টাইফয়েড জ্বর ভালো করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
টাইফয়েড জ্বর ভালো করার উপায় সম্পর্কে আপনার যদি না জানা থাকে। তাহলে আজকের এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিন। আপনাদের অনেকেরই টাইফয়েড জ্বর হয়ে থাকে। কিন্তু টাইফয়েড জ্বর ভালো করার যে উপায় রয়েছে সেটা সম্পর্কে আপনাদের হইত তেমন কোনো ধারণা নেই। সেজন্য আমি আজকে একটি সঠিক ধারণা দেয়ার চেষ্টা করবো। তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন। তাহলে শিশুর টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ, টাইফয়েড জ্বর ভালো করার উপায়, টাইফয়েড জ্বরের ইনজেকশনের দাম কত?, টাইফয়েড জ্বরের ইনজেকশন এর নাম, টাইফয়েড জ্বর হলে কি গোসল করা যায়, টাইফয়েড জ্বর হলে কি কি খাওয়া উচিত, এই সকল বিষয়ে সঠিক ধারণা পেয়ে যাবেন।
ভূমিকা
আমাদের দেশের টাইফয়েডে আক্রান্ত রোগীর অভাব নেই। টাইফয়েড এমন একটি সমস্যা যে সমস্যা শরীরের আরো বিভিন্ন সমস্যা তৈরি করে। এই টাইফয়েড জ্বর যদি ভালো না হয়। তাহলে মৃত্যুর ঝুঁকি পর্যন্ত হয়ে থাকে। সেজন্য আজকের এই আর্টিকেলে টাইফয়েড জ্বর ভালো করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। যদি আপনার এই সমস্যা থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আজকের এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিবেন। তাহলে দ্রুত টাইফয়েড জ্বর ভালো করতে পারবেন। এছাড়াও এই আর্টিকেলে শিশুর টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ এই বিষয়েও আলোচনা করা হয়েছে। তাই আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে পড়ুন। তাহলে আপনি সমস্ত কিছু খুব ভালোভাবে জানতে ও বুঝতে পারবেন।
টাইফয়েড জ্বর হলে কি কি খাওয়া উচিত
আমরা অনেকেই টাইফয়েড জ্বর হলে কি কি খাওয়া উচিত এই সম্পর্কে জানিনা। টাইফয়েড জ্বর হলে অনেক সময় অনেক কষ্টের মধ্যে থাকতে হয়। এই সময় কি কি খাবার খেলে আপনার খুব দ্রুত টাইফয়েড জ্বর ভালো হবে সে খাবারগুলো অবশ্যই জানা প্রয়োজন। সেজন্য আজকে আমি টাইফয়েড জ্বর হলে কি কি খাওয়া উচিত এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। যদি আপনার এই সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। চলুন তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে আপনার সমস্যার সমাধান গুলো ব্যাখ্যা করা যাক।
টাইফয়েড হলে শরীরে অনেক বেশি পানির অভাব দেখা দেয়। কারণ এই সময় এই রোগের কারণে ডায়রিয়ার সমস্যা দেখা দেয়। যার ফলে শরীরে প্রচুর পরিমাণে পানির অভাব হয়ে যায়। সেজন্য আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে। যদি ডাবের পানি খেতে পারেন তাহলে আরও ভালো হয়। এছাড়াও বিভিন্ন ফলের শরবত, জুস, এগুলো খেলেও পানির ঘাটতি পূরণ হয়। টাইফয়েড জ্বর হলে আপনাকে দুগ্ধজাত খাবার বেশি বেশি খেতে হবে।
কারণ এই জ্বরের কারণে শরীর অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই যত বেশি পারবেন দুধ জাতীয় খাবার খাবেন। এতে করে শরীর দুর্বলতা কেটে যাবে। এর পাশাপাশি তুলসী, লবঙ্গ, গোলমরিচ, এগুলোও খেতে পারেন। কারণ লবঙ্গ ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। সেজন্য এই লবঙ্গ খেতে পারেন। তুলসী খেলে আপনার অনেক উপকার হবে। কারণ তুলসীতে অনেক ঔষধি গুনাগুন রয়েছে যা আপনার শরীর সুস্থ করতে সাহায্য করবে। এগুলো অনেক কার্যকরী সেজন্য অবশ্যই এগুলো খাবেন।
টাইফয়েডের আক্রান্ত রোগীরা অনেক সমস্যার মধ্যে থাকতে হয়। তাদের সব সময় মাথায় পানি দিতে হয়। এই রোগীদের কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার খাওয়াতে হয়। কারণ এই রোগীদের শরীরে পুষ্টি অনেক অভাব হয় এর ফলে শরীর অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে। সেজন্য কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খেলে রোগীর হজম করতে কোনও সমস্যা হয় না। এছাড়াও শরীরে অনেক পুষ্টি পায় এবং দুর্বলতা সেরে ওঠে। টাইফয়েড রোগীদের স্বাস্থ্য খুব দ্রুত আগের অবস্থায় নিয়ে আসার জন্য ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়ানো অত্যন্ত জরুরী।
মিষ্টি আলু, ঘি, দই, মাখন, পিনা বাটার, খেজুর ইত্যাদি ক্যালোরিযুক্ত খাবার বেশি বেশি খাওয়ানো প্রয়োজন। টাইফয়েড আক্রান্ত হলে এই সকল খাদ্যগুলো খেলে খুব দ্রুত সেরে উঠে। এই সময় রোগীকে হালকা ভাবে খাবার গ্রহণ করা প্রয়োজন। যাতে করে রোগীর পেটের ওপর বাড়তি কোনো চাপ সৃষ্টি না হয়। এছাড়াও ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ সেবন করাটা অত্যন্ত জরুরী। আশা করি টাইফয়েড জ্বর হলে কি কি খাওয়া উচিত সেই সম্পর্কে সঠিক একটি ধারণা পেয়েছেন।
টাইফয়েড জ্বর হলে কি গোসল করা যায়
পূর্বে আমরা আলোচনা করেছি যে টাইফয়েড জ্বর হলে কি কি খাওয়া উচিত এই সম্পর্কে এখন আমরা আলোচনা করব যে টাইফয়েড জ্বর হলে কি গোসল করা যায় এইটা সম্পর্কে চলুন। অনেকেই মনে প্রশ্ন জাগে যে গোসল করানো যাবে কি না। বন্ধুরা চিন্তার কোনো কারণ নেই। আজকে আমরা আপনার সমস্যার সঠিক সমাধান নিয়ে চলে এসেছি। তাই চলুন আর দেরি না করে টাইফয়েড জ্বর হলে কি গোসল করা যায় এই সমস্যার সঠিক সমাধান জেনে নিন।
অনেক মানুষ রয়েছে যারা টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়ে রয়েছে। টাইফয়েডে আক্রান্ত রোগীরাই বুঝে কতটা কষ্টে দিনের পর দিন চলে যায়। সব সময় মাথায় পানি পড়তেই থাকে। যার হয় সেই একমাত্র বুঝে। আপনারা টাইফয়েড রুগীদের গোসল করা যাবে কি না এইটা নিয়ে চিন্তার মধ্যে রয়েছেন।কেউ কেউ বলে থাকে করানো যাবে। আবার কেউ কেউ বলে যাবে না। তবে এইটার সঠিক কথা হচ্ছে টাইফয়েড রোগীদের গোসল করানো যাবে। তবে এইটা আবশ্যকীয় না।
শরীর থেকে জ্বর কমানোর জন্য ঘাড় এবং কপালের পেছনে সুন্দর করে জলপট্টি দিতে পারেন। াতে করে রুগী অনেক আরাম পাবে। এছাড়াও কুসুম গরম পানিতে ভেজানো কাপড় দিয়ে সারা শরীর মুছে দিতে পারেন। তাহলে জ্বর অনেকটাই কমতে সাহায্য করবে। এই সময়ে ডাক্তারের অনুমতি ছাড়া ঠান্ডা পানিতে গোসল করানো যাবে না।
কারণ টাইফয়েড রোগীদের শরীর এমনিতেই দুর্বল হয়ে থাকে। সব সময় শরীরে জ্বর থাকে সেজন্য ঠান্ডা পানিতে গোসল করালে শরীরে আরো সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। সেজন্য ডাক্তারের অনুমতি নিয়ে তারপর গোসল করাবেন। আশা করি টাইফয়েড হলে কি গোসল করা যায় এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর পেয়ে গেছেন।
টাইফয়েড জ্বরের ইনজেকশন এর নাম
টাইফয়েড জ্বর হলে কি কি খাওয়া উচিত এবং টাইফয়েড জ্বর হলে কি গোসল করা যায় এই সম্পর্কে জানার পরে অনেকেরই মনে প্রশ্ন জাগে যে টাইফয়েড জ্বরের ইনজেকশনের নামগুলো কি কি। অনেক মানুষ রয়েছে যারা টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত। তবে কোন ইনজেকশন দিলে টাইফয়েড জ্বর থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া যায় এই সম্পর্কে হয়তো তেমন কোনো ধারণা নেই।
সেজন্য সঠিক ইনজেকশন খুঁজে বের করে দেওয়াটাই উচিত। টাইফয়েড জ্বরের জন্য কিছু ইনজেকশন রয়েছে। যে ইনজেকশন দিলে খুব দ্রুত জ্বর সেরে যাবে। তাই আমাদের সেই ইনজেকশনের নাম সম্পর্কে অবশ্যই জানতে হবে। চলুন তাহলে এখন সেই সকল ইনজেকশনের নাম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।
এই ইনজেকশনে প্রধানত দুইটি উপাদান দেখা যায়। যে উপাদান গুলো টাইফয়েড জ্বর দ্রুত ভালো করতে সাহায্য করে। প্রথমত সালমোনিয়া টাইফি Ty2 (Salmonella typhi)। এটি স্ট্রেন থেকে নিষ্কাশিত হয়ে থাকে। দ্বিতীয়ত Vi পলিস্যাকারাইড (polysaccharides)। এই ইনজেকশনের ডোজটি একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিকে দেয়া হয়। এছাড়াও দুই বছরের শিশু বা তার বেশি বয়সী শিশুদের জন্য ০.৫ মিলি আকারে এই ডোজটি দেওয়া হয়।
ভ্যাক্সফয়েড (Vaxphoid): ভ্যাক্সফয়েড হচ্ছে ইনট্রামাসকুলার ব্যবহারের জন্য অত্যন্ত ভালো। এটি একটি পরিষ্কার বর্ণহীন জীবাণুমুক্ত দ্রবণ। এই ইনজেকশনের প্রস্তুতিকারী কোম্পানির নাম হচ্ছে ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লি. (Incepta Pharmaceuticals Ltd.)। এই ইনজেকশনে দুটি উপাদান রয়েছে। প্রথমত সালমোনিয়া টাইফি Ty2 (Salmonella typhi)। এটি স্ট্রেন থেকে নিষ্কাশিত হয়ে থাকে। দ্বিতীয়ত Vi পলিস্যাকারাইড (polysaccharides)।
এই ইনজেকশনটি প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়াও যে শিশুগুলোর বয়স দুই বছর অথবা দুই বছরেরও বেশি বয়সী শিশুদের ০.৫ সুপারিশ করা হয়। আশা করি টাইফয়েড জ্বরের ইনজেকশন এর নামগুলো আপনি জানতে পেরেছেন। তবে এই ইনজেকশন ব্যবহার করার পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে তারপর ব্যবহার করবেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন। আপনি অনেক সুস্থ থাকেন এই কামনাই করি।
টাইফয়েড জ্বরের ইনজেকশনের দাম কত?
পূর্বে আমরা জেনেছি যে টাইফয়েড জ্বরের ইনজেকশন এর নামগুলো কি কি সেই সম্পর্কে। এখন আমরা জেনে নেব টাইফয়েড জ্বরের ইনজেকশনের দাম কত? অনেক মানুষ টাইফয়েড জ্বরের ইনজেকশন কিনতে যেতে কত টাকা দাম হতে পারে যানে না। তবে আপনি যদি সঠিক দাম না জানেন তাহলে অনেক টাকা আপনার থেকে নিতে পারে। তাই চলুন টাইফয়েড জ্বরের ইনজেকশনের দাম কত?জেনে নিন।
১। কোম্পানির নামঃ সাইনোভিয়া ফার্মা পিএলসি (Synovia Pharma plc)।
- ইনজেকশনের দামঃ ০.৫ মিলি প্রি ফিল্ড সিরিঞ্জ ৭৫০ টাকা থেকে ৮০০ টাকার মধ্যে।
- তবে এই ইনজেকশনের দাম কম বেশি হতে পারে। এইটা বাজারের উপর নির্ভর করে।
২। কোম্পানির নামঃ ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড (Incepta Pharmaceuticals Ltd.)।
- ইনজেকশনের দামঃ ০.৫ মিলি শিশি ৪৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে।
- তবে এই ইনজেকশনের দাম কম বেশি হতে পারে। এইটা বাজারের উপর নির্ভর করে।
এই ইনজেকশন কেনার আগে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে তারপর ইনজেকশন কিনবেন। কারণ টাইফয়েড জ্বরের ইনজেকশন বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির রয়েছে। ডাক্তার যেটা নিতে বলবে ওটাই নিবেন।
টাইফয়েড জ্বর ভালো করার উপায়
টাইফয়েড জ্বর ভালো করার উপায় সম্পর্কে অনেকেই হয়তো জানেন না। এই টাইফয়েড জ্বর হলে শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন পানি শূন্যতা, ডায়রিয়া ইত্যাদিসমূহ। এগুলো সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চাইলে অবশ্যই আমাদের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন। কারণ আজকে আমরা টাইফয়েড জ্বর ভালো করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। যদি আপনার এই সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। চলুন তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে টাইফয়েড জ্বর ভালো করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করি।
টাইফয়েড জ্বর থেকে বাঁচার জন্য একমাত্র উপায় হচ্ছে পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্নতা থাকা। আপনি যদি পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা থাকতে পারেন তাহলে খুব দ্রুত টাইফয়েডের হাত থেকে মুক্তি পাবেন। এছাড়াও চিকিৎসকরা টাইফয়েড হলে অ্যান্টিবায়োটিক খেতে বলে। তবে এই অ্যান্টিবায়োটিক দুই ধরনের রয়েছে একটি মুখে খাওয়া আর আরেকটি হচ্ছে ইনজেকশন।
- টাইফয়েড জ্বর খুব দ্রুত ভালো করার জন্য এই অ্যান্টিবায়োটিক অনেক কার্যকরী। এছাড়াও কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে সেগুলো যদি আপনি সঠিকভাবে অনুসরণ করতে পারেন। তাহলে খুব দ্রুত টাইফয়েড জ্বর থেকে মুক্তি পাবেন। চলুন তাহলে উপায় গুলো জেনে নিন।
- যদি আপনি খাবার রান্না করেন। তাহলে অবশ্যই সেটা ভালোভাবে সিদ্ধ করে খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
- টয়লেট ব্যবহার করার পর অবশ্যই আপনাকে সুন্দর করে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে। এতে করে রোগ জীবাণু আপনাকে আক্রমণ করতে পারবে না।
- যদি আপনার জ্বর অত্যন্ত বেশি হয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন। এছাড়াও যদি পারেন তাহলে ঠান্ডা পানিতে কাপড় ভিজিয়ে কপালে পট্টি করে দিতে পারেন। এতে করে অনেক আরাম পাবেন।
- রাস্তার আশেপাশে কোন ফুটপাতে খাবার অথবা পানি খাবেন না।
- আপনার সংরক্ষণ করা পানি যেন দূষিত না হয়। সেজন্য ২৪ ঘন্টার মধ্যে সেই পানি পান করবেন।
- ঠান্ডা পানিতে কখনোই গোসল করবেন না। যদিও করেন তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করে ঠান্ডা পানিতে গোসল করবেন। এছাড়া আপনি চাইলে হালকা কুসুম গরম পানিতে একটি গামছা ভিজিয়ে শরীর মুছতে পারেন। এতে করে আপনার শরীরের তাপমাত্রা অনেক কমে যাবে।
- রান্না করার সময় বেশি বেশি করে আদা ব্যবহার করবেন। কারণ আদাতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। যা আপনার শরীরের রক্তকে বিশুদ্ধ করতে সাহায্য করে।
- শাকসবজি ও ফলমূল এগুলো রান্না করার আগে অবশ্যই পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে নিবেন।
- বেশি বেশি পরিষ্কার পানি পান করুন। যদি পারেন তাহলে ফুটানো পরিষ্কার পানি পান করতে পারেন। এতে অনেক উপকার পাবেন। আশা করি টাইফয়েড জ্বর ভালো করার উপায় সম্পর্কে আপনি জানতে পেরেছেন।
শিশুর টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ
শিশুদের সাম্প্রতিক জ্বর এবং তীব্রতা শিশুদের অভিভাবককে ও চিকিৎসকদের উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।এই জ্বরের মধ্যে রয়েছে টাইফয়েড, ডেঙ্গু জ্বর, রক্ত আমাশয়, প্রস্রাবের সংক্রমণজনিত জ্বর। এই টাইফয়েড (পানি-বাহিত) রোগ সালমোনেলা টাইফি নামক একটি ব্যাকটেরিয়া রয়েছে সেটার মাধ্যমে হয়ে থাকে। বিশেষ করে ১০ থেকে ১৪ দিন পর জ্বর সহ অন্যান্য রোগের লক্ষণ দেখা যায়। পানিবাহিত এই সালমোনেলা জীবাণু দূষিত পানি ছাড়াও শরীরে বিভিন্ন সংক্রমিত হতে পারে।
এই টাইফয়েড যেকোনো বয়সের মানুষের হতে পারে। তবে যে শিশুগুলোর বয়স পাঁচ বছরের নিচে তাদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়াটা বেশি দেখা যায়। এছাড়াও জ্বরের পাশাপাশি পাতলা পায়খানা, বমি, মাথা ব্যাথা, পেট ফুলে যাওয়া, জিবের ওপর সাদা প্রলেপ পড়তে দেখা ইত্যাদিসহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা যায়। এই জ্বর ৭ দিন থাকার পরে বুক, পেট এবং পিঠে লালচে দানার মতো কিছু র্যাশ দেখা যায়।এইগুলো দানা যদি হাতের আঙ্গুলে নিয়ে চাপ দেওয়া হয়।
তাহলে দেখা যায় যে সেটি অদৃশ্য হয়ে যায়। জ্বরের প্রথম সাতদিন যদি সঠিকভাবে চিকিৎসা না করা হয় তাহলে শিশুদের মারাত্মক সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন রক্ত পায়খানা, জন্ডিস, খিচুনি, পেট ফোলা, এমনকি মৃত্যু হতে পারে। অনেক সময় দেখা যায় যে জ্বর কমে গেলে শিশু অনেক সুস্থতা বোধ করে। কিন্তু তারপরেও শিশু খুশি হয় না। এর কারণ হচ্ছে শিশু আরও বেশি ক্রমাগত অসুস্থ হয়ে পড়েন।
অন্যান্য যে জটিলতার রোগ রয়েছে সেগুলো দেখা দিতে পারে। এছাড়াও কিডনি প্রদাহ, হৃদপিন্ডের মাংসপেশী প্রদাহ, হাড়ের প্রদাহ, নিউমোনিয়া, এগুলো দেখা দিতে পারে। তাই শিশুদের টাইফয়েড হলে সময় নষ্ট না করে যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের চিকিৎসা গ্রহণ করবেন। এতে করে শিশু খুব দ্রুত টাইফয়েড জ্বর থেকে মুক্তি পারে। এছাড়াও বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পারে। আশা করি টাইফয়েড জ্বর ভালো করার উপায় এটি জানার পাশাপাশি শিশুর টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ সম্পর্কেও জানতে পেরেছেন।
শেষ কথা
এই রকম আরো আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার কোনো মতামত জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে সেটা জানিয়ে যাবেন। (ধন্যবাদ) আসসালামু আলাইকুম।
এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url