গলা ব্যাথার ঔষধের নাম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
গলা ব্যাথার ঔষধের নাম সম্পর্কে আপনার যদি না জানা থাকে। তাহলে আজকের এই আর্টিকেল
থেকে জেনে নিন। আমাদের সবার গলা ব্যথা হয়ে থাকে । কিন্তু কোন ওষুধ খেলে গলা ব্যথা
কমবে সেটা সম্পর্কে আমাদের হইত তেমন কোনো ধারণা নেই। সেজন্য আমি আজকে একটি সঠিক
ধারণা দেয়ার চেষ্টা করবো। তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন। গলা ব্যথা হলে কি খাওয়া
উচিত, টনসিলের ঔষধ এর নাম, ঢোক গিলতে গলা ব্যথা কেন হয়, গলা ব্যাথার ঔষধের নাম
হোমিওপ্যাথি, গলা ব্যথ্যা ও সর্দি ঔষধের নাম, গলা ব্যাথার ঔষধের নাম, এই সকল
বিষয়ে সঠিক ধারণা পেয়ে যাবেন।
ভূমিকা
গলা ব্যাথা একটি সাধারণ সমস্যা যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। এটি হালকা অস্বস্তি
থেকে শুরু করে তীব্র ব্যথার হতে পারে। খাওয়া দাওয়া, গিলে ফেলা এবং কথা বলার
ক্ষেত্রে অসুবিধা সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষ করে শীতের সময় ঠাণ্ডা লাগার কারণে এই
সমস্যা বেশি দেখা যায়। গলা ব্যথা কতটা যে যন্ত্রণাদায়ক সেটা ভুক্তভোগীরা জেনে
থাকে। সেজন্য আজকে আমরা গলা ব্যথার ওষুধের নামগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা
করবো। যদি আপনার গলা ব্যথা সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জেনে
নিতে পারেন। চলুন তাহলে আর দেরি না করে গলা ব্যথার সমস্ত বিষয়গুলো আলোচনা করা
যাক।
গলা ব্যাথার ঔষধের নাম
আজকে আমরা আলোচনা করব গলা ব্যাথার ওষুধের নাম। অনেক মানুষেরই গলা ব্যথা হয়ে থাকে
কারো ঠান্ডাতে আর কারো এমনিতেই। তবে এই গলা ব্যথার যে ওষুধ রয়েছে সে ওষুধ আপনি
খেলে খুব দ্রুত গলা ব্যথা থেকে আরাম পাবেন। যদি আপনার গলা ব্যথা হয়ে থাকে তাহলে
আজকের এই আর্টিকেল থেকে গলা ব্যথার ওষুধের নাম জেনে যান। চলুন তাহলে আর দেরি না
করে জেনে নেওয়া যাক।
আমরা সাধারণত গলা ব্যাথা হলে গলায় কোন কিছু দিয়ে পেচিয়ে রাখি যেন ঠান্ডা না
লাগে। এছাড়াও লবণ ও হালকা কুসুম পানি দিয়ে গড়গড়া করে থাকি। হালকা ঠান্ডা লাগলে এই
গলা ব্যথার প্রধান উপসর্গ হয়ে দাঁড়ায়। তবে ঠান্ডা লাগা ছাড়াও আরো বিভিন্ন
কারনে গলা ব্যথা হতে পারে। ভাইরাস ইনফেকশন, ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ এগুলো কারণেও
গলা ব্যথা হয়ে থাকে।
অথবা অ্যালার্জি গলায় আঘাত লাগার কারণেও গলা ব্যথা হয়ে থাকে। এগুলো কারণে যদি
গলা ব্যথা হয়ে থাকে তাহলে আপনি তুসকা প্লাস সিরাপ (Tosca plus syrup) ১০০
মি.গ্রা. এই ওষুধটি খেতে পারেন। এছাড়াও আরো কিছু ওষুধের নাম নিচে দেওয়া হলো
সেগুলো খেতে পারেন। এতে করে আপনার গলা ব্যথা সুস্থ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
- পিউরিসাল সিরাপ--(Purisal syrup)--৫০মি.গ্রা.।
- টুসপেল সিরাপ--(Tuspel syrup)--১০০ মি.গ্রা.।
- এডোলিফ সিরাপ--(Adolef syrup)--১০০ মি.গ্রা.।
- টমিফেন সিরাপ--(Tomephen syrup)--১০০ মি.গ্রা.।
- ডেক্সপোটেন প্লাস সিরাপ--(Dexpoten syrup)--১০০ মি.গ্রা.।
- এডোভাস সিরাপ--(Adovas syrup)--১০০ মি.গ্রা.।
- অফকফ সিরাপ--(Ofkof syrup)--১০০ মি.গ্রা.।
উপরে যে সিরাপ গুলোর নাম দেয়া হলো এগুলো শুধু যে গলা ব্যাথা হলে খেতে পারবেন
এমনটা নয় আপনার সর্দি-কাশি হলেও এই সিরাপ গুলো খেতে পারবেন সমস্যা নেই। আশা
করি গলা ব্যাথার ঔষধের নাম জেনে আপনি অনেক উপকৃত হয়েছেন।
গলা ব্যথ্যা ও সর্দি ঔষধের নাম
আবহাওয়া পরিবর্তন হলে অনেক সময় দেখা যায় যে সর্দি-কাশি হয়ে থাকে। আর সেই
সর্দি কাশি থেকেই গলা ব্যথা হয়ে থাকে। তাই গলা ব্যথার পাশাপাশি যদি আপনার
সর্দি-কাশি হয়ে থাকে তখন আপনাকে বিভিন্ন রকম ওষুধ বাছাই করতে হয়। যাতে করে
আপনার গলা ব্যথা ও সর্দি দুটোই আরাম হয়ে যায়। তাই আজকে আমি গলা ব্যথা ও
সর্দি ওষুধের নাম আপনাদের সামনে আলোচনা করব। চলুন তাহলে আর দেরি না করে জেনে
জেনে নিন আপনার গলা ব্যথা ও সর্দি ওষুধের নামসমূহ।
- হিস্টা লেক--(Hista lex)--১০ মি.গ্রা.।
- ডেসলর--(Deslor)--১০০ মি.গ্রা.।
- এইস প্লাস--(Ace plus)--৫০০ মি.গ্রা.।
- নাপা এক্সন্টেড--(Napa extend)--৬৬৫ মি.গ্রা.।
- ফিলা মেক্স--(Fila Max)--৫০০ মি.গ্রা.।
- কারভা ৭৫--(Carva 75)--৭৫ মি.গ্রা.।
- হিস্টাসিন--(Histasin)-৪ মি.গ্রা.।
- ফেক্সো--(Fexo)--১২০ মি.গ্রা.।
- নিওসিলর--(Neocilor)--৫ মি.গ্রা.।
উপরে যে ওষুধগুলো দেয়া হলো সে ওষুধগুলো আপনি সেবন করলে আপনার গলা ব্যথা ও
সর্দি অনেক আরাম হয়ে যাবে। এছাড়াও গলা ব্যথ্যা ও সর্দি ওষুধ আরো
অনেক পাওয়া যায় বাজারে আপনি ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সেগুলো ওষুধ খেতে
পারেন। তবে ওষুধ সেবন করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন
করবেন।
গলা ব্যথার ট্যাবলেট এর নাম বাংলাদেশ
গলা ব্যথা যার ইংরেজি নাম হলো ফ্যারিঞ্জাইটিস (Pharyngitis). সাধারণত এই গলা ব্যথা হওয়ার প্রধান কারণ হলো ঠান্ডা লাগা এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা-এর জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হওয়া। আমাদের গলায় এই জীবাণু আক্রান্ত হলেই গলা ব্যথা শুরু হয়।তাই ওপরে উল্লেখিত যে ওষুধগুলো রয়েছে সেগুলো সেবন করলে আল্লাহর রহমতে এই জীবাণু দূর করা সম্ভব। শুধু তাই নয় এই ওষুধগুলোর পাশাপাশি অন্যান্য ওষুধ বা ট্যাবলেট আপনার নিকটস্থ ফার্মেসিতে পেয়ে যাবেন যেগুলো খাওয়ার ফলে আপনার গলা ব্যাথা সহজেই দূর হয়ে যাবে।
গলা ব্যাথার ঔষধের নাম হোমিওপ্যাথি
অনেক মানুষ রয়েছে যারা অন্যান্য ওষুধ খাওয়ার পরেও গলা ব্যথা আরাম পায় না।
এই গলা ব্যাথা এমন একটি সমস্যা যা অতিরিক্ত বেড়ে গেলে অনেক সমস্যা দেখা
দেয়। সর্দি-কাশি এইগুলোর ফলে এই গলা ব্যথা হয়ে থাকে। তবে এর কিছু
হোমিওপ্যাথি ঔষধ রয়েছে যা খেলে অনেক আরাম পাওয়া যায়।
আপনি যদি গলা ব্যাথা হোমিওপ্যাথি ঔষধ খেয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আরাম পাবেন।
শুধু যে গলা ব্যাথার অন্যান্য ওষুধ খেলে আরাম হবে তেমন নয় হোমিও ওষুধ
খাওয়ার ফলেও কিছু কিছু মানুষের গলা ব্যথা আরাম হয়ে থাকে। চলুন তাহলে জেনে
নেয়া যাক গলা ব্যথা ওষুধের নাম হোমিওপ্যাথি সম্পর্কে।
- অ্যালিয়াম--সেপা।
- ফেরাম--ফসফোরিকাম।
- ক্যালি--বাইক্রোমিকাম।
- আসেনিকাম--অ্যালবাম।
- অ্যাকোনাইট।
এই হোমিওপ্যাথি ওষুধগুলো খাওয়ার ফলে আপনার গলা ব্যাথা অনেক কমে যেতে
পারে। তবে ওষুধ খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারে পরামর্শ নিয়ে তারপর ওষুধ
সেবন করবেন। আশা করি গলা ব্যাথা ওষুধের নাম হোমিওপ্যাথি এই ওষুধগুলো জেনে
হয়তো আপনার অনেক উপকার হয়েছে।
ঢোক গিলতে গলা ব্যথা কেন হয়
পূর্বে আমরা জেনেছি যে গলা ব্যাথার ঔষধের নাম এবং গলা ব্যথ্যা ও
সর্দি ঔষধের নাম এই বিষয়ে। এখন আমরা জেনে নিবো যে ঢোক গিলতে গলা ব্যথা
কেন হয় এই সম্পর্কে। শীতের সময় বিশেষ করে সর্দি-কাশি এই সমস্যাটা অনেক
মানুষই ভুগে থাকেন। তবে এই সমস্যা অনেক বড় ধরনের ক্ষতি নিয়ে আসতে পারে এটা
সম্পর্কে হয়তো আপনাদের ধারণা নাও থাকতে পারে।
ঢোক গিলতে গলা ব্যথা কেন হয় এই সম্পর্কে হয়তো অনেকেই জানেন না। অনেক সময়
দেখা যায় যে অতিরিক্ত ব্যথার ফলে ঢোক গিলতে পারা যায় না। এই সমস্যা তখনই
হয় যখন অতিরিক্ত গলা ব্যথা হয়ে থাকে। তবে জানলে অবাক হবেন যে এই ঢোক গিলতে
ব্যথা লাগার কারণে আপনার বিভিন্ন অসুবিধা লক্ষণ দেখা দিতে পারে। তার মধ্যে
অন্যতম হচ্ছে ক্যান্সারে ইঙ্গিত।
এই ব্যথা খুব সাধারণভাবে আপনি নেবেন না। যত দ্রুত পারবেন এটি সমাধান করার
চেষ্টা করবেন। যদি অতিরিক্ত বেড়ে যায় তাহলে ফুসফুসে ক্যান্সারের মতো
খাদ্যনালীতেও ক্যান্সারের বাসা বাঁধতে পারে। সেজন্য আপনাকে অবশ্যই ঢোক গিলতে
ব্যথা হলে আপনাকে দ্রুত সমাধান করতে হবে। খাদনালি ক্যান্সারের কিছু আক্রান্ত
হওয়ার লক্ষণ রয়েছে চলুন সেগুলো জেনে নিন।
- আপনি একটু লক্ষ্য করলে দেখবেন যে ঢোক গেলার সময় যখন আপনার গলা ব্যথা হয় তখন কোনো শক্ত খাবার আপনি গিলতে পারেন না। পরবর্তী তরল খাবার খেয়ে থাকেন। কারন আপনার ঢোক গিলতে খুব কষ্ট হয়।
কিছু ওষুধ রয়েছে যে ওষুধগুলো খেলে আপনার ঢোক গিলতে আর অসুবিধা হবে না।
তাহলে চলুন সে ওষুধগুলো নাম জেনে নিন।
- নাপা--(Napa)।
- জিমাক্স--(Zimax)--৫০০মি.গ্রা.।
- নাপা এক্সন্টেড--(Napa Extend)--৬৬৫ মি.গ্রা.।
- মকশাশিল--(Moxasasil)--৫০০ মি.গ্রা.।
- রোলাক--(Rolac)--১০ মি.গ্রা.।
- ডক্সিক্যাপ--(Doxicap)--১০০ মি.গ্রা.।
- জিরোডেল-পি--(Zerodol-P)--১০০মি.গ্রা.।
- শোয়ালেক্স--(Sualex)।
- ই-ফিক্স--(E-Fix)--১০০ মি.গ্রা.।
- টিডোসিল--(Tidosil)--৫০০ মি.গ্রা.।
উপরের এই ওষুধগুলোর মধ্যে আপনি যেকোন একটি ওষুধ খেলে আপনার ঢোক গিলতে
আর অসুবিধা হবে না আপনার অসুবিধা থেকে আশা করি আপনি খুব দ্রুত মুক্তি
পাবেন। তবে এই ওষুধগুলো সেবন করার পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে
তারপর ওষুধ সেবন করবেন।
ঢোক গিলতে গলা ব্যথার ওষুধ নাম
আপনাদের যাদের ঢোক গিলতে অসুবিধা হয় বা গলা ব্যথা রয়েছে তাদের জন্য আজকে আমি কিছু ওষুধের নাম উল্লেখ করবো যে ওষুধগুলো সেবন করলে আপনার ঢোক গিলতে গলা ব্যথা দূর করতে অনেক বেশি উপকারী। তবে এই ওষুধগুলোর বিভিন্ন পাওয়া রয়েছে। তাই এই ওষুধগুলো খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করা উচিত। তাহলে আসুন আর দেরি না করে ঢোক গিলতে গলা ব্যথার ওষুধ নাম জেনে নিন।ঢোক গিলতে গলা ব্যথার ওষুধ নামঃ
- রোলাক -- (Rollack)
- ই ফিক্স 100 Mg -- (E Fix 100Mg)
- সুয়ালেক্স -- (Sualex)
- জিরোডল-পি (Zerodol-P)
- ট্রাইডোসিল-৫০০ -- (Tridosil-500)
- মক্সাসিল-৫০০ -- (Moxacil-500)
- নাপা এক্সটেনড -- (Napa Ext) (গলা ব্যাথার পাশাপাশি জ্বর থাকলে এই ওষুধটি সেবন করলে অনেক উপকার পাওয়া যাবে)
টনসিলের ঔষধ এর নাম
গলা ব্যথার সঙ্গে টনসিলের ব্যথা জড়িয়ে রয়েছে এই টনসেলের ব্যাথা অত্যন্ত
যন্ত্রণাদায়ক। তাই আপনার যদি টনসিলের সমস্যা দেখা দেয় তাহলে গলা ব্যথার
ওষুধের নাম অনুযায়ী কয়েকটি ওষুধ আপনি খেতে পারেন। সেগুলোর নিচে দেওয়া
হলোঃ
- ডেক্সিলেন্ড--(Dexilant)--১০০মি.গ্রা.।
- ট্রিডোসিল ক্যাপসুল--(Tridosil Capsule)--৫০০মি.গ্রা.।
- ভিফাস--(Vifas)--১০০মি.গ্রা.।
- মকশাসিল ক্যাপসুল--(Moxasasil capsule)--৫০মি.গ্রা.।
- ভায়োলিন মাউথ ওয়াশ--(Violin mouthwash)--১০০মি.গ্রা.।
- রফিউক্লাভ--(Roficlav)--২৫০মি.গ্রা.।
- এইচ এক্স আর--(HXR)--৫০মি.গ্রা.।
উপরে যে ওষুধগুলো দেয়া হয়েছে সে ওষুধ গুলো আপনি যদি খেতে পারেন। তাহলে
খুব দ্রুত টনসিলের ব্যথা থেকে আপনি মুক্তি পাবেন। তবে ওষুধগুলো খাওয়ার
পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তারপর ওষুধ খাবেন।
কারণ বাজারে আরও বিভিন্ন ধরনের ওষুধ রয়েছে। আপনাকে ডাক্তার যে ওষুধগুলো
খেতে পরামর্শ দেবে সেই ওষুধ গুলোই খাবেন। পাশাপাশি এই ওষুধও খেতে পারেন
সমস্যা নেয়।
গলা ব্যথার ওষুধ এন্টিবায়টিক
যদি আপনার গলা ব্যথা অতিরিক্ত হয় তাহলে আপনি এন্টিবায়োটিক ওষুধ সেবন করতে পারেন। এতে করে আপনার গলা ব্যাথা খুব তাড়াতাড়ি সেরে উঠতে এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেটটি অনেক বেশি সাহায্য করবে। এই গলা ব্যথার ওষুধ এন্টিবায়টিক হলো- Zimax 500 ট্যাবলেট। এই ওষুধটি আপনি বিভিন্ন ফার্মেসি দোকানগুলোতে পেয়ে যাবেন। এই এন্টিবায়োটিক ওষুধটির দাম প্রতি পিস মূলত ৪০ টাকা এবং ১ পাতার দাম ২৪০ টাকা। তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এই অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধটি সেবন করবেন।এর বাইরেও খুব দ্রুত গলা ব্যথা দূর করতে নিচে দেওয়া ওষুধগুলো খেতে পারেন। যেমনঃ
- ডক্সিসাইক্লিন -- (Doxycycline)
- ডক্সিন -- (Doxin)
- প্যারাসিটামল রেনোভা -- (Paracetamol Renova)
- টসপেল -- (Tospel)
- ডেক্সট্রিম -- (Dextrim)
গলা ব্যথা হলে কি খাওয়া উচিত
পূর্বে আমরা জেনেছি যে গলা ব্যাথার ঔষধের নামগুলো সম্পর্কে এবং টনসিলের
ঔষধ এর নাম সম্পর্কে। এখন আমরা জেনে নিবো গলা ব্যথা হলে কি খাওয়া উচিত এই
সম্পর্কে। আমরা অনেকেই জানি যে শীতে এই গলা ব্যথা অনেক বেশি হয়ে থাকে।
সর্দি, জ্বর, ঠান্ডা, কাশি, গলা ব্যথা, এগুলো সকল সমস্যা শীতে হয়ে
থাকে।
এই গলা ব্যাথা হলে কত যে কষ্ট সেটা ভুক্তভোগীরাই খুব ভালো জানে। এই গলা ব্যথা
হলে এত বাজে ধরনের যন্ত্রণা হয়ে থাকে যা বলার মত নয়। অনেক কষ্ট অনুভব করে
আক্রান্ত রোগীরা। তাই কয়েকটি খাবার কথা জানাবো যে খাবারগুলো খেলে খুব দ্রুত
গলা ব্যথা কমে যাবে। চলুন তাহলে আজকে জেনে নেয়া যাক গলা ব্যাথা হলে কি
খাওয়া উচিত।
আজকে যে খাবারের কথা আপনাদের বলব সেই খাবার খাওয়ার ফলে আপনার গলা ব্যথা খুব
দ্রুত কমে যাবে। আশা করি আপনি খুব ভালো লাগার অনুভূতি পাবেন। আমরা সবাই জেনে
থাকি যে গলা ব্যাথা হলে লেবু, কাঁচা হলুদ, আমলকি, মধু, আদা, তুলসী, কমলা,
কিংবা বিভিন্ন ধরনের কাশি অথবা গলা ব্যথার সিরাপ এগুলো খুব দ্রুত গলা ব্যাথা
কমাতে সাহায্য করে। তবে আপনি হয়তো জানেন না যে গলা ব্যথা হলে ডার্ক চকলেট
খেলে এর প্রতিকার হতে পারে।
গলা ব্যথা ও কাশি দূর করার জন্য সবচেয়ে ভালো ওষুধ হচ্ছে কাশির সিরাপ। এই
কাশির সিরাপ গুলো খুব দ্রুত গলা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও গলা ব্যাথা
হলে লবণ এবং হালকা কুসুম পানি নিয়ে গড়গড়া করলে অনেক গলা ব্যথা আরাম পাওয়া
যায়। তবে গলা ব্যথা হলে কোনো ভাবেই ঠান্ডা বাতাস গলাতে লাগাবেন না।
আপনার গলা ব্যাথা ভালো না হওয়া পর্যন্ত আপনার গলায় উস্ম কোনো কিছু পেচিয়ে
রাখবেন। যাতে করে কোনো ঠান্ডা বাতাস আপনার গলায় না লাগে। বিশেষ করে এই
ঠান্ডা বাতাসের কারণে এই গলা ব্যথা হয়ে থাকে। তাই গলা ব্যথা যত দ্রুত পারবেন
দূর করে সুস্থ থাকবেন। আশা করি গলা ব্যথা হলে কি খাওয়া উচিত সে সম্পর্কে
আপনি একটি সঠিক ধারণা পেয়েছেন।
গলা ব্যথার ঔষধের দাম কত
যদি আপনারা গলা ব্যাথা ওষুধের দাম সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই অংশটুকু থেকে জেনে নিতে পারেন। সর্বনিম্ন ৫-৭ টাকায় একটি গলা ব্যথা ওষুধ কিনে সেবন করতে পারবেন। তবে কিছু কিছু ওষুধ রয়েছে অনেক কম দাম। আবার কিছু ওষুধ রয়েছে যেগুলো অনেক বেশি দাম।
তাই আপনাকে নিকটস্থ যেগুলো ফার্মেসি রয়েছে কোন ওষুধ কিনতে গেলে প্রতিটা ফার্মেসিতে দাম জেনে নেওয়া উচিত। কারণ গলা ব্যাথা ওষুধের দাম বিভিন্ন কোম্পানির উপর নির্ভর করে। তাই সবচেয়ে ভালো হবে একটি দোকান থেকে ওষুধ না কিনে কয়েকটি ফার্মেসি দোকান ঘুরে সেই ওষুধটি নেওয়া।
লেখকের শেষ কথাঃ গলা ব্যাথার ঔষধের নাম
এই রকম আরো আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। এই আর্টিকেলটি
পড়ে যদি আপনার কোনো মতামত জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে সেটা জানিয়ে
যাবেন। (ধন্যবাদ) আসসালামু আলাইকুম।
এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url