পায়ের গোড়ালি ফাটার কারণ ও প্রতিকার জেনে নিন
পায়ের গোড়ালি ফাটার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে আপনার যদি না জানা থাকে। তাহলে
আজকের এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিন। অনেকেরই পায়ের গোড়ালি ফাটা দেখা যায়। কিন্তু
এই পায়ের গোড়ালি ফাটা থেকে কি করে মুক্তি পাবেন সেই সম্পর্কে আপনাদের তেমন কোনো
ধারণা নেই। সেজন্য আমি আজকে একটি সঠিক ধারণা দেয়ার চেষ্টা করবো। তাই আর্টিকেলটি
মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন। তাহলে পা ফাটা দূর করার
ক্রিমের দাম, পা ফাটা দূর করার ক্রিম স্কয়ার, পায়ের গোড়ালি ফাটা দূর করার
ঘরোয়া উপায়, পায়ের গোড়ালি ফাটার হাত থেকে বাঁচার উপায়, পায়ের গোড়ালি ফাটার
কারণ, পায়ের গোড়ালি ফাটার কারণ ও প্রতিকার, এই সকল বিষয়ে সঠিক ধারণা পেয়ে
যাবেন।
ভূমিকা
আমাদের অনেকেরই এই পায়ের গোড়ালি ফাটা সমস্যা হয়ে থাকে। কিন্তু এর থেকে মুক্তি
পাবো কিভাবে সে বিষয়ে অনেকেই হয়তো জানেন না। পায়ের গোড়ালি ফাটার কারণে অনেকেই
অনেক কষ্ট পেয়ে থাকেন। মাঝেমধ্যে দেখা যায় পায়ের গোড়ালির ফাটা অংশ দিয়ে রক্ত
বের হতেও দেখা যায়। তাই এই সকল সমস্যার সমাধান আজকে আমি এই আর্টিকেলের মধ্যে
নিয়ে এসেছি। আজকে আমরা জেনে নিবো পায়ের গোড়ালি ফাটার কারণ ও প্রতিকার
সম্পর্কে। চলুন তাহলে আর দেরি না করে সে বিষয়গুলো জেনে নেওয়া যাক।
পায়ের গোড়ালি ফাটার কারণ ও প্রতিকার
পায়ের গোড়ালি ফাটার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে অনেকেই হয়তো জানেন না। তাই আজকে
আমি এই আর্টিকেলে এই সমস্ত বিষয় নিয়ে সুন্দর একটি ধারণা দেয়ার চেষ্টা করব।
অনেক মানুষেরই এই সমস্যা হয়ে থাকে। এর কারণগুলো কি সেগুলো হয়তো জানা নাও থাকতে
পারে। তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে সমস্ত কিছু খুব ভালোভাবে বুঝতে
পারবেন। চলুন তাহলে আর দেরি না করে জেনে নেয়া যাক পায়ের গোড়ালি ফাটার কারণও
প্রতিকার।
আমরা অনেক সময় দেখে থাকি যে শীত ছাড়াও পায়ের গোড়ালি অনেক খারাপ ভাবে ফেটে
যায়। এই কারণে দেখতে কেমন খারাপ লাগে। পায়ের গোড়ালি ফেটে গেলে ত্বক শুষ্ক হয়ে
যায়। বিশেষ করে শরীরের সমস্ত চাপ সেই পায়ের গোড়ালিতে পড়ে। আর সেই কারণে পায়ের
গোড়ালি বেশিরভাগ ফেটে যায়। এছাড়াও শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে এই পায়ের গোড়ালি
ফেটে যায়।
বাইরের ধুলাবালি, রাস্তায় হাঁটাচলা, খালি পায়ে অপরিস্কার যায়গায় হাঁটাচলা, এগুলো
কারণেও পায়ের গোড়ালে ফেটে যায়। এই গোড়ালি ফাটা খুবই কষ্টকর। অনেক সময় এই
পায়ের গোড়ালি দিয়ে রক্ত পর্যন্ত পড়ে। এর পেছনে রয়েছে সচেতনভাবে পায়ের ও
ত্বকের যত্নের অভাব। এই অভাব আপনি খুব সহজেই দূর করতে পারবেন। পায়ের গোড়ালি
ফাটার কারণ ও প্রতিকার নিচে খুব সুন্দর করে দেয়া হয়েছে জেনে নিন।
পায়ের গোড়ালি ফাটার কারণ
- শরীরে ভিটামিনের অভাব দেখা দিলে এই পায়ের গোড়ালি ফেটে যায়। এই পায়ের গোড়ালি ফাটার অন্যতম কারণ হচ্ছে শরীরে ক্যালসিয়াম, জিংক ও আয়রনের ঘাটতি। এই অভাব থাকার কারণে পায়ের গোড়ালি ফেটে যায়।
- স্নায়ুজনিত সমস্যা তৈরি হওয়ার ফলে ডায়াবেটিস রোগীদের পায়ের আর্দ্রতা অনেক হারিয়ে ফেলে। এতে করে পায়ের গোড়ালি ফেটে যেতে পারে।
- অনেক বেশি গরম পানিতে গোসল করলে পায়ের গোড়ালি ফেটে যেতে পারে। এছাড়াও ধুলাবালির মধ্যে খেলাধুলা করলে পায়ের যত্নের অনেক অভাব হয়ে থাকে। এইগুলো কারণে পায়ের গোড়ালি ফেটে যেতে পারে। এছাড়াও অপরিচ্ছন্ন জুতা পড়ে থাকলে, অতিরিক্ত পুষ্টির অভাব হলে, এই পায়ের গোড়ালি ফেটে যেতে পারে।
- শরীরে পানিশূন্যতার কারণে এই পায়ের গোড়ালি ফেটে যেতে দেখা যায়। এই পানিশূন্যতা দূর করতে প্রতিদিন আপনাকে ৩ লিটার পানি পান করতে হবে। অথবা ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করতে হবে। এতে করে পায়ের গোয়াল ফাটা থেকে মুক্তি পাবেন।
- প্রতিদিন পা যদি পরিষ্কার না করেন তাহলে পায়ের গোড়ালি ফেটে যেতে পারে। এছাড়াও ময়েশ্চার ভেসলিন, এইগুলো দেয়ার পর সঠিকভাবে পরিষ্কার না করলে পায়ের গোড়ালি ফেটে যেতে পারে। এছাড়াও ক্রিম, লোশন, এগুলো ব্যবহার করার পরে পরিষ্কার করে নিতে হবে। নয়তো পায়ের গোড়ালি ফেটে যেতে পারে।
- অনেকেই রয়েছে জেনেটিক ভাবেও এই পায়ের গোড়ালি ফাটা দেখা যায়। অর্থাৎ মা, বাবা, চাচা, কারো যদি এই সমস্যা থেকে থাকে তাহলে বংশ পরম্পরায় কারণে ছেলে-মেয়ে উভয়ের এই সমস্যা হতে পারে। পায়ের গোড়ালি ফাটার কারণ সম্পর্কে আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
প্রিয় বন্ধুরা এতক্ষণ আমরা পায়ের গোড়ালি ফাটার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত
জেনেছি। আশা করি এই কারণগুলো দেখে আপনি অবশ্যই বুঝতে পারবেন যে আপনার পায়ের
গোড়ালি কেন ফেটে যায়। যদি আপনার এই সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে চিন্তার কোন
কারণ নেই। এখন আমরা জেনে নিব পায়ের গোড়ালি ফাটার হাত থেকে বাঁচার উপায়
সম্পর্কে। চলুন তাহলে ধাপে ধাপে আমরা সে সমস্ত বিষয়গুলো খুব সুন্দর করে জেনে
নিই।
পায়ের গোড়ালি ফাটার হাত থেকে বাঁচার উপায়
হালকা কুসুম গরম পানিঃ হালকা কুসুম গরম পানিতে ৩ চা চামচ ব্রেকিং সোডা
মিশে নিতে হবে। এরপর সেই মিশ্রণ করা পানির মধ্যে পা ডুবে বসে থাকতে হবে ১০ থেকে
১৫ মিনিট। এইভাবে বসে থাকলে আপনার পায়ের ত্বক অনেক সুন্দর নমনীয় হবে। এরপর আপনি
পানি থেকে পা তুলে নিয়ে পা-ঘষার পাথরে অথবা কোন পরিষ্কার জায়গায় সুন্দর করে পা
ঘুষে নিবেন। এতে করে আপনার পায়ের গোড়ালি ফাটার হাত থেকে মুক্তি
পাবেন।
পায়ের যত্নে মধুঃ পায়ের যত্নে মধু অত্যন্ত কার্যকারী একটি
উপাদান। এই মধু পায়ের গোড়ালি ফাটার হাত থেকে খুব সহজেই মুক্তি দেয়। এক বালতি
হালকা কুসুম গরম পানি নিতে হবে। এরপর এক কাপ মধু সেই হালকা কুসুম গরম পানির মধ্যে
মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর সেই মিশ্রণ করা পানি পায়ে ম্যাসাজ করে নিতে হবে। ১৫
থেকে ২০ মিনিট ধরে ম্যাসাজ করে নিন।
তারপর পা-ঘষার যে পাথর রয়েছে সেই পাথর দিয়ে পায়ের শক্ত যে চামড়া রয়েছে সেটা
খুব সুন্দর করে আলতো ভাবে পা-ঘোষার পাথর দিয়ে পরিষ্কার করে নিন। এতে করে আপনার
পায়ের গোড়ালি ফাটার হাত থেকে খুব সহজেই মুক্তি পাবেন।
নারকেল তেলঃ নারকেল তেল, অলিভ অয়েল, সরিষার তেল, তিলের তেল ও বাদামের তেল
এইগুলো পায়ের গোড়ালি ফাটার হাত থেকে খুব সহজেই মুক্তি দেয়। এগুলো একেকটি
পায়ের গোড়ালি ফাটার সমাধান। রাতে ঘুমানোর আগে এর মধ্যে যেকোনো একটি তেল লাগিয়ে
আপনি ঘুমিয়ে যাবেন। এইভাবে প্রতিদিন রাতে করলে আপনার পায়ের গোড়ালি ফাটা থেকে
মুক্তি পাবেন।
অ্যালোভেরা জেলঃ পায়ের গোড়ালি ফাটার হাত থেকে বাঁচার অন্যতম উপায় হচ্ছে
অ্যালোভেরা জেল। এতে রয়েছে ভিটামিন-এ, ভিটামিন-সি, এবং ভিটামিন ই। এইগুলো
ভিটামিন থাকার কারণে পায়ের ত্বকের জন্য অত্যন্ত কার্যকারী এই অ্যালোভেরার
জেল।
- প্রথমে সুন্দর করে হালকা কুসুম গরম পানি করে নিতে হবে।
- এরপর সে পানিতে পা ধুয়ে নিতে হবে।
- তারপর পা-ঘুষার যে পাথর রয়েছে সেটি দিয়ে পায়ের গোড়ালি খুব সুন্দর করে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
- তারপর অ্যালোভেরা জেল মোটা করে পায়ের গোড়ালিতে লাগিয়ে নিতে হবে।
- এরপর কিছুক্ষণ রেখে দিলে সেই জেল শুকিয়ে যাবে।
- সকালে ঘুম থেকে উঠে হালকা কুসুম গরম পানিতে সেই পা আবার ধুয়ে নিতে হবে।
- এতে করে আপনার পায়ের গোড়ালি ফাটা অনেকটা কমতে থাকবে।
ভেসলিন ও লেবুর রসঃ ভেসলিন পায়ের গোড়ালি ফাটার হাত থেকে অনেক সহজেই
মুক্তি দেয়। আপনার অনেকে হয়তো এই বিষয়টি জানেন না। ভেসলিনের সাথে এক
চা-চামচ লেবুর রস সুন্দর করে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর একটি পেস্ট তৈরি করতে
হবে।
সেই পেস্ট ঘুমাতে যাওয়ার আগে পায়ের গড়ালিতে লাগিয়ে নিতে হবে। প্রতিদিন এইভাবে
ভ্যাসলিন এবং লেবুর রস মিশ্রণ পেস্টটি যদি আপনি রাতে লাগিয়ে রাখতে পারেন। তাহলে
আপনার পায়ের গোড়ালি ফাটা দূর হবে এবং পাশাপাশি আপনার পা অনেক নরম ও কোমল
থাকবে।
উপরে আমরা পায়ের গোড়ালি ফাটার কারণ ও প্রতিকার, পায়ের গোড়ালি ফাটার কারণ
এবং পায়ের গোড়ালি ফাটার হাত থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে সুন্দর করে বিস্তারিত
আলোচনা করেছি। আপনাদের যাদের এই সমস্যা রয়েছে তারা পড়লে সমস্ত কিছু খুব ভালোভাবে
বুঝতে পারবেন। আশা করি এই উপরের অংশ পড়ে আপনি অনেক উপকৃত হয়েছেন। আপনার সমস্যার
সমাধান আশা করি পেয়ে গেছেন।
পায়ের গোড়ালি ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায়
পায়ের গোড়ালি ফাটার সমস্যা অনেক মানুষের হয়ে থাকে। এছাড়াও ছেলে-মেয়ে
উভয়ের এই সমস্যা হয়ে থাকে। এই সমস্যার কারণে বিশেষ করে মেয়েরা অনেক বেশি
সমস্যার মধ্যে থাকে। এই পা ফাটার সমস্যা বেশি চোখে পড়ে মেয়েদের। শীতকাল
ছাড়াও অন্যান্য সময়ে এই সমস্যা হয়ে থাকে। আর শীতকাল এলে তো কোন কথাই নেই।
পায়ের গোড়ালি শুষ্ক হয়ে গেলে এর সমস্যাটা দেখা দেয়।
অনেক সময় এমন পরিস্থিতির পর্যায়ে পড়ে যায় যে সেই পায়ের ফাটা দিয়ে রক্ত
বের হতে দেখা যায়। তাই আজকে আমি এই আর্টিকেলে পায়ের গোড়ালি ফাটা দূর করার
ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আলোচনা করতে চলেছি। আপনার যদি পায়ের গোড়ালি
ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানা না থাকে। তাহলে আজকের এই আর্টিকেল
থেকে জেনে নিন।
ওট ও জোজোবা ওয়েলঃ ত্বক উজ্জ্বল করতে বেশ সাহায্য করে এই ওট মিল।
এছাড়াও জোজোবা ওয়েল ত্বকের মশ্চারাইজ করতে বেশ ভালো কার্যকর। ওট মিল
পাউডারের সঙ্গে জোজোবা ওয়েল মিশ্রণ করে পেস্ট তৈরি করে নিন। তারপর পায়ের
গোড়ালির যে ফাটা অংশ রয়েছে সে অংশটুকু মধ্যে লাগিয়ে নিন। কিছুক্ষণ লাগিয়ে
রাখার পর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে করে অনেক উপকার পাবেন।
গ্লিসারিন ও গোলাপ জলঃ পায়ের গোড়ালি অনেক বেশি ফেটে গেলে গ্লিসারিন ও
গোলাপ জলের মাধ্যমে সারিয়ে তুলতে পারবেন। তিন ভাগের এক ভাগ গ্লিসারিনের সঙ্গে
চার ভাগের এক ভাগ গোলাপ জল মিশিয়ে নিন। তারপর পায়ের গোড়ালিতে খুব সুন্দর করে
আলতো ভাবে লাগিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখার পর পরিষ্কার কুসুম গরম পানি
দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে করে আপনার পায়ের গোড়ালি ফাটা থেকে খুব দ্রুত মুক্তি
পাবেন।
পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করুনঃ ঠোঁট ফাটা থেকে পায়ের গোড়ালি
ফাটা পর্যন্ত যেকোনো রুক্ষতা দূর করতে এই পেট্রোলিয়াম জেলি অত্যন্ত উপকারী
একটি উপাদান। প্রথমে আপনাকে যা করতে হবে কুসুম গরম পানিতে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পা
ভিজিয়ে রাখতে হবে। এইরকম করলে আপনার পায়ের শুষ্ক রুক্ষ ত্বক অনেক কোমল ও নরম
হয়ে যাবে। এরপরে পিউরিক পাথর দিয়ে সুন্দর করে পা ঘুষে পরিষ্কার পানি দিয়ে
ধুয়ে মুছে নিতে হবে।
তারপর পা পরিষ্কার করে নেওয়ার পর পেট্রোলিয়াম জেলির সঙ্গে অল্প কিছু লেবুর রস
মিশিয়ে লাগিয়ে নিতে হবে। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এইরকম করে নিবেন।
পেট্রোলিয়াম জেলি পায়ে লাগিয়ে নেয়ার পর সুন্দর করে মোজা পরিয়ে ঘুমিয়ে
যাবেন। সকালে উঠে কুসুম গরম পানি দিয়ে পা ভালোভাবে ধুয়ে নিবেন। এতে করে আপনার
পায়ের গোড়ালি ফাটা থেকে মুক্তি পাবেন।
লেবুর রসের ব্যবহারঃ একটি গামলায় গরম কুসুম পানি নিবেন। তারপর সেই
পানিতে শ্যাম্পু অথবা বডি ওয়াশ এবং একটি লেবুর রস মিশিয়ে দিবেন। এরপর সেই
পানিতে ১০ থেকে ১৫ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখবেন। তারপর পা-ঘোষা পিউরিক পাথর দিয়ে
পায়ের গোড়ালি সুন্দর করে ঘুষে নিবেন। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে পা খুব
ভালোভাবে ধুয়ে নিবেন। পা শুকানোর পর একটি পরিষ্কার গামছা দিয়ে পা মুছে নিবেন।
তারপর সেই পায়ে মশ্চারাইজার লাগাবেন। এতে করে পায়ের গোড়ালি ফাটা থেকে মুক্তি
পাবেন।
পাকা কলা বাটায় ঠিক হবে ফাটা গোড়ালিঃ প্রথমে আপনাকে যা করতে হবে
সেটা হচ্ছে দুইটি পাকা কলা দিয়ে একটি সুন্দর করে পেস্ট বানিয়ে নিবেন। তারপর
পিউরিক পাথর দিয়ে পা ভালোভাবে ঘষে নিবেন। এরপর পা পরিষ্কার কুসুম গরম পানি
দিয়ে পরিষ্কার করে মুছে নিবেন। তারপর সেই পেস্ট ভালোভাবে পায়ের গোড়ালির যে
ফাটা অংশ রয়েছে সেই জায়গায় লাগিয়ে রাখবেন। এইভাবে ১৫ থেকে ২০ মিনিট লাগিয়ে
রাখার পর কুসুম গরম পানি দিয়ে পা ধুয়ে নিবেন। নিয়মিত এই কালার পেস্ট লাগালে
খুব দ্রুত অনেক উপকার পাবেন।
চালের গুঁড়ো দিয়ে দূর হবে মৃত ত্বকঃ পায়ের গোড়ালিতে অনেক মৃত ত্বক
রয়েছে। যেগুলো দূর করতে চালের গুঁড়ো ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য আপনাকে যেটা
করতে হবে প্রথমে চালের গুড়াই কিছু পরিমাণ মধু ও অল্প কিছু আপেল, সাইনডার,
ভিনেগার, এইগুলো সুন্দর করে মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর এগুলো মিশিয়ে নিয়ে একটি
পেস্ট তৈরি করে নিবেন। এরপর পায়ের গোড়ালির যে ফাটা অংশ রয়েছে সেইখানে সুন্দর
করে লাগিয়ে রাখবেন। এইভাবে ৫ থেকে ১০ মিনিট লাগিয়ে রাখার পর পরিষ্কার পানি
দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে করে অনেক উপকার পাবেন।
এছাড়াও কিছু বিষয়ের ওপর নজর রাখলে পায়ের গোড়া ফাটা সমস্যা থেকে মুক্তি
পেতে পারেনঃ
- একটি বালটিতে কুসুম গরম পানি নিয়ে নিয়মিত ১০ থেকে ১৫ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখলে অনেক উপকার পাবেন।
- পায়ের গোড়ালির ফাটা সমস্যায় ভুগলে আরামদায়ক ও সঠিক মাপের জুতা পড়তে হবে। এতে করে অনেক উপকার পাবেন।
- পায়ের খুব ভালোভাবে যত্ন নিবেন। তাহলে এগুলো সমস্যা হবে না।
- এছাড়াও গোসল করার সময় পিউরিক পাথর দিয়ে পায়ের গোড়ালি ঘষে নিবেন। তারপর গোসল শেষ করে পা ভালোভাবে পরিষ্কার গামছা দিয়ে মুছে নিবেন। তারপর পায়ের গোড়ালিতে মশ্চারাইজার লাগিয়ে রাখবেন।
- বাসায় থাকলে অবশ্যই পরিষ্কার স্যান্ডেল অথবা চটি পড়ে থাকবেন।
- মধুমেয় আক্রান্ত রোগীদের খুব দ্রুত পায়ের এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই পায়ের সঠিকভাবে যত্ন নিবেন।
- বর্ষাকাল আসলেই পায়ের অনেক সমস্যা দেখা দেয়। কারণ এই সময় ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন হতে পারে পায়ে। তাই বর্ষাকাল এলে অবশ্যই পা খুব ভালোভাবে যত্ন করে রাখবেন।
- ওপরে পায়ের গোড়ালি ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি আপনি এই ঘরোয়া উপায়ে যদি পায়ের যত্ন নিতে পারেন। তাহলে আপনার পায়ের সমস্ত সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
পা ফাটা দূর করার ক্রিম স্কয়ার
অনেক মানুষের দেখা যায় পায়ের গোড়ালি ফেটে যায় এই পায়ের গোড়ালি ফেটে
যাওয়ার কারণে সব সময় চিন্তিত মধ্যে থাকতে হয় মানুষদের এই পা ফাটা অন্যান্য
সময়ের চেয়ে শীতকালে বেশি হয়ে থাকে। শীতে অনেক মানুষের ত্বক শুষ্ক ও রুক্ষ
হয়ে হয়ে যায় অতিরিক্ত এই ঠান্ডা শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে পায়ের গোড়ালি
ফেটে যায় কারো কারো এই পায়ের গোড়ালি দিয়ে রক্ত বের হয় সেজন্য এই সকল
সমস্যার সমাধান আজকে আমি এই পোস্টে তুলে ধরেছি পা ফাটা দূর করার ক্রিম
স্কয়ার এই বিষয়ে আলোচনা করব চলুন তাহলে সমস্যাগুলোর সমাধান নিয়ে নিন।
১। ক্রিমের নামঃ
- হিলমেট ক্র্যাকড হিল রিপেয়ার স্পেশালিস্ট ক্রিম। (Helmet Cracked Heel Repair Specialist Cream)।
বিবরণঃ এই ক্রিমটি আপনি ব্যবহার করলে আপনার পায়ের যে ফাটা
রয়েছে সেটি দূর হয়ে যাবে এবং আপনার পা অনেক মসৃণ ও নরম হয়ে থাকবে। এই
ক্রিমটি আপনি প্রতিদিন ঘুমানোর আগে ব্যবহার করবেন তারপর ঘুমিয়ে
পড়বেন।
২। ক্রিমের নামঃ
- অ্যাভন ফুটওয়ার্কস ক্র্যাকড হিল রিলিফ ক্রিম। (Avon Footwork's Cracked Heel Relief Cream)
বিবরণঃ এই ক্রিমটি ব্যবহারের ফলে ২০ থেকে ২৪ ঘন্টার ভেতরে আপনার
পায়ের ফাটা ভালো করতে সাহায্য করবে। এই ক্রিমটি আপনি শীতকালে যদি নিয়মিত
ব্যবহার করে থাকেন তাহলে পা ফাটা দূর হয়ে যাবে।
৩। ক্রিমের নামঃ
- পতঞ্জলি ক্র্যাক হিল ক্রিম। (Patanjali Cracked Heel Cream)
বিবরণঃ এই ক্রিমটি ব্যবহারের ফলে আপনার পা ফাটা দূর হয়ে যেতে
পারে। প্রতিদিন ঘুমানোর আগে এই ক্রিমটি ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও আপনার পা
কোমল ও মসৃণ করতে এই ক্রিমটি সাহায্য করবে।
৪। ক্রিমের নামঃ
- ভাদিস হারবালস ফুট ক্রিম, ক্লোভ অ্যান্ড স্যান্ডল অয়েল। (Vadis Herbals Foot Cream, Clove and Sandal Oil)
বিবরণঃ এই ক্রিমটি ব্যবহার করলে আপনার পায়ের ফাটা খুব দ্রুত দূর
হয়ে যাবে। এই ক্রিমটি আপনি নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারেন। এই ক্রিমটি
ব্যবহারের ফলে আপনি দুই থেকে তিন দিনের মধ্যেই ভালো ফলাফল পেয়ে যাবেন।
প্রতিদিন ঘুমানোর আগে এই ক্রিমটি ব্যবহার করতে পারেন।
৫। ক্রিমের নামঃ
- খাদি জ্যাসমিন অ্যান্ড গ্রিন টি হারবাল ফুট ক্রিম। (Khadi Jasmine & Green Tea Herbal Foot Cream)
বিবরণঃ আপনার হয়তো অনেকেই পা ফাটা নিয়ে ভুগছেন। এই পা ফাটা দূর
করতে এই ক্রিমটি অনেক ভালো ফলাফল দিয়ে থাকেন। এই ক্রিমটি ব্যবহারের ফলে
আপনার পা ফাটা দূর হওয়ার পাশাপাশি আপনার পা কমল ও নরম করে তুলবে। প্রতিদিন
গোসল করার পরে এবং ঘুমানোর আগে নিয়মিত এই ক্রিম ব্যবহার করবেন। এই ক্রিমটি
পা ফাটা দূর করার স্কয়ার ক্রিম বাংলাদেশ হিসেবে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি
ক্রিম। তাই আপনি নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারেন।
৬। ক্রিমের নামঃ
- হিমালয়া ওয়েলনেস ফুট কেয়ার ক্রিম। (Himalaya Wellness Foot Care Cream)।
বিবরণঃ এই ক্রিমটি অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ক্রিম। এই ক্রিম আপনি
ব্যবহার করলে খুব দ্রুত পায়ের ফাটা দূর হয়ে যাবে। এছাড়াও এই ক্রিমটি
ব্যবহারের ফলে আপনার পা কোমল ও মসৃণ হবে। প্রতিদিন ঘুমানোর আগে এই ক্রিমটি
ব্যবহার করলে অনেক উপকার পাবেন। এই হিমালয়া ওয়েলনেস ফুট কেয়ার ক্রিম পা
ফাটা দূর করার স্কয়ার ক্রিম বাংলাদেশ হিসেবে অত্যন্ত জনপ্রিয়।
প্রিয় বন্ধুরা উপরের যে ক্রিমগুলো নাম বলা হয়েছে এইগুলো ক্রিম ব্যবহার করলে
আপনার পা ফাটা খুব দ্রুত দূর হয়ে যাবে। তবে এইগুলো ক্রিম ব্যবহারের আগে
অবশ্যই অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তারপর ব্যবহার করবেন। আশা করি পা ফাটা
দূর করার ক্রিম স্কয়ার সম্পর্কে সঠিক ধারণা দিতে সক্ষম হয়েছি।
পা ফাটা দূর করার ক্রিমের দাম
পা ফাটা এটি অনেক মারাত্মক একটি সমস্যা। বিশেষ করে মহিলাদের এই সমস্যা হলে
তারা অনেক সমস্যার মধ্যে পড়ে যায়। পা ফাটার পাশাপাশি রক্ত বের হয়। এগুলো
সমস্যা প্রায় অনেকেরই হয়ে থাকে। তাই এই সকল সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে
আপনাদের বিষয়গুলো জানতে হবে। ইতিপূর্বে আমরা আলোচনা করেছি যে পা ফাটা দূর
করার ক্রিম স্কয়ার সম্পর্কে। এখন আমরা জেনে নিবো পা ফাটা দূর করার ক্রিমের
দাম সম্পর্কে চলুন তাহলে জেনে নিন।
পা ফাটা দূর করার ক্রিমের দাম জেনে নিনঃ
১। ক্রিমের নামঃ হিলমেট ক্র্যাকড হিল রিপেয়ার স্পেশালিস্ট ক্রিম।
- দামঃ ৭৫ থেকে ৮৫ টাকার মধ্যে।
২। ক্রিমের নামঃ অ্যাভন ফুটওয়ার্কস ক্র্যাকড হিল রিলিফ ক্রিম=দাম
১৭৯/ টাকা।
- দামঃ ১৭৫ থেকে ১৮৫ টাকার মধ্যে।
৩। ক্রিমের নামঃ পতঞ্জলি ক্র্যাক হিল ক্রিম।
- দামঃ ৬৫ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে।
৪। ক্রিমের নামঃ ভাদিস হারবালস ফুট ক্রিম,ক্লোভ অ্যান্ড
স্যান্ডল অয়েল।
- দামঃ ১২০ থেকে ১২৫ টাকার মধ্যে।
৪। ক্রিমের নামঃ খাদি জ্যাসমিন অ্যান্ড গ্রিন টি হারবাল
ফুট ক্রিম।
- দামঃ ১৩৫ থেকে ১৪৫ টাকার মধ্যে।
৪। ক্রিমের নামঃ হিমালয়া ওয়েলনেস ফুট কেয়ার ক্রিম।
- দামঃ ১১০ থেকে ১১৫ টাকার মধ্যে।
প্রিয় বন্ধুরা আশা করি পা ফাটা দূর করার ক্রিমের দাম সম্পর্কে আপনি
জানতে পেরেছেন। বাজারে এই ওষুধগুলোর দাম কম বেশি হতে পারে। তবে একদম যে
এই দাম সেটা কিন্তু নয়। এইখানে যে কয়টি ওষুধের নাম ও দাম দেওয়া
হয়েছে বাজারে আরও এর থেকে বেশি অন্যান্য কোম্পানির ঔষধ থাকতে পারে। এই
পায়ের গোড়ালি ফাটার ওষুধ আরো অনেক রয়েছে যার মধ্যে আমি কয়েকটি নাম
দিয়েছি।
এই ঔষধগুলো যদি আপনি ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে আশা করি অনেক দ্রুত
ভালো ফলাফল পাবেন। তবে এগুলো ওষুধ ব্যবহার করার আগে অবশ্যই ডাক্তারের
পরামর্শ নিয়ে তারপর ব্যবহার করবেন। পায়ের গোড়ালি ফাটার কারণ ও
প্রতিকার এই সম্পর্কেও একটি সঠিক ধারণা দিয়েছি উপরের অংশে জেনে নিতে
পারেন।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে আশা করি পায়ের গোড়ালি ফাটার
কারণ ও প্রতিকার এবং পায়ের গোড়ালি ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায়
সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট ধারণা দিতে সক্ষম হয়েছি। আর্টিকেলটি পড়ে
যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার
করতে ভুলবেন না। এই আর্টিকেলটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করলে আপনার
বন্ধুরাও জানতে পারবে। তাই দেরি না করে আপনার বন্ধুদের সাথে
আর্টিকেলটি শেয়ার করুন।
এই রকম আরো আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। এই
আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার কোনো মতামত জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই
কমেন্ট করে সেটা জানিয়ে যাবেন। (ধন্যবাদ) আসসালামু আলাইকুম।
এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url