প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া কমানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া কমানোর উপায় সম্পর্কে আপনার যদি না জানা থাকে। তাহলে আজকের এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিন। আমরা সবাই প্রস্রাব করে থাকি। কিন্তু প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া কেন হয় এই সম্পর্কে আমাদের তেমন কোনো ধারণা নেই। যা আজকে আলোচনা করব। তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন।
প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া কমানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন। তাহলে প্রসাবে জ্বালাপোড়া ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে জেনে যাবেন। এইগুলো সম্পর্কে আমাদের ধারণা রাখা অনেক দরকার। তাই দেরি না করে চলুন জেনে নেয়া যাক বিষয়সমূহ।

ভূমিকা

প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া কমবেশি অনেক মানুষের হয়ে থাকে। বিশেষ করে ছেলের থেকে মেয়েদের এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। এইগুলো সমস্যা হওয়ার বিশেষ কারণ হচ্ছে যারা পানি কম পান করে তাদের এই সমস্যা বেশি হয়। প্রস্রাবের সময় ব্যথা, জ্বালাপোড়া, এইগুলো সাধারণত হয়ে থাকে। এটি কোন রোগ নয় এটি রোগের উপসর্গ। আমরা অনেকেই জানিনা যে প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া কামানোর উপায়গুলো সম্পর্কে। আজকে আমি বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি সকল বিষয়গুলো আপনি মনোযোগ সহকারে পড়বেন। 

প্রসাবে জ্বালাপোড়া কিসের লক্ষণ

প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া কমানোর উপায় জানতে হলে সকল বিষয় জানতে হবে। প্রসাবে জ্বালাপোড়া হওয়ার বিভিন্ন লক্ষণ থাকতে পারে। যেমন আপনার মূত্রনালীতে সমস্যা দেখা দিতে পারে অথবা মূত্রথলির সংক্রমণ হতে পারে। এছাড়াও প্রসবের জ্বালাপোড়া করলে কিডনিতে পাথরের লক্ষণ দেখা দিতে পারে। প্রসাবে জ্বালাপোড়া করা যৌন রোগের লক্ষণ হতে পারে।

এতে করে অনেক সমস্যা মধ্যে পড়তে পারেন। প্রসাব করার পরে যখন আপনি বুঝতে পারবেন যে জ্বালাপোড়া করছে। তখন আপনাকে বুঝে নিতে হবে যে এই সকল রোগ হওয়ার লক্ষণ বা সম্ভাবনা রয়েছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক প্রসাবে জ্বালাপোড়া কিসের লক্ষণ।

  • শরীরে অতিরিক্ত ক্লান্তি বোধ আসে।
  • ঘন ঘন প্রসাবের চাপ আসা।
  • অনেক বেশি পরিমাণে প্রসাবের চাপ আসে কিন্তু অল্প প্রস্রাব হওয়া।
  • খাবারের রুচি কমে যাওয়ার ফলে এই সমস্যা দেখা দেয়।
  • বমি বমি ভাব দেখা দেয়। 
  • গন্ধযুক্ত হলুদ প্রসাব বের হওয়া।
  • প্রসবের সাথে রক্ত বের হতে পারে।

প্রস্রাবে জ্বালা আর ব্যথা হলে করনীয় কি?

প্রস্রাবে জ্বালা আর ব্যথা হলে করনীয় কি এর পাশাপাশি আমাদের প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া কমানোর উপায় গুলো সম্পর্কে জানতে হবে। আমাদের শরীরে যে অংশ দিয়ে প্রসাব বের হয় সেখানে জ্বালা আর বেথা করলে অনেক কষ্ট পেতে হয়। শরীরে যে প্রক্রিয়া চলে যার মাধ্যমে পায়খানা, প্রসাব, এবং ঘামের মধ্য থাকা জে ক্ষতিকর পদার্থ গুলো রয়েছে বের হয়ে চলে যায়। শরীরের এই প্রক্রিয়ার অন্যতম হলো মূত্রনালীজেয়াই প্রক্রিয়াটি শরীরের একটি প্রত্যঙ্গের সঙ্গে সম্পর্কিত। যার ফলে আমরা প্রসাব করতে পারি। এর সাহায্যে রক্ত পরিশ্রুত হয় এবং ইউরেথ্রার মাধ্যমে প্রস্রাবের মধ্য দিয়ে বিষাক্ত বজ্র পদার্থ নিষ্কৃত হয়ে যায়। 


প্রস্রাবের সময় যদি কোন যন্ত্রণা অনুভূতি হয় তাহলে তাকে প্রস্রাবের জ্বালা আর ব্যথা বলে চিহ্নিত করা হয়।এইগুলোর মধ্যে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে সাধারণত মূত্রনালী বা শ্রেণীদেশে সংক্রমণ শরীরের জলের অভাব, অথবা টিউমার, পাথর, রেডিওথেরাপি বা অ্যালার্জি এইগুলো কারণ থাকতে পারে। সবচেয়ে বেশি যেটা অনুভব করা যায় সেটা হচ্ছে প্রস্রাব শুরু করার সময় প্রস্রাবে জায়গায় প্রচন্ড যন্ত্রণা হয় এর ফলে অনেক বেশি কষ্ট মনে হয়। 

তবে এর সঙ্গে আরো কিছু উপসর্গ থাকতে পারে যেমন প্রস্রাব দুর্গন্ধ হওয়া, লাল হয়ে যাওয়া বা সেখানে অন্যান্য উপসর্গ। প্রস্রাবের সময় যে যন্ত্রণাটা হয় এইটা অনেক কষ্টদায়ক যন্ত্রণা। এই যন্ত্রণা প্রতিরোধ করার উপায় হল সুষম খাদ্য গ্রহণ করা, প্রচুর পানি পান করা। ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ধূমপান এবং মধ্যপান থেকে বিরত থাকা। বছরে অন্তত একবার শরীর চিকিৎসার পরামর্শ নিয়ে পরীক্ষা করা।
প্রস্রাবে জ্বালা আর ব্যথার কয়েকটি উপসর্গ নীচে আলোচনা করা হলো-

জ্বর যখন আপনার মূত্রনালী দিয়ে প্রচন্ড পরিমাণে যন্ত্রণাদায়ক প্রসাব বের হবে। তখন আপনার শরীরে তাপমাত্রা অনেক বেড়ে যেতে পারে। এতে করে আপনার শরীরে প্রচন্ড মাত্রাই জ্বর আসতে পারে আপনার জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে কাঁপুনিও হতে পারে।

ব্যথা আপনি লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন যে প্রসাব করার সময় যখন আপনার প্রচন্ড পরিমাণে ব্যাথা হয়। তখন আপনি প্রসাব করতে অনেক কষ্ট ও যন্ত্রণা পেয়ে থাকেন। প্রসাব শুরু সময় থেকে শেষ হওয়া পর্যন্ত আপনি ব্যাথা অনুভব করতে পারেন। অধিকাংশ সময় এই ব্যথা অনেক তীব্র ও যন্ত্রণাদায়ক হয়ে পড়ে।

প্রস্রাবের গন্ধ আপনার প্রস্রাবে অনেক পরিমাণে কড়া এবং বাজে দুর্গন্ধ পেতে পারেন।

ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া কিছুক্ষণ পর পর বেশি পরিমাণ প্রস্রাব পাবে কিন্তু সে সংখ্যায় অনেক কম প্রস্রাব হয় এবং জ্বালা আর ব্যথা সৃষ্টি হয়।

প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত বা ঘোলাটে রং প্রস্রাব করার সময় খেয়াল করলে দেখবেন যে ঘোলাটে রং এবং হলুদ বর্ণের প্রস্রাব বের হয় এবং রক্ত মিশে থাকলে তাতে লাল রঙের আভা দেখা যেতে পারে।

প্রসাবে জ্বালাপোড়া ঘরোয়া চিকিৎসা

যদি কোন কারণে প্রস্রাবের সমস্যা দেখা দেয় তাহলে সেখান থেকে আরও অন্যান্য নানা ধরনের রোগ জন্ম হতে পারে। এর ফলে অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে কারণ প্রস্রাবে আমাদের স্বাভাবিক শরীর ভিত্তি প্রক্রিয়া। কোন কারণবশত যদি কোন ভাবে ব্যাঘাত ঘটে তাহলে শরীরে পুরো কার্যকলাপের প্রভাব পড়ে। অনেকের ক্ষেত্রে প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া এবং ব্যথা সৃষ্টি হয়। 

প্রথমদিকে গুরুত্ব না দিলে পরবর্তীতে সে অনেক ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়ে পড়ে। সেজন্য আমাদের প্রস্রাবে যদি জ্বালাপোড়া দেখা দেয় তাহলে দ্রুত ঘরো উপায়ে সেটা সমাধান করতে হবে। প্রসবের মাধ্যমে দূষিত ক্ষতিকর যে পদার্থগুলো থাকে সেগুলো বের হয়ে যায়। কিডনি থেকে পানির মাধ্যমে প্রস্রাব তৈরি হয়। শরীরে যাবতীয় রেচন প্রদত্ত এই প্রস্রাবের মাধ্যমে বের হয়ে যায় ফলে আমাদের সুস্থ থাকা সহজ হয়। 

এই সমস্যাগুলো বেশিরভাগ পুরুষের থেকে নারীর বেশি দেখা যায়। সেজন্য এইগুলোতে সতর্ক থাকতে হবে উভয়কেই। আমরা পূর্বে জেনেছি যে প্রস্রাবে জ্বালা আর ব্যথা কেন হয় এখন জানবো প্রসাবে জ্বালাপোড়া ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে। তাহলে চলুন জেনে নিন ঘরোয়া উপায়গুলো। নিচে আমরা প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া কমানোর উপায় সম্পর্কে বলেছি। সম্পূর্ণ পড়লে বুঝতে পারবেন।

পানি পান করুন প্রতিদিন বেশি বেশি পানি পান করতে হবে কিন্তু পানি পান করার সঠিক নিয়ম জানতে হবে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে নিয়ম মেনে পানি পান না করলে প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি হয়। অনেক মানুষ রয়েছে পানি কম খেয়ে থাকেন। 

এইগুলো সমস্যা বেশি হবে পানি কম পান করলে প্রস্রাব কম হয়। তখন মূত্রনালীতে জীবাণুর বংশবিস্তারের সময় পেয়ে যায় ফলে অনেক ব্যথা এবং যন্ত্রণা সৃষ্টি হয়। তাই দিনে দুই থেকে তিন লিটার পানি পান করুন তাহলে এই যন্ত্রণা ও ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন। 

লেবু পানি পান করুন লেবুর রস মিশ্রিত পানি পান করলে শরীরের জন্য অনেক ভালো। প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া সমস্যা করলে লেবুর পানি পান করতে পারেন। এতে অনেক উপকার পাবেন প্রতিদিন সকালে হালকা গরম পানিতে এক চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। তারপর সেই পানিতে মিশ্রণ করার পর কয়েকদিন এই এইভাবে খান তাহলে সমস্যা দূর হয়ে যাবে।  

ডাবের পানি পান করুন ডাবের পানি আমাদের শরীরের বিভিন্ন উপকার কাজে লাগে। ডাবের পানি খেলে প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া দূর করতে খুব ভাল কাজ করে। শরীর ঠান্ডা রাখতে ডাবের পানি অনেক উপকারী। নিয়মিত ডাবের পানি পান করুন তাহলে শরীর অনেক সুস্থ থাকবে এবং জ্বালাপোড়া আর করবে না। ঘরোয়া উপায় মেনে চলার পর প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া না কমলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

শসার জুস খান প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া কমানোর আরেকটি কার্যকরী উপায় হচ্ছে শসা জুস খাওয়া। জুসে রয়েছে অনেক উপকারিতা যা একটি শরীরে ঠান্ডা করতে অনেক বেশি সাহায্য করে। প্রস্রাবে কোন জ্বালাপোড়া করলে এই শসার জুস খেলে খুব দ্রুত কাজ করে। 

প্রথমে শসার জুস তৈরি করে তার সাথে সামান্য পরিমাণে মধু ও লেবু রস মিশে নিন। তারপর জুস বানিয়ে খেয়ে ফেলুন নিয়মিত খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে এতে করে আপনার সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

গুড়ের শরবত প্রস্রাবে যদি হলুদ বর্ণের রং হয় এবং জ্বালাপোড়া করে তাহলে গুড়ের শরবত পান করুন এতে করে জ্বালাপোড়া কমাতে অনেক সাহায্য করবে।

প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া কমানোর উপায়

আগে আমরা জেনেছি প্রসাবের জ্বালাপোড়া ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে। এখন আমরা জানবো প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া কমানোর উপায় সম্পর্কে। বেশি পরিমাণে যদি জ্বালাপোড়া করে তাহলে প্রচুর পরিমাণ পানি পান করুন। এতে করে আপনার অনেক জ্বালাপোড়া কমে যাবে। যদি পারেন গুড়ের শরবত বানিয়ে খেতে পারেন। তাহলে প্রস্রাবের হলুদ বর্ণের রং এবং জ্বালাপোড়া অনেক কমে দিতে সাহায্য করবে। 

লেবুর রস পান করতে পারেন এতে করে আপনার শরীর সতেজ ঠান্ডা এবং জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তি দিবে। দই শরীরের জন্য অনেক ভালো। দই শরীরকে অনেক ঠাণ্ডা রাখে। দই খেতে পারেন এটি শরীরের পি এইচ এর ভারসাম্য রক্ষা করে। আমরা অনেকেই জানিনা প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া কমানোর উপায় এগুলো যদি আপনি নিয়ম মতো খেতে পারেন তাহলে আপনার প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া অনেক কমে যাবে আশা করি।

প্রসাবে জ্বালাপোড়া কমানোর ঔষধ

আমরা পূর্বে জেনেছি যে প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া কমানোর উপায় সম্পর্কে। এখন জেনে নিবো প্রসাবে জ্বালাপোড়া কমানোর ঔষধ সম্পর্কে। প্রস্রাবে জ্বালাপোড়ার সমস্যা থাকলে সেটা কমানোর জন্য কোন ধরনের ওষুধ ব্যবহার করলে ভালো হবে সেটা জানতে এসে অনেক ভালো করেছেন। কারণ এখানে প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া কমানো ওষুধ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তাহলে চলুন দেরি না করে  জেনে নিন বিষয়সমূহ।

সাধারণত এই প্রস্রাবের জায়গায় যদি কোন ধরনের ইনফেকশন হয়ে থাকে তাহলে সেটার কারণে অনেক জ্বালাপোড়া হতে পারে। এই জ্বালাপোড়া হওয়ার প্রধান কারণ পানি কম খাওয়া। খাদ্য গ্রহণের পর অল্প পরিমাণ পানি খেলে এ ধরনের সমস্যা হয়। সেজন্য খাদ্য গ্রহণের শেষে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে এতে করে কোন জ্বালাপোড়া সমস্যা দেখা দিবে না। 

এই সমস্যা যদি ইনফেকশনের কারণে হয়ে থাকে তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেলে আশা করি খুব দ্রুত সমাধান পাবেন। আমাদের সমাজে কিছু কিছু মানুষ রয়েছে সকাল দুপুর রাত খাদ্য গ্রহণের পর অল্প পানি পান করে। 

এইজন্য এগুলো মানুষের বেশি সমস্যা দেখা দেয়। খাদ্য গ্রহণ করার পর খাদ্যকে হজম করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খেতে হয়। কারণ পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খেলে শরীর সুস্থ থাকে ও জ্বালাপোড়া কমে যায়।


প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া কমানোর ওষুধ হচ্ছে সাধারণত পানি। আপনি খাদ্য গ্রহণের পর পর্যাপ্ত পানি পান করুন এতে করে আপনার জ্বালাপোড়া অনেক কমে যাবে। এর পাশাপাশি আপনি যদি খাবারের তালিকায় দই, ডাবের পানি, শসার জুস, প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি, এগুলো রাখতে পারেন। তাহলে এইগুলো খেলে আপনার শরীর সুস্থ থাকবে এবং প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া দূর হবে।

রাতে ঘন ঘন প্রস্রাবের কারণ কী? 

আমরা উপরের দিকে প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া কমানোর উপায় সম্পর্কে আলোচনা করেছি। এখন জেনে রাতে ঘন ঘন প্রস্রাবের কারণ কী এগুলো বিষয়ে। ঘন ঘন প্রস্রাবের ফলে অনেক মানুষ অনেক সমস্যায় ভোগেন বিশেষ করে বয়স্কদের মধ্যে এই সমস্যাটা বেশি দেখা যায়। 

আবার অন্তঃসত্ত্বারাও এ সমস্যায় ভোগেন। আপনি জেনে রাখুন যে ডায়াবেটিসের একটি অন্যতম লক্ষণ হল ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া এ সমস্যার কারণেও হতে পারে। একজন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তি দিনে ৪ থেকে ৮ বার মুত্রত্যাগ করে থাকেন। 

কিন্তু এর বেশি যদি মূত্রত্যাগ করেন তাহলে এইটা ঘন ঘন প্রস্রাবের লক্ষণ। বিভিন্ন বয়সের মানুষের প্রস্রাবের স্বাভাবিক পরিমাণ বিভিন্ন রকম হতে পারে। তবে স্বাভাবিক অবস্থায় একজন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির প্রস্রাবের পরিমাণ ২৪ ঘন্টায় ৩ লিটার বা এর অধিক হলে তা অস্বাভাবিক দেখা দেয়। চিকিৎসার পরিভাষায় একে বলা হয় পলিইউরিয়া। 

ঘনঘন প্রস্রাবে অনেক সমস্যা দেখা দেয়। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে ঘনঘন প্রস্রাবের মূল কারণ হচ্ছে অতিরিক্ত পরিমাণে পানি পান করা। একে বলা হয় সাইকোজেনিক পলিডিপসিয়া। কিছু ক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেও প্রস্রাব হতে পারে এটা তেমন কোন সমস্যা নয়। কিন্তু ঘন ঘন প্রস্রাবের কারণে অনেক সময় রোগ বাসা বাঁধতেও পারে জেনে নিন সেগুলো কি কি।

  • ডায়াবেটিস ছাড়া আরো অন্যান্য কারণে ঘন ঘন প্রস্রাব হয়।
  • গর্ভাবস্থায় প্রথম দিক ও শেষের দিকে এ সমস্যা হয়ে থাকে।
  • মূত্রনালী অথবা মূত্রথলি সংক্রমণ এর কারণে হতে পারে।
  • প্রচেস্ট গ্রন্থির সমস্যার কারণে বয়স্ক মানুষের ঘন ঘন প্রস্রাব হয়ে থাকে।
  • রক্তের ক্যালসিয়াম অথবা পটাশিয়ামের তারতম্য হলে ঘন ঘন প্রস্রাব হতে পারে।
ঘন ঘন প্রস্রাব অথবা অধিক পরিমাণে প্রস্রাব এটা কোন রোগের লক্ষণ নয়। কিন্তু এইটা রোগের উপসর্গ মাত্র। এর কারণে শরীরের পানির শূন্যতা দেখা দেয়। আবার সোডিয়াম এর ভারসাম্যহীনতার সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই এই ধরনের সমস্যা যদি আপনি আক্রান্ত হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই ডাইবেটিস বা অন্যান্য সমস্যা আছে কিনা সেটা ভালো চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নেওয়া অনেক জরুরী।

লেখকের মন্তব্য 

প্রিয় পাঠক সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে আশা করি প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া কমানোর উপায় এবং প্রসাবে জ্বালাপোড়া ঘরোয়া চিকিৎসা সে ব্যাপারে একটি সুস্পষ্ট ধারণা দিতে সক্ষম হয়েছি। আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এই আর্টিকেলটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করলে আপনার বন্ধুরাও জানতে পারবে। তাই দেরি না করে আপনার বন্ধুদের সাথে আর্টিকেলটি শেয়ার করুন।

এই রকম আরো আর্টিকেল পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট। এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার কোনো মতামত জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে সেটা জানিয়ে যাবেন। (ধন্যবাদ) আসসালামু আলাইকুম।  

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪