ছেলেদের দাড়ি গজানোর বয়স সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
ছেলেদের দাড়ি গজানোর বয়স সম্পর্কে আপনার যদি না জানা থাকে। তাহলে আজকের এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিন। অনেকের দাড়ি গজানো নিয়ে চিন্তার মধ্যে থাকে। কিন্তু কিভাবে দ্রুত দাড়ি গজাবেন সেই উপায় সম্পর্কে আপনাদের হইত তেমন কোনো ধারণা নেই। সেজন্য আমি আজকে একটি সঠিক ধারণা দেয়ার চেষ্টা করবো। তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন। তাহলে অল্প বয়সে দাড়ি গজায় কেন, দাড়ি ঘন ও লম্বা করবে যেসব খাবার, চাপ দাড়ি গজানোর উপায়, ছেলেদের দাড়ি গজানোর বয়স, দাড়ি না গজানোর কারণ, কোন হরমোনের অভাবে দাড়ি গজায় না এই সকল বিষয়ে সঠিক ধারণা পেয়ে যাবেন।
ভূমিকা
অনেক ছেলে রয়েছে যারা এই দাড়ি রাখতে অনেক বেশি পছন্দ করেন। তবে কিছু ছেলে এই দাড়ি গজানো নিয়ে অনেক চিন্তার মধ্যে থাকে। কিন্তু তারা কিভাবে মুখের সৌন্দর্যের জন্য দাড়ি গজাবে সে উপায় সম্পর্কে জানেনা। তাই আজকের আর্টিকেলে ছেলেদের দাড়ি গজানোর বয়স সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। যদি আপনার দাড়ি গজানোর জন্য ইচ্ছা থাকে তাহলে আজকের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন। তাহলে সমস্ত কিছু খুব ভালোভাবে বুঝতে পারবেন।
কোন হরমোনের অভাবে দাড়ি গজায় না
এখন বর্তমান সময়ে ছেলেদের মুখের দাড়ি হয়ে উঠেছে সৌন্দর্যের একটি অংশ। তবে এরকম আগে ছিল না। বিশেষ করে এই সময় অনেক বেশি আগ্রহী হয়ে পড়ে এই মুখের দাড়ি রাখার জন্য। তবে এই মুখে দাড়ি অনেক মানুষেরই নেই। কোন হরমোনের অভাবে দাড়ি গজায় না এটা সম্পর্কে হয়তো আপনার ধারণা নাও থাকতে পারে। তবে যে হরমোনের অভাবে দাড়ি গজায় না সেটা হচ্ছে এন্ড্রোজেন। এই এন্ড্রোজেন মুখের দাড়ি এবং বুকের লোম গজানোর জন্য সাহায্য করে।
এই এন্ড্রোজেন ক্ষরণ না হওয়ার কারণে মুখের দাড়ি গজায় না। এটি একটি শারীরিক সমস্যা হতে পারে। তবে আপনার বয়স যদি বৃদ্ধি হয় তাহলে অন্য সমস্যাও হতে পারে। যদি আপনার বয়স ১৯ বছর হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে আপনার দাড়ি গজানোর সম্ভাবনা এখন পর্যন্ত রয়েছে। তবে কিছু কিছু মানুষের একটু বয়স ভারী হলেও দাড়ি গজায়। এক্ষেত্রে আপনি একজন হরমোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যেতে পারেন। ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করলে আপনার অবশ্যই উপকার হবে।
সাধারণত আমাদের যে সময় বয়সন্ধিকাল হয়ে থাকে তখন দাড়ি গজায়। তাই বয়সন্ধিকাল পার হয়ে গেলে তখন মুখের দাড়ি আর গজায় না। বিশেষ করে ১৪ থেকে ২০ বছর বয়স পর্যন্ত পুরুষদের মুখে দাড়ি গজায়। কিছু কিছু পুরুষের একটু দেরিতে উঠে। তবে এইটা সচরাচর বয়সন্ধিকাল সময়ে গজিয়ে থাকে। এই বয়সন্ধিকালে পুরুষদের শরীরে বিভিন্ন রকমের পরিবর্তন ঘটে যার মধ্যে একটি হচ্ছে দাড়ি গোঁফ ওঠা।
তবে এটার ক্ষেত্রে একজন পুরুষের হরমোনের টেস্টোস্টেরন ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই হরমোন সমস্যার কারণে অনেক মানুষের অনেক সমস্যা হয়ে থাকে। যার মধ্যে একটি হচ্ছে দাড়ি গোফ গজানো। অনেক সময় দেখা যায় এই হরমোনের কারণে দাড়ি-গোঁফ গজায় না। তবে এটা পারিবারিক জন্মগত কারণেও হতে পারে। কারণ পারিবারিক জন্মগত সমস্যা থাকলে আপনার মুখে দাড়ি গোঁফ গজাবে না।
যদি আপনার অনেক বেশি বয়স হয়ে যায় আর যদি মুখে দাড়ি না গজায় তাহলে এটি আপনার শারীরিক সমস্যা বলে অবহিত করা হয়। তাই যত দ্রুত সম্ভব পারবেন হরমোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। এতে করে আপনার অনেক উপকার হবে। আশা করি কোন হরমোনের অভাবে দাড়ি গজায় না সে বিষয়টি জানতে পেরেছেন।
দাড়ি না গজানোর কারণ
পূর্বে আমরা আলোচনা করেছি কোন হরমোনের অভাবে দাড়ি গজায় না এই সম্পর্কে। এখন আমরা যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব এই বিষয়টি অনেক পুরুষের জীবনে ঘটেছে। সেই বিষয়টি হচ্ছে দাড়ি না গজানোর কারণ। অনেক যুবক ভাইয়েরা রয়েছে তাদের দাড়ি গজায় না। এটার কারণে তারা অনেক কষ্ট পেয়ে থাকে। বন্ধু-বান্ধবের কাছে গেলে তখন বন্ধু-বান্ধবরা অনেক কথা বলে থাকে। তবে এটার কিছু কারণ রয়েছে। এগুলো যদি আপনি জানেন তাহলে বুঝতে পারবেন যে কেন মুখে দাড়ি ওঠে না। চলুন তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে জেনে নেওয়া যাক দাড়ি না গজানোর কারণ গুলো।
পুরুষের মুখের সৌন্দর্যের মধ্যে একটি হচ্ছে দাড়ি। এই দাড়ি পুরুষের মুখে না থাকলে পুরুষদের তেমন একটা সুন্দর দেখায় না। অনেক পুরুষ রয়েছে যারা এই দাড়ি না উঠা নিয়ে অনেক চিন্তার মধ্যে রয়েছে। কিশোর থেকেই অনেক ছেলেদের মনে শুরু হয় দাড়ি নিয়ে বিভিন্ন রকমের জল্পনা-কল্পনা। অনেক ছেলেরা রয়েছে তারা মনে মনে ভাবে দাড়ি উঠলে কেমন রাখবো? কিভাবে রাখবো? কত ঘন হবে? এগুলো নানা ধরনের প্রশ্ন মনে মনে ভেবে থাকে।
এছাড়াও এই দাড়ির কারণে অনেক মেয়েরা ছেলেদের প্রতি অনেক আকৃষ্ট হয়ে থাকে। তবে কিছু কিছু ছেলেরা রয়েছে তাদের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দাড়ি উঠে না। দাড়ি না ওঠার বিভিন্ন রকমের কারণ থাকতে পারে। যার মধ্যে একটি হচ্ছে জেনেটিক সমস্যা। অনেক পুরুষের জেনেটিক সমস্যার কারণে মুখের দাড়ি ওঠে না। শরীরে যে জিন রয়েছে সেটা শরীর গঠন করতে সাহায্য করে এবং শরীরের রং চরিত্র, লোম, দাড়ি, চুল এগুলো অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
বংশগতভাবেই এই জিনের প্রবাহ চলতে থাকে। অনেক সময় দেখা যায় বংশে যে পুরুষ রয়েছে তাদের দাড়ির প্রবণতা অনেক কম। আর সেই কারণে হয়তো তাদের ছেলেদের মুখে দাড়ির প্রবণতা অনেক কম। তবে দাড়ি না ওঠার মূল কারণ হচ্ছে টেস্টোস্টেরন। পুরুষের শরীরে অনেক রকমের প্রয়োজনীয় হরমোন রয়েছে যার মধ্যে এই হরমোনটি। পুরুষের অঙ্গ থেকে শুরু করে শরীরে বিভিন্ন গঠন সবকিছুর পেছনে এই হরমোনটায় কাজ করে।
শরীরের দাড়ি, লোম, চুল এগুলো ওঠার পেছনে এই টেস্টোস্টেরন হরমোন কাজ করে। তবে অনেক পুরুষ রয়েছে তারা ভেবে থাকে যে তাদের হয়তো টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি রয়েছে। তবে এমনটা নয়। প্রতিটি পুরুষের শরীরে প্রায় কম বেশি টেস্টোস্টেরন হরমোন রয়েছে। এই দাঁড়ি উঠা বা শরীরের লোম ওঠা এগুলো বিভিন্ন কারণ নির্ভর করে। পুরুষের টেস্টেসটেরনের প্রতিক্রিয়ার উপর। অনেক পুরুষ রয়েছে দাড়ি গজানোর জন্য বিভিন্ন ওষুধ সেবন করে থাকেন।
তবে এগুলো খাওয়া একদম উচিত নয়। এগুলো আপনার শরীরের উপকারের থেকে ক্ষতি বেশি করবে। আপনার মুখে ব্রণ, দাগ এগুলো সারা জীবনের জন্য থেকে যেতে পারে। এছাড়াও কিছু কিছু মানুষ রয়েছে দাড়ি গজানোর জন্য বারবার সেভ করে থাকে। তবে এটাও ঠিক নয়। এতে শুধুমাত্র পুরাতন দাড়িগুলোর জায়গায় নতুন দাড়ি ওঠে। তবে টেস্টোস্টেরনের জন্য কোন প্রবাহ বাড়ায় না। তাই পরবর্তী যদি আপনি দাড়ি গজানোর জন্য কোনো সেফ অথবা ট্রিটমেন্ট করে থাকেন তাহলে অবশ্যই পূর্বে চিন্তা করে নিবেন। বিশেষ করে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়াটাই আমার মতে উচিত হবে। আশা করি দাড়ির না গজানোর কারণ আপনি বুঝতে পেরেছেন।
ছেলেদের দাড়ি গজানোর বয়স
পূর্বে আমরা আলোচনা করেছি যে দাড়ি না গজানোর কারণ এই বিষয়ে। এখন আমরা জেনে নিবো ছেলেদের দাড়ি গজানোর বয়স সম্পর্কে। দাড়ি হচ্ছে কারো থুতনি, কারো গাল, অথবা ওষ্ঠের নিচের অংশে গজানো চুলকে বুঝায়। সাধারণত পুরুষদের বয়সন্ধিকাল সময়ে শুরু হয় দাড়ি গজানো। বয়সন্ধিকাল উত্তীর্ণ হওয়ার পর দাড়ি আর গজায় না। পুরুষদের বিশেষ করে গড়ে ২০ থেকে ২১ বছর বয়সের মধ্যে দাড়ি গজায়।
মুখমন্ডলের উপরের ও নিজের অংশের চুলের যদি পার্থক্য করা হয় তাহলে দাড়ি মূলত নিচের অংশের যে চুল রয়েছে সেটাকেই বোঝানো হয়। যার মধ্যে কোন গোঁফ অন্তর্ভুক্ত নয়। তবে দাড়ি গজানোর সঠিক বয়স সবার জন্য এক নয়। ইতিহাস থেকে জানা গেছে যে দাঁড়ি বিশিষ্ট পুরুষ অনেক জ্ঞানের অধিকারী হয়ে থাকে। এই পুরুষত্বের অনেক সামাজিক মর্যাদার অধিকারী হিসেবে ভাবা যেত।
তবে পৃথিবীর প্রথম মানুষ থেকে শুরু করে পূর্বে অনেক বড় বড় জ্ঞানী ও ধার্মিক বীর পুরুষেরা এই দাড়ি রাখতেন। একজন পুরুষকে এই দাড়িতে অনেক বেশি সুন্দর দেখায়। বিশেষ করে বয়সন্ধিকাল সময়ে শরীরে বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটে যার মধ্যে এই দাঁড়ি গজানো। যদি আপনার হরমোনের কোন সমস্যা না থাকে তাহলে বয়সন্ধিকালে খুব দ্রুত দাড়ি গজাবে।
আর যদি হরমোনের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আপনার একটু দেরিতে দাড়ি গজাবে। যদি আপনার এমন মনে হয় যে বয়স অনেক বৃদ্ধি হয়ে গেছে দাড়ি উঠছে না। তখন আপনাকে ভেবে নিতে হবে আপনার হরমোনের সমস্যা রয়েছে। তাই যত দ্রুত সম্ভব পারবেন ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করবেন। আশা করি ছেলেদের দাড়ি গজানোর বয়স সম্পর্কে আপনি একটি সঠিক ধারণা পেয়েছেন।
চাপ দাড়ি গজানোর উপায়
পূর্বে আমরা আলোচনা করেছি যে ছেলেদের দাড়ি গজানোর বয়স সম্পর্কে। এখন আমরা যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবো সেটি হচ্ছে চাপ দাড়ি গজানোর উপায় সম্পর্কে। অনেক মানুষেরই ইচ্ছা থাকে তাদের মুখে চাপ দাড়ি করবে কিভাবে। সেই বিষয়ে তাদের তেমন কোন ধারণা নেই। তাই আজকে আমি এই আর্টিকেলে চাপ দাড়ি গজানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। এই অংশটুকু আপনি সম্পূর্ণ পড়লে খুব ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। চলুন তাহলে আর দেরি না করে সে বিষয়গুলো জেনে নিন।
একজন পুরুষ তার সৌন্দর্যের জন্য দাড়ি রাখে। সুন্দর এবং ঝলমলে চাপ দাড়ি রাখতে সবাই পছন্দ করে। এই দাঁড়ি আমাদের শরীরের জিনগত বৈশিষ্ট্য সাথে সম্পর্কিত। অনেক পুরুষ রয়েছে যাদের চাপ দাড়ি হয়ে থাকে। তবে যাদের চাপ দাড়ি গজায় না তাদের কিছু উপায় অবলম্বন করলে ইনশাআল্লাহ চাপ দাড়ি গজানো শুরু হবে। চলুন তাহলে জেনে নিন চাপ দাড়ি গজানোর উপায় সম্পর্কে।
পিয়াজের রসঃ দাড়ি ও চুলের যত্নের জন্য অত্যন্ত উপকারী এই পেঁয়াজের রস। দাড়ি ঘন করার জন্য এটি অনেক কার্যকরী একটি উপাদান। গালের প্রতিটি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশের মধ্যে যে ছোট ছোট লোম রয়েছে। সেগুলোই পর্যাপ্ত সালফারের শক্তি না থাকার কারণে বড় হতে পারে না। তবে পিয়াজের রসে প্রচুর পরিমাণে সালফার রয়েছে যেটি খুব দ্রুত বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
একই সাথে পিয়াজের রসে থাকা সালফার রক্ত চলাচল করতেও সাহায্য করে। এটি ত্বকের মধ্যে কোলাজেন নামক উপাদান বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং দ্রুত দাড়ি ঘন করে তোলে। যদি আপনি ভালো ফলাফল পেতে চান তাহলে কিছু পেঁয়াজের রস ব্যবহারের নিয়ম রয়েছে এগুলো মেনে চললেই ভালো ফলাফল পাবেন।
- প্রথমে আপনাকে তিন চামচ পেঁয়াজের রস নিতে হবে।
- দ্বিতীয়ত পেঁয়াজের রসের সঙ্গে দুই চামচ অলিভ অয়েল নিতে হবে। এরপর সেটি সুন্দর করে মিশ্রণ করে নিতে হবে।
- এইগুলো মিশ্রণ করা শেষে খুব ভালোভাবে আপনার যে অংশে দাড়ি নেই সেই অংশে খুব সুন্দর করে লাগিয়ে নিতে হবে।
- তারপর ২০ মিনিট পর্যন্ত এই মিশ্রণ করা রস লাগিয়ে রাখবেন। তারপর পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ খুব ভালোভাবে ধুয়ে নিবেন।
- এই পদ্ধতিতে যদি আপনি ব্যবহার করতে পারেন তাহলে খুব দ্রুতই ভালো ফলাফল পাবেন। এটি ব্যবহার করতে হবে সপ্তাহে ৩ থেকে ৪ দিন।
লেবু ও দারুচিনিঃ মুখ ভর্তি চাপ দাড়ি পেতে চাইলে আপনাকে সব সময় ত্বকের উপর বেশি নজর দিতে হবে। কারণ আপনার ত্বক যদি পরিষ্কার না থাকে তাহলে অনেক সমস্যা হবে। তাই সব সময় ত্বক পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করবেন। ত্বকের বাইরের যে আবরণ রয়েছে সে বাইরের আবরণে অনেক কোষ মৃত অবস্থায় গালে আটকে থাকে। আর এই মৃতকোষগুলো সরানোর জন্য লেবু ও দারুচিনি খুবই কার্যকরী। এটি আপনার ত্বকের ভেতর থেকে পরিষ্কার ও মসৃণ করে তুলবে। তাই লেবু আর দারুচিনি ব্যবহার করলে অনেক ভালো ফলাফল পাবেন।
- খুব দ্রুত ভালো ফলাফল পেতে চাইলে আপনাকে ৪ চামচ পাতি লেবুর রস নিতে হবে। এরপর তার সঙ্গে ২ চামচ দারুচিনি গুঁড়ো নিয়ে খুব ভালোভাবে মিশ্রণ করে নিবেন।
- মিশ্রণ করা হয়ে গেলে সুন্দর করে দাড়ি গজানো অংশটুকুতে ভালোভাবে লাগিয়ে নিবেন।
- এরপর 20 মিনিট পর্যন্ত রেখে দিবেন। তারপর পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন।
- এইভাবে সপ্তাহে দুইদিন ব্যবহার করবেন তাহলে খুব ভালো ফলাফল পাবেন।
নারকেল তেলঃ চাপ দাড়ি গজানোর জন্য নারকেল তেলও অনেক উপকারী। এটি গালে থাকা চুলের ফলগুলোকে খুব ভালো মশ্চারাইজ করতে সাহায্য করে। তাই নারকেল তেল দিয়ে ভাল ফলাফল পেতে চাইলে পেঁয়াজের রসের সাথে নারকেল তেল মিশ্রণ করে মুখে লাগিয়ে রাখবেন। এইভাবে ১ ঘন্টা পর্যন্ত লাগিয়ে রাখবেন। তারপর পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন। এতে করে অনেক উপকার পাবেন।
আমলা তেলঃ চাপ দাড়ি গজানোর জন্য এই আমলা তেল বেশ ভালো। আমলা তেলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন-সি রয়েছে যা দাড়ির বৃদ্ধির করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন যেকোনো সময় আপনি আমলা তেল আপনার দাড়িতে পরিমাণ মতো লাগিয়ে নিতে পারেন।
এগ মাস্কঃ দাড়ি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এই এগ মাস্ক। এটি ডিম দিয়ে তৈরি। বিশেষ করে ডিমের কুসুম ব্যবহার করে এই এগ মাস্ক তৈরি করা হয়। এই এগ মাস্কের সাথে আমটা তেল, বাদাম তেল, নারকেল তেল, ইউক্যালিপটাস তেল ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন। এটি আপনার দাড়ির গোড়ায় ব্যবহার করবেন। কারণ সেখানে প্রয়োজনীয় প্রোটিন সরবরাহ করাটা অনেক জরুরী। আর সেই প্রোটিন দিয়ে থাকে এগ মাস্ক।
ইউক্যালিপটাস তেলঃ এই তেলটি দাড়ি করতে অনেক ভালো সাহায্য করে। এটি দাড়ির বৃদ্ধির পাশাপাশি রক্ত সঞ্চালনও বাড়ায়। অনেক মানুষ রয়েছে এই ইউক্যালিপটাস তেলকে ফেসিয়াল ম্যাসাজ তেল হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। এছাড়াও এটি চাপ দাড়ি গজানোর উপায় হিসেবে বেশ ভালো সহায়তা করে। নিয়মিত ঘুমানোর আগে এটি ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে অনেক উপকার পাবেন।
দাড়ি ঘন ও লম্বা করবে যেসব খাবার
আপনি নিশ্চয়ই জানতে চান যে আপনার দাড়ি ঘন ও লম্বা করবে যেসব খাবার এই সম্পর্কে। আমরা আজকের অংশের মধ্যে শেষ সম্পর্কেই বিস্তারিত আলোচনা করব। যে খাবারগুলো খাওয়ার ফলে আপনার দাড়ি অনেক ঘন ও লম্বা হবে। চলুন তাহলে আর দেরি না করে সে সমস্ত খাবারগুলো জেনে নিন।
টুনা মাছঃ এটি একটি সামুদ্রিক মাছ। এই মাছটিতে অনেক পুষ্টি রয়েছে। নিয়মিত খাবারের তালিকায় যদি আপনি এই মাছ রাখতে পারেন। তাহলে আপনার দাড়ি লম্বা করতে বেশ সাহায্য করবে। এছাড়াও এই মাছে রয়েছে প্রোটিন ওমেগা থ্রি ফ্ল্যাটি অ্যাসিড এই দুটি উপাদান। এই দুটি উপাদান শুধু দাড়ি বৃদ্ধি করে না পাশাপাশি দাড়ি অনেক সুন্দর ও চকচকে করে তোলে। সেই সঙ্গে আপনার ত্বককে অনেক উজ্জ্বল করতেও সাহায্য করে।
পালং শাকঃ পুষ্টিকর এই খাবারটি অনেকেই পছন্দ করে থাকেন। এই পালং শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং ফলিক এসিডের মত পুষ্টি উপাদান। এই পালং শাক খাওয়ার ফলে আপনার দাড়ি অনেক বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও পালং শাকের যে পুষ্টি উপাদান রয়েছে সেটা চুলের ফলিকের অক্সিজেন সংগ্রহ করতে বেশ সাহায্য করে। তাই খাবারের তালিকায় এই পুষ্টিকর খাবারটি রাখতে পারেন।
নারকেল তেলঃ আপনারা হয়তো অনেকেই জেনে থাকবেন যে এই নারকেল তেল চুলের জন্য অনেক উপকারী। সেই সঙ্গে এটি আপনার দাড়িরও অনেক উপকার করেব। সেজন্য আপনাকে নিয়মিত নারকেল তেল দাড়িতে মেসেজ করতে হবে। এতে করে আপনার দাড়ি অনেক মজবুত ও ঘন হবে।
কুমড়ো বীজঃ দাড়ি লম্বা, ঘন ও সুন্দর করতে এই কুমড়ো বীজ বেশ ভালো উপকারী। কারণ কুমড়ো বীজে রয়েছে জিংক এর মত খনিজ পদার্থ। যা দাড়ি বৃদ্ধি করতে বেশ সাহায্য করে। এর পাশাপাশি দাড়ির স্বাস্থ্যকর বৃদ্ধি ঘটায়। প্রথমে কুমড়োর বীজ শুকিয়ে নিতে হবে। এরপর সেটি ভেজে খেতে হবে। এতে করে অনেক উপকার মিলবে। আশা করি দাড়ি ঘন ও লম্বা করবে যে সব খাবার সে সম্পর্কে একটি সঠিক ধারণা পেয়ে গেছেন।
অল্প বয়সে দাড়ি গজায় কেন
অল্প বয়সে দাড়ি গজায় কেন এই প্রশ্ন অনেকেই করেছেন। আপনারা হয়তো অনেকেই জেনে থাকবেন যে বয়সন্ধিকাল শুরু হওয়া মাত্রই শরীরের বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন দেখা দেয়। এই বয়সন্ধিকালের সময় ছেলেদের মুখে দাড়ি উঠে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে ১৪ থেকে ২১ বছর পর্যন্ত একজন পুরুষের মুখে দাড়ি গজায়। যদি কোন কারনে মুখে দাড়ি না গজায় তাহলে শারীরিক সমস্যা হতে পারে। কিছু কিছু পুরুষের একটু দেরিতে ওঠে।
আবার কিছু কিছু পুরুষের বয়সন্ধিকাল উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পরও দাড়ি গজায় না। তাদের হরমোনের সমস্যা হতে পারে অথবা বংশগতভাবে সমস্যা হতে পারে। যাদের ২১ বছর বয়স পার হয়ে গেছে দাড়ি ওঠে নাই তারা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। কারণ আপনার শরীরের যদি সমস্যা থেকে থাকে তাহলে ডাক্তার সঠিক চিকিৎসা করতে পারবে। আশা করি অল্প বয়সে দাড়ি গজায় কেন এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর আপনারা পেয়ে গেছেন। যদি লেখার মধ্যে কোনো ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
শেষ কথা
এই রকম আরো আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার কোনো মতামত জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে সেটা জানিয়ে যাবেন। (ধন্যবাদ) আসসালামু আলাইকুম।
এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url