বুক জ্বালাপোড়া কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানুন
বুক জ্বালাপোড়া কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আপনার যদি না জানা থাকে। তাহলে
আজকের এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিন। আমরা ঝাল খাবার দেখে থাকি এবং খেয়ে থাকি।
কিন্তু এর জ্বালাপোড়া কমানোর উপায় সম্পর্কে তেমন একটা ধারনা রাখিনা। সেজন্য আমি
আজকে একটি সঠিক ধারণা দেয়ার চেষ্টা করবো। তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন। তাহলে বুক জ্বালাপোড়া
কমানোর দোয়া সে বিষয়েও সঠিক ধারণা পেয়ে যাবেন। এইগুলো সম্পর্কে আমাদের ধারণা
রাখা প্রয়োজন। তাই দেরি না করে চলুন জেনে নেয়া যাক বিষয়গুলো।
ভূমিকা
বুক জ্বালাপোড়া করলে অনেক সমস্যার মধ্যে থাকতে হয়। অনেক ওষুধ সেবন করার পরেও
বুকের জ্বালাপোড়া কমে না। তাই আমি আজকে এই আর্টিকেলে বুক জ্বালাপোড়া কমানোর
ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। যদি আপনি এই সমস্যা থেকে মুক্তি
পেতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি শুধু আপনার জন্যই। এই আর্টিকেলে আপনার সকল সমস্যার
সমাধান রয়েছে। তাই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন। তাহলে সমস্ত কিছু খুব ভালোভাবে
বুঝতে পারবেন। আশা করি এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি অনেক উপকৃত হবেন।
গলা বুক জ্বালা করলে কি করা উচিত
যেকোনো রোগ হওয়ার আগে অবশ্যই আপনাকে সচেতন হওয়া উচিত। কারণ রোগ বলে আসে না হঠাৎ
করেই আপনার শরীরে কোন রোগে বাসা বাঁধবে আপনি বুঝতেই পারবেন না। তাই অবশ্যই রোগ
হওয়ার আগে আপনাকে সচেতন থাকা উত্তম। তবে আপনার যদি খারাপ অবস্থা হয় তাহলে
অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করবেন।
গলা বুক জ্বালা করলে কি করা উচিত এই সম্পর্কে আপনার যদি জানার ইচ্ছা থাকে। তাহলে
এই পোস্টটি আপনার জন্যই। এই পোস্টে আমরা বলতে চলেছি কিছু নিয়ম যা আপনার গলা বুক
জ্বালাপোড়া করলে ঠিক হয়ে যাবে। চলুন তাহলে আর দেরি না করে সেই নিয়মগুলো জেনে
নেওয়া যাক।
নিয়মগুলো হলোঃ
- যেসব খাবার অথবা পানি খেলে আপনার বুক ও গলা জ্বালাপোড়া করে সেগুলো খাবার অথবা পানি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এইসব খাবারের মধ্যে থাকতে পারে পেঁয়াজ, রসুন, চকলেট, ঝাল জাতীয় খাবার আরো অন্যান্য খাবার এবং বিভিন্ন মেডিসিনের তৈরি তরল পানি।
- কম তেল এবং মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া। যদি আপনি ভাজা মাংস খেয়ে থাকেন তাহলে এইটা বাদ দিয়ে ঝলসানো মাংস খাবেন। এতে করে বুক জ্বালা পোড়া হবে না।
- অতিরিক্ত পরিমাণে না খেয়ে অল্প অল্প করে খেতে হবে। ফলে খাবারটি খুব দ্রুত হজম হবে এবং পেটে অতিরিক্ত গ্যাস অথবা এসিডের সমস্যা হবে না।
- খাওয়ার পরপরই আপনি শুয়ে পড়বেন না। এতে করে আপনার পেটে থাকা খাদ্য গলায় এসে জ্বলবে এবং বুকও জ্বলবে। তাই অন্তত খাওয়ার পর আধা ঘন্টা থেকে এক ঘন্টা অপেক্ষা করে তারপর ঘুমাতে যাবেন। এতে করে আপনার বুক গলা জ্বালাপোড়া করবে না।
- ঘুমানোর সময় আপনি মাথাটাকে তিন থেকে পাঁচ ইঞ্চি উঁচুতে রেখে শুয়ে থাকবেন। এতে করে আপনার সমস্যা দেখা দিবে না।
- যদি আপনি ধূমপান করেন তাহলে গলা বুক অনেক বেশি পরিমাণে জ্বালাপোড়া করতে পারে। তাই অবশ্যই ধূমপান বর্জন করুন। এতে করে আপনার শরীর সুস্থ থাকবে।
- আপনার শরীর যদি বাড়তি ওজন থাকে তাহলে কমিয়ে ফেলুন।
- ঢিলেঢালা পোষাক পরিধান করার চেষ্টা করুন। বেশি টাইট পোশাক পরলে আপনার গরমে অনেক বুক অথবা গলা জ্বালাপোড়া করতে পারে।
- খাওয়ার পর অবশ্যই বেশি করে পানি খাবেন। এতে করে আপনার গলা ও বুক জ্বালাপোড়া করা থেকে মুক্তি পাবেন।
- কোনো রকম দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ করা যাবে না। এতে করে প্রেশার বেড়ে যাবে। ফলে আপনার শরীরে সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত থাকার চেষ্টা করবেন।
আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় যেয়ে খাবার খেয়ে বুক ও গলা জ্বালাপোড়া হয়ে
থাকে। কিন্তু এগুলো খাবার থেকে আমাদের বিরত থাকতে হবে। যে খাবার খেলে আমাদের
শরীরে ক্ষতি সে খাবার না হওয়াটাই ভালো। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে অতিরিক্ত পরিমাণে
ঝাল জাতীয় জিনিস খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। তাহলে সুস্থ থাকবেন। যদি বেশি রকম
সমস্যা দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন। পাশাপাশি পুষ্টিকর খাবার
খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
গলা বুক জ্বালাপোড়া ঘরোয়া সমাধান
অনেক মানুষ রয়েছে কিছু খেলে গলা ও বুক জ্বালাপোড়া করে। কেউ কেউ আবার ওষুধ
খেয়ে থাকেন। কিন্তু এর কিছু ঘরোয়া উপায় আছে এটা সম্পর্কে আপনাদের ধারণা নাও
থাকতে পারে। আজকে আমরা গলা বুক জ্বালাপোড়া ঘরোয়া সমাধান নিয়ে আলোচনা করবো।
তাই যদি আপনার এই সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকে। তাহলে এই অংশটুকু পড়লে আপনি
একটি সঠিক ধারণা পেয়ে যাবেন। চলুন তাহলে আর দেরি না করে গলা বুক জ্বালা
পোড়াপোড়া সমাধান সম্পর্কে জেনে নিন।
বিভিন্ন খাবারে কারণে বুক ও গলা জ্বলতে পারে। অনেকে রয়েছে গ্যাস, বুক জ্বালা,
কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া এগুলোর মত সমস্যায় ভুগেন। ডাক্তারের কাছে যাওয়ার আগে
আপনাকে ভাবার দরকার যে এই সমস্যা সমাধান কিভাবে ঘরে বসেই করা যায়। আজে বাজে
জিনিস খাওয়ার ফলে এই সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু এগুলো খাওয়া একেবারে
উচিত নয়।
- খাওয়ার সময় আপনাকে সঠিকভাবে বসে খাবার খেতে হবে।
- যে খাবার আপনি খাবেন সেটা খুব ভালোভাবে চিবিয়ে খাবেন।
- খাওয়া-দাওয়া শেষ করে অন্তত ৩০ মিনিট সোজা হয়ে বসে থাকবেন।
- এতে করে আপনার পেটের সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে।
সমাধানঃ
- আপনি যে প্রতিদিন খাওয়া-দাওয়া করেন সেই খাওয়া-দাওয়া সঠিক হচ্ছে কিনা সেটা অবশ্যই লক্ষ্য রাখা দরকার। খাওয়া-দাওয়া নিয়ে আপনাকে অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে। যেগুলো খাবারের মধ্যে ফাইবার রয়েছে এবং যেটা হজম করা একদম সোজা সেই ধরনের খাবার খেতে হবে।
- খাবারে যদি ফাইবার থাকে তাহলে সেটা হজম করতে বেশ সুবিধা হয়। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার আশঙ্কা থাকে না।
- যে খাবারটি আপনি খাবেন সে খাবারে অবশ্যই স্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকতে হবে। যদি খাবারে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকে তাহলে সেগুলো শরীর খুব দ্রুত করে গ্রহণ করবে।
- যদি খাবারে ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। তাহলে পেটের জ্বালাপোড়া ভাব অনেক কমিয়ে দেয়। যদি আপনার ইনফ্ল্যামেটরি বাওয়েল সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে এটাও স্বাস্থ্যকর ফ্ল্যাটের কারণে কম হয়ে থাকে।
- প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। তবে অতিরিক্ত নয়। কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে পানি কম পান করা। আপনি যত সম্ভব পারবেন পানির পরিমাণটা বেশি করে খাবেন। কফি ও চা এগুলো কম খাওয়ার চেষ্টা করবেন। সারাদিনে অন্তত তিন লিটার পানি পান করবেন।
- ভিটামিনযুক্ত ফল সবজি খেতে পারেন। এতে করে আপনার শরীর অনেক সুস্থ থাকবে।
- যখন আপনি খাবার খাবেন তখন একটু লক্ষ্য করবেন যে খাবার ধীরে খাচ্ছি, না জোরে খাচ্ছি। যদি আপনি খাবার জোরে খেয়ে থাকেন তাহলে ধীরে ধীরে খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন। এতে করে আপনার ভালোভাবে হজম হবে এবং বদহজম ও গ্যাস কমে যাবে।
- যদি আপনি খাবার খুব সুন্দর করে আস্তে আস্তে চিবিয়ে খেয়ে থাকেন। তাহলে খুব দ্রুত হজম হয়ে যায়। এছাড়াও যদি আপনি খাবার আস্তে আস্তে খান তাহলে স্যালাইভা নিষ্কৃত হয়। আর এই স্যালাইভা পেটের মধ্যে করা খাবার হজম করতে বেশ সাহায্য করে।
- নিয়মিত যদি আপনি শরীরচর্চা করতে পারেন। তাহলে হজমের সমস্যা থাকবে না। এছাড়াও নিয়মিত শরীরচর্চার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য ও অন্যান্য সমস্যাগুলো সমাধান হয়ে যাবে।
প্রিয় বন্ধুরা আশা করি বিষয়গুলো পড়ে আপনি অনেক উপকৃত হয়েছেন। আজকে আমি এই
অংশটুকু সঠিকভাবে ধারণা দেয়ার চেষ্টা করেছি। যদি লেখার মধ্যে কোনো ভুল ত্রুটি
হয়ে থাকে। তাহলে অবশ্যই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আর আপনার যদি অতিরিক্ত
পরিমাণে বুক ও গলা জ্বালাপোড়া করে তাহলে অবশ্যই অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ
নিয়ে ওষুধ সেবন করবে। (ধন্যবাদ)
বুক জ্বালাপোড়া কমানোর ঔষধ
বুক জ্বালাপোড়া কমানোর ঔষধ সম্পর্কে অনেকেই হইতো জানেন না। যা আজকে আলোচনা
করবো। বুক জ্বালাপোড়া করা, এসিডিটি হওয়া, গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা, বদহজম এগুলো
কারণে অনেক আগে থেকেই চিকিৎসকরা একটি ওষুধ ব্যবহার করতে বলে থাকেন। সেই
ওষুধের নাম হচ্ছে ওমিপ্রাজল। এই ওষুধটি আলসার প্রতিরোধ করতে সেবন করানো
হয়।
এই ওষুধটি আমরা সাধারণত গ্যাস্টিকের ওষুধ হিসেবে চিনে থাকি। পাকস্থলীতে এসিড
হলে সেই এসিডের উৎপাদনের মাত্রা কমিয়ে দিতে সাহায্য করে এই
ওমিপ্রাজল। কখনো কখনো সিনড্রোম, টিউমারের বিরল রোগ আরো ইত্যাদি রোগের
সমস্যা দূর করতে এই ওমিপ্রাজল ব্যবহার করা হয়।
এই ওমিপ্রাজল ওষুধ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নামে পরিচিত চলুন তাহলে সেই
ব্র্যান্ডগুলোর নাম জেনে নিনঃ
- পিপিআই।
- প্রাজল।
- লোসেকটিল।
- ওমেটিড।
- সেকলো।
- জেল্ড্রিন।
- ওমেপ।
এই ওমিপ্রাজল ওষুধ ইনজেকশনের মাধ্যমেও ব্যবহার করা যায়।
বুক জ্বালাপোড়া কমানোর ঘরোয়া উপায়
বুক জ্বালাপোড়া কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে অনেকেরই জানা নেই। আজকে আমরা
এই বিষয় নিয়ে একটি সঠিক ধারণা দেয়ার চেষ্টা করবো। এই পোষ্টটি মনোযোগ সহকারে
পড়লে সমস্ত সমাধান পেয়ে যাবেন। আমরা যখন খাবার খেয়ে থাকি তখন আমাদের ভাবা
উচিত যে এই খাবার খেলে শরীরের ক্ষতি হবে কি, না ক্ষতি হবে না। আপনাকে অবশ্যই
সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। অতিরিক্ত পরিমাণে ঝাল কোনো খাবার যদি আপনি খেয়ে
থাকেন।
তখন আপনার বুক ও গলা এগুলো জ্বালাপোড়া করতে থাকবে। যদি আপনার খাবার হজম না
হয় তখন আপনার সমস্যা হতে পারে। যদি আপনার খাদ্যনালী থেকে বারবার গ্যাস উঠে
আসে তখন আপনার সমস্যা দেখা দিবে। ফলে বুক জ্বালা করবে, গলা পর্যন্ত টক-ভাব
বুঝতে পারবেন। তাই গলা ও বুক জ্বালাপোড়া করলে আপনাকে অবশ্যই কিছু জিনিস মেনে
চলতেই হবে।
আজকে আমরা বুক জ্বালাপোড়া কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আলোচনা করতে চলেছি।
যদি আপনি এই সম্পর্কে একটি সঠিক ধারণা পেতে চান। তাহলে এই আর্টিকেলটি মনোযোগ
সহকারে পড়ুন। তাহলে সমস্ত কিছু বুঝতে পারবেন। চলুন তাহলে আর দেরি না করে সে
সমস্ত বিষয়গুলো জেনে নিন।
আমরা অনেকেই রয়েছি তেল জাতীয় ভাজা জিনিস খেতে বেশি পছন্দ করি। আপনি যদি বুক
জ্বালাপোড়া কমানোর চেষ্টা করেন তাহলে এইগুলো খাবার থেকে অবশ্যই বিরত থাকবেন।
বিভিন্ন ধরনের মসলা জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে অবশ্যই বিরত থাকবেন। কারণ মসলা
জাতীয় খাবার খেলে আপনার পেটে গ্যাস হবে আর এর ফলে আপনার পেট জ্বালাপোড়া
করতে পারে। অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়াটা একদম উচিত হবে না।
অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে বুক জ্বালাপোড়া করতে পারে। বিশেষ করে ময়দার তৈরি ভাজা
জাতীয় কোনো খাবার খাবেন না। কারণ এতে অতিরিক্ত পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট
রয়েছে। যা হজম করতে বেশ সময় লাগে। এতে করে আপনার পেট ফাঁপা হতে পারে এবং
গ্যাস সৃষ্টি হতে পারে। এইগুলো কারণের ফলে পেটে ব্যাকটেরিয়া সৃষ্টি হয়ে
থাকে। যদি কারো হজমের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে খাওয়ার রুটিন ঘন ঘন পরিবর্তন
না করায় ভালো।
- আপনি যদি ঘুমানোর ২ ঘণ্টা আগে খাবার খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরের জন্য অনেক ভালো।
- যদি আপনার বুক গলা জ্বালাপোড়া করে তাহলে ঠান্ডা পানি বেশি বেশি করে খাবেন। এতে করে বুক ও গলা জ্বালাপোড়া অনেকটাই কমে যাবে।
- ঘুমানোর আগে আপনি অবশ্যই একটু উঁচু বালিশে ঘুমাবেন। পা এবং মাথা সমান ভাবে রেখে ঘুমানোর কোন দরকার নেই এতে করে সমস্যা হবে।
- এসিডিটি দূর করার জন্য আপনি পানি ও আদা খেতে পারেন। এসিডিটি দূর করতে এই আদা ও পানি বেশ কার্যকরী।
- এক গ্লাস পানিতে এক চা-চামচ মেথি গুঁড়া সুন্দর করে মিশিয়ে নিবেন। এরপর সেই মেশানো পানি টুকু খাবেন। এতে করে আপনার এসিডিটির জ্বালাপোড়া অনেকাংশেই কমে যাবে।
- অথবা এক চা-চামচ মেথি দানা সাথে এক গ্লাস পানি নিয়ে ভিজিয়ে রাখবেন। সকালে খালি পেটে সেই পানিটুকু খেলে আপনি অনেক উপকার পাবেন।
- পেঁপেতে রয়েছে প্যাপেইন অ্যানজাইম। যা আমাদের শরীরের হজম প্রক্রিয়াকে সহজস্তর করতে সাহায্য করে। ফলে এসিডিটির মত সমস্যা হতে পারে না। তাই প্রতিদিন এক থেকে দুই টুকরো পেঁপে সকালে খেতে পারে। এতে করে অনেক উপকার পাবেন।
- গ্যাস দূর করতে জিরা খেতে পারেন এটি অনেক ভালো সাহায্য করে। এসিডিটি থেকে মুক্তি পেতে অল্প কিছু পরিমাণ জিরা মুখে নিয়ে চিবিয়ে খেতে পারেন। অথবা পানিতে ফেলে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখার পর খেতে পারেন। এতে করে বুক জ্বালাপোড়া অনেকটা কমে যাবে। বুক জ্বালাপোড়া কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
বুক জ্বালাপোড়া কমানোর দোয়া
আজকে আমরা আলোচনা করবো যে বুক জ্বালাপোড়া কমানোর দোয়া সম্পর্কে। অনেকেরই এই
সমস্যা হয়ে থাকে কিন্তু কারো কারো বুক জ্বলে আবার কারো কারো বুক ব্যথা করে।
এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আজকে আমি আপনাদের কাছে দোয়াটি বলবো। এই
দোয়া অনেক বেশি পরিক্ষিত দোয়া। আল্লাহ্ তায়ালার ওপর বিশ্বাস রেখে দোয়া
পড়বেন। অবশ্যই ভালো ফলাফল পাবেন। আশা করি এই দোয়া পড়লে অনেক উপকার পাবেন।
দোয়াঃ
- প্রথমেঃ সূরা ফাতিহা তিন বার পড়ে নিতে হবে।
- দ্বিতীয়তঃ দুরুদ শরীফ তিন বার পড়তে হবে।
- তৃতীয়তঃ অ--গী--জল--মা--অু--ও--কু--দিয়াল--আমর। (এই দোয়াটি সাত বার পড়বেন)--(সূরা হুদের ৪৪ নং আয়াত)
বুক জ্বালাপোড়া করার কারণ
বুক জ্বালাপোড়া করার কারণ সম্পর্কে অনেকের অজানা। কোনো কোনো সময় কোনো কারণ
ছাড়ায় বুক জ্বালাপোড়া করে থাকে। তবে এর পিছনে অবশ্যই কোন না কোন কারণ
রয়েছে। মাঝেমধ্যে কিছু জিনিস জ্বালাপোড়ার সূত্রপাত হয়ে দাঁড়ায়।
যেমনঃ
- ধূমপান করার ফলে বুক জ্বালাপোড়া করতে পারে।
- মানসিক চাপ ও উদ্যোগের ফলে এই সমস্যাটা হতে পারে।
- নির্দিষ্ট কিছু খাবারের জন্য এই বুক জ্বালা হতে পারে। যেমন মসলাযুক্ত খাবার, অ্যালকোহল, চা ও কফি, চকলেট ইত্যাদি।
- যদি শরীরের ওজন স্বাভাবিকের চেয়েও বেশি হয়ে যায়। তখন সমস্যা হতে পারে।
- হায়াটাস হানিয়া নামের একটি রোগ রয়েছে। যে রোগ পাকস্থলীর কিছু অংশ বুকে উঠে এসে বুক অনেক জ্বালাপোড়া করতে পারে। আশা করি বিষয়টুকু বুঝতে পেরেছেন।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে আশা করি বুক জ্বালাপোড়া কমানোর
ঘরোয়া উপায় এবং বুক জ্বালাপোড়া কমানোর দোয়া সে ব্যাপারে একটি
সুস্পষ্ট ধারণা দিতে সক্ষম হয়েছি। আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত
হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এই
আর্টিকেলটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করলে আপনার বন্ধুরাও জানতে পারবে। তাই
দেরি না করে আপনার বন্ধুদের সাথে আর্টিকেলটি শেয়ার করুন।
এই রকম আরো আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। এই
আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার কোনো মতামত জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই
কমেন্ট করে সেটা জানিয়ে যাবেন। (ধন্যবাদ) আসসালামু আলাইকুম।
এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url