দ্রুত ডায়াবেটিস কমানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

দ্রুত ডায়াবেটিস কমানোর উপায় সম্পর্কে আপনার যদি জানা না থাকে। তাহলে আজকের এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিন। অনেকেই ডায়াবেটিস রোগে ভুগছেন। কিন্তু দ্রুত ডায়াবেটিস কিভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসবেন সেটা সম্পর্কে আপনাদের হইত তেমন কোনো ধারণা নেই। সেজন্য আমি আজকে একটি সঠিক ধারণা দেয়ার চেষ্টা করবো। তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। 
দ্রুত ডায়াবেটিস কমানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন। তাহলে কোন ফল খেলে ডায়াবেটিস কমে, ভাত বেশি খেলে কি ডায়াবেটিস হয়, ৭২ ঘণ্টায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, ডায়াবেটিস কমানোর খাবার, ডায়াবেটিস চিরতরে নিরাময় হবে, এই সকল বিষয়ে সঠিক ধারণা পেয়ে যাবেন।

ভূমিকা

বাংলাদেশে অনেক মানুষ রয়েছে যারা ডায়াবেটিস রোগে ভুগছেন। তবে এই রোগ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার জন্য অনেক মানুষ অনেক চেষ্টায় করে থাকেন। তবে দ্রুত ডায়াবেটিস কমানোর উপায় সম্পর্কে আপনাদের হয়তো তেমন কোন ধারণা নেই। সেজন্য আজকের আর্টিকেলে এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। যদি আপনার দ্রুত ডায়াবেটিস কমানোর ইচ্ছা থাকে তাহলে এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে সমস্ত বিষয়গুলো খুব ভালোভাবে জানতে ও বুঝতে পারবেন। চলুন তাহলে আর দেরি না করে সে বিষয়গুলো জেনে নিন। 

ডায়াবেটিস চিরতরে নিরাময় হবে

ডায়াবেটিস চিরতরে নিরাময় হবে কিনা এটা নিয়ে অনেক মানুষ অনেক প্রশ্নের মধ্যেই থাকেন। সেজন্য আজকে আমি আপনাদের প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে দেওয়ার চেষ্টা করব। ডাইবেটিস এমন একটি রোগ যে রোগ চিরতরে নিরাময় হবে কিনা এটা বলা অসম্ভব। এটা এখনো নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়।

বিজ্ঞানীরা ডায়াবেটিসের চিকিৎসার জন্য নতুন নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করার জন্য গবেষণা করে চলেছে। তবে বর্তমান ডায়াবেটিস জন্য যেগুলো চিকিৎসা প্রয়োজন সেগুলো করলে বর্তমানে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে। চলুন তাহলে বর্তমানে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ থাকার কিছু উপায় জেনে নিন।

আরো পড়ুনঃ

জীবনধারা পরিবর্তনঃ আপনাকে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। এছাড়াও এর পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। তাহলে আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে। কারণ ওজন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। 

ওষুধঃ ডায়াবেটিসের বিভিন্ন ধরনের ওষুধ রয়েছে। যা আপনার রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে। সেজন্য আপনাকে অবশ্যই ডায়াবেটিসের যে ওষুধগুলো রয়েছে সেগুলো সেবন করতে হবে। 

ইনসুলিনঃ টাইপ ১ ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য এই ইনসুলিনটি নিতে হয়। এছাড়াও টাইপ ২ ডায়াবেটিসের কিছু রোগীদের ইনসুলিনের প্রয়োজন হতে পারে। কারণ শরীরের ইনসুলিনের ভারসাম্য ফিরে আসলে রক্তের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। সেজন্যই ইনসুলিন চিকিৎসা দেওয়া হয়।
  • তবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের কিছু উল্লেখযোগ্য চিকিৎসা রয়েছে। যেগুলো নতুন নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার হলেও এখনো পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। 
  • তবে ডায়াবেটিস চিকিৎসার কোন সময়সীমা নির্ধারণ করা সম্ভব নয়। কারণ এই ডাইবেটিসের সমস্যা অনেক মানুষের হয়ে থাকে। এটি চিরতরে দূর করতে বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে সেই পদ্ধতি গুলো আবিষ্কার করার চেষ্টা করতেছে। 
  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম স্বাস্থ্যকর জীবনধারা অনুসরণ করতে হবে। এইটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি ডায়াবেটিস চিরতরে নিরাময় হবে এই সম্পর্কে আপনি একটি সঠিক ধারণা পেয়েছেন।

ডায়াবেটিস কমানোর খাবার

ডায়াবেটিস রোগীদের বিভিন্ন সমস্যা হয়ে থাকে। এদের খাবার নিয়ন্ত্রণ না থাকলে আরো বেশি ডায়াবেটিসের সমস্যা বৃদ্ধি হয়। মূলত সঠিক খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে। সেজন্য ডায়াবেটিস রোগীদের খাবারের তালিকায় ডায়াবেটিস কমানোর খাবার রাখতে হবে। তাহলে ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি পাবে। 

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখতে যেসব খাবার রয়েছে সেগুলো খাবার খাওয়ার অবশ্যই চেষ্টা করতে হবে। অনেক সময় বিভিন্ন জায়গায় যেয়ে ডায়াবেটিস সমস্যার কারণে পেট ভরে খাবার খেতে পারে না। এটা অনেক বড় একটি সমস্যা। ডাইবেটিস অতিরিক্ত বেড়ে গেলে শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই অবশ্যই আপনাকে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখতে হলে সঠিক খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। 

কাঁচা অথবা সেদ্ধ করে সবজি খাওয়ার চেষ্টা করুনঃ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কাঁচা সবজি অথবা সিদ্ধ করে সবজি খাওয়া অত্যন্ত ভালো। কিছু কিছু মানুষ রয়েছে বলে থাকেন যে পেট ভরে খেলে নাকি সমস্যা বৃদ্ধি হবে। তবে এটি ভুল ধারণা। আমাদের দেশের নানা রকম সবজি পাওয়া যায় সেগুলো সবজি খেতে পারেন। তবে এর মধ্যে আলু অথবা শর্করাযুক্ত সবজি যেগুলো রয়েছে এগুলো এড়িয়ে চলাই ভালো। 

এছাড়া বেগুন, টমেটো, শসা, মাশরুম এবং সবুজ শাক-সবজি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলবেন। এগুলো খাবার খাওয়ার ফলে আপনার ডায়াবেটিস খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। অনেক সবজি রয়েছে যেগুলো সবজি কাঁচা কিংবা সিদ্ধ করে খাওয়া যায়। তবে যাদের বাসায় ওভেন রয়েছে তারা চাইলে কিছু সবজি রোস্ট করে খেতে পারেন। এটি একটি অদ্ভুত বিষয় বলে মনে করতে পারে। 

তবে এটি অদ্ভুত নয়। হালকা একটু আগুনের আঁচ দিয়ে বেগুন অথবা অন্যান্য যে সবজিগুলো যা ভর্তা করে খাওয়া যায় সেগুলো ভর্তা করে খেতে পারে। অথবা কিছু সবজি রয়েছে যেমন মাশরুম, ফুলকপি এই সবজিগুলো আপনি সেদ্ধ করে খেতে পারেন। এতে করে আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে ইনশাআল্লাহ্‌।

ফাইবারযুক্ত খাবার খাবেনঃ যে সকল সবজিতে প্রচুর পরিমাণে আঁশ রয়েছে সে সকল খাবার আপনার অনেকটাই শর্করার অভাব মিটে দিতে পারে। সেজন্য আপনাকে খাবারের তালিকায় আঁশযুক্ত খাবার রাখতে হবে। যেমন বাদাম, ভুট্টা, সিম-জাতীয় খাবার, মোটরদানা, এগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। এছাড়াও যেগুলো ফল রয়েছে যেমন তরমুজ, বাঙ্গি, এগুলো ফল খেলে আপনি অনেক উপকার পাবেন। 

আঁশ জাতীয় যে খাবারগুলো রয়েছে সেগুলো আপনার পেটে অনেকক্ষণ পর্যন্ত থাকে। আপনার পেটের পরিপাকতন্ত্র অনেক সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও রক্তের যে সুগারের মাত্রা রয়েছে সেটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে মিষ্টি আলু অনেক সহায়তা করে। তাই অন্যান্য খাবার খাওয়ার পাশাপাশি মিষ্টি আলু খেতে পারেন। এতে করে আপনার পেট অনেক ভরবে। এমনকি আপনার ডায়াবেটিস বাড়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যাবে। 

চিনি ছাড়া চা খাওয়া অভ্যাস করুনঃ চিনি ছাড়া চা খেতে পারলে আপনার ডায়াবেটিস অনেক নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। কারণ চিনি ছাড়া চায়ে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্ট-অক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। যদি পারেন তাহলে গ্রিন-টি অথবা ব্ল্যাক-টি খেতে পারেন। এটি বেশ উপকারী। আমাদের দেশে এখন গ্রিন-টি অনেক বেশি সুলভ হয়ে উঠেছে। সেজন্য মানুষ বাজারে বেশি খেয়ে থাকেন। বিশেষ করে বাজারে ব্ল্যাক-টি চা অনেক রয়েছে কিন্তু গ্রিন-টির মত এত সুলভ হয়নি। তবে সাধারণত যদি আপনি ব্লেন্ড চা দিয়ে রং চা বানিয়ে সকালে এবং রাতে খেতে পারেন। তাহলে আপনার শরীর অনেক চাঙ্গা হবে। 

সামান্য পরিমাণ চর্বিযুক্ত খাবার গ্রহণ করুনঃ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য চর্বি জাতীয় যে খাবারগুলো রয়েছে সেগুলো খাবার খেতে তেমন কোন বাধা নেই। তবে পরিমাণের চেয়ে অবশ্যই একটু কম খাওয়া উচিত। কারণ অতিরিক্ত খেলে আপনার শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর। এছাড়াও যদি পারেন তাহলে অলিভ অয়েল দিয়ে কিছু সালাত তৈরি করে খেতে পারেন। এতে আপনার কোন ক্ষতি হবে না।

প্রোটিন যুক্ত খাবার গ্রহণ করুনঃ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য চর্বিযুক্ত খাবার খেতে মানা নেই। তবে আপনি কেমন মাংস খাচ্ছেন সেটা অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। কারণ লাল মাংস অর্থাৎ গরুর মাংস একেবারে খাওয়া যাবে না। যদি পারেন তাহলে কবুতরের মাংস, মুরগির মাংস, কোয়েলের মাংস এগুলো খেতে পারেন। এগুলো আপনার শরীরের জন্য অনেক ভালো এবং এগুলো খেলে আপনার ডায়াবেটিস বৃদ্ধি হবে না। এছাড়াও বাদাম খেতে পারেন। কারণ বাদামে খুব ভালো প্রোটিন রয়েছে। যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অত্যন্ত ভালো।  

পরিমাণের চেয়ে কম শরবত খেতে পারেনঃ অনেক সময় ডায়াবেটিস রোগীদের শরবত খেতে ইচ্ছে হতে পারে। তবে সব ফলের শরবত খাওয়া একদম ঠিক নয়। যদি পারেন তাহলে লেবু চিপে শরবত করে খেতে পারেন। অথবা বাঙ্গির শরবত খেতে পারেন। এগুলো অপছন্দ হলেও এগুলো খাবার ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অতান্ত ভালো। এছাড়াও পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করবেন। কারণ শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী হচ্ছে পানি।  

অনেক সময় ডায়াবেটিস রোগীদের সবচেয়ে বেশি ত্যাগ স্বীকার করতে হয়। কারণ তারা সঠিক খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে পারে না। বিভিন্ন খাদ্য খাওয়ার ফলে ডায়াবেটিসের সমস্যা অনেক বেড়ে যায়। সেজন্য আপনাকে অবশ্যই সঠিক খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। যদি পারেন তাহলে ভাতের জায়গায় সবুজ শাক-সবজি অর্থাৎ আঁশ জাতীয় যে খাবারগুলো রয়েছে সেগুলো খাবার পর্যাপ্ত পরিমাণ খেতে পারেন। এভাবে প্রতিনিয়ত খেতে পারলে আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং আপনার শরীর সুস্থ থাকবে। আশা করি ডায়াবেটিস কমানোর খাবার সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়ে গেছেন।

দ্রুত ডায়াবেটিস কমানোর উপায় 

বাংলাদেশের ডায়াবেটিসের রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। সঠিক খাদ্যভ্যাস না করার ফলে এই ডায়াবেটিসের সমস্যা আরও বেশি বেড়েই চলেছে। তবে ডায়াবেটিস যাদের হয় তারা বেশিরভাগ দেখা যায় হাটাহাটি করে। তবে এটি একটি উত্তম ব্যায়াম। কারণ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য হাটাহাটি করা অত্যন্ত ভালো। এতে করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে। 

তবে অনেকেই রয়েছে দ্রুত ডায়াবেটিস কমানোর উপায় সম্পর্কে জানেন না। সেজন্য আজকে আমি এই আর্টিকেলে দ্রুত ডায়াবেটিস কমানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব। যদি আপনার দ্রুত ডায়াবেটিস কমানোর ইচ্ছা থেকে থাকে। তাহলে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে সমস্ত বিষয় খুব ভালোভাবে বুঝতে ও জানতে পারবেন। চলুন তাহলে আর দেরি না করে জেনে নিন।

সর্বপ্রথম ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য যে কাজটা করা উচিত সেটা হচ্ছে নিয়মিত ব্যায়াম। এছাড়া সঠিক খাদ্যভ্যাস গ্রহণ করা। কারণ সঠিক খাদ্য গ্রহণ করার ফলেই আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। তবে আপনি কি পরিমাণ খাবার খাচ্ছেন এইটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ অতিরিক্ত না খেয়ে পরিমাণের চেয়ে অল্প অল্প খাবার খেলে এইটা ডায়াবেটিসের জন্য অত্যন্ত ভালো। তবে চিকিৎসকরা বলেন যে ভাত না খেয়ে রুটি খেতে। 

কারণ ভাত খেলে বেশি পরিমাণ খাওয়া হয়ে যায় এতে করে ডায়াবেটিস আরো বেশি বেড়ে যায়। সেজন্য রুটি খেতে বলা হয়। তবে আপনি বেশি বেশি রুটি খেলে উপকারের চেয়ে ক্ষতি বেশি হবে। সেজন্য অবশ্যই এগুলো বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে। তবে রুটির মধ্যে কিছু ভাগ রয়েছে। যদি আপনি লাল আটার রুটি খেতে পারেন অথবা ঢেঁকি ছাঁটা চালের ভাত খেতে পারেন তাহলে আপনার জন্য অত্যন্ত ভালো। আপনাকে আঁশ যুক্ত খাবার গ্রহণ করতে হবে। গোল আলু যতটা সম্ভব কম খাওয়ার চেষ্টা করবেন।

ডায়াবেটিস রোগীরা বিশেষ করে অতিরিক্ত লবণ ও চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। যদি পারেন তাহলে কিছু শাক-সবজি ও ফলমূল খেতে পারেন। এতে করে অনেক উপকার হবে। বিভিন্ন ধরনের ফলমূলের শরবত বানিয়ে খেতে পারেন। তবে তরমুজ, বাঙ্গি এগুলোর শরবত খেতে পারেন এইগুলো ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও ফাস্টফুড খেতে পারেন। যত বেশি পারবেন প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশুদ্ধ পানি পান করবেন। 

যদি কোথাও অনুষ্ঠানে যান তাহলে অবশ্যই সে অনুষ্ঠানে যেয়ে অস্বাস্থ্যকর কোন খাবার খাবেন না।ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নিয়মিত আপনাকে হাঁটতে হবে। তাহলে অনেক উপকার হবে। এছাড়াও একটানা কোন কাজ করা যাবে না। কাজের ফাঁকে ফাঁকে একটু হাঁটাচলা করতে হবে। টিভি দেখতে দেখতে চিপস খাবেন না এতে করে সমস্যা হবে। যদি পারেন তাহলে বেশি ক্ষুধার্ত হলে শসা খাবেন। শসা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই ভালো। 

দ্রুত ডায়াবেটিস কমানোর জন্য এগুলো নিয়ম আপনাকে অবশ্যই মানতে হবে। এর পাশাপাশি নিয়মিত ডায়াবেটিস পরীক্ষা করতে হবে। ডায়াবেটিস রোগীরা ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ কাছে যে চিকিৎসা নিবেন। আপনার সুন্দর জীবনধারা আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে। সেজন্য সঠিক খাদ্যাভ্যাস, ব্যায়াম, ওষুধ এগুলো সব সময় গ্রহণ করার চেষ্টা করুন। আশা করি দ্রুত ডায়াবেটিস কমানোর উপায় সম্পর্কে আপনি জানতে ও বুঝতে পেরেছেন।

৭২ ঘণ্টায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ

উপরে আমরা আলোচনা করেছি যে দ্রুত ডায়াবেটিস কমানোর উপায় সম্পর্কে। এখন আমরা জেনে নিবো ৭২ ঘণ্টায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখবেন কি করে এই বিষয়ে। অনেক মানুষ রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে ওষুধ কিংবা ইনসুলিন নেয়ার পরেও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। এই সকল রোগীদের জন্য অনেক সুখবর কারণ আপনি ৭২ ঘন্টায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। তবে কিভাবে পারবেন অবশ্যই সেটা আপনাকে জানতে হবে। 

কিছু কৌশল রয়েছে যে কৌশলের মাধ্যমে ৭২ ঘণ্টায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। অনেক মানুষ রয়েছে যে সকল ব্যায়াম, মেডিটেশনের কারণে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের মধ্যে চলে আসে। সেই সকল ব্যায়াম, মেডিটেশন থেকে অনেক দূরে সরে যাচ্ছে। অন্যদিকে ওষুধ কোম্পানিগুলোর নিজের বাণিজ্যিক নীতির কবলে পড়ে মানুষের মধ্যে এই ওষুধ নির্ভরতা দিন দিন অনেক বেশি বেড়ে যাচ্ছে। আর এই সকল ওষুধ সেবনের ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ থাকার চেয়ে আরো অনেক বেশি বেড়ে যাচ্ছে। 

 যে ওষুধগুলো ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য তৈরি করা হয়। তার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়। তাই এই ওষুধ খেলে ডায়াবেটিস রোগীরা মারাত্মক ক্ষতির মধ্যে পড়ে। এখন ডায়াবেটিসের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। তবে এই ওষুধগুলো না খেয়ে কিভাবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা যাবে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। তবে সার্জারি না করানোই ভালো। এই বিষয়ে সবাইকে অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে।ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখতে হলে আপনাকে অবশ্যই সঠিক খাদ্যভ্যাস করতে হবে। 

ডায়াবেটিস কোনো প্রাণঘাতী রোগ নয়। এটি কেবলমাত্র সব রোগের উপসর্গ হিসেবে কাজ করে। ওষুধ ছাড়া আপনি হাঁটাহাঁটি, ব্যায়াম, এগুলো করতে পারেন। এছাড়াও খাদ্য ব্যবস্থার মাধ্যমে মাত্র ৭২ ঘন্টা মধ্যে আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা সম্ভব। সেজন্য আপনাকে অবশ্যই খাদ্যব্যবস্থা, ব্যায়াম এগুলোর দিকে খেয়াল রাখতে হবে। কারণ এগুলোই আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার মূল ঔষধ হিসেবে কাজ করবে। আশা করি ৭২ ঘণ্টায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করবেন কি করে বুঝতে পেরেছেন। 

ভাত বেশি খেলে কি ডায়াবেটিস হয়

অনেক মানুষ রয়েছে তারা ভেবে থাকেন যে বেশি বেশি ভাত খেলেই ডায়াবেটিস হয়। কিন্তু এই রোগের সঙ্গে আরও অন্যান্য বিষয় জড়িয়ে রয়েছে। আপনার অস্বাস্থ্যকর জীবন দ্বারা এবং বাইরে খাওয়া দাওয়া মিষ্টি খাবার বেশি খাওয়া এইগুলো কারণে শরীরে বাসা বাঁধতে পারে ডায়াবেটিস। চিকিৎসকরা বলেছেন যে ডায়াবেটিস হলে ভাত খাওয়া যাবে। তবে সাদা ভাত নয়। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখতে হলে ব্ল্যাক রাইস খেতে হবে। এটি হয়তো অনেকেই জানেন না। তবে রক্তের শর্করার মাত্রার নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয় ব্ল্যাক রাইস অত্যন্ত উপকারী। এই চালের ভাত ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অনেক স্বাস্থ্যকর একটি খাবার । 

রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে এই ব্ল্যাক রাইস অত্যন্ত উপকারী। কারণ এটিতে ফাইবার এবং প্রোটিনের মাত্রা অনেক বেশি রয়েছে। চিকিৎসকরা বলেন যে গ্লুটেনযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। কারণ এই খাবারগুলো খাওয়ার ফলে রোগীদের শরীরের নানা রকমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে ভয় পাওয়ার দরকার নেই ব্ল্যাক রাইসের গ্লুটেন নেই। যদি আপনার ডায়াবেটিস ধরা পড়ে তাহলে আপনি নিশ্চিন্তে ব্ল্যাক রাইসের ভাত খেতে পারেন। 

তবে সবার ক্ষেত্রে এই ব্ল্যাক রাইস খাবার খাওয়া ঠিক নয়। এটি স্বাস্থ্যর জন্য ক্ষতিকর। যাদের হৃদরোগ, শারীরিক কোন সমস্যা, গ্যাস এগুলো থাকলেও এই চালের ভাত না খাওয়াই ভালো। গবেষকরা দেখেছেন যে যখন ডায়াবেটিস রোগীরা ঠান্ডা ভাত খেয়ে থাকেন তখন তাদের রক্তের শর্করার মাত্রা খুব ভালো নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাছাড়া যদি ডায়াবেটিস রোগীরা গরম ভাত রান্না করে খেয়ে থাকে। তখন তাদের রক্তের সুগারের মাত্রা খুব দ্রুত বেড়ে যায়। 

তবে গরম ভাতের তুলনায় ঠান্ডা ভাতে প্রতিরোধী স্টার্চ অনেক বেশি পাওয়া যায়। সেজন্য এটি হজম করতেও অনেক সময় নেয়। যার ফলে ফাইবারের মতো প্রতিরোধী স্টার্চ শরীরের রক্তের শর্করার মাত্রা সঠিক রাখতে সহায়তা করে। এছাড়াও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও ব্ল্যাক রাইসের ভাত খেতে পারেন। আশা করি ভাত বেশি খেলে কি ডায়াবেটিস হয় এী সম্পর্কে একটি সঠিক ধারণা পেয়ে গেছেন

কোন ফল খেলে ডায়াবেটিস কমে

অনেকেই ভেবে থাকেন যে কোন ফল খেলে ডায়াবেটিস কমে। তবে অনেক মানুষের এই ডায়াবেটিসের সমস্যায় ভুগছেন। তারা বুঝে উঠতে পারছেন না যে কোন ফল খাওয়া যাবে। কোন ফল খাওয়া যাবে না। তবে দ্রুত সেরে ওঠার জন্য যে ফলগুলো খাওয়া যাবে। সেই ফলগুলোর নাম আজকে আমি এই আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করব। যদি আপনার কোন ফল খেলে ডায়াবেটিস কমে এই সম্পর্কে জানার আগ্রহ থাকে। তাহলে আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে পড়ুন। তাহলে সমস্ত কিছু খুব ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। চলুন তাহলে আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক।

পেঁপেঃ এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই ভালো একটি খাওয়ার ফল। এই ফলের মধ্যে রয়েছে ফ্লাভোনয়েডের মত প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। যা শরীরের রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও এটি কোষের ক্ষতির সম্ভাবনার হাত থেকে রক্ষা করে। 

আপেলঃ আপেল একটি মিষ্টি ও স্বাদযুক্ত ফল। এই ফলটি খেলে কোন ক্ষতি হবে না বরং বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান পাবে। গবেষণায় দেখা গেছে যে আপেল পরিমাণ মতো যদি খাওয়া হয়। তাহলে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করবে।  

কমলাঃ এটি একটি ফাইবার পরিপূর্ণ ফল। যা আমাদের শরীরের শর্করার শোষণকে ধীর করতে অনেক বেশি সহায়তা করে। এই কমলাতে রয়েছে ভিটামিন সি যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও এই কমলাতে রয়েছে ভিটামিন এ, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং ফাইবারের মতো এন্ডঅক্সিডেন্ট।  

বেরি জাতীয় ফলঃ এই ফলটি অনেক মিষ্টি একটি ফল। তবে এই ফলটি ডায়াবেটিস রোগীরা খেলে তেমন কোন ক্ষতি নেই। তবে ব্লুবেরি, ব্ল্যাকবেরি, স্ট্রবেরি এগুলো খেতে পারেন। কারণ এগুলো ফলে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন অনেক বেশি রয়েছে। 

নাশপাতিঃ এই ফলটি আমাদের শরীরের হজম শক্তি উন্নত করতে অনেক বেশি সাহায্য করে। এছাড়াও এই ফলটি প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতেও এই নাশপাতি অনেক সাহায্য করে।  

কামরাঙ্গাঃ এই ফলটিতে রয়েছে ভিটামিন সি ও ফাইবার যা কোষের ক্ষতি ঠিক করতে অনেক বেশি সাহায্য করে। তাই এই ফলটি ডায়াবেটিস রোগীরা খেতে পারেন। আশা করি কোন ফল খেলে ডায়াবেটিস কমে সে সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। 
 

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে আশা করি দ্রুত ডায়াবেটিস কমানোর উপায় এবং ৭২ ঘণ্টায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ এই সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট ধারণা দিতে সক্ষম হয়েছি। আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এই আর্টিকেলটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করলে আপনার বন্ধুরাও জানতে পারবে। তাই দেরি না করে আপনার বন্ধুদের সাথে আর্টিকেলটি শেয়ার করুন।
 
এই রকম আরো আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার কোনো মতামত জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে সেটা জানিয়ে যাবেন। (ধন্যবাদ) আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪