তুলসী পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন
তুলসী পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আপনার যদি না জানা থাকে। তাহলে আজকের
এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিন। আমরা সবাই তুলসী পাতা দেখে থাকি এবং খেয়ে থাকি। তুলসী
পাতার কি কি গুন রয়েছে সেটা সম্পর্কে আমাদের তেমন কোনো ধারণা নেই। যা আজকে আলোচনা
করব। তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন। তাহলে তুলসী পাতার ক্ষতিকর
দিকগুলো বিষয়ে সঠিক ধারণা পেয়ে যাবেন। এইগুলো সম্পর্কে আমাদের ধারণা রাখা
প্রয়োজন। তাই দেরি না করে চলুন জেনে নেয়া যাক বিষয়গুলো।
ভূমিকা
হাজার হাজার বছর আগে থেকে আমরা জেনে আসছি তুলসী পাতার গুনাগুন। এই তুলসী পাতা
শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি উপাদান। এটি একটি আয়ুর্বেদ ওষুধ। এই তুলসী পাতার
উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমরা সম্পূর্ণ আলোচনা করেছি এবং আরো আলোচনা করেছি
যে শিশুদের তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম। এগুলো বিষয় জানতে হলে অবশ্যই সম্পূর্ণ
আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। তাহলে আসুন জেনে নিন তুলসী পাতার
উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।
খালি পেটে তুলসী পাতা খেলে কি হয়
প্রাচীনকাল থেকে এই তুলসী পাতা ব্যবহার করে আসছে মানুষেরা। এমন কি হিন্দুরা তাদের
বাড়িতে এই তুলসী গাছ রেখে দেয় সুন্দর করে। এই তুলসী গাছে রয়েছে অনেক বিশেষগুণ
ও উপকারিতা।এই তুলসী পাতা খেলে একজন মানুষ বুঝতে পারবে তার উপকারগুলো। তুলসী পাতা
আয়ুর্বেদ সমৃদ্ধ। এই তুলসী পাতা যদি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খাওয়া যায়
তাহলে ছোট বড় রোগব্যাধি সম্পূর্ণভাবে দূর হয়ে যাবে। এর আরো উপকারিতা রয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক খালি পেটে তুলসী পাতা খেলে কি
হয়।
এই তুলসী পাতা আয়ুর্বেদ ঔষধ হিসেবে অনেক আগে থেকে পরিচিতি পেয়ে আসছে। তাইতো
নিয়মিত তুলসী পাতা খেলে যে একাধিক রোগের ফাঁদ থাকে এগুলো এড়িয়ে যাওয়া যায়।
বিশেষজ্ঞের বলে তুলসী পাতায় রয়েছে অত্যন্ত উপকারী কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং
ফ্ল্যাভনয়েডস। আর এই দুই উদ্ভিজ্জ উপাদানের গুণে আমাদের শরীর অনেক সুস্থ ও সবল
থাকে। এমনকি কোনো বড় ধরণের রোগব্যাধি আমাদের আক্রমণ করতে পারে না।
তুলসী পাতা খেলে শরীরের জ্বর সম্পূর্ণভাবে সুস্থ করে দেয়। এই তুলসী পাতা
গুনাগুন অনেক বেশি যার ফলে বিভিন্ন ঔষধ হিসেবে কাজ করে। আপনি প্রতিদিন সকালে উঠে
খালি পেটে তিন থেকে চারটি পাতা নিয়ে চিবিয়ে রস করে খান তাহলে অনেক উপকার পেয়ে
যাবেন। তাই খালি পেটে তুলসী খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন এতে করে আপনার শরীর অনেক
সুস্থ থাকবে। খালি পেটে তুলসী পাতা খেলে কি হয় এর একাধিক গুনাগুন সম্পর্কে জেনে
নেওয়া যাক।
পেটের সমস্যা দূর করতে আপনার পেটে কি রোজ রোজ গ্যাসের সমস্যা হয়।
যদি আপনার এরকম সমস্যা হয় তাহলে আপনি প্রতিদিন সকালে উঠে খালি পেটে কয়েকটি
তুলসী পাতা নিয়ে পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে চিবিয়ে খান। তাহলে এতে করে দেখবেন যে
পেটের সমস্যা করবে না। কারণ তুলসি যে রয়েছে কিছু উপাদান যা পেটের পিএইচ লেভেল
স্বাভাবিক রাখতে অনেক বেশি সাহায্য করে।
সেজন্য এই গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে এই তুলসী পাতা অনেক কার্যকারী। সেই
সঙ্গে হজম ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করতে কাজে দেয়। এইগুলো সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে তুলসী
পাতার সাথে বন্ধুত্ব করে নেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
সুগার থাকবে নিয়ন্ত্রণে অনেক মানুষ রয়েছে হাই সুগারে ভুগছেন। এটি
একটি জটিল অসুখ। এই অসুখ নিয়ন্ত্রণে না রাখলে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক,
নিউরোপ্যাথি, আরো ইত্যাদি একাধিক জটিল রোগের সম্ভাবনা দেখা দিবে। সেজন্য আমাদের
এই সুগারকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। এই সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে তুলসী পাতার
কার্যকারিতা অপরিসীম।
কারণ তুলসীতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা ইনসুলিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়াতে অনেক বেশি
সাহায্য করে। যার ফলে রক্তের যে শর্করারের মাত্রা থাকে সেটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে
বাধ্য করে। তাই সুগার রোগীরা প্রতিদিন সকালে তুলসী পাতা খাওয়ার অভ্যাস তৈরি
করুন। তাহলে আপনার সুগার নিয়ন্ত্রণ আসবে।
জ্বর সর্দি কাশি এই জ্বর সর্দি কাশি এই জিনিসটা বেশিরভাগ মানুষেরই
হয়। জ্বর সর্দি কাশির মতো সমস্যা হলে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। কারণ
আপনার বাড়ির পাশেই এই জ্বর সর্দি কাশির সমস্যা সমাধান লুকিয়ে রয়েছে সেটি হচ্ছে
তুলসী পাতা। এই তুলসী পাতা বিশেষ করে সর্দি জ্বর কাশি খুব উপকারী। প্রতিদিন
কয়েকটি পাতা নিয়ে এসে রস করে খেলে এই জ্বর সর্দি কাশি সব দূর হয়ে যাবে।
ওজন কমাতে নিয়মিত খালিপেটে তুলসী পাতা খাওয়া শুরু করে দিন। তাহলে
এতে করে আপনার ওজন অনেক কমে যাবে। কারণ তুলসীতে রয়েছে এন্টি অক্সিডেন্ট যা
বিপাকের হাড় বাড়ানোর কাজে লাগে।
শিশুদের তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম
প্রকৃতির নিয়মে এই বসন্ত নেমে আসছে। এই ঋতু পরিবর্তনের ফলে অনেক সময় অনেকেরই
নানা রোগে আক্রান্ত হন। শুধু শিশু নয় ঋতু পরিবর্তনের সময় নানা রোগে আক্রান্ত
হয়ে পড়ে বড় মানুষও। এই জন্য এইগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভরসা রাখতে
পারেন তুলসির ওপর। এই তুলসী পাতা অনেক উপকারী।
বিশেষজ্ঞরা বলেন ঋতু পরিবর্তনের ফলে সর্দি-কাশি, জ্বর, গলা, ব্যাথা, ঠান্ডাজড়িত, যতগুলো সমস্যা রয়েছে এই
সমস্যার ঔষধ হচ্ছে তুলসী। তুলসী পাতার গাছ বিভিন্ন রোগ নিরাময় করে দিতে পারে। এই তুলসী পাতা রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি
কমায়। এছাড়াও বিভিন্ন সময় মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা কমাতে। মুখের স্বাস্থ্য
ভালো রাখতে শ্বাসকষ্ট সমস্যা দূর করতে এই তুলসী অনেক কার্যকারী। এই তুলসী পাতা
সাইনোটাইসিস ও মাথা ব্যাথা খুব দ্রুত দূর করে দেয়।
শুধু যে ঋতু পরিবর্তনের সময় শিশুকে তুলসী পাতা খেতে হবে এমন না। বিভিন্ন সময়
শিশুদের জ্বর সর্দি কাশি ঠান্ডাজনিত রোগ হয়ে থাকে। সেজন্য এইটা সবসময় নিয়মিত
খাওয়ানো উচিত। এতে করে সকল রোগগুলো নিমিষেই দূর হয়ে যাবে। এর কার্যকারিতা
বাড়াতে কয়েকটি বিশেষ নিয়মে শিশুকে তুলসী পাতা খাওয়াতে পারেন। যেমনঃ-
- তুলসী পাতা রসের সঙ্গে একটু মধু মিশিয়ে নিয়ে খাওয়াতে পারেন।
- তুলসী পাতার সাথে এক টুকরো আদা নিয়ে শীলপাটাই পিষে নিতে হবে। এরপর এইগুলো করে নিয়ে দিনে দুইবার করে খাওয়াতে হবে প্রতিদিন তাহলে শিশু সুস্থ হয়ে যাবে।
- পানি গরম করে তার মধ্যে একটু কুচি করে আদা দেন। তারপর তুলসী পাতা ও দারুচিনি গুড়া দেন। এরপর এই বিশেষ পানি শিশুকে খাওয়াতে পারেন। তাহলে শিশু খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবে।
- তুলসী পাতা রস করে নিয়ে সেই রসের সাথে অল্প কিছু পরিমাণ গুড় মিশিয়ে শিশুকে খাওয়াতে পারেন। নিয়মিত এই পাতার রস খাওয়ানোর অভ্যাস করলে শরীর সুস্থ থাকবে। পাশাপাশি সর্দি-কাশি জ্বর গলা ব্যথা ঠান্ডাজনিত যেগুলো সমস্যা সব দূর হয়ে যাবে। তাই পরিবারের সকলের নিয়মিত তুলসী পাতা খাবেন ও শিশুকে খাওাবেন।
তুলসী পাতার উপকারিতা
তুলসী পাতার উপকারিতা সম্পর্কে বলতে গেলে অনেক গুনাগুন বলা যায়। তুলসী পাতা
এমন একটি ঔষধি গুনাগুন যে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ দূর করতে এই তুলসী পাতার
ব্যবহার হয়ে থাকে। এই পাতায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং এন্টি
ইনফ্লেমেটরি উপাদান। এগুলো হলো কোনো মারাত্মক রোগ যদি হয়। যেমন ডায়াবেটিস,
হৃদরোগ, ক্যান্সার, ইত্যাদি বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে পারে এই তুলসী পাতা।
হাজার হাজার বছর ধরে ওষুধের তালিকায় যুক্ত হয়ে আছে। চলুন তাহলে জেনে নিন
তুলসী পাতার কিছু উপকারিতা সম্পর্কে।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে ক্যান্সার একটি ভয়াবহ রোগ। এ রোগে
আক্রান্ত হলে মানুষ মৃত্যুর মুখে ঢেলে পড়ে। এই ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কাজ
করতে অনেক কার্যকারী এই তুলসী পাতা। এই পাতায় রয়েছে রেডিওপ্রটেকটিভ উপাদান।
যা টিউমারের কোষগুলোকে ধ্বংস করতে সাহায্য করে। এই তুলসী পাতা আপনি নিয়মিত
খেলে ক্যানসার থেকে রক্ষা পাবেন।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় তুলসী পাতা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
বাড়াতে অনেক বেশি সাহায্য করে। ফুসফুসের সমস্যা, অ্যাজমা ইত্যাদি সাথে
মোকাবেলায় কাজ করে এই পাতা তুলসী পাতা। জ্বর সরাতেও অনেক বেশি উপকারী এই
পাতা কুসুম কুসুম গরম পানিতে ফুটিয়ে সেই পানি পান করলে খুব সহজেই বিভিন্ন
রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ক্ষতস্থানে যদি তুলসী পাতা বেটে লাগানো হয়
তাহলে খুব দ্রুত সেরে উঠে।
ডায়াবেটিস দূরে রাখে আমাদের বাংলাদেশে অনেক মানুষের এই
ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে। এই ডাইবেটিস নিয়ন্ত্রণে তুলসী পাতার গুণাগুণ
অপরিসীম। এই তুলসী পাতায় ইনসুলিন উপাদান রয়েছে যার ফলে ডায়াবেটিস
নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন খাওয়ার আগে তুলসী পাতা খেলে রক্তের
সুগারের মাত্রা কমে আসে। তুলসী পাতা এন্টি ডায়াবেটিক ওষুধে কাজ করে। সেজন্য
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে তুলসী পাতা নিয়মিত খওয়ার চেষ্টা করুন।
সর্দি কাশি কমিয়ে দেয় এটি আমাদের খুব পরিচিত একটি অসুখ। সর্দি
কাশি জ্বর ঠান্ডাজনিত যে সকল রোগগুলো রয়েছে সেই রোগ থেকে এই তুলসী পাতা
মুক্তি দিয়ে থাকে। সর্দি কাশি এই জিনিসটা খুব বেশি শরীরে আক্রমণ করে থাকে। এই
সর্দি কাশি সরাতে খুব দ্রুত কাজ করে এই তুলসী পাতা। তুলসী পাতার রস আপনি
প্রতিদিন খেলে।
আপনার সর্দি কাশি জ্বর অথবা ঠান্ডাজনিত কোন কিছু আপনাকে আক্রমণ করতে পারবে
না। বুকে কফ বসে গেলে প্রতিদিন সকালে তুলসী পাতা আদা ও চা পাতা ভালোভাবে
ফুটিয়ে তার সাথে একটু মধু ও লেবু মিশিয়ে খেলে খুব দ্রুত উপকার পাবেন।
তুলসী পাতার অপকারিতা
তুলসী পাতার উপকারিতা অনেক রয়েছে কিন্তু এর অপকারিত রয়েছে এটা কি জানেন।
তাহলে চলুন জেনে নিন। তুলসী পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা জানা অতান্ত
জরুরী। আজকাল অনেক মানুষ তুলসী পাতা সেবন করেন। বিশেষ করে করোনা ধাক্কার পর
অনেকেই তুলসী খাচ্ছেন নিয়ম করে। কিন্তু অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে এর কিছু
অপকারিতা বিষয়ে।
তুলসী পাতা যদি আপনি অতিরিক্ত মাত্রায় খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার সমস্যা হতে
পারে। আয়ুর্বেদ ওষুধ হিসেবে এই তুলসী পাতাকে ব্যবহার করা হয়। বেশি তুলসী
খেলে শরীরে কিছু ক্ষতি হতে পারে চলুন তাহলে কি কি ক্ষতি হতে পারে জেনে নিন।
রক্ত পাতলা করে আপনি যদি অতিরিক্ত মাত্রায় তুলসী পাতা খেয়ে
থাকেন। তাহলে আপনার রক্ত পাতলা হয়ে যেতে পারে। তুলসী পাতায় এমন বৈশিষ্ট্য
পাওয়া যায় যা রক্তকে পাতলা করে দেয়। এটা নিশ্চয়ই আপনার জন্য ক্ষতিকর।
সেজন্য অতিরিক্ত পরিমাণ না খাওয়াটাই ভালো।
গর্ভবতী মহিলা আপনি যদি একজন গর্ভবতী নারী হয়ে থাকেন তাহলে
আপনার তুলসী পাতা খাওয়া উচিত হবে না। তুলসী পাতায় রয়েছে ইউজেনল নামক একটি
উপাদান। গর্ভাবস্থায় যদি আপনি তুলসী পাতা খান তাহলে আপনার পিরিয়ডস
শুরু হতে পারে। আবার ডায়রিয়া হলেও সমস্যা দেখা দিতে পারে।
তুলসী পাতার ক্ষতিকর দিক
পূর্বে আমরা জেনেছি যে তুলসী পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। এখন
জানবো তুলসী পাতার ক্ষতিকর দিক গুলো সম্পর্কে। দাঁতের জন্য ক্ষতিকর এই
তুলসী। তুলসী পাতায় পারদ ও আয়রনের মাত্রা খুব বেশি থাকার কারণে দাঁতের
ক্ষতি হতে পারে।
তুলসী পাতা চিবিয়ে খাওয়ার সময় মিনারেল গুলো নির্গত হয় যা দাঁতের ক্ষয়
করে ও ছোপ ফেলে দেয়। তুলসী পাতায় রয়েছে কিছুটা এসিডিক আবার মুখমন্ডলের
ক্ষারক জাতীয়। এর জন্য তুলসী পাতা চিবিয়ে খাওয়ার সময় দাঁতের যে এনামেল
থাকে সেটি নষ্ট করে দিতে পারে।
তুলসী পাতায় পারদ ও আয়রন থাকার কারণে দাঁতের পক্ষে ভালো নয়। এই পাতা
চিবানোর সময় পারদ মুখে চলে যাওয়ার ফলে দাতেঁর ক্ষতি করতে পারে। সেজন্য এই
তুলসী পাতা খাওয়ার সময় একটু লক্ষ্য রাখা উচিত। এই তুলসী পাতায় সামান্য
পরিমাণে এসিড রয়েছে যা দাঁতে ব্যথা করতে পারে। সুতরাং আয়ুর্বেদে তুলসী
চিবানো নিষিদ্ধ বলা হয়েছে।
মধু ও তুলসী পাতার উপকারিতা
মধু ও তুলসী পাতার উপকারিতা জানা দরকার। এর পাশাপাশি তুলসী পাতার উপকারিতা
ও অপকারিতা সম্পর্কেও আমাদের জানা প্রয়োজন যা আমরা উপরে আলোচনা করেছি। আমরা
অনেকেই জানিনা যে মধু ও তুলসী পাতা উপকারিতা গুলো কি কি।
চলুন তাহলে জেনে নিন। মধু ও তুলসী পাতার মধ্যে রয়েছে অনেক স্বাস্থ্যকর
গুনাগুন যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অনেক বেশি সাহায্য করে। এছাড়াও
মধু ও তুলসী একটি চমৎকার ঘরোয়া উপাদান যা কাশি কমানোর জন্য ব্যবহার করা
হয়।
তুলসী ও মধুর মধ্যে আছে এন্টিবায়োটিক উপাদান। যা আমাদের শরীরের এনার্জি
কমাতে অনেক বেশি সাহায্য করে। এছাড়াও মধু ও তুলসী পাতার মধ্যে অনেক
উপকারিতা আছে যেটা আমাদের জানা প্রয়োজন। যেগুলো আমরা নিচে সুন্দর করে
পয়েন্ট আকারে আলোচনা করেছি।
হৃদপিণ্ডকে ভালো রাখে মধু ও তুলসী পাতা আমাদের শরীরে
হৃদপিণ্ডকে ভালো রাখতে অনেক বেশি সাহায্য করে। মধু ও তুলসী পাতা সাধারণত
আমাদের শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয় এবং শরীরের যে রক্ত চলাচল
করে সেটার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করে। আমাদের যাদের হার্ট অ্যাটাক
হওয়ার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে তারা মধু ও তুলসী পাতা খেতে পারেন এতে করে
অনেক কমে যায়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় মধু ও তুলসী পাতার মধ্যে যে ভিটামিন রয়েছে সেটা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অনেক বেশি কাজে
দেয়। এছাড়াও কয়েক হাজার বছর ধরেই এই ওষুধটি ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
এলার্জি কমায় যাদের অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে তাদের মধু ও
তুলসী পাতা খাওয়া ভালো। মধু ও তুলসী পাতার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক
নামক উপাদান। যা আমাদের ত্বকের প্রশমিত করে এবং এনার্জি কমাতে সাহায্য করে
সেজন্য এইটা খাওয়া খুব ভালো।
ঠান্ডা থেকে রক্ষা করে মধু ও তুলসী আমাদের ঠান্ডা থেকে সুরক্ষা
করতে সাহায্য করে। এটি বিভিন্ন ধরনের ভাইরাসের আক্রমণ থেকেও শরীরকে রক্ষা
করতে পারে।
কিডনিতে পাথর কিডনিতে পাথর দূর করার জন্য অন্যতম ওষুধ হচ্ছে
তুলসী পাতা। এই তুলসী পাতা ও মধু মিশ্রণ করে খেলে কিডনিতে পাথর থেকে মুক্তি
দেয়। এই মধু ও তুলসী পাতা আমাদের শরীরে বিভিন্ন বিষাক্ত পদার্থকে সরিয়ে
দিয়ে কিডনিতে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে।
অকাল বার্ধক্য কমায় আপনি যদি অকাল বার্ধক্য থেকে বাঁচতে চান
তাহলে এই মধু ও তুলসী পাতা খেতে পারেন। এই মধু ও তুলসী পাতা রয়েছে
অ্যান্ডি অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন যা আপনার শরীরের অকাল বার্ধক্য থেকে
বাঁচিয়ে তুলতে অনেক বেশি সাহায্য করবে।
সেজন্য আপনার অবশ্যই মধু ও তুলসী পাতা খাওয়াটা উচিৎ বলে আমি মনে করি।
তুলসী পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমরা উপরে বিস্তারিত আলোচনা
করেছি। যেটা থেকে আপনি অনেক উপকৃত হবেন।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে আশা করি তুলসী পাতার উপকারিতা ও
অপকারিতা এবং তুলসী পাতার ক্ষতিকর দিক সে ব্যাপারে একটি সুস্পষ্ট ধারণা
দিতে সক্ষম হয়েছি। আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে
অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এই আর্টিকেলটি বন্ধুদের
সাথে শেয়ার করলে আপনার বন্ধুরাও জানতে পারবে। তাই দেরি না করে আপনার
বন্ধুদের সাথে আর্টিকেলটি শেয়ার করুন।
এই রকম আরো আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। এই
আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার কোনো মতামত জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই
কমেন্ট করে সেটা জানিয়ে যাবেন। (ধন্যবাদ) আসসালামু আলাইকুম।
এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url