শরীরের দুর্বলতা কাটানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

শরীরের দুর্বলতা কাটানোর উপায় সম্পর্কে নিশ্চয় আপনি জানতে চান? তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্যই। এই আর্টিকেলে সুন্দর করে এই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এই আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে পড়লে আপনি সমস্ত কিছু বুঝতে পারবেন। চলুন তাহলে জেনে নিন বিষয়গুলো।
শরীরের দুর্বলতা কাটানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
আমরা অনেকেই আছি যে শরীরের দুর্বলতা কাটানোর উপায় সম্পর্কে জানিনা। কিন্তু এই উপায়গুলো আমাদের প্রত্যেকের জানা অনেক প্রয়োজন। আমরা অনেকেই আছি এই সমস্যা নিয়ে। আমাদের আর্টিকেলে শরীর দুর্বলতার উপায়গুলো তুলে ধরা হয়েছে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক আমাদের শরীর দুর্বলতার উপায়গুলো।

ভূমিকা

শরীর দুর্বলতার অনেকগুলো কারণে হতে পারে তার মধ্যে প্রধান কারণ হচ্ছে পানি শূন্যতা, পুষ্টির অভাব, এইগুলো কারণে শরীর দুর্বলতা বেশি হয়। একজন মানুষ তখনই  বুঝতে পারে যখন সেই মানুষের এই গুলো সমস্যা হয়ে পরে। অনিয়ত ব্যায়াম ভিটামিন যুক্ত খাবার না খাওয়া এগুলোর জন্য শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে।  

শরীরের দুর্বলতা কাটানোর উপায় আমরা অনেকেই জানিনা। আমরা আমাদের এই পোস্টে সকল ধরনের সমস্যা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আপনি চাইলে আমাদের এই পোস্টগুলো ধৈর্য সহকারে পড়তে পারেন। আপনার শরীর দুর্বলতার সমাধান এই পোষ্টে দিয়েছি। আপনি  পড়লে সমস্ত কিছু বুঝতে পারবেন।

শরীর দুর্বল হলে কি কি সমস্যা হয়

শরীর দুর্বল হলে কি কি সমস্যা হয় সেটা হয়তো আমরা অনেকেই জানি। কিন্তু শরীরের দুর্বলতা কাটানোর উপায় জানা সম্পর্কে আমাদের পর্যাপ্ত ধারণা নেই অনেক মানুষের। আমাদের শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব হলে আমাদের শরীর অনেক দুর্বল করে। আমরা অনেকেই হয়তো জানি যে খাবার আমাদের প্রধান খাদ্য। খাদ্য আমরা যদি না খাই তাহলে শরীর ঝিমঝিম করে এবং মাথা যন্ত্রণা করে অস্থিরতা লাগে শরীর অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে কোন কাজে মন বসে না। 

শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টির উপাদান যদি সরবরাহ না হয় শরীর অনেক বেশি দুর্বল হয়ে পড়ে। আমাদের শরীরে পুষ্টির অভাবে অনেক রোগ দেখা যায়। আমাদের শরীরে ভিটামিন বি এবং প্রোটিন ভিটামিন সি এই গুলো আমাদের অনেক দরকার। আমাদের পুষ্টির কোন ঘাটতি হলে শরীর অনেক দুর্বল হয়ে দেয়। 


অনিদ্রা বা পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হওয়া আমরা জানি যে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ঘুমানোর প্রয়োজন ৫ থেকে ৬ ঘন্টা। কিন্তু আমরা সেটি না করে আমাদের সময় অন্য কাজে ব্যয় করি। ঘুমানোর সময় আমাদের ভিডিও দেখা অন্যান্য নানান কাজ এগুলো নিয়ে পড়ে থাকি। এইগুলোর জন্যই আমাদের শরীর অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে। আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ যদি ঘুম না হয় তাহলে তার শরীর অনেক দুর্বল হয়ে যায় সুতরাং আমাদের পর্যাপ্ত পরিমান ঘুমানোর প্রয়োজন।    

অতিরিক্ত পরিশ্রম আমরাই তো সকলেই জানি যে অতিরিক্ত পরিশ্রম করলে মানুষের শরীর খুব দুর্বল হয়ে পড়ে। আমাদের যতটুকু প্রয়োজন কাজ করার তার থেকে বেশি করলে আমাদের শরীর দুর্বল দেখা দেয়। তাই অতিরিক্ত পরিশ্রম না করে নিজেকে বিরত রাখা দরকার।  

অসুস্থতা আপনি হয়তো একটু লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন যে অসুস্থ হলে মানুষ অনেক বেশি দুর্বল হয়ে পড়ে। যখন আমরা অসুস্থ হয় তখন আমাদের শরীরের উবস্থা একটুও ভালো থাকে না। আমাদের অসুস্থতা থেকে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই যতটুকু পারবো আমরা অসুস্থ থেকে মুক্ত থাকবো। 

মানসিক চাপ অতিরিক্ত পরিমাণে একটা মানুষের মানসিক চাপ যদি সৃষ্টি হয় তাহলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কমিয়ে দিতে পারে। শরীর অনেক বেশি দুর্বলতা তৈরি করে দিতে পারে। সুতরাং এমন কোন কাজ করবো না যার জন্য আমাদের অনেক বেশি মানসিক চাপ তৈরি হয়। আমরা সব সময় মানসিক চাপ থেকে মুক্ত থাকবো।


ধূমপান আমাদের বাংলাদেশে শতকরা ৬০ থেকে ৭০ ভাগ মানুষ এখন ধূমপান করে। আমাদের উচিত এই ধূমপান থেকে মুক্ত থাকার। ধূমপান শরীরের পুষ্টির ঘাটতি তৈরি করতে পারে। এতে শরীর দুর্বল হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি হতে পারে। তাই ধূমপান থেকে আমরা সব সময় মুক্ত থাকবো।

কিডনি রোগ কিডনি রোগ হলে আমাদের শরীরের অবস্থা ভালো থাকে না। ভেতরের যত বজ্র অপদ্রব্য এইগুলো নিষ্কাশনে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখে এই কিডনি। কিডনি রোগ আমাদের শরীর থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে অবতব্য বের করতে অনেক বেশি ব্যর্থ হয় ফলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। 

শরীর দুর্বল হওয়ার অনেকগুলো কারণ রয়েছে আমরা জানি যে শরীর দুর্বল হলে কি কি করতে হয়। কিন্তু তার মধ্যেও বলা যায় যে মানসিক চাপ শারীরিক সমস্যা এগুলোর ফলে শরীর বেশি দুর্বল হয়। এই জন্য এইগুলো সমস্যা গুলো থেকে আমাদের দূরে থাকা প্রয়োজন।


হজমের সমস্যা আমাদের শরীরে হজমের সমস্যা দেখা দেয় অনেক কিছুই আমরা না জেনে খেয়ে ফেলি। আসলে আমাদের মধ্যে অনেক মানুষ আছে সুধু খেয়ে যায়। কিন্তু জানিনা না যে সেটা খেলে শরীরের জন্য ভালো হবে না খারাপ হবে। আমাদের সবার প্রথমে এইটা আগে জানতে হবে যে আমাদের কি খাওয়া উচিত আর কি খাওয়া উচিত নয়। 

আমাদের এই খাওয়ার জন্য হজম সমস্যা বেড়ে যায়। এতে করে লিভারের সমস্যা তৈরি হতে পারে। তারপর গ্যাস থেকে একপর্যায়ে আপনার ক্যান্সারের রূপ নিতে পারে। তাই আমরা খুব দ্রুত সঠিক সময় সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করার অত্যন্ত প্রয়োজন।

ক্ষত নিরাময় আমাদের শরীরে কোন স্থানে যদি কেটে যায় বা ক্ষত হয় তাহলে আমাদের শরীর অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়ে। আমাদের শরীরের কোন অংশে যদি একটু আঘাত পায় তাহলে আমাদের সারা শরীর অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে এবং অনেক ব্যথা ও যন্ত্রণা সৃষ্টি হয়। সারাক্ষণ কাজকর্মের মধ্যে থাকলে ক্লান্ত বোধ হয়। এর ফলে শরীর অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে। এইগুলো সমস্যা কারণে আমাদের শরীর অনেক বেশি সমস্যা দেখা দেয়।

শরীর দুর্বল হলে কী কী লক্ষণ দেখা যায়? 

আমাদের শরীর দুর্বল হয়ে যেগুলো লক্ষণ দেখা যায় তার মধ্যে- ওজন কমে যাওয়া, ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া, চোখে কম দেখা, পায়ের তালু ঝাকুনি দেওয়া, কোন কাজে মনোযোগ সহজে দিতে না পারা, রক্ত চলাচল কমে যাওয়া, এবং ক্ষতস্থানগুলো সহজে শুকাতে চায় না। আসলে আমাদের শরীরে অনেক সময় দুশ্চিন্তা শারীরিক চাপ মানসিক চাপ এগুলো হওয়ার কারণে সমস্যা দেখা দেয়। ফলে আমাদের শরীর দুর্বলতা দেখা দেয়।

আমাদের শরীরে অনেক ভাবেই দুর্বলতা দেখা দিতে পারে তার মধ্যে প্রধান হচ্ছে রক্তস্বল্পতা। শরীর দুর্বল হলে হাঁটতে অনেক সমস্যা হয়। আপনার শরীর যদি দুর্বল হয় তাহলে অনেক ক্লান্তি এবং কাজের প্রতি বেশি বিরক্ত বোধ চলে আসে। বেশি বেশি মাথা ঘোরা, কিছু ভালো লাগে না কথা বলা।

খিদে কমে যাওয়া, রাগান্নিত হওয়া, প্রচন্ড মাথা ব্যথা, শ্বাস নিতে সমস্যা, হার্টের সমস্যা, অমানুষিক ভাব, এগুলো লক্ষণ দেখা শরীর অনেক বেশি দুর্বল হলে। শরীরের দুর্বলতা কাটানোর উপায় সম্পর্কে জানার পাশাপাশি আরো অন্যান্য বিষয়ও জানা জরুরী রয়েছে। সেইগুলো বিষয়েও ধারণা রাখতে হবে।  

শরীরের দুর্বলতা কাটানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

শরীরের দুর্বলতা কাটানোর উপায় হলো শাকসবজি খাওয়া, মিষ্টি কুমড়া, আলু গাজর, এগুলো শারীরিক দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অনেক সাহায্য করবে। আপনার শরীর যদি দুর্বল হয় তাহলে আপনি ভিটামিনযুক্ত খাবার খেতে পারেন। ভিটামিন যুক্ত খাবার আপনার শরীর খুব দ্রুত দুর্বলতা থেকে ভালো হয়ে উঠতে সাহায্য করবে। এছাড়াও আরো নরম নরম যেগুলো খিচুড়ি থাকে সেগুলো খাওয়া। সিদ্ধ ভাত, সবজি স্যুপ এই গুলো খেলে শরীরের দুর্বলতা কাটিয়ে উটতে পারবে।
 
আপনার যদি জ্বরে আক্রান্ত হয়ে থাকেন এবং শরীর খুব দুর্বল করে তাহলে কঠিন ও আয়রনযুক্ত খাবার প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে তাহলে আপনার শরীর সুস্থ হবে। বিভিন্ন ধরনের ডাল, ঝোলা বাদাম, মটরশুঁটি, এইগুলো ভালো খাবার খেলে আপনার শরীর অনেক দ্রুতি আরাম পাবেন। এগুলোতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। মাংস দিয়ে খিচুড়ি খেলে শরীরের দুর্বলতা অনেক কমায়। ফলের মাঝে আপনি কমলা, আপেল, পেয়ারা, আঙ্গুর, আনারস, ডালিম, ও ডাবের পানি এগুলো যদি আপনি খেয়ে থাকেন তাহলে খুব দ্রুত শরীর দুর্বলতা কমিয়ে যাবে। 


সবজির মাঝে- মিষ্টি কুমড়া, কচু শাক, লাল শাক, পাট শাক, এগুলো যদি আপনি খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার শরীরের দুর্বলতা অনেক কাটিয়ে উঠবে। আপনার শরীরে পানির পরিমাণ ঠিক রাখতে হবে। পানি সব সময় খেলে আপনার শরীর তাজা থাকবে। আপনার শরীর দুর্বলতা থেকে কাটিয়ে উঠতে ভালো পরিমাণ ভিটামিনযুক্ত খাবার প্রতিদিন খাবারের তালিকায় নিয়ে আসতে হবে। যদি পারেন এ সময়ে একটু আদা দিয়ে চা খেলে উপকার পাবেন। 

আদা মানুষের শরীরের থেকে যে জীবাণু হয় সে জীবন গুলো দূর করে শরীরকে মুক্ত করে। আবার এর সাথে সাথে আপনাকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে এবং পর্যাপ্ত ঘুম ঘুমিয়ে নিতে হবে তাহলে আপনার  শরীর দুর্বলতা থেকে আরাম পাবে। বিভিন্ন কারণে শরীর দুর্বল হতে পারে এগুলো মধ্যে প্রধান কারণ হচ্ছে পুষ্টির অভাব। পানি শূন্যতা, অনিয়ত ব্যায়াম, ভিটামিনযুক্ত খাবারের ঘাটতি, এগুলো কারণে আপনার শরীর অনেক দুর্বল হয়ে পড়বে। 

শারীরিক অসুস্থতা বা একটা শারীরিক দুর্বলতা যে কতটা অস্বস্তিকর সেটা একজন দুর্বলতা যে ভুগছেন সে বলতে পারবেন। এদের মধ্যে অনেক মানুষ আছে দুর্বলতায় ভুগছেন কিন্তু সে জানেনা যে তার কি কারণে শরীর দুর্বলতা করছে। আসলে এটা আমাদের বাংলাদেশে অনেক মানুষের এই সমস্যা মধ্যে রয়েছে। শরীর দুর্বলতা হলে একটা মানুষের কোন কিছুতেই ভালো লাগে না। শরীর দুর্বল হলে মানুষের খিটখিটে মেজাজ হয়ে যায় এর ফলে কোন কিছুই তার ভালো লাগেনা। এই জন্য আমাদের শরীর দুর্বলতা কাটানোর প্রয়োজন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন শরীরের দুর্বলতা কাটানোর উপায় সম্পর্কে।


হঠাৎ করে যদি শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে তাহলে সে ক্ষেত্রে আমাদের যেগুলো কাজ করতে হবে
  • সাথে সাথে এক গ্লাস ঠান্ডা পানি পান করতে হবে।
  • কিছু সময় বিশ্রাম নিতে পারেন ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা জন্য ঘুমিয়ে পড়তে পারেন তাহলে একটু দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে পারবেন।
  • প্রতিদিন খাবারের তালিকায় ভিটামিনযুক্ত খাবার রাখতে হবে। 
  • প্রতিদিন সকালে হালকা করে হলেও ব্যায়াম করে নিতে হবে। 
  • প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা তাহলে শরীর তাজা থাকবে। 
  • শরীর দুর্বলতা কাটাতে আমাদের ভিটামিনযুক্ত ওষুধ খেতে হবে। 
  • একটু শরীর দুর্বলতা করলে সাথে সাথে ই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তাদের নির্দেশনা বলি মেনে চলতে হবে। 
মনকে সবসময় সুন্দর করে রাখতে হবে হাসি খুশি থাকতে হবে। শারীরিক দুর্বলতা কাটানোর একটি অন্যতম পন্থা হিসেবে কাজ করে হাসিখুশি থাকা। তাই আমরা চেষ্টা করব সব সময় হাসিখুশি থাকার।প্রতিদিন সঠিকভাবে শরীর চর্চা করতে হবে এবং পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে তাহলে আমাদের শরীর দুর্বলতা কেটে যাবে। আমাদের মনকে সবসময় ভালো রাখতে হবে আমাদের চিন্তা-ভাবনা সব সময় ভালো কিছু নিয়ে আসতে হবে তাহলে শরীর ভালো থাকবে।

শারীরিক দুর্বলতা কাটাতে ভিটামিন সি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল খেলে আমাদের শরীরের দুর্বলতা কেটে যাবে এর পাশাপাশি প্রোটিনযুক্ত খাবার শাকসবজি এইগুলো খেতে হবে শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে তাহলে আমাদের শরীর এবং মন সবসময় ভালো থাকবে।

কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয়

আমাদের শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাবে শরীরের হাড় অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে ফলে শরীর অনেক দুর্বল হয়ে। ভিটামিন ডি এর অভাবে শরীর দুর্বল হয় শরীর ক্যালসিয়াম কম হয় দাঁতের সমস্যা হয়। তাই আমাদের ভিটামিন ডি এর অভাব গুলো জানতে হবে এবং সেগুলো মেনে চলতে হবে তাহলে আমাদের শরীরের দুর্বলতা কাটিয়ে উঠবে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক ভিটামিন ডি এর উপকারিতা। 

হাড় মজবুত করে আমাদের শরীরে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস শোষণের জন্য আমাদের প্রয়োজন ভিটামিন ডি এই উপাদান গুলো। ভিটামিন ডি আমাদের হাড়ের অনেক প্রয়োজন। ভিটামিন ডি এর অভাবে শরীর অনেক দুর্বল হয়ে পরে। শরীরে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস এই উপাদানগুলো আমাদের হাড় শক্ত করতে কাজে লাগে। ভিটামিন ডি এর অভাবে আমাদের হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে এবং আস্তে আস্তে হাড় একদম রোগা হয়ে পড়ে। 

পেশির শক্তি পেশির শক্তি বাড়ানোর জন্য আমাদের ভিটামিন ডি এর অভাব পূরণ করতে হবে। পেশি শক্ত করতে হলে ক্যালসিয়ামের মাত্রা অনেক বেশি প্রয়োজন পড়বে। ভিটামিন ডি পেশি শক্ত  ও বৃদ্ধি করে ফলে অনেক ভালো হয়ে উঠে পেশি।

ক্লান্তি অনুভব দূর করায় ভিটামিন ডি অভাবে শরীরে অনেক বেশি ক্লান্তি অনুভব করা যায়। যখন আপনি মনে করবেন যে আপনার শরীরে অনেক বেশি ক্লান্ত লাগছে তখন আপনি বুঝে নিবেন যে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি রয়েছে। যতো দ্রুত পারবেন ভিটামিন ডি ঘাটতি পুরন করবেন। আমাদের দেশে অনেক মানুষ আছে যারা ভিটামিন ডি এর অভাবে ভুগছেন। কিন্তু তারা নিজেও জানে না যে তাদের শরীরে কি সমস্যা হয়েছে। আপনি যদি নিজের মধ্যে  উপরের লক্ষণগুলো বুঝতে পারেন তাহলে খুব দ্রুত হাসপাতালে গিয়ে ভিটামিন ডি এর মাত্র পরীক্ষা করে নিবেন। তারপর যদি কম দেখতে পান তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। 


ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণ করবেন যে গুলো খেয়ে
  • দুধ
  • মাংস
  • ডিম 
ওজন কমাতে সাহায্য করে ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার খেলে শরীরের ওজন কমাতেও সাহায্য করে। পরিশ্রমের ক্ষমতা অনেক বেশি বৃদ্ধি করে এবং ক্লান্তি দূর করে।

কোন রোগ হলে আমাদের শরীর দুর্বল হয়ে যায়

আমাদের শরীরে নানা ধরনের রোগ থাকে তার মধ্যে শরীর দুর্বলতার জন্য যেগুলো রোগ দেখা দিতে পারে যেমন- ডাইবেটিক্স, থাইরয়েড, অ্যানিমিয়া, এগুলোর রোগ যদি আমাদের শরীরে দেখা দেয় তাহলে শরীর দুর্বলতা হতে পারে। তাই ঘুম থেকে উঠে যদি আপনার বেশি ক্লান্ত লাগে তাহলে আপনি অবশ্যই ভালো ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। তাহলে আপনার এতে করে সমস্যার সঠিক সমাধান পেয়ে যাবেন।

জীবনযাপন আপনি যদি সারাদিন শুয়ে এবং বসে সময় কাটান তাহলে আপনার শরীরে ঝিমঝিম ধরতে থাকবে। তাহলে আপনার শরীর অনেক ক্লান্ত মনে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছেন, প্রাপ্তবয়স্ক বা যুবকদের সপ্তাহে সাত দিন একটু করে হলেও সকালে ঘুম থেকে উঠে শারীরিক ব্যায়াম করা প্রয়োজন। শারীরিক ব্যায়াম আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকার। শরীর সব সময়ের জন্য ফিট থাকে ফলে শরীর দুর্বলতা মনে হয় না আমাদের শরীর অনেক সুস্থ থাকে।


কম ঘুমানো আপনি যদি দিনে ছয় থেকে সাত ঘন্টা না ঘুমান তাহলে আপনার শরীর অনেক দুর্বল হয়ে পড়বে। অনেক ক্লান্ত বোধ করবেন আপনার ঘুমের ঘাটতি হলে। আপনার সারা দিন শরীর ঝিমঝিম করতে করতে যাবে। সেজন্য আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমিয়ে নিতে হবে তাহলে শরীর দুর্বল করবে না।

পুষ্টিকর খাবার আপনি যদি আপনার খাবারের তালিকায় পুষ্টিকর খাবার না রাখেন তাহলে হবে না। আপনার শরীর ঠিক রাখার জন্য আপনাকে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। যেমন- ডিম, কলা, দুধ, ফল, মাছ, শাক-সবজি, এগুলো শরীরের পুষ্টির চাহিদা মেটাবে দিনভর ক্লান্তি দূর করবে। সে জন্য আপনাকে পুষ্টিকর খাবার অবশ্যই খাবারের তালিকায় রাখতে হবে এবং খেতে হবে। 

আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে তারা বলেন যে, কিছু ভালো লাগছে না, কাজে মন বসে না, শরীর ঝিমঝিম করে, ক্রান্তি বোধ হয়, বেশি ঘুম পায়, ঘুম থেকে উঠতে বেশি কষ্ট হয়, এগুলো ইত্যাদি গত কয়েক বছর থেকে মানুষের মধ্যে আছে। কিন্তু কিছু মানুষ জানে না মূল কারণ কি- 


শরীরে দুর্বলতার প্রধান কারণ হচ্ছে রক্তস্বল্পতা, ডাইবেটিস, পাতলা পায়খানা, থাইরয়েড রোগ, আমিষের অভাব, এগুলো শরীর দুর্বলতার মূল কারণ হয়ে থাকে। এই দুর্বলতা শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেজন্য আমরা সবসময় ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে শরীর ঠিক রাখার চেষ্টা করব।  শরীরের দুর্বলতা কাটানোর উপায় গুলো সুন্দর করে ধারণা দিয়েছি। যেগুলো পড়ে আপনি অনেক উপকৃত হবেন। 

রক্তস্বল্পতা রক্তস্বল্পতা আমাদের দেশের মহিলাদের অনেক বেশি হয়ে থাকে। তাদের রক্তস্রাব, ক্রনিক রোগ, ভিটামিনের অভাব, জন্ম থেকে রক্তের হিমোগ্লোবিন পরিমাণ কম থাকা ইত্যাদি, এগুলোর কারণে রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়। দুর্বলতার অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে রক্তস্বল্পতা। চিকিৎসার পাশাপাশি খাবারের প্রতি সবসময় মনোযোগ দিতে হবে তাহলে রক্তস্বল্পতা কমিয়ে আসবে। 

আমিষের অভাব আমিষের অভাবে শরীরের হাতমুখ সব ফুলে যায়, পায়ের গোড়ালি ফুলে যায়, পেটের মধ্যে পানি হয়, ক্রমাগত শরীর দুর্বলতা বেড়ে যায়, আরো ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। ডিম সবুজ শাক সবজি আমিষ এগুলো পুষ্টি দেয় এগুলো আপনি খেতে পারেন।

পাতলা পায়খানা আমাদের খাদ্যের মূল জিনিস পানি ভিটামিনযুক্ত খাবার আমিষ শর্করা এইগুলো ইত্যাদি। এগুলো জিনিস দুর্বলতার বিভিন্ন পর্যায়ে চুষে নেই। এই চুষে নেওয়ার কোন পর্যায়ে যদি দূর্বলতা হয় তাহলে বারবার পাতলা পায়খানা হয়। খাদ্যের মূল জিনিস গুলো মলের সঙ্গে বেরিয়ে যাওয়ার কারণে শরীর দুর্বলতা হয়। পাতলা পায়খানা হলে ওরস্যালাইন খাবেন তাহলে দুর্বলতা থেকে আরাম পাবেন। তারপর সঠিক সময় ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

শরীর দুর্বল হলে কি স্যালাইন দিতে হবে 

সাধারণত আমাদের শরীর দুর্বল হলে আমরা ওর স্যালাইন খেতে পারি। ওর স্যালাইনে রয়েছে তরল পানি এবং লবণ যার ফলে পাতলা পায়খানা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। আবার বিভিন্ন বিভিন্ন মেডিকেলে ইনজেকশনের মাধ্যমে স্যালাইন সরাসরি রোগীর শিরায় প্রবেশ করায়। স্যালাইন খাওয়ানোর কারণ ডায়রিয়া অতিরিক্ত বমি যেকোনো পানি শূন্যতা এগুলো ঘাটতি পূরণ করার জন্য ওর স্যালাইন খাওয়ানো হয়। ওরস্যালাইন মূলত শরীরের পানিশূন্যতা জন্য দেয়া হয়ে থাকে। 

ডায়রিয়া অতিরিক্ত বমি এগুলো কারণে শরীর অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে সেজন্য স্যালাইন দিতে হয়। স্যালাইন এক থেকে দুই গ্লাস খেয়ে নিলেই সে অনেক আরাম পায়। শরীর দুর্বল লাগার নানা কারণ থাকতে পারে গরমে প্রচুর ঘাম হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রেও স্যালাইন পান করে খাওয়া যায় শরীরের ঘাটতি পূরণের জন্য। এছাড়াও ওরস্যালাইন একটি মূল্যবান জিনিস। শরীরের লবণের ঘাটতি থাকলে ওরস্যালাইন খেলে শরীর লবণ ঘাটতি পূরণ হয়ে যায়। 

স্যালাইনের পাশাপাশি আমরা গ্লুকোজ ও খেতে পারি গ্লুকোজে অনেক ঘাটতি পূরণ করে। ওর স্যালাইনের যে প্যাকেট পাওয়া যায় সেখানে পর্যাপ্ত লবণের উপাদান সোডিয়াম পটাশিয়াম ও গ্লুকোজ থাকে। একজন সুস্থ মানুষের প্রতিদিন ২৫০ গ্ৰাম গ্লুকোজ খাওয়া ভালো।

বিশেষ করে খুব শরীর দুর্বলতা করলে বা ভিটামিন ক্যালসিয়াম এগুলোর অভাবে শিরায় স্যালাইন দেয়া হয়ে থাকে। যদি আপনার এই সমস্যা হয় তাহলে আপনি অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেন তাহলে আপনার ভালো হবে।

লেখকের মন্তব্য 

প্রিয় পাঠক আপনি যদি আমাদের পোস্ট পড়ে একটুও উপকৃত হয়ে থকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। আপনি যদি আমাদের পোষ্টটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করেন তাহলে আপনার মাধ্যমে আপনার বন্ধুরাও জানতে পারবে। তাই দেরি না করে আপনার বন্ধুদের সাথে আমাদের পোস্টটি শেয়ার করুন। আমাদের পোস্ট পড়ে যদি আপনার কোনো মতামত জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে সেটা জানিয়ে যাবেন। (ধন্যবাদ) আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪