মাথার চুল গজানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
মাথার চুল গজানোর উপায় সম্পর্কে নিশ্চয় আপনি জানতে চান? এই সম্পর্কে যাদের জানা প্রয়োজন সুধু তাদের জন্য এই আর্টিকেলটি। এই আর্টিকেলে সুন্দর করে আলোচনা করা হয়েছে। আপনারা আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে পড়ুন। এইখানে চুল গজানোর সমস্ত কিছুর সমাধান দিয়া আছে। তাই এইগুলো সম্পর্কে জানতে আপনাকে আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়তে হবে।
মাথার চুল গজানোর উপায় সম্পর্কে আমাদের প্রত্যেকের জানা অনেক প্রয়োজন। আমরা অনেকেই আছি এই সমস্যা নিয়ে। আমাদের এই পোস্টে মাথার চুল গজানোর সমস্ত কারণসমূহ তুলে ধরা হয়েছে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক মাথার চুল গজানোর সমস্ত কারণসমূহ গুলো।
ভূমিকা
মাথার চুল গজানোর জন্য অনেক মানুষ অনেক সমস্যায় ভুগছেন। মানুষ নিজেও জানে না যে এই চুল পড়ার কারণে তাদের মুখের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়। মানুষের সৌন্দর্যের একটি অংশ ধরা যায় চুল। সেজন্য চুল কি করে আপনার মাথায় গজাবেন এই গুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে আমাদের এই পোস্টে। আপনি আমাদের পোস্ট পড়ে সমস্ত কিছুর উপায় পেয়ে যাবেন। আশা করি মনোযোগ সহকারে পোস্ট পড়বেন। আমরা আমাদের পোস্টে মাথার চুল গজানোর উপায় গুলো বিস্তারিত উল্লেখ করেছি। আপনি হয়তো এগুলো পোস্ট খুঁজছেন। তাই আপনার জন্য আমরা নিয়ে আসছি সমস্ত সমাধান।
প্রাকৃতিক উপায়ে নতুন চুল গজানোর উপায়
আমাদের বাংলাদেশে এই চুলের সমস্যা নিয়ে অনেক মানুষই ভুগছেন। মাথার চুল গজানোর উপায় কয়জন বা জানি। এই চুলের জন্য মানুষ কতই কিনা করছে। চুল মানুষের মুখের সৌন্দর্য একটি অংশ। যাদের চুল পাতলা বা টাক হয়ে গেছে তারা চুল গজানোর জন্য কতই কিনা করতেছে। আসুন জেনে নেয়া যাক প্রাকৃতিক উপায়ে চুল গজানো। স্বাভাবিক নিয়মে মানুষের মাথার চুল কম বেশি পড়বেই। কিন্তু আপনি একটু খেয়াল করবেন যে চুল পড়ার পর স্বাভাবিকভাবে যদি নতুন চুল না গজায় তখনই চুল পাতলা হয়ে যায় এবং টাক পড়ে যায়।
এই চুল পড়া নিয়ে অনেক মানুষ অনেক কথাই বলে থাকে কিন্তু এইটা সম্পূর্ণ আপনার উপর নির্ভর করে। আপনি কি খাচ্ছেন কিভাবে চুলের যত্ন নিচ্ছেন এগুলোর উপরে আপনার নতুন চুল গজানোর সম্ভাবনা থাকে। যত্ন নিলেই সবকিছুই সুন্দর হয় তাহলে চুল তো অবশ্যই সুন্দর হবে তাই না। যত্ন নিলে চুল গজাবে নতুন কিন্তু যত্ন নিলেই তো হবে না যত্ন নেওয়ার সঠিক নিয়ম না জানা থাকলে সেই সঠিক নিয়ম জানতে হবে। সঠিক উপাদান যদি জানা না থাকে তাহলে আপনার চুলের ক্ষতি হতে পারে। সেজন্য আপনার সঠিক নিয়ম জেনে নেয়া প্রয়োজন।
পেঁয়াজের রসঃ পেঁয়াজের রসের গন্ধ অনেক ঝাঝানো। এই পেঁয়াজের রস চুলের জন্য অনেক কার্যকরী। এই পেঁয়াজের রস দিয়ে আপনি চুল পড়া কমাতে পারবেন এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে। কয়েকটি পেঁয়াজ আপনি সুন্দর করে বেটে নিতে হবে। এরপর ভালোভাবে মাথায় লাগিয়ে নিতে হবে কিছুক্ষণ পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে করে মাথার চুল পড়া কমিয়ে নতুন চুল গজাবে। এইভাবে ব্যবহার করতে হবে সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার তাহলে চুল গজাবে নতুন।
নিমপাতার ব্যবহারঃ নিমপাতা ত্বকের নানা সমস্যার সমাধান করে। নিম পাতা অনেক কার্যকরী একটি প্রাকৃতিক উপাদান। নিমপাতা শুধু শরীরের জন্য নয় চুলের যত্নেও নিমপাতা অনেক উপকারী উপাদান। নিম পাতা ব্যবহারের ফলে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। একমুঠো নিম পাতা নেয়ার পর সুন্দর করে গরম পানিতে ফুটিয়ে নিয়ে একটি পাত্রে রেখে দিতে হবে। তারপর হালকা গরম পানি বোতলে রাখতে হবে। সেই পানি নিয়ে প্রতি সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার মাথার চুলে দিয়ে সুন্দর করে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
তাহলে মাথার ত্বকের কোন ধরনের খুশকি সমস্যা বা কোন ধরনের সংক্রমণ রোগ দেখা দিবে না। চুলের সবকিছু দূর করতে সাহায্য করে এই নিম পাতা। নিমপাতা চুলের গোড়াতে মজবুত করতে সাহায্য করে এবং নতুন চুল গজাতেও অনেক সাহায্য করে। আমাদের বয়স বাড়ার সাথে সাথে চুল পড়ে যাওয়ার সম্ভবনা বেশি দেখা যায়। বংশগত ভাবেই অনেক মানুষের মাথায় চুল থাকে না। আমাদের বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষের এই চুলের সমস্যা নিয়ে অনেক ভুগছেন।
ছেলেদের নতুন চুল গজানোর উপায়
মাথার চুল গজানোর উপায় সবার জানা প্রয়োজন। ছেলেদের চুল পড়া বর্তমান সময়ে খুব ভয়াবহ একটি সমস্যা। তবে এটা নারীদের সমস্যা তা নয় এখন অল্প বয়স মানুষ কিশোর যুবক ছেলেদের ভিশন দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন দেশের প্রতিটা মানুষের এই চুল পড়া নিয়ে সমস্যার মধ্যে রয়েছে। চুল পড়া এমন একটি সমস্যা যা কিশোর ছেলেদের বিভ্রান্ত কর ও যন্ত্রণাদায়ক অবস্থার মধ্যে থাকে। চুল পড়া আরো অন্যতম কারণ থাকতে পারে সুষম খাদ্যর ঘাটটি থাকতে পারে।
ফাস্টফুড চকলেট ইত্যাদি খেলে পুষ্টির ঘাটতি হয়। এতে করে আপনার চুলের পুষ্টি কমিয়ে যায়। আপনার চুল যত্ন না রাখলে চুলের ক্ষতি হবে। চুলের যত্ন যদি না করি তাহলে চুল খুব দ্রুত ঝরে যাবে। আমাদের চুল পরিষ্কার রাখতে হবে এবং নিয়মিত চুলের যত্ন নিতে হবে। কিছু কিছু মানুষ আছে চুল অপরিষ্কার এবং বাজে ভাবে রাখে। তাদের চুলের সমস্যা অনেক বেশি হয় নিয়মিত চুল পড়ে যায়।
চুলে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন না থাকলে চুল পড়ে যায়। আমাদের চুলের অন্যতম উপাদান হলো কেরাটিন যা এটি এমন অ্যামিনো এসিড দিয়ে তৈরি এক ধরনের প্রোটিন। নতুন চুল গজানোর জন্য অবশ্যই আপনার শরীরে পর্যাপ্ত অ্যামিনো এসিড থাকতে হবে। আপনার খাদ্যের তালিকায় মাছ মাংস ডিম দুধ এগুলো প্রতিদিন রাখার চেষ্টা করতে হবে।
কলা বাদাম মটরশুটি ইত্যাদি থেকেও পেতে পারেন এইগুলো উপাদান। আপনার মনে রাখতে হবে যে যদি ভিতরে পুষ্টি না থাকে তাহলে শরীরের চুল পড়া থেকে রক্ষা পাবেন না। তাই সবসময় পুষ্টিকর খাবার আপনাকে খেতে হবে তাহলে আপনার চুল নতুন গজাতে সাহায্য করবে।
ভিটামিনঃ ভিটামিন আমাদের দেহের সুস্থতা জন্য অনেক প্রয়োজন। কিন্তু আমাদের চুলের জন্য এইটা অনেক উপকার। ভিটামিন এ মাথার ত্বক থেকে উপকারী সিরাম সরবরাহ করে। ভিটামিন এ এই ফলে মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে নতুন চুল গজাতে অনেক বেশি সাহায্য করে। চুল পড়া রোধ করতে চাইলে আমাদের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন দরকার।
ভিটামিনযুক্ত খাবার না খেলে শরীরে পুষ্টি হবে না আর শরীরে যদি পুষ্টি না হয় তাহলে চুলের গোড়া মজবুত হবে না ফলে চুল ঝরে যাবে। সবার আগে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ যেন ভিটামিন থাকে।
জিংক ও আয়রন গ্রহণঃ মাথার ত্বকের অক্সিজেন সরবরাহ করতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখে জিংক ও আয়রন। অক্সিজেনের স্বল্পতার কারণে মাথার চুল পড়ে যায় এইটা একটি কারণ বলা যেতে পারে। চুল পড়া বন্ধ করতে জিন ও আয়রন বেশি বেশি গ্রহণ করতে হবে। তাহলে চুল অনেক ভালো থাকবে।
অতিরিক্ত চিন্তাঃ অতিরিক্ত চিন্তা মানসিক চাপ এগুলো কারণে ছেলেদের মাথার চুল পড়ে যায়। আমাদের যখন ভীষণ গরম লাগে তখন আমাদের মাথা মধ্যে ঘাম সৃষ্টি হয়। সে ঘাম মাথার চুলের গোড়াতে অনেক ক্ষতি কারক হয়ে চুলের গোড়া নষ্ট হয়ে যায়। ফলে চুল মাথা থেকে ঝরে যায় মাথার ঘাম চুল পড়ার জন্য দায়ী। সব সময় মানসিক চিন্তা অতিরিক্ত চিন্তা এগুলো থেকে মুক্ত থাকতে হবে। তাহলে চুলের কোন ক্ষতি হবে না।
ভেজা চুল না আঁচড়ানোরঃ যাদের চুল পড়ার পরিমাণ সবচেয়ে বেশি তারা ভেজা চুল আশ্রাবেন না। ভেজা চুল আঁচড়ানোর ফলে চুল অনেক পড়ে যায়। কারণ ভেজা চুল অবস্থায় ভীষণ দুর্বল হয়ে থাকে। চুল এতে করে একটু টান পড়লেই গোঁড়া থেকে উঠে আসে। তাই ভেজা চুল শুকিয়ে তারপর বড় দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল গুলো ঠিক করতে হবে।
কত বছর বয়স পর্যন্ত চুল গজায়
চুল গজানোর প্রধান কাজ হচ্ছে পুষ্টিকর খাবার। আমরা যদি সঠিক নিয়মে পুষ্টিকর খাবার খেয়ে থাকি তাহলে আমাদের মাথার চুল খুব দ্রুত এবং নতুন করে গজাবে। বৃদ্ধ বয়সের আগ পর্যন্ত চুল গজাতে পারে। চুলের ভিটামিনের জন্য আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিনযুক্ত খাবার খেতে হবে। অতিরিক্ত টেনশনের ফলে আমাদের মাথার চুল ঝরে যায়। এতে করে আমাদের মাথা টাক পড়ে যায় চুলের সঠিকভাবে যত্ন নিতে হবে তাহলে চুল পড়বে না। মানুষের শরীরে যেমন পুষ্টিকর খাবার প্রয়োজন ঠিক তেমনি চুলেরও পুষ্টির প্রয়োজন।
যখনই আপনি আপনার চুলের পুষ্টি নিয়ে আসবেন তখন আপনার চুল নতুন ভাবে গজাবে। আমরা যেমন করে পুষ্টিকর খাবার খায় চুলেরও ঠিক তেমনি খাদ্য আছে। খাদ্য বলতে মাথায় তেল দিতে হবে শ্যাম্পু করতে হবে চুলের যত্ন নিতে হবে তাহলে চুল হয়ে উঠবে ঘন ও মিশ্রণ। অনেক মানুষ আছে যারা নিয়মিত তেল ব্যবহার করে না এক্ষেত্রে চুলের অনেক পুষ্টি ঘাটতি থেকে যায়। চুলে অনেক বেশি পুষ্টি দিতে হবে যাতে করে চুলের গোড়া অনেক বেশি মজবুত থাকে।
আপনি যদি চলে তেল দেওয়ার সময় না পান তাহলে সপ্তাহে অন্তত দুইবার মাথায় তেল ব্যবহার করতে হবে। তাহলে চুল খুব সুন্দর থাকবে এবং চুলের গোড়া অনেক মজবুত থাকবে আপনি মাথায় একটু তেল দিতে পারেন তাহলে চুলের কিছুটা পুষ্টি পাবে। যখন আপনার চুলে নিয়মিত পুষ্টি পাবে তখন আপনার চুল সুন্দর থাকবে এবং সারা বছর বাড়তে থাকবে চুল বাড়ার কোন বয়স থাকবে না। যখন আপনার বৃদ্ধ বয়স হয়ে যাবে তখন চুল একটু একটু পড়া শুরু হবে।
অনেক সময় বৃদ্ধ বয়সেও চুল অনেক বেশি ঘন থাকে আবার অনেক সময় বৃদ্ধ বয়সে মাথায় টাক পড়ে যাই এটা শারীরিক গ্রোথ এবং জেনেটিক এর ওপর নির্ভর করে। আমাদের চুল পড়া সমস্যার কারণে মুখের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়। অনেক মানুষের মাথার চুল টাক পড়ে যায় ফলে অনেক ওষুধ ব্যবহার করে। ওষুধে কাজ কম হয় ফলে চুলের সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু চুলের সমস্যা শারীরিক সমস্যার কারণে হতে পারে । সে জন্য চুলের যত্ন নিতে হবে এবং চুলে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টি রাখতে হবে তাহলে চুল সুন্দর থাকবে আর নতুন চুল গজাবে।
মাথার চুল গজানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
আমাদের বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের বংশগত পরিবেশের প্রভাবে আমাদের চুল পড়ে যেতে পারে। আমাদের বাংলাদেশের মানুষ চুল পড়ার কারণে অনেক বেশি সমস্যায় ভুগছেন। চুলের গোড়ায় যদি পুষ্টি না থাকে তাহলে চুল গোড়া থেকে নষ্ট হয়ে যায় ফলে চুল ঝরে যায়। চুলে পুষ্টি নিয়ে আসতে হলে আমাদের পুষ্টিকর খাবার রাখতে হবে খাবারের তালিকায়। চুলে প্রথমে আমরা ম্যাসাজ করব নিয়মিত ম্যাসাজ করলে চুলের রক্ত সঞ্চালন বাড়ে।
ভিটামিন ই চুলের প্রয়োজনীয়তা মেটায় ভিটামিন ই এর ফলে অনেক বেশি চুল মজবুত হয়। চুল গজানোর জন্য দিনে তিনবার চুল ম্যাসাজ করুন তাহলে চুলের অনেক উপকৃত হবে। আমাদের চুল গজানোর জন্য ভিটামিন যুক্ত খাদ্য অভ্যাস করতে হবে।
আমাদের চুলে মূলত কেরাটিন দিয়ে গঠিত। এটি একটি অ্যামিনো এসিড এটা এক ধরনের প্রোটিন। চুলের জন্য অ্যামিনো এসিড অর্থাৎ প্রোটিন সরবরাহ করতে হবে। মাছ-মাংস দুধ ডিম এগুলো খাবারের তালিকায় নিয়ে আসতে হবে। তাহলে অনেক বেশি চুল মজবুত থাকবে এবং নতুন চুল গজাবে।
নিয়মিত চুল পরিষ্কার রাখতে হবে এবং নিয়মিত চুল যত্ন রাখতে হবে তাহলে এতে করে চুল অনেক সুন্দর থাকবে। পেঁয়াজের রস চুলের গোড়ায় ভালো করে লাগিয়ে দিলে চুল অনেক মজবুত হবে এবং নতুন চুল গজাবে। চুল আমাদের মুখের সৌন্দর্যের একটি অংশ। আমাদের বাংলাদেশের অনেক মানুষের চুলের সমস্যা নিয়ে রয়েছে। কিছু কিছু মানুষ বৃদ্ধ হয়ে যাওয়ার পরও চুল অনেক বেশি থাকে।
আবার কিছু কিছু মানুষ বৃদ্ধ না হওয়ার আগেই চুল মাথা থেকে পড়ে টাক হয়ে যায় সেজন্য আমাদের আগে চুলে পুষ্টি নিয়ে আসতে হবে। মানুষের চুলের জন্য মুখের সৌন্দর্য বৃদ্ধি হয়। চুল মানুষের সৌন্দর্যের একটি অংশ প্রত্যেক মানুষেরই চাওয়া পাওয়া থাকে তাদের মাথা ভরা চুল থাকবে। কিন্তু সেই চুল যদি মাথা থেকে ঝরতে থাকে তাহলে এর থেকে দুঃখজনক ব্যাপার আর কি হতে পারে। তাই চুল পড়া বন্ধ করতে আমাদের অনেক চিন্তায় পড়ে যায় ফলে কি করব কিছুই বুঝে উঠতে পারি না।
আমাদের শরীর দুর্বলতা হওয়ার কারণে চুল পড়তে পারে অনিয়মিত ঘুমের কারণে আমাদের মাথার চুল ঝরে যেতে পারে। আমাদের শরীরে স্বাস্থ্যকর খাবার বেশি করে খেতে হবে যেমন শাকসবজি ডিম মাংস দুধ ইত্যাদি। চুল গজানোর জন্য শরীরে পুষ্টিকর খাবার প্রয়োজন। তাহলে চুলের গোড়া মজবুত এবং শক্ত হবে।
মাথার সামনের চুল গজানোর উপায়
মাথার সামনের চুল গজাতে খাঁটি নারকেল তেল এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করতে হবে। খাঁটি নারকেল তেল মাথার জন্য অনেক উপকৃত উপাদান। নারকেল তেল চুলকে মজবুত এবং বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। বিশুদ্ধ নারকেল তেল যুগ যুগ ধরে চুলের যত্নে ব্যবহার করে আসছে মানুষ। চুলের গোড়ায় হাইড্রেশন ধরে রাখে এই নারকেল তেল।
নতুন চুল গজাতে ক্যাস্টর অয়েল অনেক ভালো কার্যকারী একটি উপাদান। ভিটামিন ই নারকেল তেল ও ক্যাস্টর অয়েল একসাথে যদি মিশিয়ে ভালো করে মাথায় ম্যাসাজ করা যায় তাহলে চুলে অনেক বেশি পুষ্টি যোগায়। মাথার চুল গজানোর উপায় আশা করছি বুঝতে পেরেছেন।
নতুন চুল গজানোর ঘরোয়া পদ্ধতিগুলো কি কি?
আজ কাল মানুষ চুল নিয়ে অনেক বেশি ভাবা শুরু করেছে। চুল মাথায় না থাকলে মনে হয় শরীরের অনেক কিছু হারিয়ে গেছে। চুল হচ্ছে আপনার আমার মুখের সৌন্দর্য। শীতকাল হলে চুল পড়ার সমস্যা অনেক বেশি বেড়ে যায়। শীতকালে চুলের প্রোটিন গুলো কমে যায় এইজন্য শীতকালে একটু পুষ্টিকর খাবার বেশি খেতে হয়। নতুন চুল গজানোর ক্ষেত্রে চুল পরিষ্কার রাখা এবং চুল খুব যত্ন করে রাখতে হয়।
চুলের জন্য পুষ্টিকর খাবার আপনাকে খেতে হবে তাহলে চুল শক্ত এবং মজবুত হবে। নতুন চুল গজানোর ওপর নির্ভর অনেকটাই আপনার ওপর। আপনি কি খাচ্ছেন, চুলের যত্ন কিভাবে নিচ্ছেন, এগুলোর উপর নির্ধারণ করে চুল। তবে কয়েকটি নিয়ম মেনে চললে আপনার চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে। তাহলে দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক মাথায় চুল গজানোর কয়েকটি উপায়। মাথার চুল গজানোর উপায় সম্পর্কে যতটুক পেরেছি সঠিক ধারণা দেয়ার চেষ্টা করেছি।
মাথার চুল গজানোর কয়েকটি ঘরোয়া পদ্ধতি নিচে আলোচনা করা হলোঃ
পুষ্টিকর খাদ্যঃ আমরা অনেকেই জানি যে পুষ্টিকর খাদ্য আমাদের শরীরে অনেক ঘাটতি পূরণ করে। এবং চুলের পুষ্টি ও যোগায়।
নারকেল তেলঃ চুলের জন্য খুব কার্যকরী একটি উপাদান হলো নারকেল তেল। এই তেল ব্যবহারের ফলে চুলে অনেক পুষ্টি যোগায়। নারকেল তেলে রয়েছে ফ্যাটি এসিড যেটা চুলের জন্য খুব উপকারী। ফ্যাটি এসিড চুলকে অনেক সুন্দর করে এবং চুল গজাতে সাহায্য করে এতে চুল হয় অনেক ঝলমলে ও কোমল।
নিম পাতার ব্যবহারঃ আমাদের চুলের জন্য নিম পাতা খুবই উপকারী একটি প্রাকৃতিক উপাদান। যার ফলে চুল গজাতে অনেক সাহায্য করে। মাথার চুলে যদি কোন খুকশি হয় তাহলে এগুলো দূর করে দেয়। এর ফলে চুলের গোড়া মজবুত হয় এবং চুল গজাতে সাহায্য করে।
পেঁয়াজের রসঃ চুল গুজাতে সবথেকে বেশি প্রয়োজন পড়ে পেঁয়াজের রস। পেঁয়াজের রস চুলে দিলে চুল অনেক তাড়াতাড়ি গজাতে সাহায্য করে। কয়েকটি পেঁয়াজ বেটে নিয়ে এক মগ পানির সাথে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর মিশ্রণ করে নিয়ে ভালোভাবে চুলে লাগিয়ে নিতে হবে। কিছুক্ষণ পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন সপ্তাহে দুই থেকে তিনদিন ব্যবহার করুন তাহলে নতুন চুল গজাবে এবং চুলের নানান সমস্যা থাকলে দূর হয়ে যাবে।
জবা ফুলঃ জবা ফুল চুলের জন্য খুব উপকারী একটি উপাদান। জবা ফুল চুলকে অনেক বৃদ্ধি করে এবং চুলের খুশকি দূর করে চুলকে রাখে অনেক সুন্দর। জবা ফুলে আছে অ্যামিনো এসিড ও ভিটামিন সি। যার কারণে চুলের গোড়া মজবুত করতে অনেক সাহায্য করে। কয়েকটি জবা ফুল নিয়ে পরিষ্কার পানিতে ভালো করে ফুটিয়ে নিতে হবে।
এরপর ফুল মিশ্রিত পানি সেঁকে নিয়ে সেখানে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস দিতে হবে তারপর দিয়ে রাখতে হবে ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে। যখন মাথায় শ্যাম্পু করবেন তখন এগুলো ব্যবহার করবেন তাহলে আপনি ভালো ফলাফল পাবেন।
ধূমপান ত্যাগঃ ধূমপান করার কারণে চুলের ফলিকল গুলো নষ্ট হয়ে যায়। ফলে চুল পড়া বন্ধ হয় না তাই আমরা ধূমপান থেকে মুক্ত থাকবো। ধূমপান করলে চুল খুব দ্রুত পেকে যায় এবং মাথায় টাক পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
প্রোটিন গ্রহণ করাঃ প্রতিদিন আমাদের খাদ্যের সাথে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন গ্রহণ করতে হবে। তার ফলে চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে। যখন আপনার প্রোটিনের পরিমাণ কম হয়ে যাবে তখন আপনার চুল পড়া শুরু হবে। তাই আপনি দিনে অন্তত ৫০ গ্রাম প্রোটিন গ্রহণ করবেন। তাহলে অবশ্যই আপনার চুল পড়া বন্ধ হবে তবে আপনাকে নিজের ওজনের দিকেও নজর দিতে হবে।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক আপনি যদি আমাদের পোস্ট পড়ে একটুও উপকৃত হয়ে থকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। আপনি যদি আমাদের পোষ্টটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করেন তাহলে আপনার মাধ্যমে আপনার বন্ধুরাও জানতে পারবে। তাই দেরি না করে আপনার বন্ধুদের সাথে আমাদের পোস্টটি শেয়ার করুন। আমাদের পোস্ট পড়ে যদি আপনার কোনো মতামত জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে সেটা জানিয়ে যাবেন। (ধন্যবাদ) আসসালামু আলাইকুম।
এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url