শারীরিক ও মানসিক দুর্বলতা কেন হয় বিস্তারিত জানুন
শারীরিক ও মানসিক দুর্বলতা কেন হয় - এইগুলো নিশ্চয় আপনি জানতে চান? শারীরিক ও
মানসিক দুর্বলতা যাদের হয় সুধু তাদের জন্য এই আর্টিকেলটি। এই আর্টিকেলটি সুন্দর
করে আলোচনা করা হবে আপনারা আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে পড়ুন। শারীরিক ও মানসিক
দুর্বলতা সম্পর্কে জানতে আপনাকে আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়তে হবে।
শারীরিক ও মানসিক দুর্বলতা কেন হয় এই সম্পর্কে আমাদের প্রত্যেকের জানা অনেক
প্রয়োজন। আমরা অনেকেই আছি এই সমস্যা নিয়ে। আমাদের এই পোস্টে শারীরিক ও মানসিক
দুর্বলতার সমস্ত কারণসমূহ তুলে ধরা হয়েছে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে জেনে
নেওয়া যাক আমাদের শারীরিক ও মানসিক দুর্বলতার কারণসমূহ।
ভূমিকা
আমাদের শারীরিক ও মানসিক দুর্বলতা কেন হয়? আমরা যে পরিশ্রম করি আমাদের
বিশ্রামের একটু প্রয়োজন পড়ে কিন্তু আমরা সব সময় পরিশ্রমের উপর থাকি নানান
দিক থেকে চিন্তা ভাবনা্র মধ্যে থাকতে হয়। সে ক্ষেত্রে আমাদের শারীরিক ও মানসিক
দুর্বলতা হয়ে পড়ি। শারীরিক ও মানসিক দুর্বলতার সকল সমস্যার সমাধান নিয়ে এসেছি
আজকে আপনাদের সামনে।
আপনারা সবাই আমার এই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়বেন তাহলে সকল তথ্য আপনি জানতে
পারবেন সকল বিষয় বিস্তারিত আলোচনা করা আছে। আপনার শারীরিক ও মানসিক দূর্বলতার
সকল বিষয়গুলো নীচে দেওয়া আছে। আশা করি আপনারা আমার এই আর্টিকেলটি পড়ে অনেক
উপকৃত হবেন।
মানসিক রোগের শারীরিক লক্ষণ গুলো কি কি?
আপনার শরীরে মানসিক সমস্যা হলে আপনি নিজে সেটা বুঝতে পারবেন। আপনার মনে হবে
কোনো কাজ বা কোনো কিছুই আপনার ভালো লাগবে না। আপনার শরীরে গ্যাস্ট্রিকের
সমস্যা দেখা দিতে পারে মাথাব্যথা হতে পারে, মাথা ঘোরাতে পারে আপনার শরীর অনেক
দুর্বল হতে পারে, আরো ইত্যাদি অনুভব করতে পারেন। অনেক বেশি ক্লান্ত ও নিজেকে
অনেক বেশি দুর্বল মনে হবে।
আপনি যদি সারাদিনের মধ্যে ক্লান্তি ও দুর্বলতা অনুভব করেন তাহলে
আপনার মানসিক সমস্যার কারণ দেখা দিতে পারে। আবার ঘুম থেকে উঠার পর যদি আপনার
কাজে যাওয়ার কোনো ইচ্ছা না থাকে, তাহলে আপনি হয়তো কোনো মানসিক সমস্যায় ভুগছেন।
আজ থেকে অনেক আগের কথা যদি আমরা বলি তাহলে আমরা মানসিক রোগী বলতে বুঝতাম যারা
রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াতো। শারীরিক ও মানসিক দুর্বলতা কেন হয় এই গুলো আমাদের
জানতে হবে।
মানসিক রোগী জন্য যাদের রাখা হতো পাগলা গারদে। আর এখন বর্তমানে সময়ের সাথে সাথে
বদল হয়েছে মানসিক রোগের প্রকৃতি। মানসিক রোগীর মধ্যে আর অনেক কিছু লক্ষণ দেখা
যায়, কথা বলতে ভালো লাগে না, বিরক্তিবোধ মনে হয় কারো সাথে কথা বলতে ইচ্ছা করে
করে না আরো ইত্যাদি।
মানসিক অসুস্থতার কয়েকটি লক্ষণ সমূহ।
- আমাদের চিন্তা ভাবনা যদি খারাপ হয় তাহলে আমাদের মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
- আমাদের ঘুম এবং খাবারের পরিবর্তন এসে যায়।
- নিজেকে অনেক হতাশা মনে হয় এবং শরীর অনেক দুর্বল হয়।
- নিজের পছন্দের কাজ গুলো করতে ভালো লাগে না।
- মাথাব্যথা বা অনেকক্ষণ ধরে ব্যথা হতে পারে।
- নিজেকে অনেক বিরক্ত লাগবে এবং অস্থিরতা ও অতিরিক্ত রাগ হবে।
আপনার মানসিক অসুস্থতার কয়েকটি লক্ষণ আমরা উপরে আলোচনা করেছি। মানসিক রোগী
পৃথিবীতে অনেক বেশি আছে যারা এই মানসিক অসুস্থতাই ভুগছেন। আপনি লক্ষ্য করলে
দেখতে পাবেন যে আপনি কিছু সময় মানসিক শান্তি পাবার পর আবার কোনো কারণে
টেনশান করে মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। প্রায় নিজেকে অনেক অসুখী মনে
করা এবং মানসিক চাপের মধ্যে থাকা এই গুলো কারণ দেখা যায়।
মানসিক স্বাস্থ্য বলতে কী বোঝ?
শারীরিক ও মানসিক দুর্বলতা কেন হয় এই বিষয়ে নিচে সুন্দর করে আলোচনা করা
হয়েছে। এখন জেনে নিতে হবে যে মানসিক স্বাস্থ্য বলতে কী বোঝ এই বিষয়ে।
মানসিক স্বাস্থ্য হলো সকল সুখের মূল। আমরা আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে
কয়জন ভাবি নিজের মানসিক স্বাস্থ্য যদি না থাকে কোনো কিছুই ভালো লাগবে না।
মানুষ তার নিজের যে চিন্তা ও আবেগ এই গুলো কেবলমাত্র মানুষ নিয়ন্ত্রণ করতে
পারে। একজন মানসিকভাবে সুস্থ মানুষ তার সকল কাজ করতে পারে তার মধ্যে কোন
বিরক্তি আসবে না।
মানসিক অসুস্থতা এমন একটি বেপার যার পরিণতি অনেক ভয়াবহ হতে পারে। একজন
মানসিক সুস্থ মানুষ তার চিন্তা ভাবনা এই গুলো খারাপ না তার মধ্যে অনেক আশা
কাজ করে। সারিরিক,মানসিক,আর্থিক ও সামাজিক ভাবে ভালো থাকার নামই হলো
স্বাস্থ্য। একজন মানুষ বিভিন্ন কারণে মানসিক সমস্যার মধ্যে থাকতে পারে
আর্থিক সমস্যা জীবনে চলার পথে সমস্যা ইত্যাদি।মানসিক স্বাস্থ্য আমাদের
সামাজিক ও মানসিক সুস্থ দ্বারা গঠিত।
মানসিক সুস্থ থাকতে হলে আমাদের কি কি করনীয়।
- নিজের শারীরিক স্বাস্থ্য উন্নতি করতে হবে।
- মানসিক চাপ এবং কঠিন পরিস্থিতির সাথে লড়াই করতে হবে।
- নিজের প্রতি ভালোবাসা থাকতে হবে।
- নিয়মিত ছয় থেকে সাত ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন।
- আপনার কখনো কাজের প্রতি বিরক্তিবোধ নিয়ে আশা যাবে না।
- আপনার মন মানসিকতা সব সময় ভালো রাখতে হবে।
- আপনার কোনো নিয়ে বাজে চিন্তা ভাবনা রাখা যাবে না যার জন্য আপনার মানসিক সমস্যা হয়।
মানসিক স্বাস্থ্য এমন একটি বিষয় যেখানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে
স্বাস্থ্য হলো শরীর মন এবং সমাজের ভালো দিকগুলোর মিলবন্ধন। বেশিরভাগ যায়গায়
মানসিক সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসা করানো হয় না। কিন্তু চিকিৎসা করানো অনেক
প্রয়োজন। বেশিরভাগ মানুষ এই বিষয়গুলো অনেক অবহেলা করে। সারা বিশ্বে মানসিক
স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে গেলে অনেক পড়াশুনা করতে হবে।
মানসিক স্বাস্থ্য থাকাটা আমাদের কতটা যে প্রয়োজন সেটা বই পড়লে বুঝতে পারবো।
আমাদের মানসিক সুস্থ থাকার অনেক বাজে ভাবনা চিন্তা দূর করতে হবে যে গুলো
করলে আমাদের অনেক ক্ষতি।আমাদের মনে রাখা দরকার যে মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা
আমাদের দুটিই খুব জরুরি বিষয়। মানুষের শারীরিক সুস্থতা থেকে মানসিক সুস্থতা
অনেক গুরুত্বপূর্ণশীল।
শারীরিকভাবে যদি কেউ অসুস্থ বা পঙ্গু হয়ে যায় তার পরও তাকে মানসিক শক্তির
কারণে অনেক দূরে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়। মনের শক্তিটা হারিয়ে ফেললে
আমাদের সমাজে নানা অবক্ষয় দেখা দেয়। তাই নিজের মানসিক সুস্থতা অনেক বেশি
প্রয়োজন।
শারীরিক অস্থিরতা দূর করার উপায়
আপনি আপনার মনের কথা সবার কাছে বলুন। আপনার মনের মধ্যে যে সকল চিন্তা ভাবনা
আছে সেটা মানুষের কাছে প্রকাশ করুন যাতে করে আপনার মন অনেক হালকা হয়। আপনার
নিজের মনে ভাব প্রকাশ করুন কোনো ধরনের বাজে চিন্তা আসলে সবাইকে বলুন। এতে
করে আপনার নিজেকে সামলানো অনেক সহজ হবে। নিজের অনুভূতি গুলো অন্য মানুষের
সাথে শেয়ার করুন অনেক ভালো লাগবে।
আপনার মনে অনেক বাজে কথা আসবে অনেক খারাপ খারাপ কথা আপনার মাথায় আসবে এই
গুলো মাথায় রাখবেন না। আপনি যতো খারাপ কথা বা বাজে চিন্তা ভাববেন আপনার
অস্থিরতা কখনো দূর হবে না। নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তা করবেন না।
নিজের ভবিষ্যৎ এর কথা চিন্তা করতে করতে নিজেকে অসুস্থ করে ফেলবেন না। আপনি
সারা পৃথিবীতে দেখেন মানুষ অনেক পরিশ্রম করে আপনিও পারবেন আপনাকে সেই ধৈর্য
রাখতে হবে।
ভবিষ্যৎ এর কথা কে-ই বা বলতে পারে কেউ বলতে পারে না একমাত্র আল্লাহ্ ছাড়া।
একমাত্র আল্লাহ্ বলতে পারবে যে আপনি ভবিষ্যতে কি হতে পারেন, কেমন দিন
আপনার যাবে একমাত্র আল্লাহ্ বলতে পারবে তাই নিজেকে কখনো একা মনে করবেন না
সব সময় হাসি খুশি থাকবেন অনেক ভালো থাকবেন। আপনার সামনে অনেক ভালোকিছু হতে
পারে, আবার না-ও হতে পারে সব কিছু বলতে পারবে একমাত্র আল্লাহ্ তাই আপনি
কখনো নিরাশ হবেন না।
যার কেউ নাই তার আল্লাহ্ আছে। আমরা আমাদের দিক থেকে অনেক চেষ্টা করে যেতে
পারি। আপনি নিজেকে ভালো রাখার চেষ্টা করে যান। আপনি আপনার দুশ্চিন্তাকে
মাথায় রাখবেন না। এই বয়সে অস্থিরতা হবেই কিন্তু সেটার সম্মুখীন হতে হবে
লড়াই করে নিজেকে অনেক ভালো রাখতে হবে। আপনার এই সময় নিজের চাকরি, ব্যাবসা,
সন্তানদের লেখাপড়া, সংসার চালানো,ইত্যাদি দুশ্চিন্তার যে কতগুলো কারণে হতে
পারে তার তালিকা হয়তো শেষ হবে না।
সেই দুশ্চিন্তা থেকেই আসবে আপনার আমার শারীরিক অস্থিরতা। জীবনে কতো কিছুর
সম্মুখীন হতে হবে সব বাধা পার করে নিজের শারীরিক অস্থিরতা দূর করতে করতে
হবে। আপনার জীবনে যা ঝামেলা আসবে সব ঝামেলাকে না বলতে শিখুন তাহলে অস্থিরতা
থেকে দূর হবেন। আপনার মনকে বিশ্রাম দেন আপনার কাজের যে দায়িত্ব আছে যদি
আপনার মনে হই যে অনেক বেশি চাপ হয়ে যায় তাহলে ওই চাপ থেকে বিরত থাকুন।
আপনার শারীরিক শক্তি রাখতে হবে। সব সময় নিজেকে অনেক হাসি খুশি রাক্তে হবে
তাহলে নিজের মানসিক ও শারীরিক সব কিছু ভালো থাকে। যে মানুষগুলোর সাথে আপনি
শান্তি মতো কথা বলতে পারেন না দরকার নেই সেই মানুষ গুলোর। আপনি তাদের থেকে
দূরে থাকার চেষ্টা করুন। ভদ্রভাবে তাদের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করে নিবেন নিজ
থেকে।
আপনি এমন মানুষদের সাথে থাকুন যাদের কাছে কথা বলে আপনি শান্তি পাবেন। নিজের
শারীরিক অস্থিরতা দূর করুন ভালো কাজে সময় দিয়ে। আপনি আপনার মতো করে কাজ করে
যান আপনার ভবিষ্যতে আপনি ভালো কিছু পাবেন। আল্লাহ্ ওপর ভরসা রাখুন এবং
পরিশ্রম করুন। শারীরিক ও মানসিক দুর্বলতা কেন হয় এইটা সমস্ত বিষয় পড়লে
সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবেন।
শারীরিক ও মানসিক দুর্বলতা কেন হয় বিস্তারিত জানুন
শারীরিক ও মানসিক দুর্বলতা কেন হয় আজকে আমরা এই বিষয়ে জানবো। অনেক পরিশ্রম
করার ফলে আপনার দেহে শারীরিক দুর্বলতা আসবে এইটা স্বাভাবিক। আপনি অনেক বেশি
পরিশ্রম করলে আপনার শরীর আর বেশি খারাপ হবে। একটু লক্ষ্য করলে দেখবেন যে
খুব বেশি পরিশ্রম না করে যদি নিজের দেহে দুর্বলতা আছে তাহলে এইটা ভালো
লক্ষণ নয়।
আপনার শরীর এর দুর্বলতা আমি তখনি বুজতে পারবেন যখন আপনার দেহের কোনো অংশ
সঠিক ভাবে কাজ করছে না। শারীরিক দুর্বলতা ও মানসিক দুর্বলতা অনেক খারাপ
একটা জিনিস এই গুলো হয়লে আপনি কোনো সময় য় শান্তি পাবেন না।
মানসিক চাপ হয় অনেক টেনশন ও আজে বাজে কথা চিন্তা করলে আবার পরিবারের চাপ
সন্তানদের পড়াশুনার চাপ আরও ইত্যাদি এই গুলো যদি একটা মানুষ এর মধ্যে সব
সময় কাজ করে তাহলে সেই মানসিক ভাবে সমস্যাই পরেন। মানসিক চাপ অনেক খারাপ
জিনিস নিজের ভিতরের মন কোনো সময় ভালো লাগবে না নানা ধনের চিন্তা ভাবনায় সব
সময় হবে।
শারীরিক দুর্বলতার কয়েকটি কারণ সমূহ।
- আপনার যতোটুক খাবার প্রয়োজন তার থেকে কম খাবার ফলে।
- আপনার শরীরে রক্তস্বল্পতার কারণে দুর্বলতা অনুভব করা।
- প্রয়োজন এর থেকে কম ঘুমানো এটিও একটি শারীরিক দুর্বলতা
- শারিরিক দুর্বলতা হয় কোনো কাজ বেশি করলে।
- আপনার শরীরে পানিশূন্যতার কারণে শরীর অনেক বেশি দুর্বল অনুভব করা।
- অনেক বেশি পরিশ্রম করলে শারীরিক ভাবে দুর্বলতায় পরতে পারেন।
শারীরিক দুর্বলতার ফলে আপনার অনেক বেশি ক্ষতি হতে পারে। পিঠে ব্যথা হতে
পারে আবার শরীরের কোন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ব্যাথা হতে পারে শারীরিক
দুর্বলতা এমন একটি পর্যায়ে নিয়ে যায় একজন সুস্থ মানুষের শরীর অনেক
বেশি খারাপ হয়ে যায় শারীরিক সমস্যা থাকার কারণে নানা দিক থেকে মানসিক চাপ
সৃষ্টি হয়। শারীরিক দুর্বলতায় একজন মানুষের শারীরিক দুর্বলতার কারণে কোন
কাজ ঠিকভাবে করতে পারে না।
শরীরে কোন অঙ্গ ক্ষতি হয় তাহলে সে শারীরিকভাবে দুর্বলতা হয়ে পড়ে আর
মানসিকভাবেও চাপ সৃষ্টি হয় আশেপাশের মানুষ অনেক কথাই বলে। আপনার যদি
ডায়াবেটিস থাকে তাহলে এইটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে নয়তো অনেক সমস্যা হবে।
ডায়াবেটিস থাকলে অবশ্যই ডায়াবেটিক খাদ্য অভ্যাস করতে হবে। যদি আপনার বাজে
অভ্যাস থাকে যেমন ধূমপান, মদ্যপান ইত্যাদি এই গুলো অভ্যাস থাকলে ছাড়তে
হবে।
ধূমপান বা মদ্যপান করলে আপনার শরীর অনেক বেশি দুর্বলতা ও তিন গুন
বেশি ক্ষতি হবে তাই এই গুলো থেকে দূরে থাকুন। শারীরিক দুর্বলতা হয় আপনি
নিয়মিত কম পানি খাবার ফলে আপনি প্রতিদিন দেড় থেকে দুই লিটারের বেশি পানি
খাওয়া উচিত নয়। আমরা যে খাবার খাই সেই খাবারে বাড়তি লবণ বাদ দিতে হবে।
অতিরিক্ত লবণ লবণসমৃদ্ধ খাবার, যেমন আচার, মাংস, সসা,ইত্যাদিও কম খেতে হবে।
আমরা প্রতিদিন যতোটুক পারবো ব্যায়ামের অভ্যাস করবো তাহলে শারীরিক ভাবে
সুস্থ থাকতে পারব। আমরা একটু লক্ষ্য করলে দেখতে পাবো যে একটা মানুষ যে
সারাদিন কতো টেনশানের মধ্যে থেকে বলার মতো না। একজন মানুষ তার নানা দিকে
লক্ষ্য রাখতে হয় যদি বাইরের কাজ থাকে তাহলে সেদিকে খিয়াল রাখতে হয় পরিবারের
দিকে খিয়াল রাখতে হয় এই গুলোর দিকে খিয়াল রাঝতে রাখতে একসময় সে মানসিক ভাবে
সুস্থ হয়ে পরে এর নানা দিকে চিন্তা ভাবনা করলে এই মানসিক সমস্যাই পরতে
হয়।
নিজের মন মানসিকতা ঠিক রাখতে হবে সব সময় ভালো কিছু ভাবতে হবে। খারাপ চিন্তা
ভাবনা থেকে দূরে থাকতে হবে নিজে যতোটুক পারবেন ভালো কিছু নিয়ে চিন্তা ভাবনা
করতে তাহলে আপনার মানসিক সমস্যা হবে না। আপনি যেই কাজ করেন নিজে সাহস রেখে
করবেন কোন সময় নিজে মনে করবেন না যে আমি পারবো না বা পারি না এই গুলো ভাবলে
আপনি মানসিক ভাবে সমস্যাই পরবেন।
আমাদের শরীরে ভিটামিন ডি খুব প্রয়োজন এবং ভিটামিন ডি এর খুব গুরুত্বপূর্ণ
কাজ রয়েছে। সবচেয়ে ভিটামিন ডি এর গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো শরীরে ক্যালসিয়াম ও
ফসফরাস শোষণ করা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ভিটামিন ডি এর অভাবে
শরীরের মাংসপেশীর দুর্বলতা দেখা দেয়। আমাদের শরীরে সূর্যের আলোতে সরাসরি
প্রাকৃতিকভাবে ভিটামিন ডি উৎপন্ন করে যা শরীরে অনেক প্রয়োজন।
আমরা অনেক সময় বলে থাকি যে ভালো লাগছে না কিছু ভালো লাগছেনা কি করবো শরীর
ম্যাচ করছে কাজের প্রতি কোন মন বসে না বেশি বেশি ঘুম হয় শরীর খুব ক্লান্ত
বোধ হয় কাজ করতে ভালো লাগে না শরীর নাড়াতে কষ্ট হয় এবং ব্যাথা লাগে ভালো
লাগে এগুলো হলো শরীর দুর্বলতার লক্ষণ অনেক সময় এই সমস্যায় পড়ে অনেক
মানুষ অজ্ঞান হয়ে যায়।
এছাড়াও শরীর দুর্বলতা কাজের প্রতি একেবারেই উৎসাহ কমে যায় বা নষ্ট করে
দেয় শরীর দুর্বলতা খুব খারাপ একটা জিনিস যার ফলে মানুষের অনেক ধরনের ক্ষতি
হতে পারে। শারীরিক ও মানসিক দুর্বলতা কেন হয় এই বিষয়ে আশা করি বুঝতে
পেরেছেন।
মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায়
আমাদের সবার খেয়াল রাখা উচিত যে আমরা কোন ভাবেই মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পরবো না
আমাদের সবার উচিত নিজের প্রতি অনেক সচেতন থাকা। অনেক মানুষ আছে তাদের
শারীরিক স্বাস্থ্য ব্যাপারে কোনো গুরুত্ব দেয় না। অনেক মানুষ স্বাস্থ্যের
দিকে তেমন একটা খেয়ালও রাখেনা কারণ তাদের মনে হয় না যে আমি মানসিক ভাবে
অসুস্থ কিন্তু আমাদের সবাইকে এইটা খেয়াল করা দরকার যে সুস্থতা আমাদের জন্য
অনেক বেশি প্রয়োজন।
আমাদের মানসিক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার একটাই কারণ আমাদের কোন খারাপ চিন্তা
বা মানসিকভাবে কষ্ট পাব এরকম কোন চিন্তা ভাবনা নিয়ে আসা যাবে না। যেমন
কাছের কোন মানুষ মারা গেলে সে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে কিন্তু তাকে
চিকিৎসা নিয়ে তাড়াতাড়ি সুস্থ হতে হবে মানসিক রোগ হল কোন ব্যক্তির
অস্বাভাবিক আচরণ বা জীবন যাপনের চিত্র এক্ষেত্রে মানুষের অনেক ধরনের চাপ হয়
মানসিক রোগ হয়।
সাধারণত দুশ্চিন্তা,মাদকাশক্তি যৌন সমস্যা ইতাদি কারণে।এই ধরনের সমস্যা
অনেক বেশি মানসিক রোগীর সংখা তুলনামূলক অনেক বেশি যার ফলে বাংলাদেশে মানসিক
রোগীর সংখা প্রায় তিন কোটি ও বেশি। একটা মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য
শারীরিক সুস্থতা যেমন প্রয়োজন ঠিক তেমনি আমাদের মানসিক সুস্থতাও অনেক বেশি
প্রয়োজন।
আসলে আমাদের মানসিক রোগ এমন একটি জিনিস যার ফলে মানুষ অনেক সমস্যার
সম্মুখীন হতে হয়। আমাদের মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা দিকে অনেক বেশি খেয়াল
রাখা আমাদের প্রয়োজন। বাংলাদেশে অনেক মানুষ এই গুলো কিছু মনে করে না কিন্তু
আমাদের এইটা বেশি গুরুত্ব দেয়া দরকার।
মানসিক সুস্থ থাকতে হলে আপনার পরিবার আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব তাদের
সাথে কথা বলতে হবে।
আপনার আবেগ অনুভূতি গুলো তাদের কাছে ভাগ করে দিতে হবে আপনার একাকীত্ববোধ
যখন হবে তখন আপনি আপনার কাছের মানুষের কাছে কথা শেয়ার করবেন আপনার যত্ন
নিবেন স্বাস্থ্যকর খাবার খাইতে হবে নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে এবং ঘুমাইতে
হবে আপনার যেগুলো ভালো লাগে আপনার শখের জিনিস করুন যেগুলো আপনার ভালো লাগবে
সেগুলো করুন আপনার পছন্দের জিনিস আপনাকে মানসিক চাপ থেকে দূরে রাখবে আপনার
মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে অনেক সাহায্য করবে।
শারীরিক দুর্বলতা দূর করার সহজ উপায়
আপনার যদি কোন কারণবশত শরীর খারাপ লাগে মাথা ব্যাথা বা শরীর ঝিমঝিম যদি করে
ডাক্তারের কাছে যেতে হবে এমন কোন কথা নেই। আমরা চাইলে ঘরে বসে নিজের
শারীরিক দুর্বলতা দূর করতে পারি আমরা ভিটামিন যুক্ত খাবার খেতে পারি।
আমাদের শরীর দুর্বল হয় শরীরে ভিটামিনের অভাবে। আমাদের নিয়মিত শাক-সবজি
ডিম দুধ কলা এইগুলো খেতে হবে। আমাদের শরীরের মধ্যে ভিটামিন যুক্ত খাবার
খেলে শরীরের দুর্বলতা কমে যাবে।
শরীর সুস্থ রাখতে সবচেয়ে ভালো খাদ্য হলো দুধ। যখনই আমাদের শরীর খারাপ
লাগবে তখন আমরা এক গ্লাস দুধের সাথে এক চামচ মধু মিশে খেয়ে নিব। যদি আমরা
পারি তাহলে দুধের মধ্য। একটি থেকে দুইটি ডুমুরের ফল দিয়ে তা সিদ্ধ করে
দুধের সাথে মিক্স করে খেতে পারি। ডুমুর মিশ্রিত দুধ দুর্বলতা অনেক দূর করে
দেয়। দুধের ক্যালসিয়াম আমাদের শরীরের হাড় মজবুত করে প্রতিদিন শারীরিক
দুর্বলতা করতে এক গ্লাস গরম দুধের সাথে বাটার মিশিয়ে রাতে খেয়ে ঘুমিয়ে
পড়তে হবে।
আমাদের জীবনে সুস্থ থাকার জন্য শারীরিক সুস্থতা অনেক প্রয়োজন। আমাদের জীবনে
কাজ কর্ম করতে করতে এক পর্যায়ে অনেক শরীর দুর্বল হয়। অনেক কাজ করার পর
নিজের শরীর সুস্থ রাখাটা অনেক পুরুষের পক্ষেই সম্ভব হয় না তার কারণ অনেক
কাজ কর্ম মধ্যে সময় পার করতে হয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে এমন কিছু খাবার
আছে যেগুলো খেলেই শরীর দুর্বলতা অনেকটাই কমে যাবে এবং সারা শরীরের বেশিগুলো
অনেক মজবুত হবে এবং অনেক রোগ থেকে দূরে থাকা যাবে।
আমাদের প্রতিদিন যে শরীর দুর্বলতা হয় তার একটাই কারণ আমাদের যে পরিমাণে
ঘুম প্রয়োজন সেটা আমাদের হয় না। আমাদের ভিটামিন যুক্ত খাবার খাওয়া পড়ে
না আমাদের অনেক সময় শরীর যখন বেশি দুর্বল করে তখন আমরা ভিটামিন যুক্ত
খাবার না খেয়ে গ্যাস্ট্রিক যুক্ত খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ি।
শরীরের রোগ প্রতিরোধ বেড়ে যায় আমাদের শাক সবজি ফলমূল ভিটামিন খেলে আমাদের
শারীরিক দুর্বলতা দূর হয়ে যায় এবং চর্বিযুক্ত খাবার কম খেতে হবে।
আমাদের শারীরিক দুর্বলতা দূর করার প্রধান খাবার ভাত দুধ ডিম এগুলো যদি আমরা
খাই তাহলে আমাদের শরীরের অনেকটা শক্তিশালী হবে মজবুত হবে। ডিম শরীরের জন্য
খুবই উপকারী এটি প্রোটিনের ভালো একটি উৎস আমাদের শরীরের ডিম অনেক প্রয়োজন।
আমাদের শরীরে নানা কারণে অনেক দুর্বল হয়। আমাদের শরীর যে দুর্বল হয় এটার
প্রকৃত কারণ আমাদের খুঁজে বের করতে হবে এবং সেটার সমাধান বের করতে হবে।
শারীরিক দুর্বলতা দূর করার কয়েকটি লক্ষণ সমূহ।
- নিয়মিত শাকসবজি ফল ভিটামিনযুক্ত খাবার ইত্যাদি খেতে হবে।
- কিছু প্রোটিন জাতীয় খাবার খেতে হবে ।
- অনেক পরিমাণে ভিটামিনযুক্ত খাবার খেতে হবে যেমন ডিম দুধ কলা আরও ইত্যাদি ফলসমূহ।
- শারীরিক দুর্বলতা দূর করতে ভিটামিনযুক্ত খাবারের পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম শরীরচর্চা এগুলো করতে হবে
- খেজুর খেতে হবে, খেজুরে অনেক পরিমানের ভিটামিন থাকে।
- গাজর খেলে শরিরের দুর্বলতা কমে যাবে।
- বাঙ্গির সালাত খেতে হবে, বাঙ্গির সালাতে অনেক ভিটামিন আছে।
- কিশমিশ খেলে, শরীরের অনেক উপকার হয়।
- স্যালাইন খাবেন, স্যালাইনে খুব দ্রুত দুর্বলতা দূর করে।
- পুদিনা পাতা খেতে পারেন, পুদিনা পাতায় অনেক পরিমাণে ভিটামিন থাকে।
- আখ খেতে হবে প্রতিদিন তাহলে পেটের তাপ অনেক কমে যাবে।
- বেদেনা ফল খান এটি রক্ত তৈরি করতে সাহায্য করে।
- কমলা খান কমলাতে অনেক ভিটামিন থাকে।
আপনি যখনই দুর্বলতা মনে করবেন বা দুর্বলতা অনুভব করবেন তখন আপনার নিজের
খাবারের দিকে নজর দিতে হবে দেখেনআপনার খাবারটা কেমন। যদি আপনার খাবারের
তালিকায় সুষম খাবার না থাকে বা ভিটামিন যুক্ত খাবার না থাকে তাহলে আপনি
ভিটামিন যুক্ত খাবার খান ভিটামিন যুক্ত খাবার খেলে আপনার শরীরে দুর্বলতা
অনেক কমে যাবে। পানি শূন্যতার কারণে শরীর অনেক অসুস্থতা দেখা দেয় পানি
পানের অভ্যাস করতে হবে প্রতিদিন ৬ থেকে ৭ গ্লাস পানি পান করা উচিত।
সকলে আপনি ইচ্ছা করলেই নিজের শরীর বা শারীরিক দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে পারেন।
আপনি প্রতিদিন ভোরে ওঠে একটু ব্যায়াম করবেন সূর্যের আলো নিবেন এতে করে
আপনার দেহের ভিটামিন ডি পৌঁছাবে। শারীরিক দুর্বলতা অনেক মানুষেরই আছে
বাংলাদেশে। আমরা সব সময় কাজ না করে ১৫ থেকে মিনিট ২০ মিনিট বিশ্রাম করে
তারপর আবার কাজ করতে পারি। তার ফলে আমাদের কি হবে, আমাদের শরীরে কোষগুলো
ঠিক থাকবে শক্তি হারাবে না শারীরিক দুর্বলতা অনুভব করা যাবে না।
এগুলো সব কিছু একটা মানুষের অনেক বেশি প্রয়োজন আপনি যখনই শারীরিক দুর্বল
হয়ে পড়বেন ভিটামিন যুক্ত বা এনার্জি যুক্ত খাবার খাবেন এমন কিছু খাবার
খাবেন না যেটার ফলে আপনার শক্তি হারিয়ে যায় কমলা মিষ্টি জাতীয় খাবার
হাতের কাছে রাখবেন সবসময় এতে করে শারীরিক দুর্বলতাকে কাঁটিয়ে ওটা অনেকটাই
সম্ভব হবে।
লেখকের মন্তব্য
আপনি যদি আমাদের পোস্ট পড়ে একটুও উপকৃত হয়ে থকেন তাহলে অবশ্যই আপনার
বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। আপনি যদি আমাদের পোষ্টটি আপনার বন্ধুদের সাথে
শেয়ার করেন তাহলে আপনার মাধ্যমে আপনার বন্ধুরাও জানতে পারবে। তাই দেরি না
করে আপনার বন্ধুদের সাথে আমাদের পোস্টটি শেয়ার করুন। আমাদের পোস্ট পড়ে যদি
আপনার কোনো মতামত জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে সেটা জানিয়ে
যাবেন। (ধন্যবাদ) আসসালামু আলাইকুম।
এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url