও এই ইলিশ মাছে রয়েছে আয়রন, ক্যালসিয়াম, সেলিনিয়াম যা হাড়ের জোর বাড়ানোর জন্য বেশ ভালো সাহায্য করে। এছাড়াও এই মাছে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি যা হার্ট ও ব্রেনের স্বাস্থ্য রক্ষা করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তাই নিঃসন্দেহে এই মাছটি আপনি খেতে পারেন। এতে করে আপনার শরীরে বেশ ভালো উপকার পাবেন। আশা করি ইলিশ মাছে কি ভিটামিন আছে আপনি সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন। 

লেখকের মন্তব্য 

প্রিয় পাঠক সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে আশা করি ইলিশ মাছের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং ইলিশ মাছে কি কোলেস্টেরল আছে এই সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট ধারণা দিতে সক্ষম হয়েছি। আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এই আর্টিকেলটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করলে আপনার বন্ধুরাও জানতে পারবে। তাই দেরি না করে আপনার বন্ধুদের সাথে আর্টিকেলটি শেয়ার করুন।   

এই রকম আরো আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার কোনো মতামত জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে সেটা জানিয়ে যাবেন। (ধন্যবাদ) আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪