দাড়ি গজানোর উপায় ডাক্তারের পরামর্শ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
দাড়ি গজানোর উপায় ডাক্তারের পরামর্শ সম্পর্কে আপনার যদি না জানা থাকে। তাহলে আজকের এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিন। আপনারা অনেকেই দাড়ি গজানো নিয়ে চিন্তার মধ্যে থাকেন। কিন্তু কিভাবে দাড়ি গজাবেন সেই উপায় সম্পর্কে আপনাদের হইত তেমন কোনো ধারণা নেই। সেজন্য আমি আজকে একটি সঠিক ধারণা দেয়ার চেষ্টা করবো। তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন। তাহলে দাড়ি গজানোর তেলের নাম, দাড়ি গজানোর ক্রিম এর নাম, দাড়ি গজানোর সহজ উপায়, দাড়ি গজানোর উপায় ডাক্তারের পরামর্শ, ঘন ঘন শেভ করলে কি দাড়ি গজায়, এই সকল বিষয়ে সঠিক ধারণা পেয়ে যাবেন।
ভূমিকা
অনেক পুরুষ রয়েছে যারা তাদের মুখের দাড়ি গজানো নিয়ে অনেক চিন্তার মধ্যে থাকে। কারণ একজন পুরুষের মুখের দাড়িতেই সৌন্দর্য। আর সেই মুখের দাড়ি যদি না থাকে তাহলে তো চিন্তা হবেই স্বাভাবিক। এখন বর্তমান সময়ের ছেলেরা দাড়ি বেশি পছন্দ করে থাকেন। কারণ বর্তমান সময়ে এই মুখের দাড়ি একটি ফ্যাশন হয়ে গেছে। কিছু কিছু মানুষের এই গাড়ি না গজানোর কারণে বিভিন্ন ওষুধ ও ক্রিম ব্যবহার করে থাকেন। তবে সঠিক নিয়মে সঠিক ওষুধ ও ক্রিম ব্যবহার না করলে আপনার দাড়ি নাও গজাতে পারে। তাই আজকে আমি এই আর্টিকেলে আলোচনা করব দাড়ি গজানোর উপায় ডাক্তারের পরামর্শ এই বিষয়ে এবং অন্যান্য বিষয়ে। আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে পড়ুন তাহলে সমস্ত কিছু খুব ভালোভাবে বুঝতে পারবেন।
ঘন ঘন শেভ করলে কি দাড়ি গজায়
আজকে আমরা এই আর্টিকেলে আলোচনা করবো যে ঘন ঘন শেভ করলে কি দাড়ি গজায় এই সম্পর্কে। কিশোর ছেলেরা যেসব বিষয়ে সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট থাকে সেটি হচ্ছে দাড়ি। এই দাড়ি, গোঁফ না উঠলে তাদের কেমন জানি মনে হয়। মুখে দাড়ি উঠলে ছেলেদের অনেক বেশি আনন্দিত দেখা যায়। প্রচলিত কিছু কুসংস্কার রয়েছে যেগুলো মানুষ বলে থাকে। কিছু মানুষ বলে বারবার নাকি সেফ করলে দাড়ি উঠে এবং ঘন হয়। এটা নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলে থাকে।
তবে স্বাস্থ্য বিষয়ক আমেরিকান প্রকাশনার যে সংস্থা রয়েছে সেই সংস্থার ওয়েব এমডির ওয়েবসাইটে কিছু ফেসিয়াল হেয়ার বা মুখে লোন বিষয়ক আলোচনা হয়েছে। সেখানে এক প্রশ্নের উত্তরে জানা গেছে যে মুখের দাঁড়ি উঠা বয়ঃসন্ধিকালের শেষ পর্যায়ের লক্ষণগুলোর মধ্যে একটি। সাধারণত ১৫ থেকে ১৬ বছর বয়সী ছেলেদের মুখে দাড়ি উঠতে শুরু করে। এই সময় সেই কিশোর ছেলেদের বিভিন্ন শারীরিক পরিবর্তন ঘটে।
এইসব পরিবর্তনের কারণে কারো কারো খুব দ্রুত দাঁড়ে উঠে। আবার কারো কারো অনেক দেরিতে দাঁড়ি উঠে। তবে এমন কোন কথা নেই যে দাড়ি উঠা শুরু হলেই সেভ করতে হবে। এছাড়াও বারবার দাড়ি সেভ করলে দাড়ি একটুও ঘন হয় না। দাড়ি ওঠার যে নির্দিষ্ট সময় রয়েছে সে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ছেলেদের দাড়ি ওঠে। তবে কারো কম কারো বেশি। অর্থাৎ বয়সন্ধিকালের একেবারে শেষ পর্যায়ে এসে পুরো দাড়ি উঠে যায়। এছাড়াও এই দাঁড়ির জন্য অনেকের 20 বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়।
একজন পুরুষের দাড়ি কত দ্রুত পরিমাণে বেড়ে উঠবে সেটা সম্পূর্ণ নির্ধারণ করে হরমোন ও জিনের উপর। পুরুষের যে দৈনন্দিন জীবনধারা রয়েছে সে দৈনন্দিন জীবনধারা ও অভ্যাস দাঁড়ি বৃদ্ধিতে বেশ ভালো প্রভাব ফেলে। এই বৃদ্ধি প্রবাহিত করার কারণে এর মাত্রা ব্যক্তি ও বয়স্ক অনেক আলাদা হতে পারে। টেস্টোস্টেরন দাড়ি বৃদ্ধিতে কিছুটা বাধা সৃষ্টি করতে পারে। তবে একজন ব্যক্তির জিনগত বৈশিষ্ট্য থাকার কারণে মুখ ভর্তি দাড়ি গজায়।
আবার এই জিনের কারণেই কারো কারো কুঁচকানো, পেঁচানো, বিরল দাড়ি, বা ঢেউ খেলানো দাড়ি দেখা দিতে পারে। তবে স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট হেলথ লাইনে একটি প্রতিবেদনে জানাই যে চুল কামানো বা শেভিং এর সাথে চুল ঘন করার কোন সম্পর্ক নেই। প্রচলিত এই ধারণা নিয়ে অনেক মানুষ অতিরিক্ত পরিমাণে ঘন ঘন দাড়ি সেভ করে। যারা ঘন ঘন সেভ করলে কি দাড়ি গজায় এটা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন তারা অবশ্যই জেনে গেছেন বিষয়গুলো।
নতুন চুল সাধারণত অনেক কালো এবং ঘন দেখায়। কারণ নতুন চুল আসা মাত্রই প্রাকৃতিক প্রভাবকে সংস্পর্শে আসে না। তাই অনেক ঘন দেখায়। সূর্যের যে আলো রয়েছে সে আলো এবং সাবানসহ অন্যান্য যে রাসায়নিক উপাদান রয়েছে সেগুলো চুলের রং পরিবর্তন করে দিতে পারে। এছাড়াও পুরুত্ব হালকা করে দিতে পারে। এই সকল কারণে মানুষ ভেবে থাকে যে চুল মনে হয় ন্যাড়া করলে খুব দ্রুত বেড়ে যাবে। এমন ধারণা একেবারেই সঠিক নয়। এতক্ষণে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে ঘন ঘন সেভ করলে কি দাড়ি গজায়। আশা করি আপনার প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে দেয়ার চেষ্টা করেছি।
দাড়ি গজানোর তেল ব্যবহারের নিয়ম
দাঁড়ি তেল ব্যবহারের নিয়ম নিয়ে অনেক মানুষ অনেক কথা বলে থাকেন। শুধু যে দাড়িতে তেল ব্যবহার করে যাবেন কোন নিয়ম মানবেন না তাহলে কোন লাভ হবে না। কিছু সঠিক নিয়ম রয়েছে যে নিয়ম গুলো মেনে তেল ব্যবহার করলে আপনি অনেক উপকার পাবেন। তাই আর দেরি না করে দাঁড়ি তেল ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।
অনেক চিকিৎসকরা বলে থাকেন যে পুরুষের দাড়ি গজায় জিন ও হরমোনের কারণে। তবে কিশোর বয়স হতেই কারো কম অথবা কারো বেশি দাড়ি গজায়। বর্তমানে অনেকেই রয়েছে দাড়ি গজানোর জন্য বিভিন্ন রকম তেল ব্যবহার করে থাকে। তবে এই তেল ব্যবহার করা নিয়ে চিকিৎসক বলেছেন যে তেল ব্যবহার করার পূর্বে অবশ্যই আপনার মুখ খুব ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। যদি পারেন তাহলে খুব ভালো মানের ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে পারেন।
তারপর যে অংশটুকুতে আপনার দাঁড়ি উঠে থাকবে সেই অংশটুকুতে আপনি নরম কাপড় অথবা ব্রাশ দিয়ে হালকা ভাবে মালিশ করবেন। মালিশ করার পর এইভাবে তিন থেকে পাঁচ মিনিট রেখে দিবেন। তারপর একটু শুকে গেলে সেই অংশটুকুতে হালকা ভাবে হাত দিয়ে মালিশ করে নিবেন। এরপর তেল ব্যবহার করার এক ঘন্টা পর পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিবেন। তাহলে আপনি সঠিকভাবে দাঁড়ির তেল ব্যবহার করতে পারবেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন যে দাড়ি তেল ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে।
দাড়ি গজানোর উপায় ডাক্তারের পরামর্শ
আমাদের দেশে অনেক ছেলেরা রয়েছে এই দাড়ি নিয়ে মনের ভিতর অনেক কৌতহলে প্রবণতা কাজ করে। যাদের দাড়ি এখনো উঠে নাই তারা অনেক দিক খুঁজে বেড়াই কি করলে দাড়ি উঠবে। তাই আজকে আমি এই আর্টিকেলে ঘন ঘন সেভ করলে কি দাড়ি গজায় এই সম্পর্কে এবং দাড়ি গজানোর তেল ব্যবহারের নিয়ম এই সম্পর্কে পূর্বে আলোচনা করেছি। এখন আমরা আলোচনা যে দাড়ি গজানোর উপায় ডাক্তারের পরামর্শ সম্পর্কে। চলুন তাহলে আর দেরি না করে জেনে নিন।
আপনারা যারা দাড়ি গজানোর উপায় ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করবেন কিনা সেটা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন তারা একটুও চিন্তা করবেন না। কারণ আপনার সকল সমাধান আজকে আমি নিয়ে এসেছি। একটি শিশু যখন আস্তে আস্তে বড় হয় এবং কিশোর থেকে বয়সন্ধিকালে পদপর্ণ করে থাকে। তখন তার কিছুটা শারীরিক পরিবর্তন দেখা যায়। বিশেষজ্ঞরা বলেন যে ১২ থেকে ১৬ বছর বয়সের মধ্যে একজন পুরুষের মুখের দাড়ি উঠে। তবে কারো কারো দেরিতে উঠে।
এছাড়াও কিছু মানুষের হরমোন ও জিনের কারণে শরীরে বিভিন্ন পরিবর্তন শুরু হয়। টেস্টোস্টেরন নামক হরমোন ঠিক তখনই শুরু হয় যখন একজন পুরুষের শারীরিক পরিবর্তন ঘটে। দাড়ি গজানো উপায় ডাক্তারের পরামর্শ চিকিৎসকের মতে আপনার বয়সন্ধিকাল চলাকালীন সময়ে অথবা এর শেষের দিকে যদি আপনার মুখের দাড়ি না গজায়। তাহলে আপনার হয়তো হরমোন জনিত সমস্যা রয়েছে। যদি সমস্যা থেকে থাকে।
তাহলে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন। তবে একটি বিষয় অবশ্যই জেনে থাকবেন। যে দাঁড়ি গঠন একটি জেনেটিক বিষয়ক হতে পারে। চিকিৎসকের মতে ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স এই উপাদানটি দাড়ি গজানোর জন্য অত্যন্ত ভালো এটি উপাদান। দাড়ি গজাতে এবং ঘন করতে বেশ ভালো ভূমিকা পালন করে থাকে। যদি কোনো রকম সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে দাড়ি গজানোর উপায় ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।
যদি আপনার জেনেটিক প্রবলেম না থাকে তারপরও যদি বয়সন্ধিকাল চলাকালীন সময়ে আপনার শরীরে পরিবর্তন না ঘটে। তাহলে অবশ্যই আপনার হরমোন জনিত কোন সমস্যা রয়েছে। তাই যত দ্রুত সম্ভব পারবেন ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করবেন। কারন আমাদের শরীরে বিদ্যমান হরমোনের কারণে শরীরের বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটে। যেমন ডিপবিন নামক একটি হরমোন রয়েছে যেটি আমাদের ভালো অনুভব ঘটাতে সাহায্য করে।
সুতরাং যদি আপনার জেনেটিক্সের প্রবলেম ছাড়া আরো অন্যান্য সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আপনি অবশ্যই অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। বিশেষ করে যদি আপনার হরমোন জনিত কোন সমস্যা থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করবেন। আশা করি দাড়ি গজানোর উপায় ডাক্তারের পরামর্শ এই বিষয়ে আপনি সঠিক একটি ধারণা পেয়েছেন।
দাড়ি গজানোর সহজ উপায়
মুখ ভর্তি দাড়ি রাখার ইচ্ছে কোন পুরুষেরই বা না থাকে। প্রায় কমবেশি সব পুরুষেরা দাড়ি রাখতে বেশি পছন্দ করে। অনেক যুবকেরই এই আসা পূরণ হয় না। কারণ বিভিন্ন সমস্যার কারণে তাদের মুখে দাড়ি ওঠেনা। বাজারে বিভিন্ন ধরনের তেল কিনতে পাওয়া যায় যেই তেল গুলো দাড়ি গজাতে সহায়ক বলে দাবি করা হয়। তবে সেই তেলগুলো বিভিন্ন রকমের হতে পারে। কিছু তেল রয়েছে ক্ষতিকর আবার কিছু তেল রয়েছে ভালো। তবে আপনি খরচের দিকে না যেয়ে দাড়ি গজানোর সহজ উপায় জেনে নিন। এতে করে আপনার অনেক উপকার হবে।
পিয়াজের রস ব্যবহারঃ আপনার হয়তো অনেকেই শুনে থাকবেন যে মাথার চুল ঘন করতে পেঁয়াজের রস ব্যবহার করা হয়। তবে এই পেঁয়াজের রস দাড়ির জন্য অনেক উপকারী। পেঁয়াজের রসে যে সালফার রয়েছে সেটা দাড়ি গজাতে সাহায্য করে। নিয়মিত মুখে যদি আপনি পেঁয়াজের রস ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে আপনার দাড়ি অনেক ঘনত্ব ও বৃদ্ধি পাবে।
নির্দিষ্ট বিরতিতে দাড়ি ছাঁটুনঃ অনেক মানুষেরই একটি সহজ ধারনা মাথায় থাকে যে চুল বা দাড়ি ঘনঘন কাটলেই নাকি লম্বা হয়। তবে এটা আসলে ঠিক নয়। এইটার কোনো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই। তাই যদি আপনারা ঘন ঘন চুল কেটে থাকেন তাহলে এটা কাঁটা থেকে বিরত থাকুন। যদি পারেন তাহলে এক মাস অর্থাৎ ৩০ দিন পর পর দাড়ি ছাঁটুন।
হালকা গরম পানির ব্যবহারঃ আপনি যদি আপনার ত্বক অনেক সুন্দর এবং পরিষ্কার রাখেন। তাহলে আপনার দাড়ি গজাতে ভালো হবে। কারণ দাড়ির সঠিক বৃদ্ধির জন্য মুখের ত্বক সুন্দর রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন। সেজন্য হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে তিন থেকে চার বার মুখ ধুয়ে নিবেন। এতে করে নতুন দাড়ি গজানো খুব সহজ হবে।
স্ক্রাব করুনঃ ত্বকের জন্য স্ক্রাব করা অত্যন্ত ভালো একটি উপায়। এটি নতুন দাড়ি গজাতে বেশ সাহায্য করে। তাই যদি পারেন তাহলে সপ্তাহে অন্তত এক থেকে দুইবার মুখের স্ক্রাব করবেন। তাহলে আপনার ত্বকে থাকা মৃত কোষগুলো একদম দূর হয়ে যাবে। এতে করে রক্ত সঞ্চালন অনেক বেশি বৃদ্ধি পাবে। ফলে নতুন দাড়ি গজাবে।
মেসেজ করুনঃ যদি আপনার মুখে কোঁকড়ানো দাড়ি থেকে থাকে তাহলে যত দ্রুত সম্ভব ছেঁটে ফেলা চেষ্টা করুন। কারণ কোঁকড়ানো দাড়ির কারণে দাঁড়ি বৃদ্ধি হতে পারে না। এছাড়া আপনি দিনে অন্তত ৫ থেকে ১০ মিনিট মুখ হালকা করে সুন্দর করে হাত দিয়ে মেসেজ করবেন। এতে করে আপনার দাড়ি বাড়বে খুব দ্রুত। আশা করি দাড়ি গজানোর সহজ উপায় আপনি জেনে অনেক উপকৃত হয়েছেন।
দাড়ি গজানোর ক্রিম এর নাম
পূর্বে আমরা আলোচনা করেছি যে দাড়ি গজানোর উপায় ডাক্তারের পরামর্শ এই সম্পর্কে। এখন আমরা আলোচনা করবো যে দাড়ি গজানোর ক্রিম এর নাম সম্পর্কে। বর্তমানে ছেলেরা দাড়ি নিয়ে অনেক বেশী আকৃষ্ট। কারণ ছেলেদের দাড়িতে অনেক সুন্দর দেখায়। আর সেলুনে ছেলেরা ঘন ঘন সেভ করতে থাকে দাড়ি গজানোর জন্য। তবে ঘন ঘন সেভ করলে দাড়ি গজাবে এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা।
সুতরাং আপনি যদি দাড়ি ঘন করতে চান এবং ক্রিমের নাম সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেল থেকে আপনি জেনে নিতে পারেন। কারণ আজকে আমরা এই আর্টিকেলে আলোচনা করব দাড়ি গজানোর ক্রিম এর নাম সম্পর্কে। চলুন তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনা শুরু করা যাক।
দাড়ি গজানোর ক্রিম এর নামঃ
- Beard Growth oil.
এই ক্রিমটি আপনাকে ব্যবহার করতে হলে প্রথমে ঠান্ডা পরিষ্কার পানি নিতে হবে। এরপর সেই পানি দিয়ে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। মুখ ফ্রেশ হওয়ার পর Beard Growth এই ক্রিমটি নির্দেশনা অনুযায়ী আপনাকে পরিমাণ মতো মুখের দাড়িতে খুব ভালোভাবে ম্যাসাজ করতে হবে। এরপর আপনাকে ১০ থেকে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। তারপর পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে সুন্দর করে মুখ ধুয়ে নিতে হবে।
এই পদ্ধতিটি আপনি দুইবার করতে পারেন। গোসল করার আগে এবং ঘুমাতে যাওয়ার আগে। এই ক্রিমটি দাড়িকে মূলত ঘন ও কালো করে। এই ক্রিমটি Beard Growth দুইটি ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে খুব ভালো ফলাফল পাবেন। এই ওষুধের কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। তাই আপনি এই ওষুধটি নিঃসন্দেহে ব্যবহার করতে পারেন। আশা করি দাড়ি গজানোর ক্রিম এর নাম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
দাড়ি গজানোর তেলের নাম
পূর্বে আমরা জেনেছি যে দাড়ি গজানোর উপায় ডাক্তারের পরামর্শ সম্পর্কে। এখন আমরা জেনে নেব দাড়ি গজানোর তেলের নাম। যা আপনার দাড়ি গজাতে বেশ ভালো উপকার করবে। বর্তমানে দাড়ি গজানোর তেল বাজারে বিভিন্ন রকম ভাবে পাওয়া যাচ্ছে। তবে সব তেল দাড়ি গজানোর জন্য নয়। কিছু তেল রয়েছে ত্বকের অনেক ক্ষতি করে। তাই আপনি দাড়ি গজানোর তেল নেওয়ার আগে অবশ্যই জেনে বুঝে নিবেন। চলুন তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে দাড়ি গজানোর তেলের নাম সম্পর্কে আলোচনা করি।
দাড়ি গজানোর তেলের নামঃ
- SHAITA--OIL.
- BEARD--OIL.
- TITREE--OIL.
- PARACHUTE--COCONUT--OIL.
- EUCALYPTUSOIL--OIL.
শেষ কথা
এই রকম আরো আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার কোনো মতামত জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে সেটা জানিয়ে যাবেন। (ধন্যবাদ) আসসালামু আলাইকুম।
এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url