পাক পবিত্র থাকার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

পাক পবিত্র থাকার উপায় সম্পর্কে নিশ্চয় আপনি জানতে চান? এই সম্পর্কে আপনার যদি না জানা থাকে। তাহলে আজকের এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিন। এই বিষয়ে আমি আজকে একটি সঠিক ধারণা দেয়ার চেষ্টা করবো। তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। 
পাক পবিত্র থাকার উপায় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
আমাদের পাক পবিত্রতা কেন থাকতে হবে এই বিষয়গুলো আমাদের সকলের জানা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহ তায়ালা বান্দাদের বলেন পাক-পবিত্রতা হচ্ছে ঈমানের অঙ্গ। তাহলে চলুন আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক আমাদের পাক পবিত্র থাকার উপায় গুলো। 

ভূমিকা

আল্লাহ তায়ালা বলেন পবিত্রতা ঈমানের অঙ্গ। পাক পবিত্র থাকার উপায় আমাদের জানা খুব প্রয়োজন। আমরা যদি পাক পবিত্রতা না হয়ে থাকি তাহলে আমাদের আল্লাহ তায়ালা ভালোবাসবেন না। আমরা সব সময় চাইবো পাক-পবিত্রতা হয়ে থাকার। আল্লাহ তায়ালা ওই সকল বান্দাদের অনেক বেশি ভালোবাসে যারা আল্লাহ তায়ালা কথা মত চলে। আমরা যদি পাক পবিত্রতা না হয় তাহলে আল্লাহর দরবারে কোন ইবাদত কবুল হবে না। সেজন্য আমরা সব সময় পাক-পবিত্রতা হয়ে থাকবো এবং আল্লাহর ইবাদত করব এবং সালাত আদায় করব যাকাত দান করব তাহলে আল্লাহ তায়ালা আমাদের প্রতি অনেক সন্তুষ্ট হবে।

পাক পবিত্রতা কাকে বলে? 

আল্লাহ তায়ালা আমাদের পাক-পবিত্র থাকার জন্য নির্দেশ দিয়েছে পবিত্রতা বলতে আমরা বুঝি পানি বা মাটি ব্যবহার করার দ্বারা যা অর্জিত হয় তাকে আমরা পবিত্রতা বলি পবিত্রতা নিয়ম তিনটি ১. অজু দ্বারা। ২. গোসল দ্বারা। ৩. তায়ামুম দ্বারা। আল্লাহ তাআলা বলেন হে মুমিনগণ যখন তোমরা নামাজের জন্য ওঠো তখন তোমরা তোমাদের ওযু করে পবিত্রতা হও যদি তোমরা অপবিত্র থাকো তাহলে সারা দেহ পবিত্র করে নাও। 

আল্লাহ তায়ালা আরো বলেন যে তোমরা অপবিত্র থাকলে তোমাদের গুনাহ লিপ্ত থাকো অপবিত্র মানুষ আমার অপছন্দ। আল্লাহ তাআলা আরও বলেন যে তোমরা কখনো অপবিত্র থাকবে না তোমরা যতটুকু সময় তোমরা পাও সবসময়ের জন্য পবিত্রতা হয়ে থাকো তোমাদের সারা শরীর পবিত্রতা থাকার জন্য খুব উত্তম আল্লাহ তায়ালা বলেন আমি বান্দাদের বেশি পছন্দ করি যারা আমার এবাদত করে পাক-পবিত্রত হয়ে থাকো। 

আল্লাহতায়ালা আমাদের পবিত্র রাখতে চান কিন্তু আমরা সেটা না মেনে আমরা অপবিত্র হয়ে থাকি এজন্য আমাদের গুনাহ বেশি হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন তোমরা মাঠে যাও কাজ করো কিন্তু পবিত্রতা থাকো। তোমরা সবসময় অজু করে থাকো সালাত আদায় করো আল্লাহ তায়ালা বলেন বান্দারা যেন পাক-পবিত্রতা হয়ে থাকে এটাই হচ্ছে ঈমানের অঙ্গ।

শরীয়ত মতে পবিত্রতা দুই প্রকার অপ্রকাশ্য আর প্রকাশ্য শরীরে অঙ্গ পতঙ্গের সব জায়গায় পবিত্রতা করাকে বাহিক পবিত্রতা বলা হয়। আর আমরা অন্তর থেকে যে পবিত্র করা হয় তাকে অপ্রকাশ্য পবিত্রতা বলে। আল্লাহ তাআলা বলেন যে হে বান্দা তোমরা সব সময় পবিত্র থাকবা অপবিত্র বান্দাদের আল্লাহ তায়ালা পছন্দ করেন।

পবিত্রতা ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ কোন কোন ইবাদতের ক্ষেত্রে পবিত্রতা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ যেমন নামাজ কোরআন শরীফ তেলাওয়াত করা ইত্যাদি। আমাদের জানতে হবে যে আমরা কিভাবে অপবিত্রতা থেকে পবিত্রতা অর্জন করতে হয়। আমরা সর্বপ্রথম গোসল করে অজু করতে হবে তাহলে আমাদের পাক পবিত্রতা হবে। 

নাজাসাত অর্থ অপবিত্রতা বস্তু মানুষের শরীর থেকে বা জীবজন্তুর শরীর থেকে চেয়ে নাপাক বস্তু বের হয় তাকে নাজাসাত বলা হয়। পাক পবিত্রতা একজন মানুষের অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় আমরা যদি অপবিত্র থাকার পর মারা যায় তাহলে অনেক কষ্ট সহ্য করতে হবে আল্লাহ তা'আলা বলেন বান্দা তোমরা সবসময় পবিত্র থাকো নামাজ পড়ো সালাত আদায় করো। আশা করি পাক পবিত্র থাকার উপায় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

অজুর পরিচয়

ওযু হচ্ছে আরবি শব্দ। অজুর বাংলা অর্থ সুন্দর পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্নতা। শরীয়তের পরিভাষায় নির্দিষ্ট কিছু অঙ্গ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও পবিত্রতা করাকে ওযু বলা হয়।আল্লাহ তা'আলা বলেন যে পাক-পবিত্রতা থাকতে হবে এবং অজু করে সালাত আদায় করতে হবে অজু করলে আমাদের শরীর পাক পবিত্রতা থাকে। 

আল্লাহ তা'আলা বলেন হে ঈমানদারগণ যখন তোমরা সালাতের জন্য প্রস্তুত তখন‌ তোমরা নিজেদের মুখমন্ডল সুন্দর করে ধৌত করবে এবং কনুই পর্যাপ্ত পানি দিয়ে ধৌত করবে এবং তোমাদের মাথা সুন্দর করে মাসেহ ‌করবে এবং পা সুন্দর করে দোত করবে। পাক-পবিত্রতা ঈমানের অঙ্গ।

পবিত্রতা সম্পর্কে ঘটনা

আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) পবিত্রতাকে ঈমানের অংশ হিসাবে ঘোষণা দিয়েছেন। আমাদের ইসলাম শান্তির ধর্ম আমরা আমাদের আল্লাহ তাআলার বান্দা। পবিত্রতা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা জীবন তৈরি করতে বলেছে আল্লাহ তাআলা। আল্লাহ তাআলা আরও বলেন জান্নাতে কেবলমাত্র পরিচ্ছন্ন ব্যক্তিরাই প্রবেশ করবে। আল্লাহ তা'আলা আরো বলেন যারা সালাত আদায় করবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা থাকবে ঈমানের সাথে থাকবে আল্লাহ তাআলা কেবলমাত্র তাদের জান্নাতবাসি করবেন।

পবিত্রতা নামাজের একটি মূল অংশ আমরা যদি পবিত্র না হয়ে নামাজ পড়ি তাহলে অনেক গুনাহ হবে। আমাদের শরীর পাক, কাপড় পা্‌ এবং নামাজের জায়গা পাক হতে হবে। আল্লাহ তায়ালা বলেন পবিত্র শরীর ও কাপড় ছাড়া কোন ব্যক্তির নামাজ আল্লাহর দরবারে কবুল হবে না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পবিত্রতাকে নামাজের চাবিকাঠি হিসাবে গণ্য করেছেন। পাক পবিত্র থাকার উপায় সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে।

আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনি বলেন পবিত্রতা নামাজের চাবিকাঠি। তিনি আরো বলেন আমাদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার সঙ্গে জীবন যাপনের তাগিদ দেওয়া হয়েছে। ইসলাম হচ্ছে পরিচ্ছন্ন। সুতরাং আমরা পরিছন্নতা বজায় রাখবো। আল্লাহ তায়ালা বলেন জান্নাতে প্রবেশ করতে হলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা থাকতে হবে এবং আল্লাহর নিয়ম অনুসারে চলতে হবে সালাত আদায় করতে হবে। 

আল্লাহ তায়ালা পবিত্রতাকে অনেক বেশি ভালোবাসেন আর যে বান্দা পবিত্র থাকবে আল্লাহ তায়ালা তার কথা বেশি শুনবে। কুরআনে আল্লাহ তায়ালা সেসব মানুষের প্রশংসা করেছেন যারা পবিত্র থাকতে বেশি পছন্দ করে। আল্লাহ তায়ালা বলেন পবিত্র থাকার পর ওযু করে নামাজ পড়া আল্লাহর কাছে দোয়া করা এবং আল্লাহকে মনে প্রাণে ভালোবাসা। আল্লাহ তাআলা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা যারা থাকেন তাদের আল্লাহ অনেক বেশি ভালোবাসেন। 

পবিত্রতা নামাজ কবুলের পূর্বশর্ত ইসলামকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা রাখছেন আল্লাহ। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন কেউ যখন অজু করে সে যেন ভালোভাবে অজু করে বলে আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আলো ছাড়া আর কোন মাবুদ নেই।

পবিত্র থাকার সুফল সমূহ

ইসলামে পবিত্রতা ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার গুরুত্ব অপরিসীম। আমাদের দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে হবে এবং আল্লাহর দেওয়া কোরআন শরীফ তেলাওয়াত করতে হবে এবং হজ্ব যাকাত আল্লাহর ইবাদত এগুলো সব পালন করতে হবে। আমাদের জীবনে অনেক অসুস্থ রোগ ব্যাধি অনেক কিছুই হয় কিন্তু আমাদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অনেক জরুরী। 

আমাদের সুন্দর ফুরফুরে মেজাজ থাকার জন্য এবং আল্লাহর ইবাদত করার জন্য আমাদের পবিত্রতাকে অনেক বেশি মূল্যায়ন করা হয়েছে। পবিত্র থাকা বা না থাকার উপর ইসলাম ধর্মের বিধি-বিধান নির্ভর করে। যখন কোন ব্যক্তি ইসলাম গ্রহণ করতে চায় তখন তাকে গোসল করতে হয় হাদিসে বলা হয়েছে যে পবিত্রতাকে ঈমানের অর্ধেক বলে মূল্যায়ন করা হয়েছে পবিত্রতা হল ঈমানের অর্ধেক অংশ। 

আমাদের ইসলাম ধর্ম একটি শান্তির ধর্ম। আল্লাহ তাআলা মানব জাতিকে একমাত্র তার ইবাদত করার জন্য সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহর সকল ইবাদতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ইবাদত হলো সালাত আদায় করা। আল্লাহ তায়ালা পবিত্রতাকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় করেছেন। আল্লাহ বলেছেন কোন ব্যক্তি যদি তার কথা অমান্য করে তাকে জাহান্নামে দিবে অতএব আমরা পবিত্র থাকব এবং আল্লাহর অনুগত দিকের অনুসরণ করব।

আমাদের ইসলামে যেখানে যাই আগে সর্বপ্রথম পবিত্রতাকে বেশি মূল্যায়ন করা হয়। আপনি যদি পবিত্রতা না থাকেন তাহলে ইসলামের আইন ভঙ্গ করছেন। আপনার প্রস্রাব পায়খানা ও বায়ু নিঃসরণ হলে অজুর মাধ্যমে পবিত্র হয়ে সালাত আদায় করা যায়। কিন্তু গোসল ব্যতীত পবিত্রতা মোটেও সম্ভব না যেমন- স্ত্রী সহবাস করলে বা স্বপ্নদোষ হলে বীর্যপাত করলে তখন আপনার গোসল করা ওয়াজিব। এ অবস্থায় যদি আপনি পানি না পান তাহলে তায়াম্মুমের মাধ্যমে পবিত্র হতে হবে।

পাক পবিত্র থাকার উপায় সম্পর্কে জানুন

এখন আমরা জেনে নিবো পাক পবিত্র থাকার উপায় সম্পর্কে। পবিত্রতা ঈমানের অঙ্গ। আপনার ইবাদত করার আগে যদি পবিত্রতা অর্জন করতে না পারেন তাহলে হবে না তাই পবিত্রতা অর্জন করা আমাদের ফরজ। ইসলাম সর্বদা পবিত্র থাকার নির্দেশ দিয়েছে। আমাদের শরীরের সাথে সাথে পোশাক পাক-পবিত্র হতে হবে কেননা আমাদের শরীরের সাথে সাথে যদি কাপড় পরিষ্কার না থাকে তাহলে আমাদের এবাদত করা সম্ভব হবে না। 

যদি কাপড়ে রক্ত বা পায়খানা লেগে থাকে তবে তাহলে সুন্দর করে কাপড় ধৌত করতে হবে যেন কোন রকম দাগ না থাকে। একবার বা দুইবার ধোয়ার পর দাগ চলে গেলে ওই কাপড় পাক হয়ে যাবে। তিনবার আপনার কাপড়ে যদি অন্য কোন ময়লা আবর্জনা লেগে থাকে তাহলে কাপড় দুই থেকে তিনবার ধৌত করতে হবে। কাপড়ে বা শরীরে অপবিত্রতার মত কোন কিছু থাকলে তখন আমাদের সালাত আদায় করা হবে না।

বসার চেয়ার সোফা বা লেপে যদি মলমূত্র বা অন্য কোন নাপাক কিছু লেগে থাকে তাহলে পানি দ্বারা ধৌত করতে হবে। নাপাকি অবস্থা হল ওযু করার আগে পেশাব পায়খানা ও অন্যান্য অজু ভঙ্গকারী যে বিষয় সমূহ সেগুলো অজুর মাধ্যমে নাপাকি থেকে পবিত্রতা অর্জন করতে হবে তাহলে আমাদের পাকপবিত্র থাকতে কোন অসুবিধা হবে না।

আমাদের সালাত আদায় করার সময় দেখতে হবে যে জায়গা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা আছে কিনা। আমাদের জায়গা যদি অপরিষ্কার থাকে তাহলে সেখানে সালাত আদায় করা যাবে না। নামাজ অবস্থায় যদি বান্দার শরীর কাপড় পরিপূর্ণ পাক-পবিত্র থাকে তাহলে নামাজ আদায় করতে পারবে। তুমি তোমার ঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা রাখো যেন তুমি নামাজে দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করতে পারো। 

নামাজে স্থান অবশ্যই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও পবিত্রতা হতে হবে। যদি বাচ্চারা টাইলস বিছানো মেঝেতে প্রস্রাব করে তাহলে জায়গাটি ভেজা কাপড় দিয়ে সুন্দর করে পরিষ্কার করতে হবে যেন কোন রকমের চিহ্ন বা দুর্গন্ধ না থাকে। তাহলে ওই জায়গা পাক হবে তাতে নামাজ পড়লেও কোন সমস্যা হবে না। কোন জায়গা বা কোন স্থান যদি আপনার সন্দেহবশত হয় তাহলে নাপাক বলা যাবে না। 

নাপাক ব্যাপারের নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত সেটা পাক হিসেবেই বিবেচিত করা হবে। রাস্তাঘাটে আবর্জনা যুক্ত পানি বা কাঁদায় কোন ধরনের আলামত পরিকল্পিত না হলে তাকে নাপাক বলে গণ্য হবে না। ওই আবর্জনা যুক্ত পানি বা ময়লা আপনার শরীরের ছিতে পড়ে তাহলে আপনার শরীর নাপাক হবে না। তবে যদি ওই আবর্জনা যুক্ত পানি বা কাঁদায় দুর্গন্ধ ছড়ায় তাহলে নাপাক বলে বিবেচিত করা হবে। পাক পবিত্র থাকার উপায় সম্পর্কে একটি সঠিক ধারণা দেয়ার চেষ্টা করেছি।

পবিত্রতা অর্জনের গুরুত্ব

পূর্বে আমরা জেনেছি পাক পবিত্র থাকার উপায় সম্পর্কে। এখন জানবো পবিত্রতা অর্জনের গুরুত্ব। আমাদের ইসলাম ধর্ম অনেক শান্তির ধর্ম। সর্ব প্রথম আমরা যার কথা বলব সেটি হলো সালাত। আমাদের সালাত অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহ্‌ তায়ালা বলেন যে সবার আগে আমাদের পবিত্রতা আনতে হবে। আমাদের মধ্যে যদি পবিত্রতা না থাকে তাহলে আমাদের আল্লাহ্‌ তায়ালা পছন্দ করবে না। আমাদের ভাবতে হবে যে পবিত্রতা ঈমানের অঙ্গ। 

আমাদের প্রিয় নবী হযরত মহাম্মাদ (সা.) বলেন যে যে ব্যাক্তি পবিত্রতাকে নস্ত করে সেই ব্যাক্তি কোন ইসলাম ধর্মের মধ্যে পরে না। আমাদের বাংলাদেশে অনেক মানুষ আছে যে নিজের পবিত্রতা রাখতে পারে না। কোরআন শরীফে সুন্দর করে বলা আছে সালাত এর কথা। সালাত হলো আল্লাহ্‌ তায়ালার সাথে যোগাযোগের মাধ্যম। সালাত আদায় করার পর আল্লাহ্‌ কাসে যদি আমরা কোনো কিছু চায় তাহলে আল্লাহ্‌ তায়ালা আমাদের খুশি হয়ে দিয়ে দেয়।

একজন অপবিত্র মানুষকে তালার সাথে তুলনা করা হয়। যদি ওই ব্যাক্তি ওজু করে তখন তার তালা খুলে দেয়া হয়। নিজের শরীর পাক রাখতে হবে তাহলে আল্লাহ্‌ তায়ালা আমাদের সহায় হবেন। আমরা যদি কোনো বিপদে পড়ি তাহলে আল্লাহ্‌ তায়ালা আমাদের সাথে থাকবে যদি আমরা পবিত্র থাকি। যদি আপনি কোনো বড় ধরনের অপবিত্রতা হয়ে থাকেন তাহলে পবিত্রতা অর্জনের উপায় হলো আপনি গোসল করে নিবেন তার পর অজু করে নিবেন তাহলে আপনি পবিত্রতা হয়ে যাবেন।

আমাদের ইসলাম ধর্মে পবিত্রতা এটা একটি বিশেষ স্থান দখল করে নিয়ে আছে। কারণ পবিত্রতা এমন একটি জিনিস যার মাধ্যমে আমাদের স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা খুশি হন। পবিত্রতা অর্জন ব্যতীত আমাদের নামাজ পড়া যাবে না কোরআন শরীফ পড়া যাবে না এবং আল্লাহর কোন ইবাদত করাও যাবে না। তাহলে আপনি দেখেন পবিত্রতা কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন যে পবিত্রতা একটি ঈমানের অঙ্গ। 

এই পবিত্রতা যে ব্যক্তি করে তাকে সবসময় আল্লাহতালা তার ভালো চায়। আল্লাহ তায়ালা সেই ব্যক্তিকেই বেশি ভালোবাসে যারা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও পবিত্রতা হয়ে থাকে এবং আল্লাহর ইবাদত করে যাকাত দান করে সালাত আদায় করে আরো ইত্যাদি। আমরা যদি অপবিত্র থাকি তাহলে আমাদের সবসময় আল্লাহ খারাপ চোখে দেখবে। আমাদের দুই ঘাড়ের দুই সাইডে দুইটা ফেরেস্তা রাখা আছে যারা সব সময় আমাদের সকল কিছু হিসাব করে। 

সবাই খাতা কলম নিয়ে বসে আছে ডান হাতে কোন কাজ করলে এবং ভালো কাজ করলে সেটা ডান হাতের ফেরেস্তা লেখে আর বাম হাতের ফেরেস্তা যদি খারাপ কাজ দেখে তাহলে খারাপ কাজের কথাগুলো লেখে। আল্লাহ তা'আলা বলেন হে আমার বান্দাগণ তোমরা সবাই পবিত্রতা থাকো পবিত্রতা থাকলে আমি তোমাদের অনেক বেশি ভালোবাসি এবং আমি তোমাদের সকল মনের আশা পূরণ করে দিই।

পবিত্রতা কত প্রকার ও কি কি?

পবিত্রতা দুই প্রকার। অপবিত্রতা থাকলে তাকে গোসল করে পবিত্র হতে হবে। নাপাক অবস্থায় যদি শুধু অজু করা হয় তাহলে পবিত্র হওয়া যায়, গোসলের কোন প্রয়োজন হয় না। আমরা যদি কোনভাবে অপবিত্রতা হয়ে থাকি তাহলে আল্লাহর স্বয়ং নারাজ হয়ে যান। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন যে ব্যক্তি সব সময় পবিত্রতা মধ্যে থাকবে সেই ব্যক্তি কোন অসুস্থ হবে না। 

আল্লাহ তা'আলা বলেন পবিত্র ব্যক্তিকে আমি অনেক ভালবাসি। আল্লাহ আরো বলেন যে ব্যক্তি পবিত্রতা অর্জন করবে সে নিঃসন্দেহে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর যে ব্যক্তি অপবিত্রতা হয়ে থাকবে সে ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। আমরা যদি পবিত্রতা হওয়ার জন্য কাছে পানি না পাই তাহলে আমরা তাইমুম করতে পারি। দুই হাত মাটিতে মেরে তা দ্বারা মুখমণ্ডল মাসেহ করে নিব এবং কব্জি সহ পর্যাপ্ত মাসেহ করে নিব।

আমাদের নাপাক বস্তু যেমন কাপড় এইগুলা আমাদের যদি অপবিত্র হয়ে থাকে তাহলে আমরা সেই বস্তুগুলো সুন্দর করে পানিতে ধুয়ে পবিত্রতা করে নেব। পবিত্রতা হতে হলে সর্বপ্রথম আমাদের গোসল করে নিতে হবে। অপবিত্র স্থান বা কোন জিনিস আমাদের শরীরে স্পর্শ হলে তখন আমাদের শরীর অপবিত্র হয়ে যায়। সে জন্য আমাদের সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। 

ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবন বিধান। আল্লাহর ও তার রাসুল মুমিন পুরুষদের অনেক বেশি ভালোবাসে। পবিত্রতা অর্জন ছাড়া কোনো ইবাদত আল্লাহ্‌ তায়ালার নিকট গ্রহণ যোগ্য হবে না। পবিত্র কোরআন শরীফ যদি আমরা খুলে একটু দেখি তাহলে বুঝতে পারবো যে আল্লাহ্‌ কোরআন শরীফের মধ্যে এই পবিত্রতা নিয়ে কি লিখে রাখছে।পরিস্কার-পরিছন্নতা বলতে নিজের শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ থেকে নোংরা আবর্জনা দূর করে পবিত্রতা অর্জন করা।

আল্লাহ তায়ালার বান্দা গুলো পবিত্রতার জন্য অজুকে তার নিজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে জীবনে বেছে নিয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পবিত্রতা রক্ষা করতে বলেছেন মুমিনদের। প্রকৃত মুমিন ছাড়া কেউ অজুর প্রতি গুরুত্ব দিবেনা। পোশাক পরিচ্ছন্ন রাখা মুমিনের অন্যতম গুণাবলী। অপরিষ্কার পোশাকে বান্দা যদি ইবাদত করে সেই ইবাদত আল্লাহ তায়ালার কাছে কবুল হবে না। 

আল্লাহ রব্বুল আলামীন বলেছেন নামাজকে নিজের আত্মার সাথে জড়িয়ে নিন এবং পবিত্রতাকে নিজের ভালোবাসা দিয়ে রাখেন। পবিত্রতার পাশাপাশি আমাদের পোশাক পবিত্র রাখতে হবে মহান আল্লাহ বলেছেন তোমার পোশাক পবিত্র রাখো এবং তুমি অপবিত্রতা থেকে অনেক দূরে থাকো। আল্লাহ তায়ালা বলেছেন যে বান্দা পবিত্রতা হয়ে থাকে তার প্রতি আমি অনেক সন্তুষ্ট হয়। ইসলাম একটি সুন্দর ও পরিছন্ন এবং শান্তির ধর্ম। আল্লাহ তায়ালা আমাদের ইসলামের সকল কিছু পালন করার তৌফিক দান করুক আমিন।

লেখকের মন্তব্য

আপনি যদি আমাদের পোস্ট পড়ে একটুও উপকৃত হয়ে থকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। আপনি যদি আমাদের পোষ্টটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করেন তাহলে আপনার মাধ্যমে আপনার বন্ধুরাও জানতে পারবে। তাই দেরি না করে আপনার বন্ধুদের সাথে আমাদের পোস্টটি শেয়ার করুন। আমাদের পোস্ট পড়ে যদি আপনার কোনো মতামত জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে সেটা জানিয়ে যাবেন। (ধন্যবাদ) আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এখানে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪