দাঁতে পোকা দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

দাঁতে পোকা দূর করার উপায় সম্পর্কে আপনার যদি জানা না থাকে। তাহলে আজকের এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিন। অনেকেই দাঁতে পোকা দূর করার কি করবে বুঝে উঠতে পারে না। তবে কিছু উপায় রয়েছে সেটা জানলে দাঁতে পোকা দূর হয়ে যাবে। তাই আজকে আমি সেই সম্পর্কে একটি সঠিক ধারণা দেয়ার চেষ্টা করবো। তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
দাঁতে পোকা দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন। তাহলে দাঁতে পোকা কেন হয়, দাঁতের পোকা বের করার পদ্ধতি, দাঁতের পোকা বের করার দোয়া, দাঁতে পোকা দূর করার উপায়, দাঁতের পোকা দেখতে কেমন, দাঁতের পোকা বের করার গাছ, এই সকল বিষয়ে সঠিক ধারণা পেয়ে যাবেন।

ভূমিকা

আমাদের দেশে অনেক মানুষের এই দাঁতের সমস্যা রয়েছে। এই সমস্যা নিয়ে অনেকেই অনেক ওষুধ খেয়ে থাকে। তবে কিছু দিন পর আবার আগের মতো হয়ে যায়। তাই আজকে আমি কিছু উপায় বলবো। যা সঠিকভাবে পালন করলে আপনার দাঁত অনেক ভালো থাকবে। এই দাঁতের ব্যথার কারণে ঠিকমতো খেতে পারে না। বিভিন্ন খাবার খেতে গেলে দাঁতে প্রচন্ড ব্যথা অনুভব করে। তাই আজকে আমি এই আর্টিকেলে দাঁতের পোকা দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। যদি আপনার এই সমস্যা হয়ে থাকে। তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে পড়বেন। তাহলে আপনি সমস্ত বিষয় খুব ভালোভাবে জানতে ও বুঝতে পারবেন। চলুন তাহলে আর দেরি না করে দাঁতের পোকা দূর করার উপায় সম্পর্কে জেনে নিন।

দাঁতের পোকা বের করার গাছ

আমাদের অনেকেরই দাঁতের ব্যাথা হয়ে থাকে। তবে এই দাঁতের ব্যথা কতটা যে যন্ত্রণাদায়ক সেটা একজন ভুক্তভোগীরাই বুঝে। এই দাঁত ভালো রাখতে আমাদের অবশ্যই কিছু উপায় জানতে হবে। যাতে করে দাঁত খুব সুন্দর থাকে। তাই আজকে আমি এই আর্টিকেলে দাঁতের পোকা বের করার গাছ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব চলুন। যদি আপনার এইটা সম্পর্কে ধারণা না থাকে তাহলে এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিতে পারেন। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক। 

অনেক সময় দেখা যায় রাস্তার ধারে এই গাছের দেখা মেলে। এই গাছটি যত্ন ছাড়াই বেড়ে ওঠে। এই গাছটির রং দেখতে বেগুনি কালার। এই গাছের ফুল পাতা সবই ওষুধের জন্য খুব ভালো ব্যবহার করা হয়। আমরা অনেকেই জানিনা যে এই বাড়ির পাশে পড়ে থাকা এই গাছের উপকার কত। এই আকন্দ ফুলের গাছ অনেক বেশি উপকারী। এটির পাতা হয়ে থাকে কাঁঠাল পাতার মতো বড় বড় আকারের তারই মাঝে ফুটে থাকে সুন্দর ফুল। এই আকুন্দ গাছের কিছু উপকারিতা রয়েছে চলুন এবার সেগুলো জেনে নিন।

  • যদি কারো পা মচকে যায় অথবা শরীরের চোটজনিত কোন ব্যথায় ভুগে। তারা এই আকন্দ পাতা দিয়ে হালকা কুসুম গরম সেঁক দিলে ব্যথা অনেকটা উপশম হয়।
  • যাদের প্রচন্ড দাঁতে ব্যথা রয়েছে সে ব্যথা কমাতে আকন্দের কষ খুবই কার্যকরী। একটি তুলোয় ভিজিয়ে নিয়ে দাঁতের গোড়ায় ভালো করে লাগিয়ে রাখলে ব্যথা অনেকটা কমে যায়।
  • যারা খোস পাসরা রোগ নিয়ে ভুগছেন। তারা খুব নিমিষেই এটি দূর করতে পারবেন। তার জন্য আপনাকে আকন্দের আঠার সঙ্গে হালকা একটু সরিষার তেল মিশিয়ে কুসুম গরম করে, তার সঙ্গে একটু কাঁচা হলুদের রস মিশিয়ে যদি লাগাতে পারেন। তাহলে অনেক উপকার পাবেন।
  • আকন্দ গাছের যে মূল গুড়ো রয়েছে সেটি খেলে খিদে অনেক বৃদ্ধি পায়। তবে এটি দুই গ্রামের বেশি একদমই খাওয়া যাবে না।
  • শরীরের কোন জায়গায় যদি দূষিত ক্ষত হয়ে থাকে। তাহলে সেইখানে আকন্দ পাতা সিদ্ধ করা পানি দিয়ে ধুয়ে দিলে সেই ক্ষতিকর দূষিত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
  • এছাড়াও যাদের পোকামাকড় কামড়ানোর পর বেশি জ্বালা করে। সে জ্বালা কমাতে এই আকন্দ পাতা ব্যবহার করা হয়। তাই নিশ্চয়ই বুঝতেই পারছেন যে আকন্দ গাছের কত গুণ। আশা করি দাঁতের পোকা বের করার গাছ সম্পর্কে আপনি একটি সঠিক ধারণা পেয়েছেন। 

দাঁতের পোকা দেখতে কেমন

আমাদের দেশে এই দাঁতের সমস্যা নিয়ে অনেক মানুষ রয়েছে। যারা বিভিন্ন চিকিৎসা ফলে সমাধান করে থাকে। তবে এই দাঁতের ক্ষয় বা গর্ত হওয়াকেই অনেকেই বলে থাকে দাঁতের পোকা। তবে বিজ্ঞানীরা অনেক চেষ্টা করার পরও দাঁতের পোকার অস্তিত্ব খুঁজে পায়নি। তাহলে অবশ্যই বুঝতেই পারছেন যে মানুষের কথার উপর ভিত্তি করে থাকলে হবে না। সাধারণত চিনি বা মিষ্টি জাতীয় কোন খাদ্য আমাদের মুখের ভেতরে এক ধরনের জীবাণু সঙ্গে এসিড তৈরি হয়। 

আর এই এসিড এনামেল ক্ষয় করে এবং পরে দাঁতের ভেতরে গর্তের সৃষ্টি দেখা যায়। এই রোগটির নাম হচ্ছে ডেন্টাল ক্যারিজ। শত শত জীবনযুক্ত দাঁত শিশুদের রয়েছে তাদের দাঁত ওঠার পর দাঁত ক্ষয় হয়। এই সময় ঘন ঘন জ্বর হয়, প্রচন্ড পরিমাণে দাঁতের ব্যথা, টনসিল প্রদাহ ইত্যাদি হয়ে থাকে। এই দাঁতে পোকা হইলে সত্যিই খুব কষ্টকর হয়ে পড়ে। শিশুদের এই সমস্যা নিয়ে অনেকেই অনেক ডাক্তারের কাছে যে ঠিক করে নেই।  

শক্ত ব্রাশ দিয়ে জোরে জোরে দাঁত ঘষলে দাঁতের দন্তমল পরিষ্কার হয় না। সঠিক যে পদ্ধতি রয়েছে সেই পদ্ধতিতে ব্রাশ করলে দাঁতের দন্তমল পরিষ্কার হয়। মাড়ি ব্রাশ করার কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে অর্থাৎ দাঁত ও মাড়ির ওপর নিচে চারিপাশে সঠিকভাবে নিয়মিত দুই বেলা দাঁত পরিষ্কার করে নিতে হবে। খেয়াল করতে হবে মুখের ভেতরে কোন রকম খাদ্যদ্রব্য যেন মাড়ির ফাঁকে লেগে না থাকে। দাঁতের পোকা দেখতে কেমন হয় অনেকের মনেই প্রশ্ন আসে। 

তবে দাঁতের ভিতরে কোনো রকম পোকা হয় না। এটি ভিতরে হালকা একটু কালচে হয়ে থাকে। শিশুরা যদি দাঁত মাজার সময় ওপর নিচে না করে ব্রাশ করতে থাকে তাহলে বাড়ির ভেতর করা খাদ্য বের হবে না। এতে করে বহুদিন জমে থাকার ফলে সামান্য আঘাতেই মাটি দিয়ে রক্ত বের হতে পারে। তাই কিছু বোঝার আগে অবশ্যই এটি সমাধান করতে হবে। প্রচুর পরিমাণে ব্যথা হলে শিশুরা কান্না শুরু করে দেয়। 

যে সকল শিশুরা ফিডার খেয়ে থাকে বা ঘুমের মধ্যেও ফিডার মুখে দিয়ে থাকে তাদের দাঁত ক্ষয় হয় বেশি। তাই বুঝতেই পারছেন যে ব্রাশ না করলে আপনার দাঁতের কেমন ক্ষতি হতে পারে। তবে সঠিক পদ্ধতিতে সঠিকভাবে ব্রাশ করলে আপনার কোন রকম সমস্যা হবে না। তাই নিয়মিত ২ বেলা ব্রাশ করবেন। এতে করে আপনার দাঁত অনেক সুন্দর থাকবে। আশা করি দাঁতের পোকা দেখতে কেমন এই সম্পর্কে একটি সঠিক ধারণা দিতে সক্ষম হয়েছি।

দাঁতে পোকা দূর করার উপায়

অনেক মানুষ ভেবে থাকে দাঁতে পোকা হয়ে থাকে। কিন্তু আসলে কি দাঁতে পোকা হয়? এইটা যারা ভেবে থাকেন তারা ভুল ভেবে থাকেন। কারণ দাঁতে কোনো ধরণের পোকা হয় না। দাঁতে এনামেল হয়ে থাকে। অর্থাৎ দাঁতের ওপরের শক্ত আবরণ ক্ষয় করে থাকে। সাধারণত কোন মিষ্টি জাতীয় খাবার, চুইংগাম, চকলেট, চিনিযুক্ত খাবার ইত্যাদি এগুলো খাওয়ার ফলে এই সমস্যাটা হয়ে থাকে। এগুলো খাওয়ার ফলে মুখে এক ধরনের এসিড তৈরি হয়। যা ধীরে ধীরে দাঁতের ক্ষয় করতে থাকে। 

যে সকল মানুষ এসব খাবার খেয়ে থাকে তাদের দাঁতের বেশি সমস্যা হয়ে থাকে। তবে এই সমস্যা দূর করতে আপনাকে অবশ্যই নিয়মিত ব্রাশ করতে হবে। প্রতিদিন আপনি ঘুম থেকে ওঠার পর এবং রাতে ঘুমানোর আগে ব্রাশ করে ঘুমাতে পারলে আপনার দাঁতের কোন সমস্যা হবে না। বিশেষ করে এই দাঁতের সমস্যা শিশুদের বেশি হয়ে থাকে। তারা ছোটকালে ক্যান্ডি, চকলেট এগুলো বেশি খাওয়ার ফলে দাঁতে প্রচন্ড ব্যথা হয়। কারণ তারা ছোটকালে এগুলোই অনেক বেশি  পছন্দ করেন। 

তবে বাচ্চাদের ক্যান্ডি, চকলেট, এইগুলো খাওয়ানো থেকে বিরত থাকবেন। অনেকেই রয়েছে দাঁতের পোকা দূর করার উপায় সম্পর্কে জানেনা। অনেক ছোট বাচ্চার এই সমস্যা হয়ে থাকে আবার বড়দেরও এই সমস্যা হয়। তবে এটি দেখা মাত্রই আপনাকে খুব দ্রুত ফিলিং করে নিতে হবে। কারণ এটি অনেক বেশি হয়ে গেলে দাঁতের সমস্যা আরো বেশি বৃদ্ধ হতে পারে। এছাড়াও যাদের দাঁতের সমস্যা নেই তারা এখন থেকেই সাবধান হয়ে যান। 

এখন থেকে নিয়মিত ব্রাশ করার চেষ্টা করুন। এতে করে কোন সমস্যা হবে না। অনেক শিশু রয়েছে তারা ব্রাশ করতে চায় না। না চাইলেও জর করে হলেও করে দিবেন। তাহলে পড়ে দাঁতের সমস্যা নিয়ে ভুগতে হবে না। অনেক ছোট বাচ্চারা দাঁতের ব্যথায় সারারাত কান্না করে। এই দাঁতের ব্যথা খুব যন্ত্রণাদায়ক একটি ব্যথা। এই ব্যথা যাদের হয়ে থাকে একমাত্র তারাই বুঝতে পারে যে কতটা কষ্টদায়ক। তাই যত দ্রুত সম্ভব এটি থেকে মুক্তি পেতে চাইলে প্রতিদিন দুই বেলা করে দাঁত ব্রাশ করবেন।
 
এতে করে দাঁতের সমস্যা থেকে খুব দ্রুত মুক্তি পাবেন। এছাড়াও যারা মিষ্টি জাতীয় জিনিস, চকলেট, ক্যান্ডি, চুইংগাম এগুলো খাওয়া থেকে অবশ্যই বিরত থাকবেন। তবে দাঁত ভালো রাখতে আপনাকে ব্রাশ করার পাশাপাশি কি পেস্ট দিয়ে দাঁত ব্রাশ করছেন সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। তবে অবশ্যই যেকোনো ব্র্যান্ডের পেস্ট ব্যবহার করতে করবেন। এছাড়াও যে ব্রাশ দিয়ে দাঁত ব্রাশ করবেন সেটা অবশ্যই ভালো ব্রাশ হতে হবে। এতে করে আপনার দাঁত অনেক সুস্থ থাকবে। 

মেডিকেলের ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী মেডি প্লাস- ডিএস (Medi Plus- DS) এই পেস্টটি দাঁতের সুরক্ষার জন্য ব্যবহার করতে বলা হয়। যদি আপনার দাঁত ভালো রাখতে চান তাহলে মেডি প্লাস- ডিএস (Medi Plus- DS) এই পেস্ট ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে আপনার দাঁত ব্যাকটেরিয়া, থেকে অনেক সুরক্ষিত থাকবে। যদি অতিরিক্ত দাঁতে ব্যথা হয়ে থাকে তাহলে যতো দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করবেন। আশা করি দাঁতে পোকা দূর করার উপায় সম্পর্কে আপনি একটি সঠিক ধারণা পেয়েছেন।

দাঁতের পোকা বের করার দোয়া

পূর্বে আমরা আলোচনা করেছি যে দাঁতে পোকা দূর করার উপায় সম্পর্কে। এখন আমরা আলোচনা করব দাঁতে পোকা বের করার দোয়া সম্পর্কে। অনেকের দাঁতে পোকা হয়ে থাকে কিন্তু এটি বের করার জন্য যে দোয়াটি রয়েছে সে দোয়া অনেকেই জানেন না। তবে আপনারা হয়তো অনেকেই মনে করেন যে দাঁতে পোকা হয় তবে দাঁতে পোকা হয় না। দাঁতে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া ডেন্টাল ক্যারিস রয়েছে যা দাঁতের সমস্যা তৈরি করে। 

তবে এটি থেকে মুক্তি পেতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই প্রতিদিন দুই বেলা ব্রাশ করতে হবে। এছাড়াও এটি থেকে মুক্তি পেতে চাইলে দোয়াও পড়তে পারেন। এই ব্যাকটেরিয়ার কারণে দাঁতে প্রচন্ড ব্যাথা হয়ে থাকে। আর সেই ব্যথার জন্য রাত দিন কোনো ঘুম হয় না প্রচন্ড কষ্ট পেতে হয়। আল্লাহ্‌ তায়ালা দাঁতের ব্যথা দূর করার জন্য একটি দোয়া বলেছেন। তাই আজকে সেই দোয়া আপনাদের সামনে বলবো। যে দোয়া আপনাদের দাঁতের ব্যথা দূর করে দিবে। তাই চলুন আর দেরি না করে জেনে নিন।

দোয়া 

বাংলা উচ্চারণ

কুল-হুয়াল্লাজি-আংশা-আকুম-ওয়া-ঝাআলালাকুমুস-সাম্‌আ-ওয়াল-আব্‌ছারা-ওয়াল-আফয়িদাতা-ক্বালিলাম্মা- তাশকুরুন। (সুরা মুলকঃ আয়াত নাম্বার-২৩)  

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে এ আয়াতের আমল করার মাধ্যমে দাঁতের ব্যথা থেকে মুক্ত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন। 


যেভাবে দোয়াটি পড়বেনঃ 
  • ওজু করে নামাজের মত মুখোমুখি বসে এই দোয়াটি পড়তে হবে।
  • দোয়াটি পড়ার পর হাতের তালু দিয়ে দাঁত মুছতে হবে। 
  • দিনে তিনবার এই দোয়াটি পড়লে ইনশাআল্লাহ দাঁতের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
এছাড়াও ব্যথা দূর করতে যা করবেনঃ
  • নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করা এবং ফ্লস করা।
  • ফ্লোরাইডযুক্ত টুথপেস্ট ব্যবহার করা।
  • মিষ্টি খাবার কম খাওয়া।
  • নিয়মিত দাঁতের ডাক্তারের কাছে চেকআপ করা।
অনেক মানুষ এই দোয়াটি পড়ে উপকার পেয়েছেন। তাই আপনার যদি ব্যথা হয়ে থাকে তাহলে উপরে দেওয়া দোয়াটি পড়তে পারেন। এতে করে দাঁতের ব্যথা থেকে আরাম পাবেন। আশা করি দাঁতের পোকা বের করার দোয়া সম্পর্কে আপনি জানতে পেরেছেন।

দাঁতের পোকা বের করার পদ্ধতি 

অনেকেই মনে করেন দাঁতের পোকা লাগে। এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় হাতুড়ে ডাক্তারেরা বসে দাঁতের পোকা বের করার জন্য। তবে আসলে কি দাঁতে পোকা লাগে? সাধারণত দাঁতের মধ্যে যে গর্ত হয় সে গর্তকে তাদের পোকা হিসেবে চালানো হয়। তবে আমরা যদি সারা দিনের মধ্যে একবারও সঠিক নিয়মে দাঁত পরিষ্কার না করি। তাহলে দাঁতের মধ্যে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয়। আর সেই ব্যাকটেরিয়া দ্রুত বংশবিস্তার শুরু করবে। 

এই ব্যাকটেরিয়া গুলো চোখে দেখা সম্ভব নয়। তবে এগুলো হওয়ার কারণ হচ্ছে মিষ্টি জাতীয় কোন খাবার খাওয়া। যেমন চিনির তৈরি কোন খাবার অথবা ক্যান্ডি, চকলেট, আলুর চিপস এগুলোতে বিশেষ একধরণের অ্যাসিড রয়েছে। যা দাঁতের ডেন্টাল ক্যারিজ সৃষ্টি করে। ঠিক এই এসিডের কারণে দাঁতের ব্যথা হয়ে থাকে। তবে যারা এখন পর্যন্ত ভাবেন যে দাঁতে পোকা লাগে তবে এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। কারণ দাঁতে কোন পোকা লাগেনা। তবে দাঁতের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চাইলে প্রতিদিন ভালো করে ব্রশ করে নিতে হবে। এতে করে আপনার দাঁত অনেক ভালো থাকবে।  আশা করি বিষয়টি আপনাদের সঠিকভাবে বুঝাতে পেরেছি।

 দাঁতে পোকা কেন হয়

সাধারণত দাঁতের পোকা কেন হয় এই প্রশ্ন অনেকেই করে থাকেন। তবে এটি হওয়ার কারণ হচ্ছে বিভিন্ন মিষ্টি জাতীয় কোন খাবার খাওয়ার ফলে এই সমস্যাটা হয়ে থাকে। যেমন চিনি যুক্ত খাবার, চকলেট, ক্যান্ডি, পটেটো চিপস এগুলো খাওয়ার ফলে দাঁতে সমস্যা দেখায দেয়। তবে দাঁতের ক্ষয় অথবা গর্তকে দাঁতের সাধারণত পোকা বলা হয়। তবে বাস্তবে বিজ্ঞানীরা এই দাঁতের পোকা কোন অস্তিত্ব খুঁজে পাইনি।

এই মিষ্টি জাতীয় কোন কিছু খাওয়ার ফলে এই সমস্যাটা হয়ে থাকে। তবে দাঁতের ক্ষতি থেকে অবশ্যই আপনাদের সাবধান থাকতে হবে। সে ক্ষেত্রে আপনাকে নিয়মিত ব্রাশ করতে হবে। তবে শক্ত ব্রশ দিয়ে জোরে জোরে ব্রশ করলে দাঁতের দন্তমল পরিষ্কার হয় না। এই জন্য আপনাকে সঠিক পদ্ধতিতে দাঁত ও মাড়ি ব্রাশ করতে হবে। এই ব্রাশ করার কিছু নিয়ম রয়েছে যদি আপনি সেই নিয়ম মত ব্রাশ করতে পারেন। তাহলে আপনার দাঁত অনেক ভালো থাকবে।

অর্থাৎ আপনাকে যেটি করতে হবে দাঁত ও মাড়ির উপর-নিচে চারিপাশে খুব ভালোভাবে ব্রাশ করে নিতে হবে। ঘুমাতে যাওয়ার আগে এবং সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর দাঁত ভালোভাবে সঠিক নিয়মে পরিষ্কার করে নিতে হবে। দেখতে হবে যে দাঁতের ফাঁকে কোন জীবাণু না লেগে আছে কিনা। যদি থাকে তাহলে ভালো করে দাঁত পরিষ্কার করে নিবেন। পরিষ্কার করার পর পানি দিয়ে মুখ সুন্দর করে কুলি করে নিবেন। এই নিয়মে যদি আপনি দাঁত পরিষ্কার করতে পারেন। তাহলে আপনার দাঁতের কোন সমস্যা দেখা দেবে না। আশা করি দাঁতের পোকা কেন হয় সেই সম্পর্কে সঠিক একটি ধারণা পেয়েছেন। 

শেষ কথা | দাঁতে পোকা দূর করার উপায়

প্রিয় পাঠক সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে আশা করি দাঁতে পোকা দূর করার উপায় এবং দাঁতের পোকা বের করার দোয়া এই সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট ধারণা দিতে সক্ষম হয়েছি। আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এই আর্টিকেলটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করলে আপনার বন্ধুরাও জানতে পারবে। তাই দেরি না করে আপনার বন্ধুদের সাথে আর্টিকেলটি শেয়ার করুন।  
 
এই রকম আরো আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার কোনো মতামত জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে সেটা জানিয়ে যাবেন। (ধন্যবাদ) আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪