কলমি শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

কলমি শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে নিশ্চয় আপনি জানতে চান? এই সম্পর্কে যাদের জানা প্রয়োজন সুধু তাদের জন্য এই আর্টিকেলটি। এই আর্টিকেলে সুন্দর করে আলোচনা করা হয়েছে কলমি শাকের বিভিন্ন উপকারিতা ও অপকারিতা। আপনারা আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে পড়ুন তাহলে বুঝতে পারবেন। তাই এইগুলো সম্পর্কে জানতে আপনাকে আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়তে হবে।
কলমি শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
কলমি শাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে যার ফলে শরীরের পুষ্টি জোগায় ও হাড় মজবুত হয়।কলমি শাক খেলে প্রেসার বাড়ে না কমে এই গুলো জানা না থাকলে আমাদের পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়লে সকল বিষয় জানতে পারবেন। তাহলে চলুন আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক কলমি শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।

ভূমিকা

কলমি শাক বেশি খেলে ডাইরিয়া হয়ে যায়। অনেক বিষয় তুলে ধরা হয়েছে এই পোস্টে যে গুলো আপনি হইত জানেন না। কলমি শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আজকে আমরা বিস্তারিত তুলে ধরেছি আমাদের এই পোস্টে। আমাদের শরীরে পুষ্টি জোগাতে কলমি শাকের প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি। কলমি শাক খেলে শরীরের উপকার হয় না ক্ষতি হয় এইগুলো যদি আপনার জানা না থাকে।তাহলে এগুলো আপনি জেনে নিতে পারেন আমাদের এই পোষ্টের মাধ্যমে। কলমি শাক খেলে শরীরের দুর্বলতা অনেকটাই কমে যায় । তাই দেরি না করে জেনে নিন কলমি শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা।

কলমি শাকের ক্ষতিকর দিক 

কলমি শাকের ক্ষতিকর দিক গুলো চলুন আমরা জেনে নিই। কলমি শাক আমাদের শরীরের জন্য উপকার কিন্তু এই কলমি শাক আবার আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়াতে পারে। কলমি শাক বেশি পরিমাণে খেলে আমাদের ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা বেশি  থাকে।  

এই ভিটামিনযুক্ত কলমি শাক আমাদের শরীরের ভেতরে যে অংশে কিডনি থাকে সেখানে সমস্যা ধারণ করতে পারে। অধিক পরিমাণে যদি আমরা কলমি শাক খেয়ে নিই তাহলে কিডনিতে পাথর হতে পারে। আর এইটা অনেক বড় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আমরা  কলমি শাক পরিমাণ  মতো খাবো যাতে করে কোন সমস্যা না হয়।

কলমি শাক খেলে প্রেসার বাড়ে না কমে

কলমি শাক খেলে প্রেসার বাড়ে না কমে সেটা নিয়ে আজকে আমাদের আলোচনা। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কলমি শাক খেলে প্রেসার বাড়ে না কমে। কলমি শাক আমাদের শরীরের অনেক উপকারী একটি খাদ্য। কলমি শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি যা আমাদের শরীরে অনেক পুষ্টি জোগায়। ছোট বাচ্চা থেকে প্রাপ্তবয়স্ক মানুষেরা এই কলমি শাক খেয়ে থাকে। কলমি শাক শরীরে অনেক পুষ্টি নিয়ে আসে ফলে শরীর অনেক সুস্থ ও মজবুত থাকে। 

কলমি শাক খেলে আমাদের প্রেসার বাড়ে না- অতঃপর কলমি শাক খেলে প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে। ছোট শিশুদের কলমি শাক প্রচুর পরিমাণে খাওয়ানো হয় কারণ কলমি শাকে রয়েছে অনেক পুষ্টি এতে করে শিশুদের শরীরের হাড় গুলো অনেক মজবুত হয় এবং পুষ্টি জোগায়। কলমি শাক অনেক ভিটামিনযুক্ত একটি খাবার যেটা খেলে মানুষের শরীরে দুর্বলতা কাটিয়ে দেয়। তাই আমরা প্রতিদিন খাবারের তালিকায় ভিটামিনযুক্ত কলমি শাক রাখবো। আমরা কলমি শাক পরিমাণ মতো খাবো। অধিক পরিমাণে কলমি শাক খেলে শরীরের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

কলমি শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা

কলমি শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানা সবার প্রয়োজন। কলমি শাক আমাদের শরীরে অনেক পরিমাণে পুষ্টি যোগায়। আমাদের চোখ ভালো রাখতে কলমি শাকের প্রয়োজনীতা অনেক বেশি। আমাদের শরীরে ভিটামিন যুক্ত খাবার মধ্যে কলমি শাক রয়েছে। কলমি শাক হজমে অনেক সাহায্য করে এবং আমাদের শরীরের রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা সঠিক রাখে। আবার বলা হয়ে থাকে কলমি শাক বসন্ত রোগের প্রতিষেধক বলা যেতে পারে। 

কলমি শাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে যা মানুষের শরীরের হার ও দাঁত মজবুত করতে অনেক বেশি সাহায্য করে। কলমি শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। এটি এন্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে আমাদের শরীরে কাজ করে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি বৃদ্ধি করে। রোগীদের খাওয়ানো হয় কলমি শাক। 

কলমি শাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে লৌহ থাকায় এই শাক রক্তশূন্যতা রোগীর জন্য দারুন উপকারী। আমাদের দেহের প্রয়োজনীয় যে রক্ত সরবরাহ করে সেটা সঠিক রাখতে কলমি শাক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।কলমি শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা আমাদের জানা অনেক জরুরী। 
বাচ্চার জন্ম হওয়ার পর যদি মায়ের বুকের দুধ না পাই তাহলে কলমি শাক রান্না করে মাকে খাওয়ালে বাচ্চা পর্যাপ্ত পরিমাণে দুধ পাবে। এতে করে বাচ্চার শারীরিক গঠন এবং অনেক পুষ্টি হবে। কলমি শাকের সঙ্গে ছোট মাছ দিয়ে রান্না করলে আরও বেশি মায়ের দুধ বৃদ্ধি পাবে তখন বাচ্চা আরো বেশি পরিমাণে দুধ পাবে। কলমি শাকের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে আঁশ থাকে। এটি খাদ্য হজম করতে সাহায্য করে। নিয়মিত কলমি শাক খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা থেকে দূর হতে পারবেন। 

কলমি শাক তুলে নিয়ে এসে বেটে নিতে হবে তারপর এক পোয়া রস তৈরি করতে হবে এরপর আখের গুড় দিয়ে মিশিয়ে শরবত বানিয়ে সকালে এবং বিকেলে খেতে হবে। এইভাবে এক সপ্তাহ খেলে আপনি অনেক উপকার পাবেন। রাতকানা রোগ ঠিক করতে কলমি শাক অনেক উপযোগী খাদ্য। প্রতিদিন কলমি শাক ভাজি করে খেতে হবে তাহলে ভালো হয়। মেয়েদের গর্ভাবস্থায় শরীরে হাতে পায়ে যদি পানি আসে তাহলে কলমি শাক বেশি করে নিয়ে রসুন দিয়ে ভেজে দুই থেকে তিন সপ্তাহ খেলে পানি কমে যায়। 

হাত পা শরীর যদি জ্বালা করে তাহলে কলমির শাকের সাথে দুধ মিশিয়ে সকালে খালি পেটে এক সপ্তাহ খেলে আপনি অনেক উপকার পাবেন এতে করে আপনার শরীরের জ্বালা অনেক কমে যাবে। পিঁপড়া মৌমাছি পোকামাকড় এগুলো যদি শরীরে কামড় দেয় তাহলে কলমির শাকের পাতা ডগাসহ রস করে লাগালে যন্ত্রণা কমে যাবে। কলমি শাকে অনেক বেশি পরিমাণে পুষ্টি থাকার কারণে শরীর দুর্বলতা খুব দ্রুত সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে। কলমি শাক খাওয়ানোর ফলে রোগী খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে যায়।

কলমি শাকের অপকারিতা

আপনি যদি খুব বেশি কলমি শাক খেয়ে ফেলেন তাহলে আপনার  ডায়রিয়া হতে পারে। এতে করে আপনার শরীর অনেক দুর্বল হয়ে পড়বে। তাই অতিরিক্ত ভাবে কলমি শাক না খাওয়াটাই উত্তম হবে এতে করে আপনার শরীর সুস্থ থাকবে। আশা করছি কলমি শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন। 

জেনে নিন কলমি শাকের বিভিন্ন উপকারিতা

আসুন জেনে নিন কলমি শাকের বিভিন্ন উপকারিতা। কলমি শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম আমাদের শরীরের বিভিন্ন উপকারিতা হয়ে থাকে। কলমি শাক খেলে শরীরের দুর্বলতা কমে যায়। কলমি শাক মূলত ভাজি অথবা ঝোল করে ভাতের সাথে খাওয়া যায়। আবার বড়া করেও খাওয়া যায়। অসুস্থ রোগীদের কলমি শাক খাওয়ানো হয় এতে করে শরীর দুর্বলতা কমে যায়।

কলমি শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি কলমি শাক বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে রোগীদের জন্য কলমি শাক দারুন উপকারী। এই কলমি শাকে অনেক বেশি পরিমাণ লৌহ থাকে যা রক্তশূন্যতা দূর করে।

শারীরিক দুর্বলতা কাটাতেঃ কলমি সাথে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টি থাকায় শারীরিক দুর্বলতা খুব দ্রুত সারিয়ে তুলতে অনেক বেশি সাহায্য করে। রোগীদের দ্রুত সুস্থ হওয়ার অন্য এই কলমি শাক খাওয়ানো হয়।কলমি শাকে থাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম আর এই ক্যালসিয়াম শরীরের হাড় মজবুত করে। তাই ছোটবেলা থেকেই ছোট বাচ্চাদের কলমি শাক খাওয়ানো হয় তাদের হাড় মজবুত হওয়ার জন্য।

গিমাকলমি শাকের বিজ

গিমাকলমি শাকের বিজ সম্পর্কে আমরা নিচে আলোচনা করেছি। গিমাকলমি শাকের বিজ সম্পর্কে জানার আগ্রহ থাকে তাহলে বিস্তারিত পড়ুন। আমাদের গ্রামের পরিচিত একটি শাকের নাম গিমাকলমি। এটি সাধারণত খাল বিল নলকূপের ধারে পুকুরে এগুলো জায়গায় জন্মে। গিমা কলমি সাধারণত জলবদ্ধ জায়গা গুলোতে হয়ে থাকে। এর কান্ড ফাঁকা থাকার কারণে পানিতে ভেসে থাকে। তার ডাটা গুলো দুই থেকে তিন মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। 

কোনো কোনো ক্ষেত্রে আবার বেশিও লম্বা হতে পারে। এর প্রতিটি দিক থেকে খুব সুন্দরভাবে শেকড় বের হয়। কলমি শাক দুই রকমের আমাদের গ্রাম অঞ্চলে দেখা যায়। এক ধরনের কলমির শাকের ডাঁটা লাল হয় আর আরেকটির ডাঁটা দেখতে সাদা সবুজের মত হয় এর কান্ডগুলো খুব নরম ও রসালো হয়। প্রত্যেকটা ফলের মধ্যে চারটি করে বীজ রয়েছে। 

কলমি শাক সাধারণত ভাঁজি করে খাই বেশিরভাগ মানুষ। কলমি শাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টি থাকার কারণে মানুষ খেলে শরীরের হাড় মজবুত হয়। কলমি শাকের বীজ একবার লাগানো হলে সারাবছর শাক সংগ্রহ করা যায়। জলাশয়ে যেসব কলমি জন্মায় সেগুলোর কোন পরিচর্যা করা হয় না।
জমি তৈরি এবং বীজ বপনঃ সর্বপ্রথম জমিতে পাঁচটি চাষ করে নিতে হবে তারপর মই দিতে হবে মই দিয়ে মাটি সুন্দর করে ঝুরঝুরে করতে হবে। গিমা বীজ দুই পদ্ধতিতে বোনা যায়। লাইন করে আবার ছিটিয়েও। তবে লাইনে বীজ বপন করলে অনেক সুবিধা হবে যত্ন নিতে অসুবিধা হবে না। লাইনে বীজ বপন করলে লাইনের দূরত্ব হতে হবে ২০ থেকে ২৫ সেন্টিমিটার এবং বীজের দূরত্ব হবে ১০ থেকে ১৫ সেন্টিমিটার হতে হবে। একসাথে সর্বনিম্ন দুইটা করে বীজ বোনা ভালো। বেশি গাছ জন্ম নিলে ১ টা রেখে বাকি গুলো কেটে দিতে হবে।

সার ব্যবস্থাপনাঃ সুন্দর ফলন পেতে হলে প্রয়োজন মত সুষুম সার ব্যবহার করতে হবে। মাটি উর্বরতা ওপর বিবেচনা করে সার দিতে হবে। সেজন্য মাটি আগে পরীক্ষা করে দেখে নিয়া ভালো। আর যদি না পারেন তাহলে স্বাভাবিক মাত্রায় দিতে হবে। ইউরিয়া ৫৫০ থেকে ৬৫০ গ্রাম টিএসপি ৪০০ থেকে ৪৫০ গ্রাম এবং এমওপি ৪০০ থেকে ৪৫০ গ্রাম ও জৈব সার ৩০ থেকে ৩৫ কেজি। ইউরিয়া সার বাদে যেগুলো জৈব ও অজৈব সার আছে সেগুলো চাষের সময় মাটিতে ভালোভাবে মিশিয়ে দিতে হবে তাহলে ভালো হবে। প্রতিবার পাতা সংগ্রহের পর ইউরিয়া সার মাটিতে প্রয়োগ করতে হবে তাহলে জমির ফসল ভালো থাকবে।

সেচঃ মাটি বেশি পরিমাণ শুষ্ক হলে পানি অবশ্যই দিতে হবে। আর বর্ষাকালে ও পানি দিতে হবে তবে যদি বর্ষাকালে শুষ্ক হয় তখন দিতে হবে নয়তো দেয়ার প্রয়োজন নেই।

লেখকের মন্তব্য 

প্রিয় পাঠক এই পোস্টে কলমি শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি আমাদের পোস্ট পড়ে একটুও উপকৃত হয়ে থকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। আপনি যদি আমাদের পোষ্টটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করেন তাহলে আপনার মাধ্যমে আপনার বন্ধুরাও জানতে পারবে। 

তাই দেরি না করে আপনার বন্ধুদের সাথে আমাদের পোস্টটি শেয়ার করুন। আমাদের পোস্ট পড়ে যদি আপনার কোনো মতামত জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে সেটা জানিয়ে যাবেন। (ধন্যবাদ) আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪